fbpx
Home Blog Page 10

ColorJet Set To Launch FabJet Pro At ITMA Asia + CITME 2024 In Shanghai

NOIDA, India — October 8, 2024 —  ColorJet India Ltd., an India-based digital textile printer manufacturing company proudly announces the launch of its latest innovation in textile printing, the Iconic FabJet Pro. With an impressive production capacity of up to 13,000 square meters daily, this advanced digital textile printer is specially designed for large format, high volume, color richness and efficiency in fabric printing.

The FabJet Pro is designed to meet the demands of ultra-wide format direct-to-fabric printing, accommodating widths of up to 3.2 meters. It delivers high productivity without compromising precision or print quality, seamlessly blending cutting-edge digital technology with high-performance industrial capabilities. Equipped with 32 Kyocera or 48 Konica Minolta Print heads and a sticky belt system, the FabJet Pro ensures unparalleled accuracy and clarity with every print.

Available in configurations offering 8 color options, the FabJet Pro delivers print speeds of up to 654 square meters per hour, enabling quick turnaround times even for ultra-wide applications. Its versatility makes it ideal for producing large textiles such as bed sheets, curtains, and more. The FabJet Pro offers vibrant, high-definition prints on a wide range of materials including cotton, viscose, silk, and wool, and is mainly suitable for the customized home furnishing textile segment, particularly for producers of home décor products like curtains, bed covers, and sofa covers,” the company said.

The printer’s innovative Sticky Belt Technology provides a superior grip on low GSM fabrics, allowing for a diverse array of fabric applications. Moreover, the FabJet Pro is designed with sustainability at its core, reducing water and energy usage, and supporting eco-friendly textile production.

“We are excited to introduce the FabJet Pro to the market,” said Arun Varshney, vice president and business head. “This innovative solution represents a significant leap forward for the textile printing industry, addressing two crucial needs: increased production capacity and sustainability. By offering exceptional print quality and speed, the FabJet Pro allows manufacturers to meet the growing demands of the market while maintaining the high standards that customers aspire to.

Join ColorJet at ITMA ASIA + CITME 2024 in Shanghai, where the FabJet Pro will make its grand debut. Witness firsthand how this iconic solution is poised to redefine the future of digital fabric printing.

BGMEA seeks over Tk58cr loans for 39 RMG factories hit hard by unrest

The Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) has requested over Tk58.61 crore in soft loans from the government for 39 apparel factories “severely affected by the recent labour unrest.”

In a letter to the finance adviser on 6 October, the apex trade body of apparel manufacturers said these factories, which employ over 56,000 workers, urgently require the assistance to cover wages. 

One of these affected exporters, Dekko Legacy Group, a relatively new player with two units in Ashulia, produces around 90,000 woven garments per month, with a monthly export value of $15 million, according to BGMEA data.

However, the past month has been difficult for the group.

Managing Director Kalpan Hossain described the situation as “abnormal,” attributing it to security concerns that limited production to just three days in September. 

Despite the reduced output, the group faces a significant financial burden with monthly salaries ranging between Tk25 crore and Tk27 crore, he told TBS.

He said the group has sought soft loan support to alleviate financial strain and disburse September salaries to their 5,810 workers.

Similar to Dekko Legacy Group, AR Jeans Producer Ltd, a LEED-certified denim factory in Ashulia with an annual export value of around $120 million, was unable to operate properly in September due to the unrest.

“Some outside miscreants also attempted to set fire to AR Jeans factory last month, but thanks to the dedication of our community police and the timely intervention of law enforcement, the factory remained safe,” said its Managing Director Nazmul Kabir.

The factory was forced to halt production for a total of 12 days last month, without any fault from the owners or their workers, he said, adding it is now seeking a soft loan to pay the September salaries of its 2,518 workers.

Speaking with TBS, Mirza Shams Mahamud, managing director of another factory SM Sourcing, said that one of their units, Mango Tex, was unable to operate for 19 days last month, with workers leaving after attendance on 12 of those days due to the unrest.

In August, the factory’s exports totalled $1.8 million, but this dropped to $0.7 million in September. The unit employs 865 people, with a monthly salary expense of around Tk1.5 crore. “We have applied for a soft loan to pay the workers’ salaries,” he added.

According to the BGMEA, over 200 RMG factories were affected by the unrest in Savar, Ashulia, and Gazipur, causing some to halt production for up to 23 days. 

While some large groups can cover wages using income from other units or their own capital, others are struggling.

Ha-Meem Group, which employs over 75,000 people, faces a monthly wage bill of over Tk100 crore. In a recent BGMEA meeting, its managing director expressed frustration over paying September’s wages.

Speaking to TBS, BGMEA President Khandoker Rafiqul Islam said, “These 39 factories have suffered heavy production losses due to the unrest, with one factory losing up to 20 days of production last month. This has weakened their financial capacity.”

