fbpx
Home Blog Page 16

আশুলিয়ায় বিক্ষোভ থামেনি, গাজীপুরে কারখানা চালু

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবারও শ্রমিক বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভের মুখে গতকাল সেখানে ১২৯টি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। তবে গাজীপুরে খুলেছে অধিকাংশ কারখানা। সেখানে গতকাল কোনো বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি।

বেতন, ছুটি, ভাতা বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে কয়েক দিন ধরে সাভার ও গাজীপুরে চলছে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। এতে শিল্প খাতে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। এসব বিক্ষোভে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বহিরাগতদের উসকানি রয়েছে বলে মনে করছে সরকার। শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে গতকাল থেকে সরকার শক্ত অবস্থান নেবে বলে জানিয়েছিল।

আশুলিয়ায় বিক্ষোভ ঘিরে সংঘর্ষ ও হামলায় গতকাল পুলিশসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে আশুলিয়ার তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। বিজিএমইএ বলছে, শিল্পের নিরাপত্তায় পুলিশের পর্যাপ্ত সহায়তা পাচ্ছেন না আশুলিয়ার কারখানা মালিকেরা। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা না পেলে কারখানা বন্ধ রাখতে চান তাঁরা।

আশুলিয়ায় দিনভর বিক্ষোভ

আশুলিয়ায় বিক্ষোভের কারণে বন্ধ হওয়া বেশির ভাগ কারখানা গতকাল সকালে চালু হয়। তবে সারা দিনে কয়েকটি কারখানায় হামলার ঘটনা ঘটে। এতে মেডলার অ্যাপারেলস লিমিটেড, ট্রাউজার লাইন লিমিটেড ও নাসা গ্রুপের কয়েকটি কারখানাসহ অন্তত ৩৬টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গতকাল সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় পার্ল গার্মেন্টস কোম্পানি লিমিটেডের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। কারখানা-সংলগ্ন নবীনগর থেকে চন্দ্রাগামী মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে তাঁদের সরিয়ে দেন বেশ কিছু লোক। তাঁদের মধ্যে জিল্লুর রহমান নামের একজন নিজেকে থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক পরিচয় দিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘গার্মেন্টস সবার সম্পদ। এগুলো রক্ষায় মাঠে আছি, থাকব।’

সকাল ৯টার দিকে নরসিংহপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মেডলার অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা কারখানা থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। কয়েকজন শ্রমিক জানান, সকালে কাজ শুরু হলেও সাড়ে আটটার দিকে বাইরে থেকে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল কারখানা লক্ষ্য করে হামলা চালায়। পরে কারখানা ছুটি দেওয়া হয়। সেখানকার শারমিন গ্রুপের কারখানায় হামলার অভিযোগে দুজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন স্থানীয় লোকজন।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একই এলাকার হা-মীম গ্রুপের কারখানার সামনে গিয়ে দেখা যায়, মূল ফটক লাঠিসোঁটা দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করছেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাঁদের ধাওয়া দেন। তখন উভয় পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তৈয়বপুর এলাকায় নাসা গ্রুপের একটি কারখানা ও ট্রাউজার লাইন লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরাও বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

আশুলিয়ায় বিক্ষোভের সময় হামলা, ভাঙচুর, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের অনেককে আশুলিয়ায় নারী ও শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মিরাজুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে ২০–৩০ জনের মতো রোগী এসেছেন। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।

আশুলিয়ায় শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, নাসা গ্রুপের কারখানার ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তাকে বিক্ষোভকারীরা মারধর করলে তাঁকে উদ্ধার করতে যায় পুলিশ। এ সময় শ্রমিকদের হামলায় তিনি (সারোয়ার) চোখে আঘাত পান। সহকারী পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাসের মাথা ফেটে যায়। পুলিশের চার-পাঁচজন সদস্য আহত হয়েছেন।

১২৯ কারখানায় ছুটি

বিজিএমইএর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীদের হামলার কারণে গতকাল দুপুরের পর আশুলিয়ায় কারখানা চালানো যায়নি। অনেক কারখানার কর্মকর্তাদের মারধর করতে আসে হামলাকারীরা। ফলে ১২৯ কারখানায় ছুটি দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।

শ্রমিক বিক্ষোভ নিয়ে গতকাল রাতে বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠক করেন আশুলিয়ার তৈরি পোশাক কারখানার মালিকেরা। বৈঠক শেষে সংগঠনটির সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব প্রথম আলোকে বলেন, শিল্পের নিরাপত্তায় পুলিশের পর্যাপ্ত সহায়তা পাচ্ছেন না মালিকেরা। কিছু কারখানায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা হলেও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তা প্রতিহত করেন। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা না পেলে কারখানা বন্ধ রাখতে চান আশুলিয়ার মালিকেরা। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে আগামীকাল শনিবার থেকে স্বাভাবিকভাবে কারখানা চলবে, নাকি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে বুধবার বিকেলে আশুলিয়া ও গাজীপুরের পোশাকশিল্পের মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিজিএমইএ সভাপতি বলেছিলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে সহায়তার আশ্বাস পাওয়ায় বৃহস্পতিবার সব পোশাক কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গাজীপুরে কাজে ফিরেছেন শ্রমিকেরা

