fbpx
Home Blog Page 15

আশুলিয়ায় ২১৯ পোশাক কারখানা বন্ধ

শ্রমিক অসন্তোষের জেরে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে মোট ২১৯টি কারখানা বন্ধ রয়েছে।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ২১৯টি কারখানার মধ্যে ৮৬টি কারখানা শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা মোতাবেক বন্ধ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাকি ১৩৩টি কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।

সারোয়ার বলেন, ‘আজ শিল্পাঞ্চলের কোথাও কোনো সড়ক অবরোধ, কারখানায় হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগে থেকেই কিছু কারখানায় অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল। সে সব কারখানার শ্রমিকরা কাজে ফেরেনি।’

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া আজ সকালেও বেশ কিছু কারখানার শ্রমিক কারখানায় প্রবেশের পর কর্মবিরতিসহ কারখানা থেকে বের হয়ে গেলে সব মিলিয়ে শিল্পাঞ্চলের ২১৯টি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।’

শিল্পাঞ্চলে যেকোনো ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলে যৌথবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Uzbekistan achieves 100% cotton fibre processing to boost textile exports

Uzbekistan, one of the world’s largest cotton producers, has recently undergone a significant shift in its cotton industry. Now it is processing all cotton fiber and also started importing raw cotton to come out with finished products with high added value, Shavkat Mirziyoyev, President of Uzbekistan told a recent conference.

Uzbekistan importing raw cotton for high-value finished products
Figure: Uzbekistan produces an average of 3.5 million tonnes of raw cotton annually.

During the conference of the International Textile Manufacturers Federation (ITMF) and International Apparel Federation (IAF) in Samarkand, Shavkat said that the nation had done away with the state monopoly on cotton cultivation and had developed and enhanced a cluster system that covered the entire process, from obtaining raw materials to producing finished goods.

The local cotton is being used to produce textiles, yarn, and garments, which are then exported as finished or semi-finished products rather than as raw cotton.

“Our reforms in this area have won the recognition of prestigious international organizations and the boycott on Uzbek cotton was lifted. We are continuing cooperation in this direction with the international coalition Cotton Campaign,” he added.

This shift is part of a broader strategy by the Uzbek government to reduce its reliance on raw material exports, develop its industrial base, and become a major player in global textile markets.

Earlier, raw materials accounted for about 70 percent of the sector’s exports, but today 60 percent of exported goods are finished products, he said.

Uzbekistan produces an average of 3.5 million tonnes of raw cotton annually.