He explained that larger groups are using their own capital or income from other units to pay workers’ wages and allowances, but some factories cannot afford to do so. 

In the letter, he urged the Finance Adviser Salehuddin Ahmed to arrange an interest-free soft loan for these factories.

RMG production resumes at full capacity

After nearly two months of unrest, RMG manufacturing activities in the key industrial zones of Savar, Ashulia, and Gazipur were back in full operation yesterday, with no reports of protests, roadblocks, or demonstrations.

Sources indicate that only nine factories remained closed in Ashulia, Savar, and Gazipur on Monday. 

According to BGMEA data, 99.58% of factories — 2,135 out of 2,144 — were operating normally across the country.

পোশাক রপ্তানি বাড়াতে ব্যাংকের নীতি সংস্কারের দাবি

দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও কারফিউ, আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ এবং প্রধান প্রধান শিল্পাঞ্চলে সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষের কারণে গত তিন মাস ধরে পোশাকশিল্পের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পোশাক রপ্তানিকারকরা উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অনেক পোশাক কারখানা এখন ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা হয়েছে। দেশের অর্থনীতির লাইফলাইনখ্যাত পোশাক কারখানায় রপ্তানি বাড়ানোর জন্য ব্যাংকের পলিসি সংস্কার, গ্যাস-বিদ্যুতের সমস্যার সমাধানসহ এনবিআরকে ঢেলে সাজানোর দাবি ব্যবসায়ীদের।

রপ্তানিকারকরা জানান, তারা শীতকালকে সামনে রেখে পশ্চিমা অর্ডার এবং আসন্ন শরৎ ও শীতের রপ্তানি আদেশ নিশ্চিত করতে চান। এর পাশাপাশি দেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ধরে রাখতে সাব-কন্ট্রাক্টরদের দিকে ঝুঁকছেন। তারা বিদেশি বিক্রেতাদের কাছে রপ্তানির মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ করছেন। বর্তমানে অনেক রপ্তানিকারক আশঙ্কা করছেন, উৎপাদন বিলম্বের কারণে তাদের বড় ধরনের ছাড় দিতে হবে বা উড়োজাহাজে পণ্য পাঠাতে হবে। বিদেশি খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলো যদি শ্রমিক অসন্তোষ ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের কথা বিবেচনা করে মেয়াদ বাড়ানোর অনুমতি দেয়, তাহলে বিরূপ প্রভাব এড়ানো যাবে। এ ছাড়া রপ্তানি বাড়ানোর জন্য ব্যাংকের পলিসি, গ্যাস-বিদ্যুতের সমস্যার সমাধানসহ এনবিআরকে ঢেলে সাজানোর দাবি তাদের।বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানায়, ব্যাংকগুলো ঋণের সুদ উচ্চহারে নিচ্ছে, যা ব্যবসাকে প্রভাবিত করছে। সমস্যা সমাধানে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও প্রশাসনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা দরকার। ব্যাংকের সহায়তা পেলে এ খাতে রপ্তানি আরও বাড়বে। এ ছাড়া তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি বাড়াতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিজের ব্র্যান্ড ইমেজ কাজে লাগাতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার কারণে বিদেশি বায়ারদের মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতা ও ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, রপ্তানি বাড়ানোর জন্য আমাদের কাজের পরিধি বাড়াতে হবে। এখন আমাদের কাজের পরিধি বাড়াতে হলে পলিসিগত সহায়তা প্রয়োজন। এই পলিসিগত সহায়তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। গত সরকারের সময় বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু পলিসি সার্কুলার দিয়েছে। এ পলিসিতে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে। এনবিআরের বিভিন্ন নীতিতে আমাদের রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এনবিআরের নতুন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আমরা আশাবাদী। এখন কিছুটা সংশোধন হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় এখনো বাকি আছে। আমরা নিয়মিত বসতে পারলে এসবও ঠিক হয়ে যাবে। এনবিআরের সঙ্গে নিয়মিত বসাটা জরুরি। এনবিআরের ভ্যাট, ট্যাক্স ও কাস্টমসের সমন্বয়ে একটা টাস্কফোর্স গঠন করা জরুরি। টাস্কফোর্স নিয়মিত বসবে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার ঢেলে সাজাতে হবে। আগের গভর্নরের সময় ঋণের কিস্তি ছয় মাস না দিতে পারলে ব্যবসায়ীরা ঋণখেলাপিতে পরিণত হতেন। এখন সেপ্টেম্বর থেকে এটা হয়েছে তিন মাস। আগামী মার্চে এক ডেট ফেল করলেই তিনি ঋণখেলাপি হবেন। আমার জানামতে, বাংলাদেশে ৯০ শতাংশ ঋণগ্রহীতা এক কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হবেই। এর ফলে অনেক ব্যবসায়ী ঋণখেলাপিতে পড়বেন। এটা বন্ধ করতে হবে। বর্তমানে আমাদের অর্থনীতির যে অবস্থা, আমরা এলডিসি গ্রাজুয়েশনের মতো অবস্থায় নেই। গ্রাজুয়েশন হলাম কিন্তু ভাত খেতে পারলাম না। তাহলে এই গ্রাজুয়েশনের আমাদের দরকার নেই। এই এলডিসি গ্রাজুয়েশন স্থগিত করতে হবে। আমাদের গ্যাস-বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান করতে হবে। ব্যাংকিং খাত সংস্কার করতে হবে। এসব করা গেলে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত এগিয়ে যাবে। এ ছাড়া আমাদের আশার আলো প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সারা বিশ্বে তার যে গ্রহণযোগ্যতা তা আমি নিজে দেখে এসেছি। তার সহযোগিতায় এ খাত এগিয়ে যাবে।

