Bangladesh’s garment industry is expanding its market reach beyond the traditional US and European markets, focusing on the Gulf region, including Saudi Arabia and the United Arab Emirates (UAE), which have seen a significant rise in garment exports in the last financial year.
The industry, which accounts for 80% of the country’s exports and employs four million people, has been hit by a decline in sales in traditional markets since Russia’s invasion of Ukraine, prompting a reorientation of the promotion strategy.
The country made $42.6 billion between July 2021-June 2022 from garment exports, with the EU and the US being the largest markets. The Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association’s data reveals a surge in exports to the Gulf, with sales to Saudi Arabia rising by 40% to $125 million and to the UAE up by 21% to $183 million.
The country is positioning itself to capture the Middle East’s substantial apparel imports, with China and India being the major suppliers currently. The presence of a considerable number of Bangladeshi workers in the Gulf region presents another opportunity to promote and introduce Bangladeshi products.
Bangladesh’s textile industry has faced numerous challenges on its journey, but today, it is recognized as one of the world’s leading exporting industries. In 2023, Bangladesh’s garment exports reached nearly 47.39 billion dollars, showing an approximate 10% growth compared to the previous year. This achievement is not just a business success, but a testament to the strength and capability of our industry.
COVID-19 Pandemic and Subsequent Recovery:
The global COVID-19 pandemic brought the world to a standstill, and Bangladesh’s textile industry was no exception. In 2020, exports fell by about 18%, but industry entrepreneurs handled the situation with great skill. With government support and adherence to health protocols, production resumed, and exports grew by 14% in 2021.
Additionally, in 2022, international orders increased by almost 30%, marking a significant recovery for Bangladesh’s garment sector. During this period, international brands returned their orders to Bangladesh, especially from Europe and the United States.
Orders from the World’s Leading Brands:
The success of Bangladesh’s garment industry lies in its strong international relationships. In 2023, Bangladesh’s garment industry received 750 million new orders, which was 20% more than the previous year.
Global brands like Nike, Adidas, Hendricks, Uniqlo, and GHS placed large orders with Bangladesh. Notably, Bangladesh’s garment exports reached new heights in 2023 in both the United States and the European Union.
Exports of Bangladesh’s garments to the United States reached nearly 10.7 billion dollars, accounting for about 25% of the country’s total garment exports. Exports to the European Union increased by 16% this year, with new orders surpassing 3 billion dollars.
Sustainable Initiatives and Eco-friendly Trends:
Bangladesh’s textile industry is not only playing a leading role in business but also in sustainable initiatives. Currently, more than 200 garment factories have achieved the eco-friendly LEED certification. Bangladesh is now one of the world’s leading sustainable garment producers.
Use of New Technologies:
The use of technology in Bangladesh’s textile industry has also seen significant progress. Smart textiles, wearable technology, and digital production systems are pushing Bangladesh towards new horizons. For instance, Bangladesh’s first smart garment manufacturing factory, Meyer Apparel, is now producing garments using Smart Textile and Wearable technologies, marking a significant step in digital innovation. Smart clothing is now being exported worldwide from Bangladesh.
Global Orders and Future Prospects:
Today, Bangladesh’s garment industry is not just a domestic industry, but it has become one of the world’s largest garment suppliers. Over the next five years, the Bangladeshi government aims to achieve a 20% export growth and explore new markets. In 2024, Bangladesh’s garment industry has set a target of 50 billion dollars in exports.
The world’s top brands, especially in the United States and European Union, have chosen Bangladesh as their primary supplier. This provides a highly optimistic outlook for the future of Bangladesh’s textile industry.
Conclusion:
Bangladesh’s textile industry has today become a strong, sustainable, and internationally respected industry. There have been struggles and challenges, but we have overcome them and continue to move forward. The future of Bangladesh’s garment industry is brighter, and through this industry, we are not only enhancing economic growth but also elevating the country’s status and global standing.