ভারতের ষড়যন্ত্রের কবলে গার্মেন্টস

দেশের অর্থনীতির চাকা সচলে প্রবাসী শ্রমিকদের রেমিট্যান্সের পরই রফতানিমুখী পণ্য তৈরী পোশাকের ভূমিকা অনন্য। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দিল্লি পালানোর পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার খাদের কিনারে থাকা অর্থনীতিকে টেনে তোলার চেষ্টা চলছে। অর্থনীতিকে গতিশীল করতে গত এক মাসে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ, বিশ্বনেতা ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলো যখন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগী হচ্ছে; তখন শ্রমিক বিক্ষোভের নামে তৈরী পোশাক শিল্পকে ধ্বংসের চেষ্টা চলছে। বিদেশি ক্রেতারা শীত মৌসুমের জন্য বাংলাদেশ থেকে পোশাক ক্রয়ে অর্ডার যখন দেবেন, তখন শ্রমিক অসন্তোষের নামে গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংসের অপচেষ্টা চলছে। হিন্দুত্ববাদী ভারতের পাপেট শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে বাংলাদেশের জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতে একের পর এক ষড়যন্ত্রের কার্ড ছুড়ছেন। ভারতের স্বার্থে হাসিনার এই নীলনকশা বাস্তবায়নে দেশের প্রশাসনের কিছু আমলা, কিছু ব্যবসায়ী নামের দিল্লির এজেন্ট এবং কিছু শ্রমিক-শ্রমিক নেতা নামের হাসিনার পোষা প্রাণী শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ উস্কে দিচ্ছেন এবং পর্দার আড়াল থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অথচ দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বশীলরা ‘আনজুমানে মফিদুল ইসলাম’ এবং ‘রামকৃষ্ণ মিশনের’ ন্যায় ‘হোমিও প্যাথি’ ক্রিয়াকলাপ করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে একের পর এক অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা সরকার কঠোরভাবে দমাতে না পারলে সামনে এই ধারা আরো বাড়তে থাকবে। কারণ প্রতিহিংসাপরায়ণ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকার ও দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। খাল কেটে কুমির আনার মতোই হাসিনা নিজের অনিষ্ট করে হলেও বাংলাদেশের ক্ষতি করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
বর্তমানে দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা। উন্নয়নের নামে দেশের অর্থনীতিকে ফোকলা করেছে হাসিনা। ১৫ বছর ধরে লুটপাট, দুর্নীতি, বিদেশে টাকা পাচার, বোন শেখ রেহানা-পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়-কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের টাকার পাহাড় গড়া এবং দলীয় মন্ত্রী-এমপিদের পকেট ভারী করতে শেখ হাসিনা ব্যাংক-বীমা-শিল্প-ব্যবসা সবকিছু ধ্বংস করে গেছেন। এ অবস্থায় ড. ইউনূসের দায়িত্ব গ্রহণের পর অর্থনীতিতে গতি আসতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে কিছু সংস্কার কর্মসূচিও গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের কেউ কেউ ‘হেসে খেলে’ মন্ত্রণালয় চালানো এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের কেউ কেউ ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা’ নেয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। ১৫ বছর জুলুম-নির্যাতনের শিকার রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের নিয়ে মহাব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব যেন কারো নেই। এমন পরিস্থিতি বুঝতে পেরে ভারত এবং তার পাপেট হাসিনা পাট শিল্প ধ্বংসের মতোই তৈরী পোশাক ও ওষুধ শিল্প ধ্বংস করে বিশ্ববাজারকে ভারতের কব্জায় নেয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। নতুন সরকার গঠনের পর ভারত একের পর এক ষড়যন্ত্র কার্ড ছুঁড়ছে অথচ দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ঘুমিয়ে রয়েছে? জুডিশিয়াল ক্যু, সংখ্যালঘু নির্যাতন কার্ড, ১৫ আগস্টে ১০ লাখ লোকের ঢাকায় অবস্থান, আনসারের সচিবালয় ঘেড়াও, প্রশাসনের কর্মর্কতা-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়ার নামে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এখন তারই ধারাবাহিকতায় তৈরী পোশাক শিল্পকে টার্গেট করেছে। গত কয়েক দিন ধরে আশুলিয়া, সাভার, টঙ্গী ও গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের নামে বিক্ষোভ-ভাঙচুরের তাণ্ডব চলছে। অথচ সরকারের বাণিজ্য-শ্রম-শিল্প-বস্ত্র-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল উপদেষ্টা-সচিব-কর্মকর্তারা নাকে শর্ষের তেল দিয়ে দিবানিদ্রায় গেছেন!
গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও প্রকৃত শ্রমিকরা বলছেন, বাংলাদেশের পোশাক খাত নিয়ে ভারত গভীর ষড়যন্ত্র করছে। এর মধ্যে অপরাজনীতিও ঢুকে পড়েছে। যারা আন্দোলন করছে তারা প্রকৃত শ্রমিক নয়। প্রকৃত শ্রমিকরা কখনো নিজ কর্মস্থলের ধ্বংস চায় না। হাসিনার আমলে সুবিধাভোগী শ্রমিক নেতা এবং আওয়ামী লীগের এজেন্টরা গার্মেন্টসে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। তারাই পোশাক শিল্পকে অস্থিতিশীল করতে ভাঙচুর চালাচ্ছে। শ্রমিক বিক্ষোভের আড়ালে তারা শিল্পকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে। গার্মেন্টস ভাঙচুরে নিরীহ শ্রমিকরা জড়িত নন, বহিরাগতরাই এসব করছে। শ্রমিকদের যেসব দাবির কথা বলা হচ্ছে, ৫ আগস্টের আগে গার্মেন্টস সেক্টরে সেসব দাবির কথা শোনা যায়নি। এ সংকট দ্রুত শক্তভাবে প্রতিহত করতে না পারলে দেশের পুরো পোশাক শিল্পে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। শ্রমিক অসন্তোষের খবর প্রচার হলে বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশের পণ্য ক্রয়ের অর্ডার না দিয়ে ভারতের তৈরী পোশাক ক্রয়ে বাধ্য হবে। আর যেসব বিদেশি অর্ডার ইতোমধ্যেই পাওয়া গেছে পোশাক উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সময়মতো পণ্য জাহাজীকরণে অনিশ্চয়তায় পড়ে যাবে।
চলমান শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর শ্রম ও কর্মসংস্থানবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, সাভারের পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া বেতন বৃহস্পতিবারের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। ইতোমধ্যে শ্রমসংক্রান্ত অভিযোগ পর্যালোচনা কমিটি করা হয়েছে। যেখানে যে কেউ শ্রমের বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন। মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিরাও আছে এই কমিটিতে। বিজিএমইএ জানিয়েছে ৪০ থেকে ৬০টি কারখানা এখন বন্ধ আছে। ১০ থেকে ১৫ ভাগ অর্ডার সাময়িক সময়ের জন্য অন্য জায়গায় চলে গেছে।
গার্মেন্টস মালিকরা জানান, গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছেন বিদেশি ক্রেতারা, নতুন অর্ডার দিচ্ছেন না। তারা ভারতে অর্ডার দিচ্ছেন বেশি। ফলে বোঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে হিন্দুত্ববাদী ভারতের শকুনি দৃষ্টি পড়েছে। তিন দশক আগে বাংলাদেশের পাট শিল্প ধ্বংস করে ভারতে নতুন নতুন পাটকল গড়ে তোলা হয়েছে। এখন গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। এখনই সতর্ক না হলে এবং শ্রমিক আন্দোলন ঠেকাতে সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ না করলে পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
জানতে চাইলে বিকেএমইএ-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, তৈরী পোশাক শিল্প কঠিন সময় অতিক্রম করছে। শ্রমিক অসন্তোষের জেরে একদিকে কারখানা বন্ধ থাকায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে বিদেশি ক্রেতারা শীত ও গ্রীষ্মের অর্ডার কমিয়ে দিয়েছেন। রফতানি আদেশ যাতে অন্য দেশে চলে যায়, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে গার্মেন্টে হামলা, ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এ বিক্ষোভের সঙ্গে সাধারণ শ্রমিকদের দূরতম সম্পর্কও নেই। রফতানিমুখী এ শিল্পকে বাঁচাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মালিকদের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতা, শ্রমিকনেতা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বৈরশাসক হাসিনা রেজিমে সাধারণ ব্যবসায়ীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার ও বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের অনুগত ছাড়া কেউ স্বাভাবিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পরেননি। সে কারণে ব্যবসায়ীদের বড় অংশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশেষ ব্যবসায়ী সম্মেলন’ করে শেখ হাসিনাকে ফের ক্ষমতায় আনার ঘোষণা দেন। এমনকি মৃত্যুর পরও হাসিনার সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেন। আর শেখ হাসিনার পালানোর কয়েক দিন আগে ব্যবসায়ীরা গণভবনে গিয়ে সরকারকে কঠোরভাবে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের পরামর্শ দেন। শেখ হাসিনাও সুবিধাবাদী কিছু ব্যবসায়ীকে নিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসার সুযোগ করে দেন। হাসিনা পালানোর পর পরিস্থিতি এখন আর সে অবস্থায় নেই। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর কোনো সিন্ডিকেট প্রশ্রয় পাচ্ছে না। যে য্ক্তুরাষ্ট্র জিএসপি বন্ধ করেছিল তারা সেটা ফিরিয়ে দেয়ার পথ খুঁজছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের পণ্যের জন্য বাজার উন্মুক্ত করার কথা ভাবছে। ড. ইউনূসকে সব ধরনের সুহযোগিতা দিতে আন্তর্জাতিক মহল উদগ্রীব। ফলে দেশের গার্মেন্টস শিল্পের ভবিষ্যৎ আরো উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হওয়ার পথে। য্ক্তুরাষ্ট্রের জিএসপি ও ইউরোপীয় ইউনয়নে ‘বাংলাদেশি পণ্যের অবাধ বাজার সুবিধা’ কার্যকর হলে গার্মেন্টস মালিকরা যেমন অধিক লাভবান হবেন তেমনি গার্মেন্টসে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যেও আরো সুখ-সমৃদ্ধি আসবে, বেতন-ভাতা বাড়বে। অথচ গণহত্যাকারী হাসিনাকে আশ্রয় দেয়া হিন্দুত্ববাদী ভারতের ইন্দনে গার্মেন্টস সেক্টরকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। সে ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়েছে কিছু সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত।