গাজীপুরের বিভিন্ন শিল্পকারখানার শ্রমিকেরা গতকাল সকালে কাজে ফেরেন। বন্ধ রাখা কারখানাগুলোও চালু করা হয়। গতকাল গাজীপুরে কোথাও শ্রমিক বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি।

বিভিন্ন কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে গাজীপুর নগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় শিল্পকারখানার শ্রমিকদের অসন্তোষ ও বিক্ষোভ মিছিল চলছিল। বিভিন্ন দাবিতে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করছিলেন। তবে গতকাল পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। গাজীপুরের দুই হাজারের বেশি পোশাক কারখানার নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাবাহিনীর সদস্য ও শিল্প পুলিশ সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহাম্মেদ বলেন, বিক্ষোভের কারণে গাজীপুরে হাতে গোনা কয়েকটি কারখানা বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকদের সঙ্গে সমস্যার সমাধান হলে এসব কারখানাও খুলে দেওয়া হবে।

শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে মালিকেরা হতাশ

শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে সাভারের আশুলিয়ার তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা হতাশ। তাঁরা বলেছেন, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের পর হামলার কারণে কারখানা চালানো যায়নি। অনেক কারখানার কর্মকর্তাদের মারধর করতে আসছে হামলাকারীরা। আগুন দিয়ে কারখানা পুড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টাও হয়েছে কোথাও কোথাও।

তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার রাতে সংগঠনের সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে আশুলিয়ার মালিকেরা এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন বিজিএমইএর সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব।

বৈঠক শেষে জানতে চাইলে আবদুল্লাহ হিল রাকিব প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা না পেলে কারখানা বন্ধ রাখতে চান আশুলিয়ার মালিকেরা। আমরা মালিকদের বলেছি, আজকে ও কালকে আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথা বলি। একই সঙ্গে আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার চেষ্টাও করছি। সবার সঙ্গে কথা বলার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব শনিবার থেকে স্বাভাবিকভাবে কারখানা চলবে নাকি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।’

বিজিএমইএর এই সহসভাপতি বলেন, শিল্পের নিরাপত্তায় পুলিশের পর্যাপ্ত সহায়তা পাচ্ছেন না মালিকেরা। কিছু কারখানায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা হলেও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তা প্রতিহত করেন। অনেক বন্ধ কারখানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এভাবে চললে কীভাবে হবে? অনেক মালিক বলেছেন, প্রয়োজনে ১০ দিন কারখানা বন্ধ থাকুক। কারণ, কারখানা পুড়িয়ে দিলে তো আর ঘুরে দাঁড়ানো যাবে না।

গতকাল বুধবার বিকেলে আশুলিয়া ও গাজীপুরের পোশাকশিল্পের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজিএমইএর নেতারা। বৈঠকে সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে সহায়তার আশ্বাস পাওয়ায় বৃহস্পতিবার বন্ধ সব পোশাক কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত হয়।

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে ছুটি দেওয়া বেশির ভাগ কারখানা আজ চালু হয়েছে। সকালে কয়েকটি কারখানায় হামলা ও ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। তবে দুপুরের পর অধিকাংশ কারখানা ছুটি হয়ে যায়।

বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, আজ দিনের বিভিন্ন সময় সাভারের আশুলিয়ায় ১২৯ কারখানা ছুটি দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। তবে বেশির ভাগ কারখানাই ছুটি হয় দুপুরের পর।

‘শ্রমিকরা নয় বহিরাগতরাই তৈরি পোশাক খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে’

তৈরি পোশাক শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টিকারীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সচিবালয়ে তৈরি পোশাক খাতের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন সাত উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতনরা। বৈঠক শেষে উপদেষ্টারা বলেন, শ্রমিকরা নয় বহিরাগতরাই তৈরি পোশাক খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।

গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রমিক আন্দোলনে হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠে তৈরি পোশাক কারখানা। গাজীপুর, আশুলিয়া ও সাভারে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানায় হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এতে বন্ধ ঘোষণা করা হয় কারখানা। তবে, সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত থেকেই সেনাবাহিনীসহ যৌথ বাহিনীর অভিযানের পর পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আসলেও বুধবার সকালে আবারও অস্থির হয়ে ওঠে শিল্প এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক পোশাক কারখানা বন্ধ রাখা হয়।

হঠাৎ তৈরি পোশাক কারখানায় অস্থিরতার নেপথ্যে কী? অন্তর্বর্তী সরকার উপদেষ্টারা বলছেন, শ্রমিকরা নয় বহিরাগতরা তৈরি পোশাক খাতে সমস্যা তৈরি করছে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বহিরাগত লোকজনের আধিক্য দেখা যাচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় মালিকপক্ষ বেতন দিতে দেরি করছে, সে কারণে আন্দোলন হচ্ছে। আর কয়েকটা স্পেসিফিক ফ্যাক্টরি আছে যেখানে মালিকপক্ষ পালিয়ে গেছে। সেগুলোকে আমরা অ্যাড্রেস করছি। সেগুলোর জন্য সরকার সফট লোনের ঘোষণা দিয়েছে এবং সেটা পরিধি আরও বৃদ্ধি করা হবে।’

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, ‘প্রকৃত শ্রমিকরা এই ধরনের কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে না। কারণ যেখানে তার জীবিকা সেটা সে নষ্ট করবে না। এটা যদি নষ্ট হয় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয় বন্ধ হয়ে যাবে, লোকাল ইন্ড্রাস্ট্রি নষ্ট হয়ে যাবে।’

