fbpx
Home Blog Page 17

All-out efforts stressed to overcome RMG industry’s challenges

All-out efforts are required to overcome several challenges that are hindering the country’s garment industry’s growth potential, business leaders said in Dhaka today

They expressed concerns about various issues, including port congestion, bureaucratic hurdles, and the need for improved banking services during a discussion meeting titled “Crisis in the Ready-Made Garments Sector and Ways to Overcome It in the Current Situation,” organised by the Bangladesh Garment Buying House Association (BGBA) at the Pan Pacific Sonargaon Hotel in the capital.

The business leaders emphasised the importance of united efforts from everyone involved.

Export Promotion Bureau Vice Chairman Md Kamal Hossain; Former FBCCI president Abdul Awal Mintoo; BGMEA President Khandaker Rafiqul Islam; BKMEA President Mohammad Hatem; BTMA President Shawkat Russel; and founding president of BGBA Kaiyum Reza Chowdhury, along with other business leaders, spoke at the programme.

The meeting was presided over by Mohammad Mofazzal Hossain Pavel, president of the BGBA.

পোশাক শিল্পের নিরাপত্তায় রাতে সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরে যৌথ অভিযান

পোশাক শিল্পের নিরাপত্তায় সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরে আজ ( সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর) রাতেই যৌথ অভিযান চালাবে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিল্প পুলিশ। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান বিজিএমইয়ের সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। অন্যদিকে বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের প্ররোচনায় আন্দোলন করছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা।’

বকেয়া বেতন ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার দাবিতে কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছেন তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকরা। আন্দোলনের মুখে রোববার বন্ধ করা হয় প্রায় ৫০টি কারখানা। এদিন আশুলিয়ায় কয়েকটি কারখানা ভাঙচুর করেন বিক্ষোভকারীরা।

এছাড়া আজ (সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই গাজীপুর ও আশুলিয়ায় কর্মবিরতির পাশাপাশি বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন বিভিন্ন কারখানা শ্রমিকরা। এসময় নিরাপত্তার ঝুঁকিতে বন্ধ হয়ে যায় সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের বেশিরভাগ শিল্প কারখানা। বন্ধ ছিল সড়কে যান চলাচলও।

শ্রমিকদের দাবিগুলো একেক জায়গায় একেক রকম। যদিও মালিকরা বলছেন, তাদের বেশিরভাগ দাবি অযৌক্তিক।

বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এখন টিভিকে বলেন, ‘দেশকে অস্থিতিশীল করতেই বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’ এ অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম চলমান সংকট সমাধানে তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠকে বসেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, পোশাক শিল্পের নিরাপত্তরায় সাভার, আশুলিয়া ও গাজিপুরে রাত থেকে যৌথ অভিযান।

একটা গোষ্ঠী শ্রমিকদের উস্কে দিচ্ছে জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘তারা আরও একদিন পর্যবেক্ষণ করবেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কারখানা বন্ধ রাখতে বাধ্য হবে মালিকরা। এছাড়া এখন আর্মির সহযোগিতা দরকার’

এর আগে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। এরপর বিভিন্ন স্থাপনাতে হামলা, লুটের মতো ঘটনা শুরু হয় দেশে।

news Sources : ekhon

তৈরি পোশাক রপ্তানির শীর্ষে ইয়াংওয়ান ও হা-মীম, অনন্তের চমক

২০২৩–২৪ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ ১০ শিল্পগোষ্ঠী

২০২৩–২৪ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ ১০ শিল্পগোষ্ঠীগ্রাফিকস: প্রথম আলো

বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানির শীর্ষ স্থানটি বিদেশি উদ্যোক্তার দখলেই আছে। শীর্ষ রপ্তানিকারকের তালিকায় এবারও শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার কিহাক সাংয়ের মালিকানাধীন ইয়াংওয়ান করপোরেশনের। দ্বিতীয় স্থানে আছে দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানি হা-মীম গ্রুপ। দুই বছর ধরে এই দুই গ্রুপের রপ্তানি কমলেও তারা শীর্ষ স্থান দুটি ধরে রেখেছে।

বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে সেরা দশে জায়গা করে নেওয়া বাকি আট শিল্পগোষ্ঠী হলো মণ্ডল গ্রুপ, অনন্ত গ্রুপ, ডিবিএল গ্রুপ, প্যাসিফিক গ্রুপ, পলমল গ্রুপ, স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ, বেক্সিমকো ও স্কয়ার গ্রুপ। এই আট অবস্থানে এক-দুই বছরের ব্যবধানে কেউ এগিয়েছে, কেউ পিছিয়েছে, কেউবা আবার ছিটকে পড়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রপ্তানির তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রথম আলো তৈরি পোশাক শিল্পের শীর্ষ ১০ শিল্পগোষ্ঠীর এই তালিকা তৈরি করেছে। এনবিআরের হিসাব থেকে স্থানীয় রপ্তানি ও নমুনা রপ্তানি বাদ দিয়ে প্রকৃত রপ্তানির হিসাব নেওয়া হয়েছে।

এনবিআর থেকে প্রাপ্ত গত তিন অর্থবছরের রপ্তানির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এক বা দুই বছরের ব্যবধানে সেরা দশে স্থান পাওয়া ১০ গ্রুপের সম্মিলিত রপ্তানি কমেছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে সেরা দশের সম্মিলিত রপ্তানি ছিল প্রায় ৪৮৬ কোটি ডলারের, পরের বছর তা কমে ৪৬৮ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। আর সর্বশেষ গত অর্থবছরে এই ১০ প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৫৯ কোটি ডলার।

শীর্ষ গ্রুপগুলোর রপ্তানি কমার প্রভাব সামগ্রিকভাবে তৈরি পোশাক রপ্তানিতেও পড়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরকে দেশের পোশাক রপ্তানিতে সোনালি সময় বলা যায়। ওই অর্থবছর রপ্তানি হয় ৪ হাজার ৩৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। পরের বছর রপ্তানি ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ কমে যায়। বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানি আরও সোয়া ১ শতাংশ কমে ৩ হাজার ৬৮৮ কোটি ডলারে দাঁড়ায়।

রপ্তানি চালান শুল্কায়নের পর মাশুল আদায় হলে এনবিআরের হিসাবে ওঠে। এনবিআরের রপ্তানির তথ্যে আগের অর্থবছরের চালানও রয়েছে, যেগুলোর রপ্তানি মাশুল পরিশোধ হয়েছে গত অর্থবছরে। প্রতিবছর কমবেশি দেড় শ কোটি ডলারের পুরোনো রপ্তানির তথ্য থাকে, যেগুলোও হিসাবে নেওয়া হয়েছে। কারণ, গত অর্থবছরে রপ্তানি হওয়া কিছুসংখ্যক চালানের মাশুল পরিশোধ না হওয়ায় তা চলতি অর্থবছরের হিসাবে আসবে।

বিলিয়ন ডলারে নেই ইয়াংওয়ান
বাংলাদেশে একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রপ্তানিতে প্রথম বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়াংওয়ান গ্রুপ। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি প্রচ্ছন্ন রপ্তানি ছাড়া ৯৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি করে। বিদায়ী অর্থবছরে তাদের রপ্তানি ১৮ শতাংশ কমলেও শীর্ষ অবস্থানেই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার এই গ্রুপ।

গত অর্থবছর ইয়াংওয়ান ৮০ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। তৈরি পোশাকের বাইরে ব্যাগ, জুতা ও পোশাকশিল্পের কাঁচামালসহ নানা পণ্য রপ্তানি করে ইয়াংওয়ান। গত অর্থবছরে তৈরি পোশাকের বাইরে প্রায় ১৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে প্রতিষ্ঠানটি, যেখানে প্রচ্ছন্ন রপ্তানিও রয়েছে।

গত অর্থবছরে বিশ্বের ৫২টি দেশে রপ্তানি হয় ইয়াংওয়ানের তৈরি পোশাক। গত অর্থবছর ইয়াংওয়ান ৩ কোটি ৪৩ লাখ পিস তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। বাংলাদেশ থেকে উচ্চমূল্যের পোশাক রপ্তানি করে তারা। বিশ্বখ্যাত জার্মান ব্র্যান্ড অ্যাডিডাসকে ধরে রেখেছে ইয়াংওয়ানই।

বাংলাদেশে প্রথম বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের সূচনাও হয় ইয়াংওয়ানের হাত ধরে। এই রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে ইয়াংওয়ানের কারখানার সংখ্যা বাড়ছে। গ্রুপটি শতভাগ পুনঃপ্রক্রিয়াজাত পলিয়েস্টার সুতা থেকে বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি করে রপ্তানি করছে। অ্যাডিডাস, রালফ লরেনের মতো বিশ্বখ্যাত ক্রেতারা নিচ্ছে এসব পোশাক।