জানতে চাইলে বিজিএমইএ-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, রেমিট্যান্স ও গার্মেন্টÑ এ দু’টি বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ। একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে পোশাক শিল্পকে ধ্বংস করতে চক্রান্ত শুরু করেছে। বিদেশি ক্রেতাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা দিতে শ্রমিক অসন্তোষের পুরনো নাটক মঞ্চস্থ করতে চাচ্ছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে পোশাক খাতে অর্ডার কমে গেছে। বিদেশি ক্রেতারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তাদের ভরসা দিতে সরকারের তরফ থেকে বার্তা দেওয়া উচিত।
ক্ষমতা হারালেও হাসিনার ষড়যন্ত্র থেমে নেই। পৃথিবীর কোনো দেশই জায়গা না দিলেও তাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। সেই ভারতের স্বার্থ তিনি দেখবেন সেটাই স্বাভাবিক। গার্মেন্টস শিল্পের বিরুদ্ধে ভারত এবং তাদের সেবাদাস হাসিনার ষড়যন্ত্র রুখতে অন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপি, জামায়াতসহ সকল রাজনৈতিক দলের নেতা, গার্মেন্টস মালিক, শ্রমিক, শ্রমিকনেতা, ছাত্রনেতা এবং গার্মেন্টস শিল্পসংক্রান্ত ব্যবসায় জড়িত সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে। এ ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। বিগত হাসিনা রেজিমে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার-জুলুম-নির্যাতন করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কতই না ক্যারিশমা (!) দেখিয়েছে। দিল্লিতে বসে হাসিনা দেশবিরোধী একের পর এক অপকাণ্ড করছেন আর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তা বুঝতেই পারছে না? সরকারকে বুঝতে হবে আন্তর্জাতিক বাজারে গার্মেন্টস পণ্যের ৬০ বিলিয়ন ডলারের মার্কেট। দেশের অর্থনীতিতে যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কাজেই যারা গার্মেন্টসে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে, অগ্নিসংযোগ করছে তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। বুঝতে হবে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী শ্রমিক ও শ্রমিকনেতা নামধারীরা শেখ হাসিনার এজেন্ট। এরা দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সুচিন্তিতভাবে গার্মেস্টস সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। এরা দেশের গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংস করে তৈরী পোশাকের বিশ্ববাজার হিন্দুত্ববাদী ভারতের হাতে তুলে দিতে চায়। এদের কঠোরভাবে দমানো না গেলে অন্যান্য সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করবে। নতুন সরকার গঠনের পর থেকে দেখা যাচ্ছে পান থেকে চুন খসলেই তথা ছোট ছোট ঘটনা নিয়ে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের ছাত্ররা সামান্য ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষ করে পরিস্থিতি উত্তাল করে তুলেছিল। আজ এখানে আন্দোলন, কাল ওখানে অবরোধ। এ যেন ছেলেখেলা হয়ে গেছে। এমনকি সরকারের ওপর মহলে সরকারি চাকুরে ডিসি-এসপি পদে পদায়ন নিয়ে সচিবালয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যে আন্দোলন উত্তপ্ত পরিস্থিতি গড়ে তোলা হয় তা কোনোভাবেই অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য পজেটিভ বার্তা নয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করায় বাংলাদেশের জন্য সুবর্ণ সুযোগ অপেক্ষা করছে। অথচ একের পর এক ষড়যন্ত্র লেগেই রয়েছে। তৈরী পোশাক শিল্প তথা গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিকদের বুঝতে হবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামীতে জিএসপি সুবিধা দেবে। তখন এ শিল্পের আরো পরিধি বাড়বে। সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর ও টঙ্গীতে যারা অস্থিরতা সৃষ্টি করছে তারা অর্থের বিনিময়ে কারো ইন্ধনে করছে। প্রকৃত শ্রমিকরা কখনো গার্মেন্টস শিল্পের ধ্বংস চায় না। প্রায় ৪০ লাখ নারী শ্রমিকসহ ৬০ লাখ মানুষ এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। মালিকরা যেমন কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন তেমনি শ্রমিকরা নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। কাজেই এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে মালিক-শ্রমিক উভয়কে ভূমিকা রাখতে হবে। শ্রমিক অসন্তোষে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলো ১৩(১) ধারায় বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিক কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার থেকে এসব কারখানা বন্ধ রয়েছে। শ্রম আইনের এই ধারা অনুযায়ী, শ্রমিকদের অযৌক্তিক ধর্মঘটের কারণে কারখানা বন্ধ থাকলে শ্রমিকরা বেতন পাবেন না। ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ নীতি গ্রহণ করে হলেও গার্মেন্টস শিল্পকে বাঁচাতে হবে। এ ব্যাপারে বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ১৩(১) ধারা তারা সহজে কার্যকর করতে চায় না। দুই সপ্তাহ ধরে শ্রমিকদের অযৌক্তিক আন্দোলন সত্ত্বেও এই ধারা প্রয়োগ করা হয়নি। তবে গত সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে- কোনো কারখানা কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজন মনে করলে তারা এ ধারা প্রয়োগ করতে পারেন। গার্মেন্টস শ্রমিকদের মনে রাখতে হবে অপ্রিয় হলেও সত্য যে, গার্মেন্টস শিল্প দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও দেশের অর্থনীতির জন্য শতভাগ অপরিহার্য না। ভারতের দাসী শেখ হাসিনা বিগত দিনগুলোতে দেশের বেশির ভাগ পাটকল বন্ধ করেছে; চিকিকল বন্ধ করে রফতানির ওপর নির্ভরশীল করেছে। এতে বাংলাদেশ শেষ হয়ে যায়নি। ফলে গার্মেন্টস শিল্পকে নিজেদের স্বার্থে মালিক-শ্রমিকদের রক্ষা করতে হবে। ভারতীয় ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে মালিক-শ্রমিকদের শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হবে। আর দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকেও সার্বিক পরিস্থিতি অনুধাবন করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে সফল করতে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে।
হেফাজতসহ ইসলামী দলগুলোকে মনে রাখতে হবে হাসিনা রেজিমে কেউ স্বাভাবিকভাবে রাজনীতি দূরের কথা চলাফেরা করতে পারতেন না। বছরের পর বছর জুলুম-নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে, রাতে ঘরে ঘুমাতে পারেননি। এখন দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলে শত্রুরা (পতিত হাসিনা ও ভারত) যাতে সফল না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। জামায়াতের নীতিনির্ধারকদের বুঝতে হবে হাসিনা সরকারের ১৫ বছর জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর দিয়ে সুনামি বয়ে গেছে। ইসলামী ব্যাংকসহ জামায়াতের লোকজনের ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নিয়েছিল হাসিনা গংরা। নির্বাচন কমিশন থেকে দলের নিবন্ধন বাতিল এমনকি জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু নতুন সরকার জামায়াত নিষিদ্ধের আদেশ তুলে নিয়ে জামায়াতকে নতুন প্রাণ দিয়েছে। নতুন করে রাজনীতির সুযোগ পেয়ে জামায়াত নেতাদের ‘মুই কি হনুরে’ ভাব দেখিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ রাজনৈতিক শত্রুর (হাসিনা ও ভারত) হাত শক্তিশালী করবে। মনে রাখতে হবে বিএনপি ও জামায়াতের কমন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ এবং ভারত হচ্ছে হাসিনার রাজনৈতিক মুরুব্বি। এখন মতভেদ নয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কমন প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একাট্ট থাকতে হবে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের হাত শক্তিশালী করতে যা যা করা প্রয়োজন তা করতে হবে। দিল্লিতে বসে হাসিনা দেশের বিরুদ্ধে একের পর এক অপকর্ম করছেন, দেশের কিছু ভারতীয় এজেন্ট সেটাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে সামনে; এ অবস্থায় বিএনপিকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। মনে রাখতে হবে ড. ইউনূসের সরকারের সাফল্যের ওপর নির্ভর করছে বিএনপি, জামায়াতসহ ১৫ বছর জুলুম-নির্যাতন ভোগ করা দলগুলোর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। আর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বশীলদের বোঝা উচিত সরকার পরিচালনা কোনো এনজিও বা আনজুমানে মুফিদুল ইসলাম নয়। সরকার পরিচালনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের দমনে কঠোর হতে হবে। আর হিন্দুত্ববাদী ভারতের মতো চানক্যনীতির দেশ যদি ষড়যন্ত্র করে তাহলে ২৪ ঘণ্টাই সতর্ক থাকা আবশ্যক। দেশের মানুষ বহু বছর পর স্বাধীন জীবন পেয়েছে। আর ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা বানিয়েছে। গোটা বিশ্বে ড. ইউনূসের নামডাক রয়েছে। এখন যদি ভারতের চানক্যনীতিতে দেশের গার্মেন্টস শিল্পের ওপর বিপর্যয় নেমে আসে তার দায় ড. মুহম্মদ ইউনূসও এড়াতে পারবেন না।