পোশাক শিল্পে অস্থিরতার পেছনে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপি নেতাদেরও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে জানান তারা। ঝুট ব্যবসা নিয়ে যারা সন্ত্রাস করছে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে সাফ জানিয়ে দেন শ্রম উপদেষ্টা।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘যারা ঝুট ব্যবসা নিয়ে সন্ত্রাস করছে, আওয়ামী লীগের লোকরা যে সিন্ডিকেট চালাতো তারা তো সেগুলো ছেড়ে চলে গেছে। এখন যারা দখলের পাঁয়তারা করছে এবং এসে এখানে সন্ত্রাস করছে তাদের এবং যারা বহিরাগত আছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’

বুধবার সচিবালয়ে তৈরি পোশাক খাতের অস্থিরতা নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন সাত উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতনরা। এ সময় যারা অন্যায় ও অস্থিরতা তৈরি করতে চায় তাদেরকে কোন ছাড় দেয়া হবে না বলে অবস্থান স্পষ্ট করেন সবাই। পরে আইজিপি জানান, যৌথ অভিযানে অসংখ্য অবৈধ অস্ত্র পাওয়া গেছে।

পুলিশ মহাদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অনেক অস্ত্র পাচ্ছি। অনেক জায়গায় অস্ত্র ফেলে যাচ্ছে কেউ। অনেক জায়গায় আমরা গতরাত থেকে অভিযান শুরু করেছি। আশা করি আমরা একটা ভালো ফলাফল দিতে পারবো।’

এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সবকিছু ঠিক হতে একটু সময় লাগবে। ধীরে ধীরে পুলিশবাহিনী স্বাভাবিক কাজে ফিরে আসবে বলে জানান তিনি।

মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশের ইমেজ আস্তে আস্তে উন্নত হচ্ছে। আমার কাছে এমন কোনোকিছু নেই যে আমি একদিনে সব উন্নত করতে পারবো। এটা আস্তে আস্তে হবে।’

দেশে মোট রপ্তানির প্রায় ৮৬ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক থেকে। তাই দ্রুত এ সংকটের সমাধান না হলে রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

News Sources : ekhon

RMG factories in Ashulia, Savar and Gazipur to reopen Thursday

The readymade garment (RMG) factories of Ashulia, Savar, and Gazipur area will reopen on Thursday as the security forces assured that they will conduct strict joint drives at the industrial hubs from Wednesday night.

Moreover, the protesters who are not in front of factory machines will not be regarded as workers, but as criminals and the law enforcement agencies will take sufficient legal measures against them.

The industry insiders said that the genuine workers are not among the protesters, they are outsiders and fueled by vested interest groups. They urged security forces to take stricter actions against them.

In a meeting, past presidents, current board of the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA), and prominent industrialists with representatives from Bangladesh Army, Police, Industrial Police, NSI, and DGFI urgently discussed the situation at the BGMEA Complex in the capital on Wednesday. 

Just after the meeting, BGMEA president also briefed journalists at a press conference. 

Meanwhile, approximately 170 factories are facing closure due to unrest in the industrial zones of Ashulia, Savar, and Gazipur on Wednesday. 

BGMEA President Khandoker Rafiqul Islam said that the law enforcement agencies have assured the safety and security of the industrial zones, enabling factories to reopen Thursday morning. 

He also said that the unrest has predominantly been instigated by outsiders, while internal issues within the factories are minimal and these criminals pose significant challenges to the smooth operation of factories.

BGMEA Senior Vice-President Abdullah Hil Rakib said that the current issues affect not only the apparel sector but also have implications for other industries, including pharmaceuticals. 

He assured that the problems do not stem from internal workers as when factories manage to fend off one group of outsiders, large numbers often arrive to launch further attacks, leading to factory closures.

The BGMEA has requested the chief advisor’s intervention to safeguard the industry and the economy. They remain hopeful that he will communicate with law enforcement agencies to address the activities of these vandalizing groups. 

Former FBCCI President AK Azad said that the unrest is fueled by outsiders, however, he mentioned that there might be some factories who are unable to pay wages. 

He also said that if anyone needed it, BGMEA will finance and pay workers’ wages by forming a fund and his factory will contribute there.

He also urged the industrial police to act proactively. 

Former BGMEA Senior vice-president Faisal Samad suggested setting up a command center at the BGMEA office.

Kafil Uddin said that the industrialists have their local enemies and they might be also responsible for such vandalism.

The manufacturers also said that some miscreants threw bricks at factories. Along with local miscreants, some disgruntled laid off workers may also be involved in these activities. They also said that they should institute a no work and no pay policy.

Colonel Mohiuddin said that they deploy several brigades of army at Baipail, Narshinghapur, and Narayanganj. 

Security enforcement agencies urged the labour organizations to clear their stances regarding the unrest.

Meanwhile, Asif Mahmud Shojib Bhuiyan, Labour and Employment adviser said that the government is set to take immediate action to address the growing labor unrest, which officials believe is being fuelled by external influences.

“We’ve had multiple discussions with both the workers and factory owners regarding the unrest. The current protests lack a clear set of demands, leaving even the leaders puzzled. This suggests a significant involvement of external elements,” he added.

He pointed out that the usual participants in labour movements are noticeably absent, while an increasing number of outsiders have been observed. 