মজুরি দেওয়ার সক্ষমতা নেই ৩৯ পোশাক কারখানার

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে দেশের তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রম অসন্তোষ থামছে না। চলমান অস্থিরতায় অনেক কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত। মজুরি দেওয়ার সক্ষমতা নেই ৩৯ কারখানার। এমন পেক্ষাপটে ক্ষতিগস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়েছে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

গতকাল সোমবার অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টার কাছে এই সহায়তা চেয়ে চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য মিলেছে।

বিজিএমইএর চিঠিতে বলা হয়, সরকার পরিবর্তনের পর থেকে তৈরি পোশাক খাতের চলমান শ্রম অসন্তোষের ফলে দেশের পোশাকশিল্প রপ্তানি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এ শিল্প নিয়ে চক্রান্ত চলছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতিত সরকারে কিছু সুবিধাভোগী গোষ্ঠী ও বিদেশি রাষ্ট্র এ চক্রান্তে জড়িত।  উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার ফলে ক্রেতারা তাদের ক্রয়াদেশ বাতিল ও পণ্যের ডিসকাউন্ট সুবিধা দাবি করছে।

চিঠিতে আরো বলা হয়, বেশ কিছু কারখানা এরই মধ্যে মজুরিসংকটে পড়েছে। এর মধ্যে ৩৯ কারখানায়  শ্রমিকরা কাজ  করেনি।শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় এসব কারখানা বন্ধ ছিল। এসব কারখানায় গত ২০ দিনে ৪৫৯ দিনের সমপরিমাণের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারখানাগুলোাত ৫৬ হাজার ৩৫১ জন শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের মজুরি দিতে হবে ৫৮ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার ৬৪৭ টাকা।

ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলোর কয়েকজন মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আইন-শৃঙ্খলার দুর্বলতার সুযোগে কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক কারখানায় কারখানায় শ্রম-অসন্তোষ তৈরি করছে।

শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেওয়ার পরও অভিনব কায়দায় কারখানায় অস্থিরতা তৈরি করছে। কোনো কোনো কারখানায় শ্রমিকরা কর্মকর্তাদের ঢুকতে দিচ্ছেন না। অনেক কারখানায় শ্রমিকরা কাজ না করে বসে থাকছেন এবং মজুরি দাবি করছেন।

এ আর জিনস প্রডিউসার লিমিটেডের মালিক মো. নাজমুল কবির কালের কণ্ঠকে বলেন, গত সেপ্টেম্বরে শ্রম আইনে ১৩/১ ধারায় (কাজ নেই, মজুরি নেই) ১২ দিন কারখানা বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন শ্রমিকরা মজুরি দাবি করছেন। আমরা কখনো কারখানা শ্রমিকের মজুরি বকেয়া রাখিনি। আগামী বৃহস্পতিবার সেপ্টেম্বরের মজুরি পরিশোধ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, সরকার কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে পোশাকশিল্প কঠিন সংকটে পড়বে।

ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, শ্রম অসন্তোষের ফলে ১৪ দিন কারখানা বন্ধ ছিল। এক দিন বন্ধ থাকলে পাঁচ লাখ ডলারের উৎপদান ব্যাহত হয়। অথচ শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এখন নতুন দাবি, কোনো কোনো কর্মকর্তাকে বাদ দিতে হবে। গতকাল কয়েকজন কর্মকর্তাকে তাঁরা কারখানায় ঢুকতে দেননি। এমন সব অভিনব দাবির মুখে হিমশিম খাচ্ছি। উৎপদন বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

36 RMG exporters threaten to sue Expo Freight over $10m Debenhams dues

A group of 36 Bangladeshi apparel exporters, known as the Debenhams Vendors Community, has threatened to take legal action against Expo Freight Limited (EFL) and its associated shipping carriers for over $10 million in dues owed by the UK-based clothing retail chain, Debenhams PLC, for exported goods.

