করোনাভাইরাস মোকাবিলার ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) উৎপাদনে বাংলাদেশের বেক্সিমকো গ্রুপকে সহযোগিতা করবে জাপানের কেটু লজিস্টিকস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ ব্যাপারে দুই পক্ষের মধ্যে গত বুধবার ঢাকার অদূরে সাভারে বেক্সিমকোর পিপিই পার্কে একটি চুক্তি হয়েছে।
চুক্তির আওতায় পিপিই উৎপাদন ও এর গুণগতমান নিশ্চিতে কাজ করবে জাপানের কেটু লজিস্টিকস। বেক্সিমকোর পিপিই পার্কে আইসোলেশন ও সার্জিক্যাল গাউন, মেল্ট-ব্লোন এবং লেমিনেশন, সার্জিক্যাল মাস্ক, এন৯৫ ক্যাপ টাইপ ও ফোল্ডেবল মাস্ক, কেএন৯৫ মাস্ক, শু কভার, হেড কভার ইত্যাদি তৈরি হবে।বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমান। এ সময় বেক্সিমকো গ্রুপের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ নাভেদ হোসেন ও বেক্সিমকো পিপিই লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মহিদুস সামাদ খান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো, জাপানিজ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হিকারু কায়াই, জাইকা বাংলাদেশের আবাসিক প্রধান ইউহো হায়াকায়া, কেটু জাপানের নির্বাহী পরিচালক ইউমা মিতানি উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর জাপানি রাষ্ট্রদূতসহ অতিথিরা বেক্সিমকোর পিপিই পার্ক ও ইন্টারটেক ল্যাব পরিদর্শন করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত পিপিই পার্কের প্রশংসা করেন।
এদিকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি জাপানকে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু আখ্যায়িত করে বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এই চুক্তির ফলে উভয় দেশই লাভবান হবে। তিনি আরও বলেন, করোনার মধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপ প্রথমে পিপিই নিয়ে এগিয়ে আসে।
পিপিই পার্ক থেকে জাপানের রাষ্ট্রদূত বেক্সিমকো শিল্পপার্ক পরিদর্শনে যান। সেখানে তিনি বেক্সিমকোর আধুনিক ভার্টিক্যাল বস্ত্র, পোশাক ও ওয়াশিং প্ল্যান্ট দেখেন। বেক্সিমকো শিল্পপার্কে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে অত্যাধুনিক তাঁত, সাইজিং মেশিন ও র্যাপিং মেশিন উদ্বোধন করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।