He noted that in some instances, protests have been sparked by delayed wages, and in a few cases, factory owners have fled, leading to worker dissatisfaction. 

The government has responded by offering soft loans to affected workers, with plans to expand this support.

However, Asif Mahmud expressed concern over the presence of outsiders at protest sites, particularly in factory clusters. “In some areas, we’ve seen incidents of vandalism, such as vehicle destruction, carried out by individuals with no previous involvement in labor issues.”

The adviser said labor leaders reported seeing individuals wearing helmets and shorts, typically hired for disruptive activities, at these protest sites. “These are not genuine workers; they are outsiders,” he emphasized.

Meanwhile, a source from the security agency stated that they detained at least 4 for their involvement in vandalism and found they were not workers from any factories.

Exporters to get fresh loans to pay workers’ wages

Bangladesh Bank instructed the managing directors and chief executive officers of all banks to introduce a fresh loan facility on simple terms to the active exporters of the country to pay the workers’ wages for August.

In this regard, the central bank issued a directive on Sunday saying that due to the disruption of the business environment in the recent domestic political and global economic context, the production activities of export-oriented industries and the process of timely repatriation of export value have been hindered.

As a result, the factory’s ability to pay the workers’ wages and allowances has decreased.

For this, it has become necessary to help various export-oriented industries continue the export trend while maintaining productivity.

As per Bangladesh Bank’s guidance, the industries that export 80% of the total production will be considered export-oriented industries and will get separate loans.

Moreover, the industries that have paid the workers’ wages from last May to July of this year will be considered active factories and will be verified through certificates from the concerned trade associations like the BGMEA or BKMEA.

Bangladesh Bank also said that the amount of the loan facility will not be more than the average wages and allowances of the last three months of the recipient factories.

The prevailing market rate of interest will be applicable against the loan.

Banks will directly pay the August wages of the workers as a bank (also with financial services or MFS) of the concerned workers, said the central bank.

The total debt of the factories including this loan to pay the wages of the workers should be within the single loan limit.

The Bangladesh Bank also instructed that the bank can collect this loan in equal installments in a maximum of one year with a grace period of three months in the form of a term loan.

Earlier, the leaders of the BGMEA met Bangladesh Bank Governor Ahsan H Mansur last week and demanded a loan from the interim government on easy terms to pay one month’s wages to the workers of the export-oriented garment industry.

Before that, the leaders of BGMEA made the same demand in a meeting with Finance and Commerce Adviser Salehuddin Ahmed.

news Sources :

Ctg port extends cut-off time for loading RMG export containers

The Chattogram Port Authority has extended the deadline for loading containers with ready made garment (RMG) exports into ships by 24 hours, effective for six months from September this year to February 2025. 

Exporters and carriers can bring in garments to the port yard 24 hours before the estimated departure time of the intended ship, against the previous requirement of completing loading activities 48 hours before the departure.

This extension is a response to a request from the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA).

According to the BGMEA, previously, the lead time for garment exports was 120 days. However, foreign buyers have now reduced this period to 60 days, putting pressure on exporters to meet tighter deadlines.

Without the extension, up to 30% of garment sector shipments could be delayed, potentially leading to significant financial losses and forfeited export earnings, according to garment exporters.

According to BGMEA Vice President Rakibul Alam Chowdhury, many a time delays occur in taking product-laden containers to the Chattogram inland depot. Shortage of available containers and other issues cause the delays that sometimes ultimately results in the containers not being loaded into ships at all. Extension of the cut-off time has erased those chances, he noted.

Since the implementation of the cut-off time rule on 4 April 2013, Chattogram Port has required containers to be delivered by specific times to ensure efficient loading before ships depart. 

Under the standard regulations, containers must arrive at the port by 7:30am for day tides and by 8:00pm for night tides.

With the newly announced relaxation, the cut-off time has been extended. For day tides, containers can now be delivered up until 7:30am the following day, and for night tides, the deadline extends to 8:00pm the next day. This adjustment provides a full 24-hour window for both tides.

Youngone, Ha-Meem on top, Ananta creates a stir

The top place for readymade garment (RMG) export from Bangladesh remains in the hands of foreign entrepreneurs. This time too, Youngone Corporation owned by South Korea’s Kihak Sung, topped the list of readymade garment exporters. Coming up second is the locally owned Ha-Meem Group. While exports by these groups have declined over the past two years, they still hold the two positions.

The remaining eight industrial groups in the Top 10 list of RMG exporters for the 2023-24 fiscal are Mondol Group, Ananta Group, DBL Group, Pacific Group, Palmal Group, Standard Group, Beximco and Square Group. Over the past one or two years there eight groups have advanced or fell behind, and some have dropped out.

Prothom Alo drew up this list of Top 10 exporters in the RMG industry by scrutinising the 2023-24 fiscal export figures of the National Board of Revenue (NBR). Local exports and sample exports were left out and only actual exports were taken into account.

A study of NBR’s export figures for the last three years indicates that over a span of one or two years, the overall exports by these 10 groups has declined. In 2021-22 the total exports of the Top 10 was around USD 4.86 billion. The next year this declined to USD 4.68 billion. And finally in the last financial year the total exports of these 10 groups was around USD 4.59 billion.

The decline in exports by the top groups has had an impact on overall readymade garment export. The 2021-22 fiscal is said to have been the golden year for the country’s garment export. In that financial year, garment exports totalled USD 30.34 billion. The next year, exports declined by 7.41 per cent. In the 2023-24 fiscal exports fell by another 1 per cent to USD 36.88 billion.