news Sources : dailyinqilab

Unifi launches ThermaLoop and Repreve filament yarn towards sustainability

To meet the target of recycling the equivalent of 1.5 billion t-shirts’ worth of textile waste by the fiscal year 2030, US fiber giant Unifi Inc. has launched two new products featuring materials made from textile waste, Repreve and ThermaLoop.

ThermaLoop and Repreve filament yarn are included in its circular material line, which it claims has the broadest portfolio of regenerated performance polyester globally.

Unifi launches ThermaLoop and Repreve filament yarn towards sustainability
Figure: US fiber giant Unifi Inc. has launched two new products featuring materials made from textile waste, Repreve and ThermaLoop. Courtesy: Recycling Today.

The company emphasized that this commercial sustainability addresses a significant issue facing businesses that depend on polyester, especially fashion labels, which have long aimed to produce circular clothing to achieve sustainability objectives.

White-dyeable filament yarn ThermaLoop is composed of at least 50% textile waste and 100% recycled polyester feedstock, resulting in new goods that meet virgin-quality criteria.

It is available in down-like fiber, fiber ball, and padding, and offers performance, recovery, and thermal efficiency. Unifi highlighted that the padding is engineered with Repreve’s “low melt fiber,” an innovation that enables the production of 100% recycled synthetic padding.

Accordingly, the new circular Repreve filament yarn is described as a white, dyeable, high-performance polyester, designed for the most critical applications, with widespread versatility across industries, applications, and colorways.

Eddie Ingle, CEO of Unifi Inc. said, “Textile brands can now create solutions with the entire product life cycle in mind and work towards achieving their 2030 environmentally preferred materials targets. Our goal is to provide the best-in-class sustainable products that eliminate the need for virgin materials and reduce carbon emissions.”

Both Repreve filament yarn and ThermaLoop are traceable with FiberPrint technology and certified by U-Trust, as well as being Oeko-Tex, GRS, and SCS certified for recycled content.

Besides, the two new materials are powered by the company’s propriety Textile Takeback process, representing a major leap forward in scalable textile-to-textile recycling.

In terms of sustainability, Unifi will partner with global brands to take back their waste and keep materials in circulation longer to further enhance value throughout the supply chain.

Unifi showcased the two new products at the Intertextile Apparel Fabrics Shanghai trade show, and now Unifi can be seamlessly integrated into current supply chains without causing any disruptions.

Notably, these products also support Unifi’s goal of recycling 1.5 billion t-shirts’ worth of textile waste by the end of the 2030 fiscal year.

আজ থেকে সব পোশাক কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত

সব পোশাক কারখানা আজ মঙ্গলবার থেকে খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইয়ের একজন পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আশুলিয়া এলাকার কারখানা মালিক ও পোশাকখাতের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা জানান।

আশিকুর রহমান তুহিন বলেন, সকল কারখানা আগামীকাল মঙ্গলবার খোলা থাকবে। এমনকি আজ সোমবার যে ১১৯ কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে– সেগুলোও খোলা থাকবে।

তিনি বলেন, আশুলিয়া অঞ্চলের কারখানা মালিক এবং আরএমজি ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা এবং সম্ভাব্য সমাধানের জন্য একটি দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে, সেই বৈঠকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ছয় ঘণ্টার বেশি আলোচনার পর উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে, নারী-পুরুষ পরিচয়ের ভিত্তিতে নতুন নিয়োগ হবে যোগ্যতা ও কারখানার প্রয়োজনের ভিত্তিতে।

শিল্পাঞ্চলের পোশাক কারখানায় পুরোদমে শুরু হয়েছে কার্যক্রম

মজুরি, হাজিরা বোনাস, শ্রমিক ছাটাই বন্ধ, নিয়োগসহ নানা দাবিতে ঢাকার শিল্পাঞ্চল সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই ও গাজীপুরে গত কয়েকদিন ধরে শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। তবে সকাল থেকেই এই এলাকার বেশিরভাগ পোশাক কারখানায় কার্যক্রম পুরোদমে চলছে।

আজ রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে বেলা বেলা ১১টা পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় গত কয়েকদিন ধরে যেসব এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে সেসব এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিতের পর স্বস্তি ফিরেছে শিল্পাঞ্চল গুলোতে।

সুই সুতোর কারিগরদের ব্যস্ততায় স্বাভাবিক হয়েছে উৎপাদন কার্যক্রম।

শ্রমিক অসন্তোষে শিল্পের ক্ষতি ৫ হাজার কোটি টাকা: এমসিসিআই

গাজীপুর, সাভারসহ বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকদের অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এই অসন্তোষের কারণে অনেক কারখানা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তবে এরই মধ্যে কিছু কিছু কারখানা সচল হলেও উত্পাদনের মাত্রা কমে গেছে। যার ফলে অনেক কারখানার মালিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রবিবার রাজধানীর গুলশানস্থ পুলিশ প্লাজায় মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই) এক সভার আয়োজন করে। 

অনুষ্ঠানে সংগঠনের মহাসচিব ফারুক আহমেদ বলেন, গত এক মাসে নারায়ণগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা দাবি নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক শিল্প-কারখানায় ভাঙচুর করা হয়। একই সঙ্গে আগুন দেওয়া হয়।এ সময়ে দুই শতাধিক কারখানার উৎপাদন ও বিপণনপ্রক্রিয়া বন্ধ ছিল।