Author: Farhana Afroze Shraboni Assistant Manager Fast Track Sourcing Banglaldesh
বেকারত্ব ঘুচিয়ে বিনিয়োগ ও উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ে ২০১৯ সালে উত্তরা ইপিজেডে টেক্সটাইল মিল চালু করে দেশবন্ধু গ্রুপ। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষের। এছাড়া শতভাগ রপ্তানিবান্ধব এই প্রতিষ্ঠানে এমব্রয়ডারি, ডেনিম গার্মেন্টস, ওয়াশিং ইউনিট এবং প্রিন্ট সুবিধা রয়েছে। যা থেকে প্রতিবছর এখান থেকেই ১১১ কোটি ৭৪ লাখ ৭২ হাজার পিস ডেনিম চিনো, কার্গো প্যান্ট, আউটওয়্যার, ফেন্সি এ্যাপারেলস উৎপাদন করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশবাংলার এই টেক্সটাইলসে (ডিটিএএল) ১৬টি আলাদা ফ্লোর ইউনিট করা হয়েছে। যার আয়তন ৭১৭৫০ বর্গফুট এবং সর্বমোট আয়তন ২৭১২৭২ বর্গফুট।
কারখানায় কর্মরত কর্মীর ৯৫ শতাংশ স্থানীয় বাসিন্দা। তাদের সবাই নিজেদের কর্মে ও প্রাপ্য বেতন-ভাতায় ব্যাপক সন্তুষ্ট। ১২ হাজার ৮০০ টাকার কম কারো বেতন নেই। দক্ষতা অনুসারে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পাচ্ছেন কর্মীরা। তবে ২৫ হাজার টাকার বেশি বেতনের কর্মী সংখ্যা অনেক কম। প্রতিষ্ঠানকে ভালোবেসে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করেন কর্মীরা।
আঁখি নামে এক কর্মী জানান, আগে ঢাকার সাভারে কাজ করতেন। সেখানে ওভার টাইমসহ মোট ১৮ হাজার ৫০০ টাকা বেতন পেতেন, তা দিয়ে ঘরভাড়া ও খাওয়া-দাওয়ার পর হাতে বেশি টাকা থাকতো না। কিন্তু এখানে ওভার টাইম ছাড়াই ১৪ হাজার ৩০০ টাকা বেতন পান। পাশেই বাড়ি হওয়ায় বাড়তি কোনো খরচ নেই বললেই চলে। ফলে পুরো টাকাই হাতে থাকে।
সাইফুল নামে আরেক কর্মী বলেন, তিন বছর ধরে দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলসে কাজ করছি। কাজের পরিবেশ ও কর্মকর্তাদের ব্যবহার এক কথায় অমায়িক। আমি এর আগে গাজীপুরের একটি কারখানায় কাজ করতাম। এ ধরনের পরিবেশ সেখানে পাইনি। করোনার সময় কারখানা বন্ধ হওয়াতে এলাকায় চলে আসি। বাড়িতে এসেই দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলসের খবর পাই৷ বর্তমানে বেতন ১৯ হাজারের টাকার চেয়ে বেশি। এলাকায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালোভাবেই দিন কাটছে।
দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলসের জেনারেল ম্যানেজার (প্রডাকশন) ইসুরু উমেশ বলেন, উত্তরবঙ্গে দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলসের যাত্রা শুরু হয় ২০১৯ সালে। এটিই বর্তমানে উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় পোশাক কারখানা। এখানে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। চায়না-বাংলা যৌথ ব্যবস্থাপনায় কারখানার উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে। তবে এখানকার উৎপাদিত পণ্যের ভোক্তা শতভাগ বিদেশি। উত্তরা ইপিজেডের ২৩টি কোম্পানি বিনিয়োগ করে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলসের মালিক-শ্রমিক ও কর্মচারীদের সম্পর্ক যেকোনো কারখানার চেয়ে অনেক ভালো। এক কথায় আদর্শ ও শান্তিপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বলতে যা বুঝায় দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস তার বাস্তব উদাহরণ।
তিনি আরো বলেন, গার্মেন্টস ব্যবসায় একটি বড় সমস্য শিপমেন্ট বাতিল। তবে দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস চালুর পর থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো শিপমেন্ট বাতিল হয়নি। ইপিজেড ও কাস্টম নীতিমালা মেনে সঠিক প্রক্রিয়ায় শিপমেন্টের মাধ্যমে রপ্তানি করা হচ্ছে উৎপাদিত পণ্য।
রপ্তানি কাজকে আরো সহজ করতে ইপিজেডের পাশে একটি রেল স্টেশন স্থাপনের দাবি জানান তিনি।
দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলসের জেনারেল ম্যানেজার (উৎপাদন) মো. ইব্রাহিম আকন বলেন, দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলসের উৎপাদিত পণ্য শতভাগ রপ্তানি হয়। বর্তমানে ইউরোপের বড় দুটি দেশ এখানকার উৎপাদিত পণ্যের ভোক্তা। এর একটি হচ্ছে ইউএসএর জি-থ্রি, কসকো ও ডিকনি। অন্যটি হলো স্পেনের ম্যাঙ্গো কোম্পানি। নতুন করে আরো কয়েকটি দেশ ও কোম্পানিকে যুক্ত করার জোর চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে ইউকের প্রাইমার্ক কোম্পানিটি মোটামুটি আলোচনা শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে যে কয়টি কোম্পানির অর্ডার রয়েছে তা ডেলিভারি দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারখানায় বেশ কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। অটো সেটআপ মেশিন স্থান পেয়েছে দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলে৷ যা দেশের হাতে গোনা কয়েকটি কারখানায় ব্যবহৃত হয়।