10 top industrial groups of FY2023-24 in readymade garment exportGraphics: Prothom Alo

The NBR figures appear after duty is collected following taxation of the export consignments. NBR exports records include the previous fiscal’s consignments of which export duty was paid in the last fiscal. Every year there is information of export information of around USD 1.5 billion which have been taken into account. This is done because if duty is not paid as yet on some consignments which were exported last fiscal, then the figures will appear in this fiscal’s records.

Youngone nearly reaches a billion dollars

As a single company, South Korea’s Youngone Group first reached near to a billion dollars in exports. Last 2022-23 fiscal the company exported readymade garments of USD 985.3 million. In the last fiscal their exports fell by 18 per cent, but they still retained the position of top RMG exporters.

Last fiscal Youngone exported readymade garments of USD 806.4 million. Other than readymade garments, this South Korean company exports various items including bags, shoes and raw material for the garment industry. It has indirect exports too.

Youngone exported readymade garments to 52 countries last financial year. It exported 34.5 million pieces of readymade garments. They export high-end garments from Bangladesh. They retain business with the German brand Adidas.

It was also through Youngone that the first private sector export processing zone started in Bangladesh. The number of Youngone factories in this export processing zone is on a steady rise. The group manufactures various types of garments from 100 per cent reprocessed polyester yarn. These garments are being supplied to Adidas, Ralph Lauren and such work famous buyers.

Ha-Meem’s exports decline

Ha-Meem group leads in readymade garment export among locally owned companies. In 2021-22 fiscal the group exported readymade garments of USD 666.6 million, placing at second position among the top RMG exporters. In a span of two years its exports fell by 12 per cent. In the past fiscal the group exported readymade garments of USD 586.7 million. Despite the decline in exports, Ha-Meem retained its second position.

Ha-Meem exports garments to 63 countries of the world. Their largest market is the US. Last fiscal the group exported USD 436 million in garments to the US, which is 74 per cent of their total exports. Their main export is pants.

Speaking to Prothom Alo, the managing director (MD) of Ha-Meem Group, AK Azad, said, “Our main market for readymade garments is the US. Last year sales of readymade garments there fell and so did the prices. That is why our exports fell too. When the US market turns around, we hope our group’s exports will pick up again too.”

Ananta Group put on an amazing performance in readymade garment exports last fiscal. For the first time the group grabbed a position on the list of Top 10 RMG exporters. And it jumped straight to the fourth place

Mondol’s exports cross half a billion

New countries are being added to the readymade garment export destinations of Mondol Group. Two years ago the group would export garments to 67 countries. That has now increased to 71. Mondol Group is seeing a steady increase in exports. Last fiscal its exports went up by 5 per cent to USD 505 million. Two years ago this was USD 478.8 million.

Mondol mostly exports T-shirts. Around one-third of its exports are T-shirts. Last fiscal the group exported 236.9 million pieces of garments. The main destination of their exports are European countries.

Abdul Majid Mondol is the founder of Mondol Group. His son Abdul Majid Mondol is presented the managing director of the group.

Ananta Group creates a stir

Ananta Group put on an amazing performance in readymade garment exports last fiscal. For the first time the group grabbed a position on the list of Top 10 RMG exporters. And it jumped straight to the fourth place. Last fiscal Ananta’s six RMG factories exported garments worth USD 465.7 million. This is 96 per cent more than the previous fiscal.

Last financial year Ananta Group exported around 85 million pieces of readymade garments to 63 countries of the world. Their buyers include GAP, Marks and Spencer, Levi Strauss, Old Navy, PVH, H&M and such world famous brands. The groups exports suits, sweaters, women’s lingerie and general garments too.

Ananta Apparels was started by the industrialist Humayun Zahir in 1991 in his own building on Elephant Road, Dhaka. In 1993 Humayun Zahir was shot dead by miscreants, after which his wife Qamrun Nahar Zahir took over the reins of the company. She is presently the company’s chairman. Elder son Sharif Zahir is the managing director and younger son Asif Zahir is the deputy managing director.

Ananta Group has seven factories at present in Adamjee EPZ, Gazipur, Kanchpur and Chattogram EPZ. They have 26,000 employees.

Speaking to Prothom Alo, the managing director of Ananta Group, Sharif Zahir said, “The garments industry saw negative growth due to the decline in purchase orders after Covid. As a strategy, we added new buyer companies and focussed in export of diverse products and high-end garments. That is why exports increased. Our target is to manufacture garment raw materials in the country. That is why we have invested in the country’s first 100 per cent synthetic fabric manufacturing factory in Narsingdi. If the factory in established within this year, then the value addition to exports will increase.”

DBL exports 199 million pieces of garments

Two years ago DBL Group’s exports were half a billion dollars. It had ranked third among RMG exporters then. Last fiscal they exported USD 461.7 billion in RMG and took fifth place.

This group exports to 58 countries including in Europe, America, the Middle East and Africa. Last fiscal it exported 187.9 million pieces of garments. So an average DBL manufactures over 500,000 pieces of garments every day. Two major buyers of DBL are C&A and H&M.

Dulal Brothers Limited or the DBL Group began in 1991 in a small factory on Green Road. The DBL Group was established by four brothers — Abdul Wahed, MA Jabbar, MA Rahim and MA Quader. While they started off with readymade garments, their businesses include ceramic tiles, IT, telecommunications, and dredging.