EFL is the freight forwarder appointed by Debenhams through which the retail chain imported apparel items from these Bangladeshi suppliers. 

When Debenhams filed for bankruptcy in April 2020 during the pandemic, it owed these suppliers around $70 million. Over the past four years, around $60 million of this amount has been settled, according to the Debenhams Vendors Community.

“Legally, EFL is responsible for paying the arrears to the suppliers as it handled the shipment of goods to the now-bankrupt British retailer Debenhams,” said Md Zahangir Alam, convener of the Debenhams Vendors Community, at a press conference at the Economic Reporters’ Forum (ERF) in Dhaka today (5 October).

He said members of this vendor community have been suffering from financial and banking difficulties since 2020 because of the bankruptcy of Debenhams PLC. 

“We tried to solve this matter and succeeded to some extent. However, due to the negligence of the EFL, we are yet to receive the total export payments,” he said.

“On 9 April 2020, Debenhams applied for liquidation and the court appointed an administrator. Then we, the Bangladeshi vendors, formed a community to negotiate and realise our dues,” he continued. 

“We contracted with the administrator and lodged our claim. We had several Zoom meetings and managed to sell the goods lying at the UK port and in transit to the administrator,” he said. 

“Of the $70 million in dues, we have received nearly $60 million over the last four years, but $10 million still remains unpaid,” Zahangir said.

“EFL and its carriers delivered some goods to Debenhams without obtaining our local bank’s endorsement on the Bill of Lading, which directly violates the Bangladesh Bank’s Foreign Exchange Policy guidelines. As a result, we were never compensated by the consignee,” said the

“We sent a legal notice to EFL and its carriers Maersk Line, Hapag Lloyd, BLPL, TPL, SKY WAYS LIMITED and others to realise the due amount,” he said.

“Following the issuance of the legal notice, EFL and Maersk Line contacted us and agreed to pay 70% of the Freight on Board [FOB] value for the goods transported by Maersk Line. We received $5.84 million so far while $10.21 million remains due,” he said.

Zahangir Alam said EFL is a multinational company which has a local office in Bangladesh. “If it fails to pay the dues, all affected RMG companies will block its office,” he added.  

Garment workers in Narayanganj observe hunger strike demanding pending arrears

The protesters held their programme in front of the Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association (BKMEA) office in the Chashara area from 12-2pm, and demanded the factory owners implement their 18-point agreement which includes clearing unpaid wages. 

They alleged that wages for the last three months have not yet been paid in at least four-five garment factories, including Nemcon Design and Abanti Colour Tex, since July. 

Contacted, Mahbubur Rahman Ismail, president of the Bangladesh Textile Garments Workers’ Federation, said, “Even though the workers filed written complaints regarding unpaid wages with the deputy commissioner, the owners have not taken any action. Despite repeated assurances, the owners failed to clear the wages. Rather, workers are being threatened. Under these circumstances, workers and their families are living in dire straits.”

This union leader said he held BKMEA leaders responsible for the situation. He said if all due wages are not paid immediately, the workers will escalate their protest, including besieging the deputy commissioner’s office.

However, BKMEA President Mohammad Hatem dismissed the workers’ allegations as baseless, stating that the factories had to halt production due to past protests, flooding, and lack of cooperation from banks. As a result, the owners were unable to pay the workers.

He assured that at least two months of due wages would be paid within this month.

চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে পোশাক কারখানা, নেই শ্রমিক অসন্তোষ

সাভার-গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে গত দুই মাস ধরে পোশাকশ্রমিক অসন্তোষ চললেও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পরিস্থিতি পুরো ব্যতিক্রম। বহিরাগতগত ছাড়াও অন্যদের উসকানি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করায় এখানে শ্রমিক অন্দোলন মতো ঘটনা ঘটেনি। গত ৬ আগস্ট থেকেই বন্দরনগরীতে ৬০০টির বেশি পোশাক কারখানায় চলছে নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন।

৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পরদিনই চট্টগ্রামে খুলে দেওয়া হয় সব গার্মেন্টস কারখানা। পরের দিন ৬ আগস্ট শ্রমিক উপস্থিতির হার ৮০ শতাংশ হলেও ৭ আগস্ট শতভাগ শ্রমিক উপস্থিতি নিয়ে উৎপাদনে যায় কারখানাগুলো। এরপর থেকে কোনোরকম সংকট ছাড়াই চলছে তৈরি পোশাকের উৎপাদন। বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ হওয়ায় শ্রমিকরাও সাচ্ছন্দ্যে কর্মস্থলে আসছেন, কাজ করছেন।