‘সবমিলে অনেক শ্রমিকের কাজ অনেক কম সময়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। তারপরেও দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলের নতুন আমদানিকারক যুক্ত হলে কারখানার পরিধি ও দক্ষ কর্মী আরো বাড়াতে হবে। সে লক্ষ্যে নতুন আরো একটি প্লটে নতুন একটি শেড স্থাপনের কাজ চলছে। এই কাজকে আরো দ্রুত এগিয়ে নিতে মোটা অঙ্কের টাকার প্রয়োজন। সহজ শর্তে ব্যাংক লোন পেলে উত্তরা ইপিজেডের এই কারখানাকে বিশ্বের অন্যতম কারখানায় রূপান্তর করা সম্ভব হবে।
দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলসের হেড অব এইচআর, অ্যাডমিন অ্যান্ড কমপ্লাইন্স মো. আশরাফ উল্লাহ বলেন, দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস বিদেশে পোশাক রপ্তানি করার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে যেমন অবদান রাখছে, তেমনই মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের কর্মসংস্থান ব্যাপকহারে সৃষ্টি হয়েছে। এক কথায় দেশবন্ধু গ্রুপের মতো কোম্পানির কারণে অতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের দরিদ্র দূর করতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে উত্তরা ইপিজেড। বর্তমানে ২৬০ একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠেছে ইপিজেডটি। এই ইপিজেডের ব্যাপক চাহিদার কারণে এর আকার আরো বেড়ে প্রায় ৩০০ একর হচ্ছে। বর্তমানে ২৩টি কারখানায় প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছে। সমগ্র উত্তরা ইপিজেডের কাজ তরান্বিত করতে ও রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করতে উত্তরবঙ্গের অবকাঠামো আরো সংস্কার ও উন্নয়ন দরকার।
এলাকায় পোশাক শ্রমিক অহরহ থাকলেও দক্ষ কর্মীর বড় অভাব রয়েছে। কারণ গার্মেন্টে অনেক সূক্ষ্ম কাজ রয়েছে যা বাস্তবায়ন করতে দক্ষ কর্মীর বিকল্প নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এ এলাকায় সে ধরনের সুযোগ কম উল্লেখ করে আশরাফ উল্লাহ বলেন, ঢাকা, গাজীপুর, সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় শত শত কারখানা থাকায় চাহিদা মতো কর্মী যখন তখন পাওয়া যায়, কিন্তু এখানে সে সুযোগ নেই। কিছু কিছু কর্মীকে বাছাই করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে তা পর্যাপ্ত না। এ কারণে এখানে আরো কয়েকটি কারখানা প্রতিষ্ঠিত হলে উত্তরবঙ্গের চেহারা পাল্টে যাবে।
আশরাফ উল্লাহ আরো বলেন, এই ইপিজেডে দেশবন্ধু টেক্সটাইলসহ মাত্র তিনটি গার্মেন্টস কারখানা রয়েছে। এখানো আরো কয়েকটি কারখানা চালু হলে উত্তরা ইপিজেড গার্মেন্টসের হাব হবে।
রাশিয়ার বৃহত্তম তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক একটি কোম্পানি তাদের কিছু উৎপাদন সক্ষমতা দেশের বাইরে সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে। দেশটিতে শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় কোম্পানিটি তাদের উৎপাদন সক্ষমতা বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
রাশিয়ার গ্লোরিয়া জিনস নামের ওই কোম্পানিটি পোশাক ও জুতা তৈরি করে। মঙ্গলবার দেশটির সংবাদমাধ্যম কমারসান্তের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্লোরিয়া জিনস তাদের কিছু উৎপাদন সক্ষমতা দেশটিতে বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এরপর সেসব সক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশে সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে গ্লোরিয়া জিনস।
গ্লোরিয়া জিনস এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কোম্পানিটির রোস্তভ ওব্লাস্টে অবস্থিত কারখানায় এর প্রভাব পড়বে। সালস্কের একটি সেলাই কারখানা ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে এবং সেখানকার কর্মীদের অন্যান্য কারখানায় চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে গ্লোরিয়া জিনসের অন্তত ১৮টি কারখানা রয়েছে। তবে রোস্তভ ওব্লাস্টে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি দেশটির এই পোশাক কোম্পানি।
রুশ সংবাদমাধ্যম কমারসান্ত বলেছে, গ্লোরিয়া জিনস তাদের উৎপাদন ব্যবস্থা ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ কিংবা উজবেকিস্তানে সরিয়ে নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে। উজবেকিস্তানে তুলার চাষ ভালো হওয়ায় কাঁচামালের স্থিতিশীল সরবরাহ রয়েছে। এছাড়া এসব দেশে উন্নত শিল্প স্থাপনা রয়েছে। এর ফলে কারখানায় কাঁচামালের সরবরাহ এবং উৎপাদন খরচ নিয়ে কোনও সমস্যা হয় না।
