Home Blog Page 17

Apparel exports to US grow slightly to $7.34b in 2024

Bangladesh’s apparel exports to the United States grew by 0.75% year-on-year to $7.34 billion in 2024, despite fluctuations throughout the year. 

However, the country’s share of the US apparel market slightly declined to 9.26% from 9.37% in 2023. 

In volume, ready-made garment (RMG) shipments rose by 4.89%, reaching 2.37 billion square metres compared to 2.26 billion in 2023, according to the US Department of Commerce’s Office of Textiles and Apparel.

The year began with a challenging 36.73% drop in January exports to $547.96 million, and further declines were recorded in March, April, May, June, and July, with August showing a marginal dip of 0.20%. 

Despite early setbacks, exports rebounded in the second half of the year, with robust growth starting in September. November saw the highest single-month increase at 42.14%, followed by a 16.52% rise in December, leading to a positive overall outcome for the year.

Faruque Hassan, former president of the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association, told The Business Standard that despite challenges such as gas and electricity shortages, labour unrest, and political transitions, the industry should take satisfaction in sustaining modest growth. 

He expressed optimism for 2025, citing rising demand from Western markets, easing inflation, and lower interest rates, while emphasising Bangladesh’s potential to benefit from the China-US trade war, provided internal factors like political stability improve.

Echoing Faruque’s comments, Abdullah Hil Rakib, managing director of Team Group, agreed, noting the opportunity for Bangladesh to expand in the US market as businesses shift from China. 

He highlighted that the US government’s plan to impose a 10% import duty on Chinese goods could further benefit Bangladesh. 

However, Rakib criticised the lack of government support, saying, “The government has shown no intention of aligning policies with the industry’s needs.” 

He urged a review of policies based on IMF recommendations, warning that without reforms, the industry could stagnate. Drawing from Singapore’s growth without IMF prescriptions, Rakib suggested Bangladesh explore alternative strategies.

Apparel exports to US see steady rise over the decade

Over the past decade, Bangladesh’s apparel exports to the US have steadily increased, solidifying its position as a key supplier. 

From 2015 to 2024, shipments grew by 35.87% in value and 26.62% in volume, reaching $7.34 billion in 2024. Exports fluctuated from $5.40 billion in 2015 to a dip in 2016 and 2017, before recovering in 2018 and 2019. 

A decline to $5.23 billion in 2020 was followed by a strong rebound in 2021, rising 36% to $7.14 billion, according to the government data.

The peak came in 2022, with exports hitting $9.73 billion, before dipping 25% to $7.29 billion in 2023 due to global economic factors. 

Bangladesh remains the third-largest apparel exporter to the US, with a 9.26% market share, while China and Vietnam dominate with 20.83% and 18.90% shares, respectively. 

Total US apparel imports reached $79.26 billion in 2024, a 1.71% increase from the previous year.

১৫ শতাংশ শ্রমিক চাইলেই ট্রেড ইউনিয়ন করা যাবে

কোনো কারখানার ১৫ শতাংশ শ্রমিক একমত হলেই সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে। এমন বিধান যুক্ত করে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে। বর্তমান আইনে ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতির বিধান রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সংশোধিত শ্রম আইনে সংযোজন, বিয়োজন ও নতুন মিলিয়ে শতাধিক ধারায় পরিবর্তন আসছে। এর মধ্যে কিছু ধারা নতুন করে যুক্ত হচ্ছে, কিছু বাদ দেওয়া হচ্ছে। আর কিছু ধারা সংশোধন করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে একমত হয়েছে শ্রম আইন সংশোধনে গঠিত ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (টিসিসি)।

সরকারের পক্ষ থেকে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতির কথা বলা হলেও শ্রমিক সংগঠনগুলো চায় ২০ জন শ্রমিকের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার। আর আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) চায় ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে কোনো সুনির্দিষ্টসংখ্যক শ্রমিকের সম্মতির বিধান না থাকুক।

২০০৬ সালে শ্রম আইন প্রণয়নের পর এবার তৃতীয় দফায় তা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৩ ও ২০১৮ সালে দুই দফা আইনটি সংশোধন করা হয়েছিল। শ্রম আইন সংশোধনে সম্প্রতি শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে সভাপতি করে ৬০ সদস্যের নতুন টিসিসি গঠিত হয়েছে। সরকার, মালিক ও শ্রমিক তিন পক্ষের ২০ জন করে মোট ৬০ সদস্য রয়েছেন টিসিসিতে। এর সহসভাপতি শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তাঁর সভাপতিত্বে গত ৮, ১৫ ও ২৯ জানুয়ারি তিন দফা বৈঠক হয়েছে। আজ ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রম উপদেষ্টার সভাপতিত্বে বৈঠকে সংশোধিত আইনের চূড়ান্ত খসড়া তৈরির কথা রয়েছে।