হা-মীমের রপ্তানি কমেছে
দেশীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক হা-মীম গ্রুপ। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রুপটি ৬৬ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে সামগ্রিকভাবে দ্বিতীয় শীর্ষ স্থান দখল করেছিল। দুই বছরের ব্যবধানে তাদের রপ্তানি কমেছে ১২ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরে গ্রুপটি রপ্তানি করেছে ৫৮ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক। রপ্তানি কমলেও দ্বিতীয় শীর্ষ স্থানেই রয়েছে হা-মীম।

বিশ্বের ৬৩টি দেশে পোশাক রপ্তানি করে হা-মীম। তবে তাদের বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। গত অর্থবছর গ্রুপটি ৪৩ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে যুক্তরাষ্ট্রে, যা তাদের মোট রপ্তানির ৭৪ শতাংশ। তাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য প্যান্ট।
হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের তৈরি পোশাকের মূল বাজার যুক্তরাষ্ট্র। গত অর্থবছর সেখানে তৈরি পোশাকের বিক্রির পাশাপাশি মূল্যও কমে যায়। সে কারণে আমাদেরও রপ্তানির পরিমাণ কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজার ঘুরে দাঁড়ালে আমাদের গ্রুপের রপ্তানি আবার বাড়বে বলে আশা রাখি।’

অর্ধবিলিয়ন ডলার ছাড়াল মণ্ডলের রপ্তানি
মণ্ডল গ্রুপের তৈরি পোশাকের রপ্তানির তালিকায় নতুন নতুন দেশ যুক্ত হচ্ছে। দুই বছর আগে ৬৭টি দেশে পোশাক রপ্তানি করেছিল গ্রুপটি। এখন তা ৭১টি দেশে উন্নীত হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে রপ্তানি বাড়ছে মণ্ডল গ্রুপের। গত অর্থবছরে গ্রুপটির রপ্তানি ৫ শতাংশ বেড়ে ৫০ কোটি ৫০ লাখ ডলারে উন্নীত হয়েছে। দুই বছর আগে তা ছিল ৪৭ কোটি ৮৮ লাখ ডলার।

মণ্ডলের রপ্তানি তালিকায় টি-শার্টই বেশি। মোট রপ্তানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ টি-শার্ট। গত অর্থবছরে গ্রুপটি ২৩ কোটি ৬৯ লাখ পিস পোশাক রপ্তানি করেছে। রপ্তানির প্রধান গন্তব্য ইউরোপের দেশগুলো।

মণ্ডল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল মজিদ মণ্ডল। বর্তমানে তাঁর ছেলে আবদুল মমিন মণ্ডল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

অনন্ত গ্রুপের বড় চমক
বিদায়ী অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে চমক দেখিয়েছে অনন্ত গ্রুপ। প্রথমবারের মতো রপ্তানির শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে গ্রুপটি। প্রথমবারই একলাফে চতুর্থ স্থান দখলে নিয়েছে তারা। অনন্তের ছয়টি তৈরি পোশাক কারখানা গত অর্থবছরে রপ্তানি করেছে ৪৬ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। এই রপ্তানি তার আগের বছরের তুলনায় ৯৬ শতাংশ বেশি।

গত অর্থবছরে বিশ্বের ৬৩টি দেশে প্রায় সাড়ে আট কোটি তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে অনন্ত গ্রুপ। তাদের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে গ্যাপ, মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার, লেভি স্ট্রস, ওল্ড নেভি, পিভিএইচ, এইচঅ্যান্ডএমের মতো বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড। গ্রুপটি স্যুট, সোয়েটার, নারীদের অন্তর্বাসের পাশাপাশি সাধারণ পোশাকও রপ্তানি করছে।

১৯৯১ সালে শিল্পপতি হুমায়ুন জহীরের হাত ধরে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের নিজস্ব ভবনে যাত্রা শুরু হয়েছিল অনন্ত অ্যাপারেলসের। ১৯৯৩ সালে আততায়ীর হাতে হুমায়ুন জহীর নিহত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের হাল ধরেন তাঁর স্ত্রী কামরুন নাহার জহীর। বর্তমানে তিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান। বড় ছেলে শরীফ জহীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ছোট ছেলে আসিফ জহীর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক।

বর্তমানে আদমজী ইপিজেড, গাজীপুর, কাঁচপুর ও চট্টগ্রাম ইপিজেডে মোট সাতটি কারখানা রয়েছে অনন্ত গ্রুপের। তাদের কর্মিসংখ্যা এখন ২৬ হাজার।