অতীতে রাশিয়ার বিখ্যাত পোশাক প্রস্তুতকারক বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাক উৎপাদনের প্রাথমিক গন্তব্য ছিল চীন। কিন্তু বর্তমানে রুশ ব্র্যান্ডগুলোর কাছে চীনের জনপ্রিয়তা কমে গেছে। কারণ হিসেবে দেশটির ফ্যাশনশিল্পের সঙ্গে জড়িত একজন প্রতিনিধি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, বাংলাদেশ অথবা উজবেকিস্তানের তুলনায় চীনে শ্রম ব্যয় অনেক বেশি।
রাশিয়ায় পোশাক শিল্প খাতে দক্ষ কর্মীর সংকট দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে। জনবল সংকটের পাশাপাশি রাশিয়ায় তৈরি পোশাকের স্থানীয় কাঁচামাল ও অন্যান্য উপকরণের মান ভালো নয়। ফলে দেশটির কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যের উৎস হিসেবে অন্যান্য দেশকে বেছে নিচ্ছে।
এছাড়া পশ্চিমা বিশ্বের একের পর এক নিষেধাজ্ঞার কারণে সেলাইয়ের সরঞ্জাম ও কারখানার অন্যান্য কাঁচামাল কেনার ক্ষেত্রেও অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে রুশ কোম্পানিগুলো। নিষেধাজ্ঞা থাকায় কারখানার সরঞ্জাম আমদানির অর্থও পরিশোধ করতে পারছে না।
The Vietnam Textile and Apparel Association (VITAS) has partnered with the International Labour Organization (ILO) to launch a new working group aimed at promoting sustainability within the textile industry. The initiative, announced recently, focuses on advancing sustainable practices in the textile sector, with an emphasis on improving environmental, social, and economic sustainability across the value chain.
The working group aims to address key challenges such as reducing waste, improving resource efficiency, and ensuring fair labor practices. Through collaboration, VITAS and ILO seek to help textile manufacturers adopt cleaner production techniques and enhance their compliance with international labor standards. The group will also provide guidance on implementing circular economy principles and promoting responsible sourcing, which are critical to reducing the environmental impact of textile production.
This partnership underscores the increasing importance of sustainability in the global textile industry, which is facing growing pressure to reduce its carbon footprint and enhance ethical practices. By bringing together stakeholders from the public and private sectors, the working group aims to drive systemic change, providing a platform for sharing knowledge, best practices, and solutions to common sustainability challenges.
VITAS and ILO’s efforts reflect a broader global trend toward more sustainable and responsible textile manufacturing. As the industry continues to face sustainability challenges, collaborations like this are vital in ensuring long-term positive impacts for both the environment and workers within the sector.
Germany’s exports fell by 2.8 per cent in October 2024 compared to both September 2024 and October 2023, reaching €124.6 billion (seasonally adjusted), while imports slightly dipped by 0.1 per cent from September but rose 1.7 per cent year-on-year to €111.2 billion. The adjusted trade surplus declined to €13.4 billion, down from €16.9 billion in September, according to the provisional data released by the Federal Statistical Office (Destatis).
Exports to the EU dropped by 0.7 per cent to €68.9 billion in October 2024, with imports rising 0.4 per cent to €57.9 billion. Trade with non-EU countries showed steeper declines, with exports down 5.3 per cent to €55.7 billion.
The US remained the top export market but saw a sharp 14.2 per cent decline to €12.2 billion. Exports to China fell 3.8 per cent, while those to the UK rose 2.1 per cent. China continued as Germany’s largest import partner, despite a 3.0 per cent fall to €13.7 billion. Imports from Russia grew 27.4 per cent month-on-month but remained down year-on-year.
Unadjusted figures showed a trade surplus of €14.7 billion, lower than €19.0 billion in October 2023.
রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভার উপজেলার অধীন আশুলিয়ায় রয়েছে পোশাক খাতের প্রায় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিস কিংবা কারখানা।
সার্বিক দিক বিবেচনায় কমপ্লায়েন্ট বা মানে উত্তীর্ণ বলে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও রয়েছে অনেকগুলোর। সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদেরও দাবি কারখানার কর্মীদের ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন তারা। কিন্তু তা দিয়েও লাভ হচ্ছে না। নিয়মিত বিরতিতে শ্রম অসন্তোষের কারণে বন্ধ রাখতে হচ্ছে কাজ। পোশাক শিল্প-কারখানার প্রেক্ষাপটে এটি একটি বড় ধরনের বিপর্যয়।
বিরাজমান শ্রম অসন্তোষের কারণে প্রায় ২১ দিন বন্ধ রাখতে হয়েছে ওই এলাকার একটি মাঝারি আকারের কারখানা (নাম প্রকাশ করতে চায়নি কর্তৃপক্ষ)। এ পরিস্থিতিতে ক্রয়াদেশ দেয়া নিয়ে অস্বস্তির মধ্যে রয়েছেন কারখানাটিতে নিয়মিত কাজ করানো এক বিদেশী ক্রেতা। আশুলিয়ার বাইরে অন্য এলাকায় কারখানা থাকলে ক্রয়াদেশ দিতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে এরই মধ্যে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
শিল্প পুলিশের হিসাবে দেশের শিল্প অধ্যুষিত আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, কুমিল্লা ও সিলেট—এ আট এলাকায় কারখানা রয়েছে নয় হাজারের বেশি। এর মধ্যে পোশাক কারখানা ৩ হাজার ৪২৬টি। পোশাক পণ্য প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর হিসাবে দেশে সরাসরি রফতানি করা সক্রিয় কারখানা প্রায় ২ হাজার ২০০। যার উল্লেখযোগ্য অংশই আশুলিয়ায় অবস্থিত। কিন্তু ধারাবাহিক শ্রম অসন্তোষের জেরে এ এলাকায় ক্রয়াদেশ দিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছেন বিদেশী ক্রেতারা।
সাভারের আশুলিয়া অঞ্চলের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোয় নিয়মিত বিরতিতে শ্রম অসন্তোষ চলমান রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আশুলিয়া অঞ্চলের শিল্প মালিকদের নিয়ে স্বতন্ত্র একটি প্লাটফর্ম গঠন করা হয়েছে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন বিজিএমইএর সহায়ক কমিটির সদস্য এনামুল হক খান বাবলু। জানতে চাইলে তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সবদিক বিবেচনায় আশুলিয়ার কারখানাগুলো দেশের সেরা। খুব রক্ষণশীল হিসাবেও পোশাক রফতানি বাবদ মোট আয়ের অন্তত ২৫ শতাংশ আসে এ এলাকার কারখানাগুলোর কাজের মাধ্যমে। অন্যান্য এলাকার কারখানাগুলো মজুরি ও সুযোগ-সুবিধার বিচারে করুণ দশা। তাই আশুলিয়া এলাকায় যখন কিছু ঘটে তখন বুঝতে হবে যে “সামথিং ইজ ভেরি রং”।’
আশুলিয়ার কারখানাগুলো নিয়ে ক্রেতারা বেশ অস্তস্তিতে আছেন জানিয়ে এনামুল হক খান বলেন, ‘ক্রয়াদেশ দেবে না—এ কথা না বলে তারা বলছে, দেশের মধ্যে অন্য এলাকায় ক্রয়াদেশ দিতে আগ্রহী। উদ্যোক্তাদের মধ্যে যাদের শিল্প অধ্যুষিত একাধিক এলাকায় কারখানা রয়েছে, তারা ক্রয়াদেশ ধরে রাখতে পারছেন। কিন্তু যাদের কারখানা শুধু আশুলিয়ায় তারা ক্রেতাদের অস্বস্তি নিয়ে ভীষণ বিপদের মধ্যে রয়েছেন।’
দেশের বাইরে অন্য দেশে ক্রয়াদেশ চলে যাচ্ছে, এ কথাটি আংশিক সঠিক, আংশিক ভুল—এ তথ্য জানিয়ে এনামুল হক খান বলেন, ‘অনেক ক্রয়াদেশ এখন চীন থেকে সরে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এগুলোর গন্তব্য হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ। বিরাজমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায়ও সে ক্রয়াদেশ যাচ্ছে। ঢালাওভাবে সব ক্রয়াদেশ চলে যাচ্ছে এটি ঠিক নয়। কারণ কারখানাগুলো এখন ক্রয়াদেশে পরিপূর্ণ। সব কারখানায়ই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্ডার রয়েছে। কিন্তু এর মানে এও না যে ভারতে ক্রয়াদেশ যাচ্ছে না। উদ্বৃত্ত হলে তা অন্যান্য গন্তব্যে যেতেই পারে। যুক্তরাষ্ট্রের নীতির প্রভাবে চীন থেকে প্রচুর ক্রয়াদেশ সরে যাচ্ছে বিধায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আগে এ ধরনের পরিস্থিতিতে বেশির ভাগ ক্রয়াদেশ বাংলাদেশেই চলে আসত।’
বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ঢাকা ও চট্টগ্রামে সংগঠনটির সক্রিয় কারখানার মধ্যে সচল ছিল ২ হাজার ৯৩। শ্রম আইনের ১৩-এর (১) ধারায় বন্ধ ছিল ছয়টি। কারখানা খোলা রাখার পর কাজ বন্ধ, স্ব-বেতনে ছুটি বা শ্রমিক চলে গেছে এমন কারখানা ছিল তিনটি। এর মধ্যে আশুলিয়া এলাকায় গতকাল ১৩-এর (১) ধারায় বন্ধ কারখানাগুলো হলো এজে সুপার গার্মেন্টস লিমিটেড, এমএএম গার্মেন্টস লিমিটেড, ফিরোজা গার্মেন্টস লিমিটেড ও নাসা সুপার গার্মেন্টস লিমিটেড। শ্রমিকরা কাজ না করে চলে গেছেন বা কাজ বন্ধ রাখা হয় নাসা বেসিকস লিমিটেড ও বেক্সিমকো গ্রুপের কারখানায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান শ্রমিক অসন্তোষের প্রেক্ষাপটে আশুলিয়ার অধিকাংশ কারখানায়ই ক্রেতারা আর ক্রয়াদেশ দিতে চাচ্ছেন না। সেগুলো ওইখান থেকে অন্য এলাকায় যাচ্ছে। অনেক মালিক আছেন যাদের আশুলিয়ায়ও কারখানা আছে, আবার অন্য এলাকায়ও রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে তেমন সমস্যা হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এখন আশুলিয়ার বাইরে যে মালিকের কারখানা নেই, তিনি হয়তো ক্রয়াদেশ পাবেন না বা কমে যাবে। তবে দেশের বড় ও ভালো কারখানাগুলো আশুলিয়ায়। ওই এলাকায় অসন্তোষের ইন্ধনদাতারা অন্য এলাকায়ও পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে। আজ (গতকাল) ১৩-এর (১) ধারায় চারটা কারখানা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। যদিও কারখানাগুলো ক্রয়াদেশে পূর্ণ ছিল। যদি শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কার্ড পাঞ্চের পর কাজ না করে বসে থাকেন তাহলে তো চালু রেখে কোনো লাভ নেই। দাম কম হলেও এখন ক্রয়াদেশ ভালো আসছে কিন্তু কাজের পরিবেশের কারণে নেয়া যাচ্ছে না।’
The Asian Development Bank (ADB) has highlighted that recent changes in US economic policies could significantly impact the growth prospects of the Asia-Pacific region. According to the ADB, the US’s policy shifts, including potential changes in trade, monetary, and fiscal policies, may have far-reaching effects on emerging economies in Asia.
In particular, the US’s stance on trade relations, especially with China, could influence the flow of goods and investments within the region. The ongoing trade tensions between the two global powers could disrupt supply chains and affect the broader economic stability of Asia-Pacific nations. Furthermore, shifts in US monetary policy, such as interest rate changes, could influence capital flows into the region, potentially raising borrowing costs for developing countries.
Despite these challenges, the ADB remains cautiously optimistic about the region’s growth. The bank notes that strong domestic demand, particularly in countries like India and Southeast Asia, could help offset the external risks posed by the changing US policies. Additionally, the Asia-Pacific’s diversified economies and robust infrastructure development plans provide a buffer against potential economic headwinds.
The ADB has called for continued regional cooperation and policy adjustments to minimize the impact of global uncertainties. As Asia-Pacific nations navigate these challenges, maintaining resilient economic strategies and fostering regional integration will be key to sustaining long-term growth in the face of external pressures.
The global shift towards a circular economy is accelerating, with recycled polymers playing a pivotal role in this transformation. According to a recent report, China and the United States are leading the charge in advancing the use of recycled materials in various industries, particularly in plastics and textiles. These nations are investing heavily in infrastructure and technologies to promote the recycling of polymers, ensuring that plastic waste can be reprocessed and reused to create new products.
China, as the largest global producer and consumer of recycled polymers, is rapidly scaling up its capabilities in plastic recycling. The country’s policies and governmental support for waste management are driving innovation in the recycling sector. Similarly, the United States is witnessing increased adoption of recycled polymers in manufacturing, with several companies introducing eco-friendly alternatives to traditional plastic products. This trend is not only helping to reduce plastic waste but also fostering sustainable practices across industries.