শ্রমিকদের জন্য গঠিত অংশগ্রহণ তহবিলের ব্যবহারের বিধানেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বিদ্যমান নিয়মে বলা আছে, প্রতিবছর এই তহবিলে জমা অর্থের দুই-তৃতীয়াংশ সমান অনুপাতে সব সুবিধাভোগীর মধ্যে নগদে বণ্টন করা হবে। বাকি এক-তৃতীয়াংশ বিনিয়োগ করা যাবে, যার মুনাফা সব সুবিধাভোগীর মধ্যে সমান হারে বণ্টন করা হবে। এখন বলা হয়েছে, প্রতিবছর এই তহবিলে জমা অর্থ সমান অনুপাতে সব সুবিধাভোগীর মধ্যে বণ্টন করা হবে।

টিটিসির পক্ষ থেকে এরই মধ্যে আইনে আরও যেসব সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে—কোনো ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতিসহ শীর্ষ নেতাদের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বদলি করা যাবে না। বর্তমান আইনে এ ধরনের ব্যক্তিদের বদলি করতে না পারার বিধান রয়েছে। এ ছাড়া কোনো শ্রমিককে অন্যায্যভাবে বরখাস্ত করা হলে সরকার তাঁকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিতে পারবে বলেও বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। যদি কোনো কারখানা কর্তৃপক্ষ চাকরি পুনর্বহালে ব্যর্থ হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের আদেশ দিতে পারবে সরকার। ট্রেড ইউনিয়নের মেয়াদ হবে দুই বছরের পরিবর্তে তিন বছর।

শ্রম আইন নিয়ে কাজ করা আইনজীবী জাফরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আইএলও ও শ্রমিকপক্ষ চায় সহজে ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ। মালিকপক্ষের সহযোগিতা না থাকলে যত শিথিলই করা হোক না কেন, তা কার্যকর হবে না। তিনি মনে করেন, সরকারের সদিচ্ছার অভাব ও মালিকপক্ষের অসহযোগিতার কারণেই বিদ্যুৎসহ অনেক খাতের ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধন ঝুলে আছে।

শ্রমিকদের জন্য গঠিত অংশগ্রহণ তহবিলের ব্যবহারের বিধানেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বিদ্যমান নিয়মে বলা আছে, প্রতিবছর এই তহবিলে জমা অর্থের দুই-তৃতীয়াংশ সমান অনুপাতে সব সুবিধাভোগীর মধ্যে নগদে বণ্টন করা হবে। বাকি এক-তৃতীয়াংশ বিনিয়োগ করা যাবে, যার মুনাফা সব সুবিধাভোগীর মধ্যে সমান হারে বণ্টন করা হবে। এখন বলা হয়েছে, প্রতিবছর এই তহবিলে জমা অর্থ সমান অনুপাতে সব সুবিধাভোগীর মধ্যে বণ্টন করা হবে।

সংশোধনের ব্যাপারে চূড়ান্ত খসড়া দাঁড় করানোর কাজ চলছে। এরপর তা যাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে।

শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান

সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, বেসরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানে ১০০ জন স্থায়ী শ্রমিক থাকবেন, সেখানে ভবিষ্য তহবিল (প্রভিডেন্ট ফান্ড) গঠন বাধ্যতামূলক। বর্তমানে তিন-চতুর্থাংশ শ্রমিকের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে এ ধরনের তহবিল গঠনের বিধান রয়েছে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত সংশোধনীর ১০১ ধারার মধ্যে ৭৯টির ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিসিসি। ২২টির ব্যাপারে ফায়সালা হয়নি।

শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, সংশোধনের ব্যাপারে চূড়ান্ত খসড়া দাঁড় করানোর কাজ চলছে। এরপর তা যাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে। উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন করলেই সংশোধিত আইনটি অধ্যাদেশ আকারে জারি হবে। তিনি বলেন, ‘আগামী মাসের মধ্যেই এটি করার পরিকল্পনা রয়েছে। জেনেভায় আইএলও কার্যালয়ে আমরা মার্চের কথাই বলে এসেছি।’

নারীশ্রমিকের জন্য যেসব পরিবর্তন

নারীশ্রমিকদের প্রসূতি ছুটি ১১২ দিনের পরিবর্তে ১২০ দিন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমান আইনে আছে, নারীশ্রমিক সন্তান প্রসবের ৫৬ দিনের মধ্যে কোনো কাজ করবেন না। সেটি এখন ৬০ দিন করা হচ্ছে।

বর্তমানে চা–বাগানের ক্ষেত্রে মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি রয়েছে প্রতি ২২ দিন কাজের জন্য এক দিনের। নতুন নিয়মে হবে প্রতি ১৮ দিনের জন্য এক দিনের। উৎসব ছুটিও দুই দিন বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। প্রতি পঞ্জিকাবর্ষে প্রত্যেক শ্রমিকের উৎসব ছুটি হবে ১১ দিনের পরিবর্তে ১৩ দিন।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার বলেন, ছোটখাটো কিছু ধারা সংশোধনের মাধ্যমে আপাতদৃষ্টে মনে করা হচ্ছে, নারীশ্রমিকের সুবিধা বাড়ছে। কিন্তু নারীশ্রমিকদের প্রসূতি ছুটিবিষয়ক ধারাটি যেভাবে বদল করা হচ্ছে, তাতে তাদের মজুরি কমে যেতে পারে। তিনি শ্রম কমিশনের প্রতিবেদন জমা হওয়ার পর শ্রম আইন সংশোধনের পক্ষে। তাঁর মতে, কমিশনের প্রতিবেদনে অনেক সুপারিশ উঠে আসার কথা, যা শ্রম আইন সংশোধনে সহায়ক হবে।