জানা গেছে, সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের শ্রমিক অসন্তোষ মাথায় রেখে চট্টগ্রামের নিরাপত্তা সাজিয়ে নিয়েছে শিল্প পুলিশ। বিশেষ করে গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে ঠেকানো হয়েছে সব ধরনের গুজব এবং উসকানিমূলক তৎপরতা। শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত ষোলশহর দুই নম্বর গেট, বায়েজিদ, শেরশাহ এবং অক্সিজেন এলাকায়ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ সুলাইমান বলেন, শ্রমিক এবং মালিকদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরির চেষ্ট করা হয়েছে। এছাড়া জোরদার করা হয়েছে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা।

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) দাবি, নাশকতা ঠেকাতে চট্টগ্রামের গার্মেন্টস মালিকরা যেমন প্রশাসনের সহযোগিতা পেয়েছেন, তেমনি নিজেরাও কারখানায় উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছেন। আর শ্রমিক নেতারাও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখার।

বিজিএমইএর সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। শ্রমিক নেতা ও শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে সব ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হচ্ছে।

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার তথ্য পেলে বা আশঙ্কা করা মাত্রই শ্রমিক, মালিক ও বিজিএমইএ নেতারা বসে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। এটি অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম নগরীতে ৪৫৬টি গার্মেন্টস কারখানায় ১১ লাখের বেশি শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া, চট্টগ্রাম ইপিজেড, কোরিয়ান ইপিজেড এবং কর্ণফুলী ইপিজেডে গার্মেন্টস কারখানা আছে ১৫০টি। এগুলোতে শ্রমিকসংখ্যা ২ লাখের মতো।

Cupro: is the vegan silk a viable substitute for silk in terms of sustainability?

Cupro, a semi-synthetic fiber, is derived from cotton waste, primarily from linters—small, protruding cottonseed segments that are too small to spin—into yarn. Because of the application of the copper and ammonia solution, this regenerated cellulose fiber is known as cuprammonium rayon, or cupro for short.

Cupro: is the vegan silk a viable substitute for silk in terms of sustainability?
Courtesy: Collected.

Production process

The production process of cupro fiber is termed the Cuprammonium process. This process can be described in three steps, like raw material collection, creating spunable solutions, and spinning through a spinneret.

Raw material collection:

Firstly, we have to collect cotton waste and then transform it into small fiber pieces. These linters will be the base fiber used to make the fabric.

Making a spunable solution:

Because linters are too tiny, they will be soaked in a chemical solution instead. The fibers will be exposed to copper and ammonia. After that, they will be combined with caustic soda to create a fresh substance.

Spinning through spinneret:

It is now time to spin the new material into a spinneret. This neutralizes the fibers and washes away the ammonia, copper, and caustic soda. The fibers will then be chilled in order to form longer filaments.

Characteristics:

Cupro is called ‘vegan silk’, silk-like fabric due to its soft texture. Here are some of the most common characteristics of cupro.

Soft and drapes well:

This fabric is lightweight, cozy, and silky. It’s quite stretchy and thin as well. The sheerness of it makes for a nice drape.That’s why cupro fabric is a good choice for thin clothing and form-fitting cupro dresses.

Not that breathable:

Cotton is the base material for this fabric. So it has the same qualities as cotton fiber. However, due to the chemicals utilized, cupro cloth is less breathable than cotton. It also cannot withstand high temperatures.

If you expose this fabric to temperatures exceeding 180 degrees, it will ignite. It will also leave a large amount of copper residue.

Moisture-wicking and anti-bacterial:

Cupro cloth has a high moisture absorption rate. It’s also an antibacterial and hypoallergenic fabric. It drys quickly. As a result, it’s an ideal cloth for sportswear. A few examples include cupro T-shirts, sports bras, and tank tops.

Fair durability:

Cupro is not as strong as other rayons. However, it is still regarded as a durable cloth. It is stronger than viscose and silk. And, because silk is so expensive, many people prefer cupro as a more lasting and attractive alternative.

Sustainability concern:

Unfortunately, we cannot give you an easily understood yes or no answer. So, let’s start with the sustainability advantages and disadvantages of cupro.

The eco-friendly and ethical pros of cupro fabric:

  • Vegan – No silkworms are frozen to death or boiled alive to produce cupro cloth.
  • Biodegradable – In contrast to polyester and most synthetic textiles, cupro clothing will not remain in landfills for decades.
  • Byproduct of the cotton industry – Cotton production is extremely harmful to the environment, using pesticides and consuming large amounts of water. However, no further supplies or energy are required to grow its linter.
  • Reduced waste – All that linter would otherwise be thrown.
  • Machine-washable – Dry-cleaning is typically suggested for delicate silk items, but it uses hazardous chemicals that are damaging to both humans and the environment. However, you can put your cupro clothing in the washer (as long as you use cold water).

The cons of cupro fabric:

The main issues with cupro arise from its chemical-intensive manufacturing process, which includes copper, ammonia, and caustic soda.