জানতে চাইলে অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ জহীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনার পরে ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ায় পোশাকশিল্পে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। সে সময় কৌশল হিসেবে আমরা নতুন নতুন ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান যুক্ত করেছি। বৈচিত্র্যময় পণ্য রপ্তানি ও উচ্চ দামের পোশাকে নজর দিয়েছি। এ কারণে রপ্তানি বেড়েছে। আমাদের সামনে লক্ষ্য হলো, পোশাকের কাঁচামাল দেশে উৎপাদন করা। এ জন্য নরসিংদীতে আমরা দেশে প্রথম শতভাগ সিনথেটিক কাপড় তৈরির কারখানায় বিনিয়োগ করেছি। এক বছরের মধ্যে কারখানাটি তৈরি হলে রপ্তানিতে মূল্য সংযোজনও বাড়বে।’

১৯ কোটি পিস পোশাক রপ্তানি ডিবিএলের
দুই বছর আগে ডিবিএল গ্রুপের রপ্তানি ছিল অর্ধবিলিয়ন ডলার। সেবার তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল শিল্পগোষ্ঠীটি। গত অর্থবছর তারা ৪৬ কোটি ১৭ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে পঞ্চম অবস্থানে জায়গা করে নেয়।

ইউরোপ-আমেরিকা থেকে শুরু করে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার ৫৮টি দেশে পোশাক রপ্তানি করছে গ্রুপটি। গত অর্থবছরে ১৮ কোটি ৭৯ লাখ পিস পোশাক রপ্তানি করেছে গ্রুপটি। সেই হিসাবে প্রতিদিন ডিবিএলের কারখানায় তৈরি হচ্ছে পাঁচ লাখ পিসের বেশি পোশাক। ডিবিএলের বড় দুই ক্রেতা সিঅ্যান্ডএ ও এইচঅ্যান্ডএম।

১৯৯১ সালে ঢাকার ১০২ গ্রিন রোডে ছোট কারখানা দিয়ে দুলাল ব্রাদার্স লিমিটেড বা ডিবিএল গ্রুপের যাত্রা শুরু। ডিবিএল গ্রুপ গড়ে তুলেছেন চার ভাই—আবদুল ওয়াহেদ, এম এ জব্বার, এম এ রহিম ও এম এ কাদের। পোশাক দিয়ে শুরু হলেও সিরামিক টাইলস, তথ্যপ্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ ও ড্রেজিং ব্যবসায় নাম লিখিয়েছে ডিবিএল।

জানতে চাইলে ডিবিএল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এম এ রহিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আগামী এক-দুই বছর নতুন কোনো বিনিয়োগে যাব না। বর্তমানে যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোকে শক্তিশালী করার দিকেই বেশি নজর দেব। বিশেষ করে অপচয় হ্রাস, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও তদারকি ব্যবস্থা শক্ত করাই মূল লক্ষ্য।’

প্যাসিফিকের পোশাকের গড় মূল্য ৯.৩৬ ডলার
রপ্তানিতে ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা চট্টগ্রামের প্যাসিফিক জিনস গ্রুপের রপ্তানি সামান্য বেড়েছে। গত অর্থবছর গ্রুপটি ৪০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা এক বছর আগের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি। এ সময়ে গ্রুপটি ৪৭ দেশে ৪ কোটি ৩১ লাখ পিস পোশাক রপ্তানি করেছে। প্যাসিফিকের পোশাকের বড় ক্রেতা জাপানের বহুজাতিক খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান ইউনিক্লো। তাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য ডেনিম পোশাক।

চার দশক আগে এনজেডএন ফ্যাশন দিয়ে তৈরি পোশাকশিল্পে যাত্রা শুরু করেছিলেন প্যাসিফিক জিনস গ্রুপের প্রয়াত উদ্যোক্তা মো. নাসির উদ্দিন। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশে জিনস রপ্তানি শুরু হয়। বর্তমানে তাঁদের কারখানার সংখ্যা ৯।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ওভেন পোশাক রপ্তানি করে আসছিল প্যাসিফিক জিনস গ্রুপ। তারপর তাদের রপ্তানি তালিকায় যুক্ত হয় নিট পোশাক। যদিও গ্রুপটির রপ্তানি পোশাকের সিংহভাগই ডেনিম। বাংলাদেশের বেশির ভাগ কারখানা সস্তা পোশাক উৎপাদন করলেও প্যাসিফিকের পোশাকের গড় রপ্তানি মূল্য বেশি। গত অর্থবছরে গ্রুপটির প্রতিটি পোশাক গড়ে ৯ ডলার ৩৬ সেন্টে রপ্তানি হয়েছে।