শ্রমিকের প্রতি বৈষম্য নয়

‘শ্রমিকদের প্রতি বৈষম্য নিষিদ্ধ’ নামে একটি নতুন ধারা যুক্ত করা হচ্ছে। বলা হয়েছে, কোনো নিয়োগকর্তা কোনো কর্মীর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারবেন না। জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ, ধর্ম, রাজনৈতিক মতামত, জাতীয়তা, সামাজিক অবস্থান, বংশ বা প্রতিবন্ধিতার কারণে কোনো ব্যক্তিকে আলাদা করা, বাদ দেওয়া বা কম গুরুত্ব দেওয়া যাবে না।

কারখানায় শিশু-কিশোরদের নিয়োগের জন্য দণ্ড ৫ হাজার টাকার পরিবর্তে হবে ২৫ হাজার টাকা এবং বেআইনি ধর্মঘটের জরিমানা ৫ হাজার টাকার বদলে ২০ হাজার টাকা করার কথা বলা হয়েছে।

মালিকপক্ষের প্রতিনিধি বাংলাদেশ নিট পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রথম আলোকে বলেন, আইএলও চায় ট্রেড ইউনিয়নের সহজীকরণ। সে জন্য ১০ জন মিলেও যাতে ট্রেড ইউনিয়ন করা যায়, এটা তারা চায়। এমনকি শ্রমিকেরাও তা চান। কারখানার মালিকেরা ১৫ শতাংশে রাজি হয়েছেন। সংখ্যায় করা হলে তা বাস্তবসম্মত হবে না।

ভবিষ্য তহবিল বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘এটা ঠিক হবে না। এমনকি শ্রমিকেরাও তা চান না। এ রকম ১৫টির মতো বিষয়ে আমরা এখন পর্যন্ত একমত হইনি। আমাদের মতামত ছাড়াও সরকার আইন সংশোধন করতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমাদের কারখানা গুটিয়ে চলে যেতে হবে।’

মালিক-শ্রমিক মিলে শ্রম আইনের ১০১টি ধারা নিয়ে কাজ হচ্ছে, যা ইতিবাচক। তবে আইনটি এখনো আন্তর্জাতিক মানের বা সর্বজনীন হচ্ছে না। অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে না শ্রমিকদের ন্যূনতম অধিকারকে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান আহমেদ

যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ যা চায়

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া অঞ্চলের একটি দল গত বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশের শ্রম অধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে একটি কর্মপরিকল্পনা জানিয়ে যায়। ১১ দফার ওই কর্মপরিকল্পনার প্রথমটিই হচ্ছে ট্রেড ইউনিয়ন নেতা, শ্রমিক ও শ্রম অধিকারকর্মীদের যাঁরা নিপীড়ন করেন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালান, তাঁদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

এরপরই রয়েছে শ্রমিক নেতা ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কাজ করে, এমন কারখানার মালিক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহির আওতায় আনা। এ ছাড়া রয়েছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ট্রেড ইউনিয়নগুলো যে মানের অধিকার ভোগ করে, সে অনুযায়ী বাংলাদেশের শ্রম আইন ও বিদ্যমান শ্রমবিধি সংশোধন।

আরও রয়েছে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলগুলোর (ইপিজেড) শ্রমিকেরা যাতে পুরোদমে ট্রেড ইউনিয়ন করতে পারেন, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; শিশুশ্রম বিলোপ ও শ্রমিকবিরোধী সব ধরনের সহিংসতা নিরসনসহ শ্রমিকবান্ধব শ্রম আইন করা ইত্যাদি। ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) প্রায় একই ধরনের কথা বলে আসছে।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে শ্রমিক অধিকার-সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান আহমেদ বলেন, মালিক-শ্রমিক মিলে শ্রম আইনের ১০১টি ধারা নিয়ে কাজ হচ্ছে, যা ইতিবাচক। তবে আইনটি এখনো আন্তর্জাতিক মানের বা সর্বজনীন হচ্ছে না। অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে না শ্রমিকদের ন্যূনতম অধিকারকে।

Study flags child labour in Bangladesh’s RMG, industry leaders call it baseless

A recent study by two foreign organisations flagged the presence of child labour in Bangladesh’s ready-made garment (RMG) sector, but industry leaders dismissed the findings as baseless.

The UK’s University of Nottingham’s Rights Lab and US-based GoodWeave International conducted the study to assess modern slavery and child labour risks in the RMG industry.

The study report, published in early January, found child labour is present in RMG export supply chains in Bangladesh, especially via subcontracted factories. 100% of the minors interviewed during the study were illegally employed as child labourers in RMG factories.

Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) Support Committee Director Shams Mahmud told TBS, “These types of reports are nothing more than baseless write-ups. The 100% export-oriented factories under BGMEA, BKMEA, and BTMA, along with international agencies like the ILO and various Bangladesh government departments, have been working relentlessly to ensure a transparent, accountable, and ethical supply chain.”

The study also found exploitative workplace practices, hazardous conditions for young workers, and low wages at both exporter and subcontracted worksites, among other risks.

Though efforts are underway to improve conditions in the RMG sector, worker exploitation still prevails in hidden, subcontracted supply chain tiers linked to global export, the study report said.

According to the report, data was gathered through surveys and focus group discussions with over 2,000 adult and minor workers across 20 industrial clusters in Dhaka and Chattogram — key RMG production hubs.

Key findings published in the report, titled “Modern slavery and child labour in Bangladesh’s garment sector: documenting risks and informing solutions,” include:

Around 32% of adult RMG workers surveyed are being paid below minimum wage, and 7% of respondents’ income leaves them living below the international poverty line.

Almost a third of factory-based workers report working more than ten hours per day, six days per week, which exceeds the maximum limit for regular and overtime hours set by international and Bangladeshi law and is an indicator of forced labour.

While more women than men work in the RMG sector, they earn on average Tk2,000 ($18) less per month than their male counterparts.

56% of factory workers surveyed have experienced threats or abuse at their current job — 68% of adult workers and 90% of minors who reported abuse were female.

The report provided recommendations for the Bangladeshi government, international buyers, local garment suppliers, non-governmental organisations and trade unions to improve supply chain transparency, conduct risk-based human rights due diligence, adequately compensate workers, mitigate child and forced labour, and establish effective grievance mechanisms.

“Our extensive research on modern slavery in supply chains shows that manufacturing is one of the high-risk industries for forced labour. We are pleased to work with GoodWeave and Bangladesh Labor Foundation on this new research to understand the scale and nature of exploitation in garment production and identify the critical areas where change can help to ensure decent work conditions,” said Zoe Trodd, director of The Rights Lab.

Jon Jacoby, CEO at GoodWeave International, said, “This report by GoodWeave and The Rights Lab highlights persistent risks of exploitation in the hidden tiers of Bangladesh’s garment supply chain while proposing systemic and scaled solutions.

“By joining forces for more effective due diligence, brands, suppliers, governments, trade unions, and civil society can protect the rights and dignity of vulnerable workers and children while supporting the sustainable growth of this crucial industry for Bangladesh. Let’s roll up our sleeves and take the high road — together,” he added.

Bangladesh’s RMG leaders push back

Shams Mahmud, also managing director of Shasha Denim Ltd, said, “Bangladesh has become a benchmark for this in international sourcing, and the commitment of brands, along with the ever-increasing orders and exports, is a validation of this.

“These types of reports are usually released by pressure groups seeking funding through yellow journalism. With the strict sourcing regulations in Bangladesh, no member factories of BGMEA, BKMEA, or BTMA can be linked to this story,” he said, adding that they should publish the names of the factories they surveyed, along with documentary and video evidence.

Echoing Shams, Sparrow Group Managing Director Shovon Islam said, “This survey report seems like preset propaganda against the country’s RMG industry. There is no child labour in any export-oriented garment factories in Bangladesh. The industry was declared child labour-free decades ago.”

He questioned the survey’s location, asking, “Was it conducted in handloom factories that produce lungis for local people?”

The UK university should share their findings, including factory names, with BGMEA, BKMEA, and the labour ministry’s Department of Inspection for Factories and Establishments (DIFE), Shovon said.

“The apparel industry is highly compliant at this time. The ILO, Better Work Initiative, DIFE, and BGMEA closely monitor it,” he said.

Shovon said the Better Work Improvement Cycles conduct thorough audits on safety and labour practices. “If they find any violations, they make them public through their portal. They also send notifications about their findings to all brands and buyers. Additionally, brands conduct several audits every month, along with third-party audits every three months,” he added.

পোশাক শিল্পে বড় সংকটের পূর্বাভাস

গ্যাসের নতুন মূল্যবৃদ্ধির খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের বস্ত্র ও পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, উৎপাদন খরচ বাড়ছে, যা পোশাক রপ্তানির স্থবিরতা ও শিল্পের সংকটে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি এবং ব্যাংক খাতের সংকটের পাশাপাশি, শ্রমিক অসন্তোষ ও অন্যান্য সমস্যার কারণে ইতোমধ্যে উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

বর্তমানে, সরকারের গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটার ৭৫ টাকা করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা শিল্পখাতে প্রায় ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটাবে। ব্যবসায়ীদের মতে, যদি এই দাম কার্যকর হয়, তবে বছরে প্রায় ১৭ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে, যা পোশাক রপ্তানি আয়ের প্রায় ১.৫ শতাংশ হবে।