Vice chairman of DBL Group MA Rahim, speaking to Prothom Alo, said, “We will not venture into any new investments over the next one or two years. We will focus on consolidating our existing businesses. Our main aim in particular is to cut down waste, increase production and strengthen our supervision.”

Pacific garment’s average value 9.36 dollars

Chattogram’s Pacific Jeans Group ranks sixth in RMG exports and its exports have seen a slight rise. Last fiscal the group exports garments of USD 405 million, which was 2 per cent more than the previous year. In this span of time the group exported 43.1 million pieces of garments to 47 countries. Japan’s multinational retailer Uniclo is Pacific’s biggest buyer. Their main export product is denim garments.

The later founder of Pacific Group, Md Nasir Uddin, began his RMG business four decades ago with NZN Fashion. He was the pioneer of jeans export in Bangladesh. They have 9 factories at present.

From is founding till 2018 Pacific Jeans Group had been exporting woven garments. Then they added knitwear in their exports. However, denim remains their major export. While most garment factories in Bangladesh manufacture cheap garments, Pacific’s garment cost more on average. Last fiscal each garment of the group was exported for USD 9.36 on average.

Managing director of Pacific Group, Syed Mohammed Tanvir, told Prothom Alo, “Alongside denim, we are leaning towards diverse garments. Rather than increasing the quantity of our exports, we are paying attention to high-end and high-price garments. So while the volume of garments will not increase much, there will be value addition.”

Palmal exports to 67 countries

Ranking at seven, Palmal Group’s exports have slid down over the past two years. In 2021-22 fiscal, the group exported USD 486 million of readymade garments. In a steady downslide, this fell to YSD 378.3 million in 2023-24 fiscal.

Last fiscal the group exported 140 million pieces of garments to 67 countries. The group basically exports knit garments. The knit garments include T-shirts, Polo shirts, shorts, etc. Two major buyers of the group are Old navy and Wal-Mart.

Palmal Group was founded by entrepreneur Nurul Huq Sikder four decades ago. Presently his son Mafiz Sikder is the managing director of the group.

Standard’s exports decline

Two years ago Standard Group was in fourth position exporting USD 480 million worth of garments. But exports have declined and it now is at eighth place. Last fiscal the group exported garments of USD 362.8 million.

Standard Group basic exports woven garments. Their main woven export products is trouser pants. Last fiscal they exports 55 million pieces of garments. Their main buyers are Marks and Spencer, GAP, American Eagle, etc.

The Standard Group was started up four decades ago by two engineer friends Mosharraf Hossain and Atiqur Rahman. Now the second generation is at the helm of the group.

Chairman of Standard Group Atiqur Rahman told Prothom Alo, “Our exports declined when a Japanese buying company left Bangladesh. We are looking for new buyers. We are also endeavouring to increase our productivity and our RMG exports.”

As it is, 25 per cent of the orders for next season have been relocated. The recent attacks on factories have not been a good omen. Unless the situation improves soon, the country will face serious losses.”

Tapan Chowdhury, Chairman, Square Textiles

Beximco exports lowest in three years

Last fiscal Beximco Groups exports were the lowest in three years. Last fiscal the group exported garments of USD 314.9 million. It fell from eighth place to ninth.

The 11 companies of the group last fiscal exported 70 million garments to 39 countries. Inditex is their biggest buyer. Beximco’s diversified garments include isolation gowns and cover gowns. Last fiscal Beximco exported 21.2 million isolation gowns to the US.

Private industry and investment advisor to former prime minister Sheikh Hasina, Salman F Rahman, is in the ownership of Beximco. After the fall of the government, he is now in jail.

Square sits up too

Square has been advancing at a snail’s pace in the garment industry. Over the past five years it has always seen growth. In a matter of one year’s different the group’s exports increased by almost 2 per cent. Last fiscal the group exported garments of USD 305.6 million, managing to make it to the Top 10.

Square was started by four friends way back in 1958. The main leader was Samson H Chowdhury. After he passed away, his offspring are taking this old industrial group ahead. The grandchildren have now joined in too. While it began with pharmaceuticals, it branched out to health services, consumable goods, textiles, readymade garments, media, TV, IT, security services, banks and insurance, helicopters and agricultural products.

Square Group present exports RMG to 55 countries. Its buyers include Hugo Boss, Ralph Lauren, Marks and Spencer, Puma and other world renowned brands.

Chairman of Square Textiles, Tapan Chowdhury, told Prothom Chowdhury, “We plan to invest further in readymade garments. There is ample demand. But the change in political scenario and the incidents that have followed, have hit the RMG sector hard. The buyers are concerned about labour safety, security of the factories and whether the products can be delivered on time. As it is, 25 per cent of the orders for next season have been relocated. The recent attacks on factories have not been a good omen. Unless the situation improves soon, the country will face serious losses.”

* This report appeared in the print and online edition of Prothom Alo and has been rewritten for the English edition by Ayesha Kabir

Mondol Group secures 3rd position in top RMG export list 2024

According to the readymade garment exports list from NBR, Mandal Group’s exports are increasing consistently and are presently in the third position of the exports list.

The group’s exports rose 5 percent to $500.5 million in the last financial year 2023-24. Two years ago it was $478.8 million. New countries are being added to Mondol Group’s RMG export list.

Figure: Mondol’s export list is dominated by T-shirts which is about one-third of the total exports.

