Home Bangla Recent ঋণসীমা চায় ৪ কোটি ডলার

ঋণসীমা চায় ৪ কোটি ডলার

ইডিএফ নিয়ে বিটিএমএ
ইডিএফ নিয়ে বিটিএমএ

ইডিএফ নিয়ে বিটিএমএ

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের (এলসি) মাধ্যমে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ঋণ নেওয়ার সীমা তিন কোটি থেকে বাড়িয়ে চার কোটি ডলার করার দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে এই ঋণের সুদহার ১ দশমিক ৭৫ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি তাদের। গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়ে বস্ত্র খাতের সংগঠনটি এই দাবি জানায়।

বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। জাহাজভাড়াও অনেক বেড়েছে। এর ফলে আমরা চাপের মুখে পড়েছি। ইডিএফ থেকে যে ঋণ পাওয়া যায়, তা দিয়ে আমদানি সম্পন্ন হচ্ছে না। তাই ঋণের সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি আরও এক বছর এই সুযোগ অব্যাহত রাখার জন্য চিঠি দিয়েছি।’

জানা যায়, বিটিএমএ নেতারা সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনায় বিভিন্ন সমস্যা কথা তুলে ধরলে তাঁদের লিখিতভাবে প্রস্তাব দিতে বলা হয়। সে অনুযায়ী দেওয়া চিঠিতে বিটিএমএ ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণসীমা চার কোটি ডলারে উন্নীত করার দাবি জানায়।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে গত বছরের ১৭ মে রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইডিএফ ঋণ নেওয়ার সীমা আড়াই কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে তিন কোটি ডলার করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি ইডিএফের আকার ৩৫০ কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০০ কোটি ডলার করা হয়েছে। এ ছাড়া রপ্তানিকারকদের জন্য এই তহবিল থেকে নেওয়া ঋণের সুদহার কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়।

আগে ইডিএফ থেকে কোনো রপ্তানিকারক ঋণ নিলে লাইবরের (লন্ডন ইন্টার ব্যাংক অপার রেট) সঙ্গে ১ দশমিক ৫ শতাংশ যোগ করে সুদের হার নির্ধারণ করা হতো। লাইবর রেট ওঠানামা করায় সুদের হার ৩ থেকে ৪ শতাংশের মতো পড়ে যেত।

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার নিয়ে ইডিএফ গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ধীরে ধীরে বাড়ানো হয় তহবিলটির আকার। পাশাপাশি নতুন নতুন খাতকে এই ঋণের আওতায় আনা হয়। ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের (এলসি) মাধ্যমে পণ্য আমদানির জন্য ইডিএফ থেকে ঋণ নেওয়া যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here