এছাড়া, টেক্সটাইল শিল্পের ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো, যা দেশে মোট গ্যাস সরবরাহের প্রায় ১০ শতাংশ ব্যবহার করে, তাদের জন্যও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ব্যাপকভাবে ক্ষতিকর হতে পারে। এর ফলে, পোশাক শিল্পের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এর আগে, পোশাক শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি কমে গেছে, যা বিনিয়োগের স্থবিরতার চিত্র ফুটিয়ে তোলে। এই পরিস্থিতি শিল্পখাতে গভীর সংকট সৃষ্টি করছে এবং শিল্পের উৎপাদন খরচও ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে।

এদিকে, ব্যবসায়ীরা গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি টেকসই, প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণের নীতিমালা প্রণয়নের দাবি করেছেন। তারা আরো বলেছেন, যদি গ্যাস সরবরাহে সংকট থাকে, তবে সিএনজি স্টেশন থেকে সিলিন্ডারের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা এবং গ্যাস সরবরাহে অবিচ্ছিন্নতা নিশ্চিত করার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা উচিত।

Over 100 RMG units fail to pay Dec wages: Industrial Police

As of the last week of January, 104 apparel factories have yet to pay wages and allowances to their employees for December, according to a report by the Industrial Police.

Industrial Police data revealed that these factories are spread across six industrial zones in the country. 

Gazipur recorded the highest number, with 55 factories, followed by Ashulia with 18, Narayanganj with 14, and Chattogram with 12. Mymensingh and Cumilla had the lowest numbers, with four and one factory, respectively.

The report, presented at the law and order coordination meeting at the Secretariat in the last week of January, highlighted that these factories failed to pay wages due to low orders and financial crises. 

As per labour law, employers must pay workers within the first seven working days of the following month.

However, several factory owners listed in the report denied the claims, stating that they had already paid wages and allowances to their workers, though some still had outstanding payments for their staff.

Most factory owners declined to comment when contacted.  

Speaking to The Business Standard, Md Sibgat Ullah, deputy inspector general of the Industrial Police, said the list is updated daily based on factory payments.  

Among the non-paying factories is Alema Textile Limited, based in Bhogra, Gazipur. Its Head of Administration Mohammad Selim said while they had paid workers’ wages, payments for managerial staff were still pending.  

“We are facing financial difficulties, but we paid the workers’ wages in the third week of January,” he said. “Inditex, the world’s largest fast-fashion group, was our biggest buyer. Suddenly, it stopped doing business with us, creating challenges for us.”  

He explained that Pull&Bear once accounted for about 70% of the factory’s production capacity. At that time, the factory produced approximately 60,000 pieces of apparel daily. After losing that buyer, daily production dropped to 15,000 pieces.

As a result, a factory with 42 production lines could only operate 13. He added that onboarding a new brand takes at least six months.

Following six months of effort, the factory now operates 28 lines and produces 40,000 pieces of apparel daily. He expressed hope for better days ahead for the company.  

Another factory on the list, Mahmud Jeans in Gazipur has not been operational for a long time due to a gas crisis. Following worker unrest at the factory, its owner Rafi Mahmud was assaulted by workers in November last year.

Among other non-paying factories, Sheikh Abdullah, managing director of Al Muslim Washing Ltd, and Hasan Abdullah, managing director of DRESSMEN Group, did not respond to calls from this correspondent.

Kattali Textile Limited, a publicly listed apparel factory based in Chattogram, was also named in the report.

Its HR official Ashraful Islam said they had cleared workers’ payments on 27 January.

জানুয়ারিতে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ৫.৭ শতাংশ

গত জানুয়ারিতে তৈরি পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় পাঁচ দশমিক সাত শতাংশ বেড়েছে।

গতকাল সোমবার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যে জানা গেছে, জানুয়ারিতে রপ্তানি হয়েছে চার দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। গত বছর একই মাসে রপ্তানি হয়েছিল চার দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।

পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় পাঁচ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়ে তিন দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। তবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং পাটের মতো অন্যান্য প্রচলিত পণ্যের রপ্তানি কমেছে।

জানুয়ারির রপ্তানি আয়ের কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে মোট রপ্তানি আয় প্রায় ১২ শতাংশ বেড়ে ২৮ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার।

তৈরি পোশাক ছাড়াও জুলাই থেকে জানুয়ারিতে কিছু পণ্য ভালো পরিমাণে রপ্তানি হয়েছে।

যেমন, হিমায়িত মাছ রপ্তানি বছরে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৮৩ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন ডলার।

ইপিবির তথ্য বলছে, জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত কৃষিপণ্য রপ্তানি ১০ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬৭৩ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন ডলার।

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ওষুধ রপ্তানি ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ বেড়ে ১৩২ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।

প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি ২৪ দশমিক ৩২ শতাংশ বেড়ে ১৮১ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি ৩৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়ে ৬৬৯ দশমিক শূন্য তিন মিলিয়ন ডলার হয়েছে।

জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত বাইসাইকেল রপ্তানি ৬৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬৩ দশমিক শূন্য চার মিলিয়ন ডলার। চামড়া-বহির্ভূত জুতা রপ্তানি ৩৪ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩১৮ দশমিক শূন্য নয় মিলিয়ন ডলার।