Experts highlight that the circular economy model, which emphasizes the reuse and recycling of materials, is key to addressing the growing environmental concerns related to plastic pollution. By integrating more recycled content into production processes, both China and the US are setting a strong example for other countries to follow. The ongoing advancements in polymer recycling technologies will continue to play a critical role in achieving global sustainability goals and mitigating the impact of plastic waste on the environment.
With ongoing efforts, these two countries are spearheading the transition to a more sustainable and circular economy, encouraging the world to rethink its approach to plastic use and waste management.
The gas crisis, along with the political turmoil in Bangladesh, including the stepping down of Prime Minister Sheikh Hasina, has created uncertainty that is further straining the industry and economy. This instability has disrupted not only the overall industry but also the textiles and apparel sector, and it is likely to push international buyers to consider alternative sourcing destinations, potentially adopting a ‘Bangladesh-plus-one’ strategy. This shift could lead to a significant loss of market share for Bangladesh’s ready-made garments (RMG) sector. The countries that are major import partners of Bangladesh include the US, the UK, Germany, Canada, France, Spain, Italy, Belgium, Denmark, and Australia. Many of these countries are also investors in Bangladesh’s apparel industry. The countries that have heavily invested in Bangladesh’s apparel industry, such as the US, Germany, the UK, and Canada, are seriously considering sourcing products from other Asian nations, such as Vietnam, India, and Sri Lanka.
The ready-made garment (RMG) sector of Bangladesh has been the cornerstone of the country’s economy. The industry’s contribution to Bangladesh’s GDP is significant, with estimates suggesting that it accounts for around 18 per cent of the country’s total GDP and was growing at a rate of about 6 per cent, according to IMF data. The official estimate for Bangladesh’s GDP was $1.429 trillion at the end of 2023 in purchasing power parity terms.
The industry that has made a crucial contribution to rebuilding the country and its economy is none other than the RMG industry, which is now the single biggest export earner for Bangladesh. The country’s apparel exports in 2023 reached a staggering figure of $47.5 billion, accounting for over 86 per cent of the total export earnings from the textiles and apparel industry combined. More than 290,000 registered manufacturing units employ 4.22 million workers in the RMG industry, with strong female participation (41 per cent), according to estimates, which has grown at a rate of about 7 per cent over the years.
Bangladesh remains the second-largest RMG supplier to the world after China. The countries that are lagging include Vietnam, Germany, Italy, and India.
দেশের সিনথেটিক ও অ্যাথলেটিক জুতা রপ্তানির পরিমাণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। রপ্তানি বাণিজ্যে তৈরি পোশাকের ব্যাপক আধিপত্যের প্রেক্ষাপটে নতুন খাত হিসেবে নন-লেদার জুতার রপ্তানি বেড়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে সুখবর।
২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষ হওয়ার আগের দশকে নন-লেদার জুতার রপ্তানি ১২০ শতাংশ বেড়ে ১৮৯ মিলিয়ন ডলার থেকে ৪১৬ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বলছে, চলতি অর্থবছরেও এই খাতে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।
ইপিবির তথ্য অনুসারে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে নন-লেদার জুতা রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেড়ে ২১৭ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ডলারে হয়েছে।
রপ্তানিকারকরা আশা করছেন, চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ চামড়ার জুতা, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ও কৃষিপণ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নন-লেদার জুতা শিল্প অর্ধ বিলিয়ন ডলারে প্রবেশ করবে।
শোয়েনিভার্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াদ মাহমুদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পশ্চিমের ক্রেতারা পণ্যের তালিকায় বৈচিত্র্য আনতে ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের ওপর বড় ধরনের শুল্ক এড়াতে শীর্ষ জুতা উৎপাদক চীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।’
ময়মনসিংহে রিয়াদ মাহমুদের জুতা কারখানায় প্রায় চার হাজার ৭০০ জন কাজ করেন। সেখান থেকে ইন্ডিটেক্স, আলদি, মাতালান ও রেডটেপের মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের জন্য জুতা পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানি বহুমুখীকরণের চেষ্টা করলেও এখনো মোট রপ্তানির ৮০ শতাংশের বেশি আসে তৈরি পোশাক থেকে।