Courtesy: Collected.
  • Polluting chemicals and toxic substances – When cupro fabric is not created in a closed-loop system (meaning most of the water is reused and the rest is carefully disposed of), the chemicals harm local water sources and even groundwater. That is dangerous for both local fauna and communities!
  • Harmful for workers – Workers who are continuously exposed to these chemicals may also be at risk.

So, is cupro fabric sustainable?

It’s not ideal, but we believe Cupro is a fairly sustainable fabric as long as it’s manufactured using a closed-loop system and workers are kept safe.

The reasons why fashion firms who use cupro should be transparent and have a traceable supply chain (as should any company that claims to be sustainable). Using authentic Bemberg™ Cupro ensures a consistent outcome.

Courtesy: Collected.

Cupro is a more ethical option than typical silk because it is cruelty-free and vegan. Furthermore, it is more ecologically friendly than most vegan alternatives that use plastic-derived synthetic materials.

Uses

Cupro fabric is used for a wide variety of apparel.

Formal clothing

Cupro cloth is significantly cheaper than silk. As a result, many people consider this a ‘affordable luxury.’ Cupro is commonly used in formal gowns and men’s suit linings. Cupro slacks are also quite frequent.

Sportswear

Today, most cupro fabrics are blended with other fibers. This fabric is frequently mixed with elastane and spandex to increase stretch. This mixed fabric allows you to create cupro yoga pants, sweatpants, and other stretchy athleisure apparel.

Lingerie

Cupro is fairly sheer in nature. Clothing constructed of cupro is body-hugging. You can also use cupro fabric to produce intimate clothing. It is also utilized in nightwear, including cupro pajamas, nightgowns, and dressing gowns.

Fashion Accessories

This fabric is also suitable for making fashion accessories like as scarves and shawls. Fashion add-ons made from cupro are versatile.

Labour leaders call for implementation of 18-point demand, justice for death during RMG unrest

Twenty labour associations today (6 October) demanded the government implement the 18-point tripartite agreement between the owners, the workers and the government, and sought justice for the garment worker killed during recent protests.

In a joint press conference, the leaders urged all parties to avoid repressive measures against workers and act responsibly. 

They also called on workers to refrain from spreading rumours or misinformation that could destabilise the situation. 

Additionally, the labour leaders urged workers to be cautious of any attempts to disrupt production. 

Montu Ghosh, president of the Bangladesh Garment Workers Trade Union Centre, read a written statement at the press conference.

According to the statement, some garment factory owners have continued repressive practices since the political change on 5 August.

“Due to a long history of being denied legal rights, free trade unions, and basic facilities, workers felt compelled to protest and demand change at various factories. This led to the signing of the 18-point agreement on 24 September during a tripartite meeting at the Ministry of Labour and Employment,” reads the statement.

Mentioning that one worker was killed and over a hundred were injured during the recent unrest, the labour leaders demanded the arrest and severe punishment of those involved.

দেশব্যাপী অস্থিরতা: পোশাক খাতের অর্ডার যাচ্ছে প্রতিযোগী দেশে

রপ্তানিমুখী পোশাক তৈরির কোম্পানি এসরোটেক্স গ্রুপের পাঁচটি কারখানা মিলে গেল সপ্তাহে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১৯ শতাংশ উৎপাদন করতে পেরেছে। আগামী তিন মাসের জন্য যে ক্রয়াদেশ তাদের হাতে আছে, তাও উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে।

এসরোটেক্সে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুল ইসলাম অসহায় ভঙ্গিতে গণমাধ্যমকে বললেন, অবস্থা এমন চললে কারখানাগুলো পুরোপুরি বন্ধের কথা ভাবতে হবে তাদের। ‘শ্রমিকরা কথা শোনে না। তাদের কথায় আমাদের চলতে হচ্ছে। তিনদিন লে অফ ঘোষণা করেছি। শ্রমিকরা সেসব দিনের পারিশ্রমিকও চাইছে।’ শ্রমিকদের এমন দাবিকে ‘দিনে দুপুরে ডাকাতি’ বলছেন আসাদুল ইসলাম।

প্রায় ২১ হাজার শ্রমিক নিয়ে কাজ চালিয়ে আসা এসরোটেক্সের পাঁচ কারখানা মিলে প্রতি মাসে দেড় কোটি থেকে এক কোটি ৬০ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করে। কিন্তু শ্রমিকরা সেপ্টেম্বরে ২৬ কর্মদিবসের কাজ করেছেন মাত্র ১৬ দিন। ব্যাংক ঋণ নিয়ে শ্রমিকদের বেতন দিতে হচ্ছে জানিয়ে আসাদুল বলেন, ‘এভাবে কতদিন তারা ঋণ দেবে। চিন্তা করছি, কারখানা বন্ধ করে দেব। এভাবে চলতে থাকলে তো আর কোনো উপায় নেই।’