ইপিবির তথ্য বলছে—হোম টেক্সটাইল রপ্তানি ছয় দশমিক ২২ শতাংশ বেড়ে ৪৯৩ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ডলার ও বিশেষায়িত টেক্সটাইল রপ্তানি ২০ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে ২২৯ দশমিক ৭০ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।

কৃত্রিম ফিলামেন্ট রপ্তানি ২৪ দশমিক ৯১ শতাংশ বেড়ে ২৩১ দশমিক ১৮ মিলিয়ন ডলার এবং তুলা ও তুলা পণ্য রপ্তানি ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়ে ৩৬৯ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।

এ ছাড়াও, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত হস্তশিল্প রপ্তানি ১৫ দশমিক ১৮ শতাংশ বেড়ে ২৩ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘দেশি-বিদেশি সংকট উপেক্ষা করে পোশাক রপ্তানি বাড়ছে।’

তিনি আশা করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি লাভবান হতে পারে।

গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে কার্যকর শুল্কের হার ৩৫ শতাংশে উন্নীত করেছেন।

ফারুক হাসান আরও বলেন, ‘মেক্সিকান পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশও লাভবান হবে। কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মেক্সিকো প্রধান পোশাক উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে।’

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে চীনা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের পর এই পরিবর্তন আনা হলো। পরে, চীনা নির্মাতারা যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তির (ইউএসএমসিএ) অধীনে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা নেয় এবং মেক্সিকোয় বিনিয়োগ করতে ভিড় করে।

জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ১২ শতাংশ বেড়ে মোট ২৩ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ডেইলি স্টারকে জানান, চলতি অর্থবছরের পোশাক রপ্তানির সঙ্গে ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনা করলে দেখা যায়, দুই বছর মেয়াদে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র এক দশমিক ৩৮ শতাংশ।

গত চার মাসে (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) টানা দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জনের পর জানুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি কমে হয়েছে পাঁচ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এক মাসে রপ্তানি আয় ছিল তিন দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার।

নিটওয়্যার পোশাক রপ্তানি ছয় দশমিক ৬২ শতাংশ ও ওভেন পোশাক রপ্তানি চার দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়েছে।

মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান উৎসাহব্যঞ্জক হলেও এ শিল্প যেসব সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে পণ্যের দাম ও উৎপাদন খরচের চাপ তা পুরোপুরি প্রতিফলিত হয়নি।

তার মতে, এই প্রবণতাকে প্রভাবিত করে এমন নির্দিষ্ট কারণগুলো শনাক্ত করতে আরও বিশ্লেষণ প্রয়োজন। যেমন, বাজার-নির্দিষ্ট কর্মক্ষমতা, পণ্য ও বাজার পরিস্থিতি এবং অন্যান্য বিষয়।

গত বছর বৈশ্বিক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে পণ্যের দাম নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা দেখা দিয়েছে।

মহিউদ্দিন রুবেল আরও বলেন, ‘চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে পোশাক খাতে রপ্তানি বেড়ে যাওয়ার সুযোগ আছে।’

তবে ধারাবাহিক জ্বালানি সরবরাহ এবং স্থিতিশীল আর্থিক ও ব্যাংকিং খাতসহ ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাড়াতে বেশ কয়েকটি অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।

প্যারিসের অ্যাপারেল সোর্সিংয়ে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের ২৭ কোম্পানি

প্যারিসের অ্যাপারেল সোর্সিংয়ে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ডেনিম এবং ফ্যাব্রিক উৎপাদনকারি ২৭টি কোম্পানি। আগামী ১০ থেকে ১২ ফ্রেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী প্যারিসের ‘লি বুর্গেট এক্সিবিশন সেন্টারে’ এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

এই টেক্সওয়ার্ল্ডে সারাবিশ্বের বায়ারদের আকৃষ্ট করতে প্রায় ৩১টি দেশ থেকে ১ হাজার ২০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করবে।

মেলায় অংশগ্রহণকারী ২৭টি বাংলাদেশি কোম্পানির মধ্যে অন্যতম কোম্পানিগুলো হলো- আরন ডেনিম লিমিটেড, হুরাইন এইচটিএফ, এনজেড ডেনিম, সারা ফ্যাশনওয়্যার এবং নেক্সজেন অ্যাপারেল। এরা প্রত্যেকেই তাদের উদ্ভাবিত পণ্য পৃথকভাবে উপস্থাপন করবে।

এছাড়াও প্যাসিফিক স্পোর্টস, এশিয়া লিংক ডিজাইন, ফ্ল্যাশ অ্যাপারেলস, কোয়ালিটি অ্যাপারেলসসহ অন্যান কোম্পানিগুলো রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ব্যানারে মেলায় অংশগ্রহণ করবে।