In 2021-22, the group exported garments to 67 countries which has now increased to 71 countries.

Mondol’s export list is dominated by T-shirts which is about one-third of the total exports. The group exported a total of 23.69 million pieces of garments in the last financial year. The main export destinations are European countries.

Mondol Group, one of the leading textile and apparel manufacturing companies in Bangladesh doing business successfully for about 30 years.

Mondol Group Started exporting in 1995. Initially, in 1995, the annual export was $3.20 million. Within 28 years this annual turnover dramatically increased.

The company also has 8,62,500 pcs sewing capacity, 1,25,000 kg knitting, and 1,45,000 kg woven dyeing capacity per day.

RMG workers in Chattogram return to work with assurance of due wage payment

Workers of the Well Group’s garment factory in Chattogram’s Kalurghat returned to work today (3 September) after the factory owners assured them they would be paid two months’ due wages within the current month. 

They withdrew from the movement after receiving the assurances.

Workers of Sanzi Textile Mills Limited, a garment factory of the Well Group in the Kalurghat BSCIC industrial area, organised a demonstration last afternoon (2 September), demanding the payment of outstanding wages for July and August. 

Shortly after the start of the demonstration, the factory owners reassured the workers of the payment of their due wages in the presence of police and representatives from the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA).

The factory employs about 1,350-1,400 workers.

“The owners have assured the workers to pay July’s wages by 10 September and August’s wages by 25 September. Some workers have returned to work today. Army and industrial police are patrolling the factory areas,” Ranjit Barua, assistant police superintendent (intelligence and media) of the Industrial Police in Chattogram, told The Business Standard. 

BGMEA Vice President Rakibul Alam Chowdhury said, “The workers have returned to work. So far, we have not received any reports of dissatisfaction. 

“The government has also announced incentives. We hope this situation will quickly resolve,” he added.

ভারতের কৌশল বাস্তবায়ন হলে দেশের পোশাক খাত ধ্বংসের মুখে পড়তো!

দেশের শীর্ষ রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি গেল কয়েক বছর ধরে বাড়িয়েছে দুশ্চিন্তাও। যেখানে অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে প্রতিবেশি দেশ ভারত। নিজেদের পোশাক শিল্পকে এগিয়ে নিতে নজর দেয় বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে। ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পোশাকের প্রবেশাধিকার সীমিত করতে নেয়া হয় নানা কৌশল। তবে, সেসব কৌশল বাস্তবায়ন হলে দেশের পোশাক খাত ধ্বংসের মুখে পড়তো বলে দাবি অর্থনীতিবিদ ও খাত সংশ্লিষ্টদের।

মাত্র ২৩ লাখ টাকার পোশাকের বাজার এখন প্রায় ৫ হাজার কোটি ডলার ছুঁয়েছে। আশির দশকে শুরু হওয়া এ শিল্পে যুক্ত হয়েছে শত শত কারখনা, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে শীর্ষ ১০০ কারখানার মধ্যে ৫০টিই বাংলাদেশে। আর সবুজ কারখানা দুই হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে।

দেশের শীর্ষ এ রপ্তানি খাত যত সমৃদ্ধ হয়েছে, দুশ্চিন্তা যে পিছু ছেড়েছে তা নয়। বড় ধাক্কা আসে ২০১৩ সালে। বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হলেও খাতটির জন্য পরিকল্পিত শিল্পনগরী করতে পারেনি বাংলাদেশ। যদিও এদিক থেকে অনেকটাই এগিয়েছে ভারত। বস্ত্র ও পোশাক খাতকে এগিয়ে নিতে বস্ত্র পল্লী তৈরিসহ গুজরাট, বিহার, তামিল নাডু ও অন্ধ্রপ্রদেশে নানা প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

নিজেদের পোশাক শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি ভারতের কু-নজর পড়ে বাংলাদেশের পোশাক খাতে। যার বাস্তবায়ন দৃশ্যমান হয় কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের শুরুতেই। ভারতের বাজারে তৈরি পোশাকের প্রবেশাধিকার সংকুচিত করতে নতুন বাজারের তালিকা থেকে ভারতের নাম বাদ দেয়া হয়। তবে, তীব্র সমালোচনার মুখে তা পরিবর্তন করলেও ৩০ জানুয়ারির ওই প্রজ্ঞাপনে প্রণোদনা কমানোর যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তা পরবর্তী ছয় মাসে আরও বেড়েছে।

শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাক এর পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তার পরিমাণ চার শতাংশ থেকে দেড় শতাংশ, ইউরো অঞ্চলে পোশাক রপ্তানিতে বিশেষ সহায়তা দুই শতাংশ থেকে দশমিক পাঁচ শতাংশ, নতুন বাজারে দুই শতাংশ কমানো হয়েছে। এ ছাড়া বিশেষ নগদ সহায়তা দশমিক তিন শতাংশ করা হয়েছে। এসব সিদ্ধান্তে মনোবল হারিয়েছেন তৈরি পোশাক উদ্যোক্তারা। এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে কমেছে রপ্তানিও। এসবের ভূমিকায় সাবেক বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ ছিলেন বলে দাবি রপ্তানিকারকদের।