রিয়াদ মাহমুদ ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এখানে কম মজুরিতে শ্রমিক পাওয়া যায়। এ দেশের তৈরি পোশাক সম্পর্কে বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো ভালোভাবে অবগত। তারা এখন জুতার অর্ডার দিতে উৎসাহী হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শ্রম খরচ কম হওয়ায় ভিয়েতনামের তুলনায় বাংলাদেশি কারখানাগুলো সিনথেটিক জুতার প্রতিযোগিতামূলক দাম দিতে পারে। ফলে বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড ও নতুন ক্রেতারা আকৃষ্ট হচ্ছে।’
‘বড় ব্র্যান্ডগুলো আগামী মার্চ পর্যন্ত শোয়েনিভার্সের কারখানা বুকিং দিয়েছে। চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র উচ্চ শুল্ক আরোপের সম্ভাবনার কারণে ক্রেতারা এখন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।’
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) জানিয়েছে—এইচঅ্যান্ডএম, পুমা, ডেকাথলন, ফিলা ও কাপ্পার মতো ব্র্যান্ডগুলোর কার্যাদেশ বেড়ে যাওয়ায় নন-লেদার জুতার রপ্তানি বেড়েছে।
নন-লেদার জুতার প্রধান বাজার স্পেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ইতালি ও জার্মানি।
চামড়ার চেয়ে ভালো
ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, গত ১০ বছরে দেশের নন-লেদার জুতা রপ্তানি গড়ে বার্ষিক ২৩ শতাংশ হারে বেড়েছে। চামড়ার জুতা রপ্তানি প্রবৃদ্ধি মাত্র ছয় শতাংশ।
চামড়ার জুতা রপ্তানি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪৮৩ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫৪৪ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।
তবে বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও নন-লেদার জুতা রপ্তানিকারকরা মাত্র চার শতাংশ নগদ প্রণোদনা পান জানিয়ে রিয়াদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘চামড়ার জুতা খাতে তা ছিল ১৫ শতাংশ।’
নন-লেদার জুতা রপ্তানির ভবিষ্যৎ
এডিসন ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া শহীদ মনে করেন, দ্রুত প্রবৃদ্ধির কারণে নন-লেদার জুতা শিল্প ভবিষ্যতে রপ্তানি বহুমুখীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তবে সময় মতো পণ্য পাঠাতে ব্যর্থ হওয়ায় নাইকি ও অ্যাডিডাসের মতো শীর্ষ ব্র্যান্ড বাংলাদেশে আসেনি।
ফ্রান্স ও জার্মানিতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মাফ সুজের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহাদাত উল্লাহ ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ক্রেতারা বেশি অর্ডার দেওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের রপ্তানি বেড়েছে।’
টিকে গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মাফ সুজের দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৫০ হাজার জোড়ারও বেশি।
দেশে অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘২০২১ সাল থেকে আরএফএল নন-লেদার জুতা রপ্তানি শুরু করে। বর্তমানে ৩৭ দেশে আমাদের জুতা রপ্তানি হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী বিপুল চাহিদা এবং দ্রুত প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বিবেচনায় এ খাতটি দ্রুত অন্যতম প্রধান রপ্তানি আয়কারী খাত হিসেবে সামনে আসতে পারে।’
প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে
জেনিস সুজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির খান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে উচ্চ শুল্ক এড়াতে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।’
‘শুল্ক কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার কারণে ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ কাজে লাগানো নিয়ে বিভ্রান্তিতে আছি।’
‘স্থানীয় উৎপাদকদের এখন আলোচনা করতে ও রপ্তানি আদেশ পেতে কমপক্ষে সাড়ে তিন মাস লাগবে,’ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘চামড়া ও নন-লেদার জুতার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সত্ত্বেও শুল্ক কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার কারণে গত দুই দশকে রপ্তানি এক বিলিয়ন ডলারে আটকে আছে।’
তার ভাষ্য, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে বছরে সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকা আমদানি শুল্ক পেয়ে থাকে। বন্ডেড ওয়্যারহাউজে কাঁচামাল আনতে হয়।
কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুল্ক কমিয়ে দিলে ও বন্ডেড ওয়্যারহাউজের শর্ত ছাড়া কাঁচামাল আমদানির অনুমতি দিলে সরকারের রাজস্ব বহুগুণ বাড়তে পারে।
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সাভারের ট্যানারি শিল্পে কমপ্লায়েন্স না থাকায় চামড়ার জুতা রপ্তানি বাড়াতে কারখানার মালিকরা হিমশিম খাচ্ছেন। নন-লেদার জুতা শিল্পে এ ধরনের সমস্যা নেই। তাই রপ্তানি বেড়েছে।’
বিশ্ববাজার গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সিমাইজ মার্কেট রিসার্চের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী অ্যাথলেটিক জুতার বাজারমূল্য ছিল ৬৮ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার।
২০৩০ সালের মধ্যে এই বাজার বছরে সাত দশমিক ১১ শতাংশ হারে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।