বৈশ্বিক ফ্যাশন ও টেক্সটাইল বাজারে প্যারিসের অ্যাপারেল সোর্সিংয়ের এই মেলাটি নেটওয়ার্কিং, ব্যবসায়িক উন্নয়ন এবং বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে বাংলাদেশের প্রাণবন্ত পোশাক শিল্পকে উপস্থাপন করার একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। কারণ মেলায় চীন, তুরস্ক, ভারত, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান এবং তাইওয়ানের মতো অন্যান্য প্রধান উৎপাদনকারী বিভিন্ন দেশর সঙ্গে বাংলাদেশকে বিষেশভাবে উপস্থাপন করা হবে।

দেশে সুতা আমদানি বেড়েছে, সিংহভাগ এসেছে ভারত থেকে

২০২৪ সালে বাংলাদেশে আগের বছরের চেয়ে সুতা আমদানি বেড়েছে, যার সিংহভাগ এসেছে ভারত থেকে।

স্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারকরা বলছেন, গত বছর পশ্চিমা বাজারে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়ায় বেশি সুতা আমদানি করেছে বাংলাদেশ।

তৈরি পোশাকের বাজারে প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে এগিয়ে থাকতে, সময়মতো রপ্তানি চালান সরবরাহ করতে ভারত থেকে সুতা আমদানির দিকে ঝুঁকেছে বাংলাদেশ। এছাড়া দেশের সুতার মিলগুলো অপর্যাপ্ত গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের সঙ্গে লড়াই করছে।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বাংলাদেশ ১২ লাখ ১৫ হাজার টন সুতা আমদানি করেছে, যা ২০২৩ সালের নয় লাখ ২৪ হাজার টন থেকে ৩১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি।

মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ৩০০ কোটি ডলার, যার ৯৫ শতাংশ এসেছে ভারত থেকে।

এছাড়া গত বছরের আগস্টে দেশের পট পরিবর্তনের পর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও শ্রমিক অসন্তোষের সময় অনেক মিল বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয় সুতা ও ভারত থেকে আমদানি করা সুতার মধ্যে প্রতি কেজিতে দামের পার্থক্য ২০ থেকে ২৫ সেন্ট। এতে পোশাক রপ্তানিকারকরা দেশে উৎপাদিত

সুতার চেয়ে ভারত থেকে আমদানি করা সুতার ওপর বেশি উৎসাহী হয়ে উঠেছেন।

মালেক স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিন চৌধুরী বলেন, ‘দেশি সুতার চেয়ে আমদানি করা সুতার দাম কম। তাছাড়া দেশের সুতা খাত বেশ কয়েক বছর ধরে অপর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহে ভুগছে। এতে উৎপাদন ক্ষমতা কমেছে।’

তার ভাষ্য, এই পরিস্থিতির মধ্যেও ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সরকার গ্যাসের দাম ১৫০ শতাংশ বাড়ায়, এতে দেশে সুতার উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।

‘এছাড়া গত বছরের রাজনৈতিক ও শ্রমিক অস্থিরতার কারণে মিল মালিকরা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কারখানা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল,’ বলেন তিনি।

তিনি মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ সরকার টেক্সটাইল ও পোশাকের ওপর প্রণোদনা কমানোর ফলে সুতা উৎপাদনও প্রভাবিত হয়েছে। অন্যদিকে ভারত সরকার টেক্সটাইল ও পোশাক ব্যবসায়ীদের জন্য বিভিন্ন ধরণের নগদ প্রণোদনা বাড়িয়েছে। তাই ভারত বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম দামে সুতা সরবরাহ করতে পারে। ব্যবসায়ীদের জন্য উৎপাদন খরচ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, বাংলাদেশে সুতার চাহিদা বাড়ছে বলে অনেক ভারতীয় ব্যবসায়ী ইতোমধ্যে ইন্দো-বাংলা স্থলবন্দরের কাছে ওয়্যারহাউস খুলেছেন। যেন তারা দ্রুত সময়ে পর্যাপ্ত সুতা সরবরাহ করতে পারে।

তিনি বলেন, ‘ভারত সরকার টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দিচ্ছে এবং তাদের রপ্তানিকারকরা ভালো করছেন। তাই ভারতীয় মিলাররা অনেক কম দামে সুতা সরবরাহ করতে পারে।’

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, দেশের মিলাররা সুতা সরবরাহে সক্ষম হলেও মূলত চারটি কারণে বাংলাদেশে সুতা আমদানি বেড়েছে। প্রথমত, গত বছর সরকার দেশি সুতার নগদ প্রণোদনা চার শতাংশ থেকে কমিয়ে এক দশমিক পাঁচ শতাংশ করেছে। ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রস্তুতির একটি অংশ ছিল এটি।

তিনি বলেন, ফলে স্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারকরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সুতা আমদানি করতে শুরু করে। কারণ দামের পার্থক্য কেজিপ্রতি ২০-২৫ সেন্ট।

দ্বিতীয় কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়ায় বাংলাদেশে পর্যাপ্ত সুতার প্রয়োজন। তবে দেশীয় মিলাররা পর্যাপ্ত পরিমাণে ও সময়মতো প্রয়োজনীয় সুতা সরবরাহ করতে পারছেন না। সাধারণত চীন ও ভারত এ ধরনের সুতার প্রধান উত্পাদক ও সরবরাহকারী।