গার্মেন্টসে পোশাক তৈরির কাজ করছেন দেশের পোশাক শ্রমিকরা।

বিজিএমইএ পরিচালক শোভন ইসলাম বলেন, ‘এই প্রণোদনাটা কমানো একটা প্রিম্যাচিউর, এর পেছনে কী উদ্দেশ্য আছে তা আমি ব্যবসায়ী চাইলেই সব বলতে পারবো না। কিন্তু অবশ্যই আমাদের মনে হয়েছে কোনো একটা মহল থেকে গাইডেডলি আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরকে দমিয়ে দেয়ার বা এই সেক্টরে আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলাম তা দমিয়ে দেয়ার চেষ্টা আমাদের এখানে দেখতে পেয়েছি।’

বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘এলটিসি গ্রাজুয়েশন তো ২০২৬ সালে, তাহলে ২০২৪ সালে কেন এটাকে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে? এখানে কোনো রহস্য আছে কি না সেটা সরকার খুঁজে বের করবে। গ্রাজুয়েশনের তিন বছর পর্যন্ত আমরা এটা পেতে পারতাম। তাহলে সরকার দেশের স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক সে সময় বা সুযোগটা না নিয়ে কেন এটাকে তড়িঘড়ি করে বন্ধ করে দেয়ার পাঁয়তারা করলো বা উদ্যোগ নিলো এটাই আমাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।’

দেশিয় কাঁচামাল শিল্প ধ্বংসেও হয়েছে নানা চক্রান্ত। দেশে প্রায় ৫১০টি স্পিনিং মিলের বাৎসরিক সুতা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে প্রায় দেড় কোটি বেল। যা পোশাক শিল্পের প্রায় ৭৫ শতাংশ সুতার চাহিদা পূরণে সক্ষম। তবুও এ খাতের অনেক উদ্যোক্তা সুতা আমদানি করেন। দেশে আমদানিকৃত সুতার প্রায় ৭৫ শতাংশই আসে ভারত থেকে। কিন্তু কেন? মূলত দেশিয় কাঁচামাল কিংবা দেশি সুতা ব্যবহারে উৎপাদিত পোশাক রপ্তানিতে যে পাঁচ শতাংশ নগদ সহায়তা দেয়া হতো তা কমিয়ে আনা হয়েছে তিন শতাংশের ঘরে। এতে তৈরি পোশাকের কাঁচামাল আমদানিতে ভারতমুখি হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আর ধ্বংসের মুখে পড়ছে ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্প।

দেশেই তৈরি করা হয় পোশাক কারখানায় ব্যবহার করা বিভিন্ন ধরনের সুতা। ছবি:

বিজিএমইএ পরিচালক বলেন, ‘ভারত থেকে শুধু একটা আমদানি পথ দিয়ে দেয়া হয়েছে যে তার থেকে নিয়ে আসলে সুতা ভালো হবে। আমাদের যে একটা অ্যাডভান্টেজ ছিল, আমরা কিন্তু প্রতিযোগিতায় ভারতের চেয়ে অলওয়েজ ভালো করছিলাম। আমাদের রপ্তানি প্রায় ভারতের রপ্তানির চেয়ে চারগুণ বেশি হয়।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশি দেশের বিষয়ে যখনই বিভিন্ন দেশের সাথে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে শেষ এক বছর, এই নির্বাচনের পর থেকে আমরা দিতে পেয়েছি।’

বিতর্কিত ভোটে নির্বাচিত আওয়ামী সরকার ১৫ বছর ধরে ভারতকে বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা দিয়ে আসছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরাও। জানান, এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে দেশের পোশাক খাত ধ্বংস হবে, পক্ষান্তরে ভারত এগিয়ে যাবে। এ অবস্থায় দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে এমন বিষয় ছাড়া ভারতের সাথে অন্য সকল চুক্তি পুনর্বিবেচনার কথা বলছেন তারা অর্থনীতিবিদরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মো. আল-আমিন বলেন, ‘এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে, যে পরিমাণ ব্যাকলক ক্রিয়েট করা হয়েছে, তা বিশেষ দেশকে সুবিধা দেয়ার জন্য, বিশেষ কর ভারত। শুধু পোশাক খাত না, ওষুধ খাতসহ আমাদের ইন্টারনাল যে বাই ইস্যুগুলো আছে বাংলাদেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্বার্থগুলো দেখা উচিত ছিল। আমাদের শিল্পগুলো যাতে দেশে বসে যায়, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে ওই খাতে কন্ট্রিবিউশন কম, এটাতে বেড়ে যায় তাহলে এটা হচ্ছে সরকারের পলিসির পার্ট। ভারতীয় পণ্য বন্ধ না হলে আমাদের দেশিয় যে শিল্পগুলো আছে সেগুলো মুখ থুবরে পড়বে।’

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে চীনের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। ভারতের অবস্থান শীর্ষ তিনে না থাকায় দেশটির পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থানে আসা খুব একটা সহজ হবে না। তবে, আওয়ামী সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যেসব সিদ্ধান্ত হাতে নিয়েছিল তা দেশের শীর্ষ এ রপ্তানি খাতের জন্য যে ইতিবাচক ছিল না তা খোলা চোখেই বোঝা যায়। তবে, তা বাস্তবায়ন হলে পোশাক খাত কোন পথে যেত? সে প্রশ্ন থেকেই যায়। তাই নতুন সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তৈরি পোশাক শিল্পকে কতটা প্রাধান্য দিবে সেটিই দেখার অপেক্ষায় রপ্তানিকারকরা।

News Sources : ekhon

RMG BANGLADESH NEWS