আপাতত ধারণা করা হচ্ছে, শিল্পের প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে, তবে প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ আরো বেশি হতে পারে। 

তিনি বলেন, কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। আশা করছি শিগগির সরকার শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।আর পদক্ষেপ নিলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
সভায় বলা হয়, গত আগস্ট মাসে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে জুলাই-আগস্ট মাসে টানা আন্দোলনের কারণে সরবরাহ পরিস্থিতির ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে। এর ফলে কৃষি উত্পাদন থেকে শুরম্ন করে নির্মাণ ও সেবাখাতে পরিস্থিতির অবনমন হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এমসিসিআই পরিচালক তারেক মোহাম্মদ আলী, পলিসি এক্সচেঞ্জের সিনিয়র ব্যবস্থাপক হাসনাত আলম।

RMG unrest: All factories set to reopen today as calm anticipated

Although the situation at the Ashulia industrial zone remained tense today, the tenth consecutive day of worker unrest, there were no reports of attacks or vandalism and the situation was relatively better compared to previous days.

In response, factory owners in a meeting with the army, industrial police, intelligence agencies, reached a unanimous decision to keep all factories in Ashulia open today.

Abdullah Hil Rakib, senior vice president of BGMEA, told The Business Standard that factory owners who were forced to close today attended the meeting. 

Industry sources said 14 factories in Ashulia did not open today. Also, workers of several large industrial groups clocked in this morning but left without working like they did in previous days. 

Earlier on Friday, after two rounds of meetings with industrial owners, local political leaders, trade union representatives, and law enforcement agencies, many factory owners decided to keep factories open.

However, tensions arose when workers at several factories on the Baipail-Abdullahpur road in the Narsinghpur area started leaving due to their demands. 

This forced at least 50 more factories to declare holidays today. They included factories from the Sharmin Group, Ha-Meem Group, New Age Group, and Ananta Group. 

About the meeting, Abdullah Hil Rakib said, “It was agreed that from tomorrow [8 September], 20 to 25 law enforcement personnel will be stationed at each of these factories to ensure security and provide some relief to the industrial owners.” 

He said they have decided not to go for the “no work, no pay” policy keeping in mind the welfare of the workers.

He added that there were no disturbances from outsiders in the industrial zone today, hoping for normalcy returning from tomorrow.

Abdul Kader Azad, managing director of Ha-Meem Group, said he assured workers of addressing their demands earlier in the day, but workers left the factory before lunch.

Labour leaders said a lack of their involvement in the ongoing discussions with BGMEA and policymakers is a major reason for the unresolved issues. They claim that their limited control is contributing to the ongoing unrest.

Khayrul Mamun Mintu, legal affairs secretary of Bangladesh Garment and Sweater Workers Trade Union Centre, told TBS that grassroots leaders have minimal participation in discussions. 

Mintu also acknowledged that, since the student protests, the role of labour leaders has diminished, with some workers even expressing that they do not need union leaders. 

A BGMEA director told TBS that while only four  or five factories in the area might have issues, the unrest has spread to at least 150 factories, severely impacting the industry. 

He warned that if the situation continues, the sector could face significant damage, with orders potentially shifting to neighbouring countries and buyers possibly turning away from Bangladeshi factories. 

The director called for intervention from government policymakers to address the situation.

Meanwhile, BKMEA President Mohammad Hatem warned that certain groups are trying to exploit the current instability to undermine the apparel sector. 

In a press meet organised by the Narayanganj Chamber of Commerce and Industry, he noted that during the crisis in Sri Lanka, orders shifted to Bangladesh, and he expressed concerns that similar motivations might be at play now, with some potentially seeking to divert orders to their own countries.

“I prefer not to name the country, but there are indications that some might be aiming to divert orders there,” he added, noting that several reports on this issue have appeared in newspapers from that country.

Hatem urged both political and labour leaders to play their part in addressing the unrest. He advised workers not to become pawns in any provocations.

‘Instigators identified’ 

Industry sources and intelligence agencies have identified at least 120 individuals involved in the recent unrest, including labour leaders and local activists from BNP, Chhatra League, and Awami League.

Sources in the law enforcement said they have identified several individuals involved in inciting unrest. Actions have already been taken against some of them, and efforts to identify others are ongoing.