তৃতীয়ত, ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ও আন্তর্জাতিক পোশাক খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোর কাছ থেকে আরও ভালো দাম পেতে দেশে মানবসৃষ্ট ফাইবারের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশে এখনো মানবসৃষ্ট ফাইবারের পর্যাপ্ত সক্ষমতা নেই এবং তাই এটি আমদানির জন্য ভারত ও চীনের উপর নির্ভর করতে হয়।

তিনি আরও বলেন, দেশে মানবসৃষ্ট সুতার সঙ্গে চীনা নন-কটন সুতার দামের ব্যবধান কেজিপ্রতি ৫০-৬০ সেন্ট।

চতুর্থত, সব ধরনের সুতার জন্য দাম একটি বড় বিষয়, কারণ ভারত অনেক কম দামে পর্যাপ্ত এবং দ্রুত সুতা সরবরাহ করতে পারে।

এদিকে বাংলাদেশে সুতার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে অবৈধভাবে সুতা পাচারের অভিযোগ করেন বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল। সরকারের উচিত প্রাথমিক বস্ত্র খাতে ২৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে নীতি সহায়তা দেওয়া।

RMG exports surge 12pc in July-January, reaching $23.55b

Bangladesh’s RMG exports witnessed a growth of 12 per cent during July 2024-January 2025, reaching a total of USD 23.55 billion, indicating a positive trend.

However, when comparing the RMG export figures of July 2024-January 2025 with that of July 2022-January 2023, the growth was only 1.38 per cent.

After experiencing consecutive double-digit growth in the past four months (September-December), the growth in January 2025 slowed down to 5.57 per cent, with a single-month export value of USD 3.66 billion, said Mohiuddin Rubel, former director of BGMEA on Monday.

The knitwear sector posted a relatively higher growth of 6.62 per cent, while the woven garment export growth recorded 4.52 per cent.

While the growth figures are encouraging, they do not fully reflect the challenges faced by the industry, particularly the pressure on prices and costs.

Further analysis is required to identify the specific factors influencing this trend, such as market-specific performance, product and market concentration, and other variables, Rubel said.

The global trade is estimated to have shrunk significantly last year, leading to intense price competition.

Amidst the looming trade war, there are some opportunities for Bangladesh’s RMG sector, he said.

However, several priorities need to be addressed to support business operations, including energy security and financial/banking sector stability, Rubel said.

স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ চায় বিটিএমএ

দেশের টেক্সটাইল খাতের স্বার্থে সব স্থলবন্দরের কাস্টম হাউস ব্যবহার করে সুতা আমদানি বন্ধ করার অনুরোধ করেছেন বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তারা। স্থলবন্দরের পরিবর্তে তারা সমুদ্রবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির পরামর্শ দিয়েছেন। সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টাকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)।
চিঠিতে বলা হয়েছে, স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে দেশের টেক্সটাইল শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এতে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। ফলে বিদেশি সুতার ওপর নির্ভরশীলতা বেড়ে যাবে। বেকারত্বের সংখ্যাও বাড়বে।

বিটিএমএ বলছে, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, ডলারের সংকট, অস্বাভাবিক সুদহার, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের শর্ত পূরণের অজুহাতে রপ্তানির বিপরীতে নগদ প্রণোদনার অস্বাভাবিক হ্রাস এবং টাকার অবমূল্যায়নসহ নানা কারণে টেক্সটাইল খাত সমস্যার মুখে পড়ে। এর মধ্যে ভারত থেকে বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে কাস্টম হাউস ব্যবহার করে ডাম্পিং মূল্যে সুতা ও কাপড় স্থানীয়রা আনছেন। ফলে এ শিল্প নতুন চ্যালেঞ্জে পড়েছে।
এতে বলা হয়– বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধাসহ অন্য স্থলবন্দর বা কাস্টম হাউসগুলোতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, সুতার কাউন্ট পরিমাপক যন্ত্র, দক্ষ জনবলের অভাব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ নিয়ন্ত্রণ না থাকায় আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য অনেকাংশে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা হচ্ছে না। ফলে সুতার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল আমদানির অনুমতিসহ আংশিক শিপমেন্টের অনুমতি বিদ্যমান থাকায় দেশীয় টেক্সটাইল বিশেষ করে স্পিনিং মিলগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির ক্ষেত্রে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে অননুমোদিত সুতার ব্যাপক বাজারজাতকরণের ফলে এ খাত অসম প্রতিযোগিতায় পড়েছে।  সরকারও ন্যায্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সুতা আমদানির ক্ষেত্রে আংশিক শিপমেন্টের অনুমতি দেওয়ার মতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বহাল থাকায় এ সুযোগের অপব্যবহার করে একই এলসির অধীনে একাধিকবার অনুমোদনের চেয়ে বেশি সুতার অনুপ্রবেশ ঘটছে।

RMG BANGLADESH NEWS