শুধু এসরোটেক্সেই না, শ্রমিক অসন্তোষের ধাক্কায় এ খাতের বহু বড় কোম্পানির একই দশা। ক্ষমতার পালাবদলে আইনশৃঙ্খলার অবনতির মাঝে পোশাক খাতের শ্রমিকদের অসন্তোষ, আন্দোলন, কর্মবিরতি এবং একের পর এক কারখানা বন্ধের ঘটনায় রপ্তানি আয়ে ৮৫ শতাংশের মত অবদান রাখা এ খাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানামুখী শঙ্কা দানা বাঁধছে।

উৎপাদন তলানীতে নেমে যাওয়া, কার্যাদেশ পাশের দেশে চলে যাওয়া, আয় কমে ব্যাংক ঋণে নির্ভরশীলতার পাশাপাশি সামনের দিনে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে দেশের রপ্তানিতে অবদান রাখা অনেক বড় কোম্পানির। 

দেশে প্রায় ২ হাজার ৮০০ পোশাক কারখানা আছে, যারা সরাসরি পোশাক রপ্তানির সঙ্গে জড়িত। অব‍্যাহত শ্রমিক অসন্তোষ ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ১২ সেপ্টেম্বর কেবল আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলের ৮৬টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন‍্য বন্ধ ও ১৩৩টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। একই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের তরফে জানানো হয়, ৫০টির বেশি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিদিনই বহু কারখানা বন্ধ থাকছে। তাতে পোশাকের কার্যাদেশ বাতিল হয়ে যাচ্ছে।

সরকারের ভাষ্যে ২০% কার্যাদেশ ‘বাতিল’

শ্রমিক অসন্তোষের প্রেক্ষিতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কার্যাদেশ বাতিল হয়ে গেছে বলে গত ১২ সেপ্টেম্বরের সংবাদ সম্মেলনে জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তবে এসরোটেক্স গ্রুপের এমডি আসাদুল ইসলামের ভাষ্য, কার্যাদেশ কমে যাওয়ার চেয়েও বড় শঙ্কা অপেক্ষা করছে সামনের দিনে। তার ভাষায়, ‘এভাবে চলতে থাকলে ইন্ডাস্ট্রিই চলবে না।’

একই সুরে কথা বললেন স্প্যারো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলামের। পৃথিবীর ২০টি দেশের ৪০টি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে পোশাক রপ্তানি করে এই গ্রুপ। শোভন বলেন, ‘ক্রেতারা সাধারণত এমন সমস্যা হলে ভাবেন ৪-৫ দিনেই সমাধান হবে। বেশি গেলে ৭ দিনে হবে। অথচ মাস পেরিয়ে গেছে, কোনো সমাধান হয়নি। আমরা শ্রমিকদের ১৮ দফা মেনেছিলাম। কিন্তু দিন দিন দফা বাড়ছেই। খুবই হতাশাজনক।’

এমন চলতে থাকলে ‘অস্তিত্ব সংকট’ তৈরি হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে ওভারনাইট ক্রয়াদেশ পড়ে না। অর্ডার তিনমাস আগেই বুকিং দেওয়া থাকে। কিন্তু আমরা উৎপাদন করতে পারছি না। অর্ডার এক্সিকিউট না করা গেলে অর্ডার পেয়েই বা কী! ১০-২০ শতাংশ অর্ডারের বিষয়ে ক্রেতারা বলছেন, এখন আর তাদের দরকার নেই। ক্রেতারা নতুন করে নেগোশিয়েট করছেন না।’

শ্রমিক অসন্তোষ প্রথমে আশুলিয়াতে থাকলেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় সেটা ‘ছড়িয়ে যাচ্ছে’ বলে জানান শোভন।

ক্রয়াদেশ অন্যান্য দেশে

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। জুলাই জুড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নৈরাজ্য, সহিংসতা আর সংঘাতের পর কারফিউ জারি হয়। প্রথমবারের মত দীর্ঘ সময়ের জন্য ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের কবলে পড়ে সারা পৃথিবীর সঙ্গে দেশের বাণিজ্য যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিশ্ব বাজারে তৈরি হয় ‘আস্থার সংকট’।

আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুৎ হলে হাল ধরেন মুহাম্মদ ইউনূস। পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক থাকায় আশার আলো দেখেছিলেন পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। তবে আশার প্রদীপ নিভে যায় ক্ষমতার পালাবদলের পর আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে। বিভিন্ন শিল্প কারখানায় হামলা হয়। ঝুট ব্যবসার দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজি নিয়ে এ খাতে ফের অস্থিরতা তৈরি হয়। আর শ্রমিক অসন্তোষ যেন কফিনে ‘শেষ পেরেক’ ঠোকে। প্রতিযোগিতামূলক দেশগুলো এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে বা ক্রেতারাও তাদের দিকে ঝুঁকছে।