They said at least 60 to 70 individuals, primarily local BNP activists, are aggressively seeking to enter jhut (fabric scraps) business in various areas, including Ashulia, Gazipur, Sreepur, and Baluka. News Sources : tbsnews

BGMEA urges members to keep factories open from Sunday

The Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) instructed its members to keep all factories operational from Sunday (September 8).

They instructed this after an emergency meeting with the representatives from the army, industrial police, intelligence agencies and RMG manufacturers held at a factory unit of Ha-meem Group at Ashulia on Saturday.

After the meeting, BGMEA Senior Vice President Abdullah Hil Rakib told the media that there will be a team of 20-25 policemen in front of the factories which are high risk of protests. 

If needed, they will set up sufficient police boxes at industrial gates.

He also said that they will not declare the policy of ‘no work, no pay’ at this moment as they prioritize the welfare of the workers first.

“We will try our best to keep our factory units operational from Sunday. It is a very positive vibe that there were comparatively lower appearances of outsider fuelers at the factory areas on Saturday,” he further said.

He also said that they are hopeful the situation will return to normalcy very soon in the industrial areas and they will take further decisions as per the situation.

Earlier on Saturday, most of the RMG factories started operation in Savar and Ashulia industrial areas. The situation was much better on that day compared to the past several days.

However, in the morning, the workers started working in the factory on time but with the progression of time, workers in some factories stopped working and raised various demands including increase in attendance bonus, stop laying off workers, increase in tiffin bill and many more.

As per the sources, 7 factories including factory units of NASSA Group, Pearl Garments, and Newage Group remained shut.

However, 37 factories that started operations in the morning on Saturday, declared closed at various times of the day including factories of Active Composite, Al Muslim Group, Mascot Group and Sharmin Group.

Meanwhile, the law enforcers strengthened security in the areas where labor protests are taking place in the last few days. 

According to sources, no untoward incident was reported anywhere near the factory till afternoon of Saturday.

Army, RAB and police personnel patrolled the various roads of Ashulia, Savar and adjacent areas and they were also stationed in front of various factories with high risk of protests like Pearl Garments.

Army, police and RAB members were deployed in major roads of Ashulia and Savar areas like Narsinghpur-Baipail Road, Baipail-Abdullahpur road etc. 

Mohammad Sarwar Alam, SP of Ashulia Industrial Area Police-1, said that the workers of various factories joined work at the stipulated time of Saturday morning.

Meanwhile, BKMEA President Mohammad Hatem on Saturday said that a group is making recurrent attempts to take advantage of the unstable situation of the country to harm the RMG sector at a press conference at the Narayanganj Chamber of Commerce and Industry.

He also said that when the unstable situation was created in Sri Lanka, the orders from this country shifted to Bangladesh 

“I don’t want to mention the name of the country but someone may want to take the order to their country,” he said, adding that several news reports about this circulated in the newspapers of that country. 

He also said that everyone has to be careful against the anarchy created in the RMG sector. 

“The political and labour leaders of all those areas have to play their role in this revolution. I will tell the labour brothers not to be the scapegoat of anyone’s provocation,” he added.

He also said that as a result, the workers will also suffer along with the country and country’s economy. They should be concerned about the outsider fuelers, conspirant, and vested interest groups. 

বিজিএমইএ’র সিদ্ধান্ত : আশুলিয়ার পোশাক কারখানা খুলবে আজ

আশুলিয়ার তৈরি পোশাক কারখানা খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি শ্রমিকনেতা ও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পর বিজিএমইএর নেতারা এ সিদ্ধান্ত নেন।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) আশুলিয়ার তৈরি পোশাক কারখানায় চলমান অস্থিরতা নিয়ে বিজিএমইএর কার্যালয়ে দুই দফায় শিল্পমালিক, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন সংগঠনের শ্রমিকনেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক হয়। বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব, শ্রমিকনেতা মন্টু ঘোষ, নাজমা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এ বিষয়ে বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব গণমাধ্যমকে বলেন, সব পক্ষই কারখানা সচল রাখার পক্ষে মত দিয়েছে। তারা বলেছে, শিল্প বন্ধ রাখা কোনোভাবে কম্য নয়। উৎপাদন না হলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ব্যবসাও অন্যত্র চলে যাওয়ার শঙ্কা থাকে।

তিনি আরও বলেন, শ্রমিকনেতারা সাধারণ শ্রমিকদের কাজে ফিরতে আহ্বান জানিয়েছেন। কোনো দাবিদাওয়া থাকলে মালিকপক্ষকে লিখিত দেয়ার কথা বলেছেন। অন্যদিকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বর্তমান পরিস্থিতিতে ঝুট ব্যবসা থেকে বিরত থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।

RMG BANGLADESH NEWS