এ খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলছেন, ৩০ শতাংশের মত কার্যাদেশ অন্যান্য দেশে চলে গেছে। স্প্যারো গ্রুপের শোভনও একই কথা বলেছেন। তার ভাষ্য, ‘যখন ক্রেতারা বলছেন এখন আর লাগবে না। আমরা বুঝি তারা অন্য দেশে এ কার্যাদেশ দিয়েছেন।’ এক কোটি ৭০ লাখ পোশাকের একটি কার্যাদেশ হাতছাড়া হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি পোশাকের মূল্য ৪ ডলার করে হলেও সবগুলোর মূল্য কত হয় তা হিসাব করে দেখুন। এ আদেশটি ২-৩টি কোম্পানি মিলে পেত। দ্য এন্টায়ার অর্ডার হ্যাভ অলরেডি মুভড।’

উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাতছাড়া হওয়া কার্যাদেশগুলো বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশ ভারত, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানে যাচ্ছে। কার্যাদেশ বাতিল হওয়ার বিষয়টি ১২ সেপ্টেম্বরের হওয়া সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও বলেছেন। ওইদিন তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে এমন কিছু তথ্য পেয়েছি যেটা ওই বিষয়টিই ইঙ্গিত করে। এটা একটি সিজনাল বিজনেস। মার্কেটে যে প্রোডাক্ট যাবে সেটা তিন মাস আগেই প্রস্তুত করতে হয়। সেই অর্ডারগুলো অনেক জায়গায় বাতিল হয়ে যাচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি কিছু নির্দিষ্ট দেশের ব্যবসায়ীরা অর্ডারটা নেওয়ার জন্য লবিং করছে, উঠে পড়ে লেগেছে।’

রপ্তানি কত কমবে?

আশুলিয়ার বড় একজন পোশাক রপ্তানিকারক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এক কোম্পানি প্রতিবছর তাদের ১ কোটি পোশাকের আদেশ দিত। কিন্তু সেই ক্রেতা এখন অন্য দেশে ‘চলে যাচ্ছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, আশুলিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা ‘রিস্কি জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

সুরমা গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, বারবার শ্রমিক আন্দোলনে কারখানা বন্ধের জেরে ৯০০ কোটি টাকার মত ক্ষতি হচ্ছে তাদের। ক্ষতির মুখে পড়েছে অনন্ত গার্মেন্টসও। কারখানা বন্ধের কারণে পণ্য জাহাজীকরণের (শিপিং) সময় ফসকে যাওয়ায় তাদের প্রায় ১০ লাখ পোশাক আটকে (ব্যাকলগ) গেছে। এখন আকাশপথে বিপুল অর্থ ব্যয়ে তাদের পণ্য পাঠাতে হবে। যেহেতু উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে, কার্যাদেশ বাতিল হচ্ছে, শিপমেন্ট সঠিক সময়ে করা যাচ্ছে না, এর প্রভাব পড়ছে সরাসরি রপ্তানি আয়ে। এখনকার চেয়েও বেশি ভাটার শঙ্কা দেখা যাচ্ছে চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে।

বাংলাদেশ ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি থেকে আয় করে ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি ডলার। এর মধ্যে পোশাক রপ্তানি থেকেই আসে ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ডলার, যা মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ। 

পোশাক খাতের সবচেয়ে রমরমা সময় যায় জানুয়ারি-মার্চ সময়ে। ওই সময়টায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোতে ছুটি ও ভ্রমণের আমেজ থাকায় তখন বাংলাদেশের পণ্যের বিক্রি বাড়ে। ওই সময়ের পণ্যের কার্যাদেশ পেতে নমুনা পাঠাতে হয় অগাস্টের ছুটির আগে। কিন্তু দেশে জুলাই থেকে শুরু হওয়া অস্থিরতা ঘিরে কারখানা বন্ধ, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকা ও ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউটের কবলে পড়ে অনেকেই নমুনা পাঠাতে সমস্যায় পড়েছেন বা পিছিয়ে পড়েছেন।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, ইন্টারনেট ও যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে ‘আস্থার’ যে সংকট প্রথমে হয়েছিল, তার মাশুল এমনিতেই গুনতেই হত। এখন শ্রমিক অসন্তোষের কারণে অচলায়তন তৈরি হল। এর জেরে জানুয়ারি-মার্চ সময়ে ৬০০ কোটি (৬ বিলিয়ন) ডলার পর্যন্ত রপ্তানি কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শোভন ইসলাম।

তাছাড়া রপ্তানিকারকরা যে ৩০ শতাংশ কার্যাদেশ বাতিলের কথা বলছেন, তাতেও একই পরিমাণ রপ্তানি কমার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সঙ্গে চলতি কার্যাদেশের উৎপাদন ও রপ্তানি সঠিক সময়ে না করা গেলে এর পরিমাণ আরও বাড়বে।

সুত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর 

RMG BANGLADESH NEWS