জানতে চাইলে প্যাসিফিক জিনস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ডেনিম পোশাকের পাশাপাশি বৈচিত্র্যময় পোশাক তৈরিতে ঝুঁকছি। আবার পোশাকের পরিমাণ বাড়ানোর চেয়ে উচ্চমান ও উচ্চমূল্যের পোশাকের দিকে নজর দিচ্ছি। এতে পোশাকের পরিমাণ খুব বেশি না বাড়লেও মূল্য সংযোজন বাড়বে।’

পলমলের পোশাক রপ্তানি ৬৭ দেশে
সপ্তম অবস্থানে থাকা পলমল গ্রুপের রপ্তানি দুই বছর ধরে কমছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রুপটি ৪৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। ধারাবাহিকভাবে কমে গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা ৩৭ কোটি ৮৩ লাখ ডলারে নেমে আসে।

গত অর্থবছরে গ্রুপটি ১৪ কোটি পিস পোশাক রপ্তানি করেছে বিশ্বের ৬৭ দেশে। গ্রুপটি মূলত নিট পোশাক রপ্তানি করে। নিট পোশাকের মধ্যে রয়েছে টি-শার্ট, পোলো, শর্টস ইত্যাদি। গ্রুপটির পোশাকের শীর্ষ দুই ক্রেতা ওল্ড নেভি ও ওয়াল-মার্ট।
চার দশক আগে উদ্যোক্তা নূরুল হক সিকদারের হাতে যাত্রা শুরু হয় পলমল গ্রুপের। বর্তমানে তাঁর ছেলে নাফিস সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
স্ট্যান্ডার্ডের রপ্তানি কমেছে

দুই বছর আগে ৪৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে পঞ্চম শীর্ষ অবস্থানে ছিল স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ। তবে দুই বছর ধরে রপ্তানি কমে গ্রুপটি অষ্টম অবস্থানে নেমেছে। গত অর্থবছরে গ্রুপটি রপ্তানি করেছে ৩৬ কোটি ২৮ লাখ ডলার।

স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ মূলত ওভেন পোশাক রপ্তানি করে। ওভেনে তাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য ট্রাউজার প্যান্ট। গত অর্থবছরে ৩২টি দেশে সোয়া পাঁচ কোটি পিস তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে গ্রুপটি। তাদের পোশাকের প্রধান ক্রেতার তালিকায় রয়েছে মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার, গ্যাপ, আমেরিকান ইগল ইত্যাদি।

চার দশক আগে দুই প্রকৌশলী বন্ধু মোশাররফ হোসেন ও আতিকুর রহমানের হাত ধরে পোশাক খাতে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এখন দ্বিতীয় প্রজন্মও যুক্ত হয়েছে গ্রুপটির নেতৃত্বে।

জানতে চাইলে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাপানের একটি ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়ার কারণে আমাদের রপ্তানি কমে গেছে। তবে আমরা নতুন ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান খুঁজছি। সেই সঙ্গে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টা করছি।’

তিন বছরের মধ্যে কম রপ্তানি বেক্সিমকোর
বেক্সিমকো গ্রুপের রপ্তানি গত তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম ছিল গত অর্থবছরে। গ্রুপটি গত অর্থবছর রপ্তানি করেছে ৩১ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের পোশাক। রপ্তানি কমায় অষ্টম থেকে নবম স্থানে নেমে গেছে গ্রুপটি।

গ্রুপটির ১১টি প্রতিষ্ঠান গত অর্থবছরে ৩৯ দেশে সাড়ে ৭ কোটি পোশাক রপ্তানি করেছে। তাদের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ইন্ডিটেক্স। বেক্সিমকোর বৈচিত্র্যময় পোশাকের তালিকায় রয়েছে আইসোলেশন গাউন ও কাভার গাউন। গত অর্থবছর যুক্তরাষ্ট্রে ২ কোটি ১২ লাখ আইসোলেশন গাউন রপ্তানি করেছে।

বেক্সিমকোর মালিকানায় রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সরকার পতনের পর তিনি এখন কারাগারে।

পোশাকেও স্কয়ারের ঝলক
তৈরি পোশাক খাতে কচ্ছপ গতিতে এগোচ্ছে স্কয়ার গ্রুপ। গত পাঁচ বছরে সব সময়ই প্রবৃদ্ধিতে থেকেছে গ্রুপটি। সর্বশেষ এক বছরের ব্যবধানে গ্রুপটির রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ২ শতাংশ। গত অর্থবছরে গ্রুপটি রপ্তানি করেছে ৩০ কোটি ৫৬ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক। এর ফলে শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় এই শিল্পগোষ্ঠী।

১৯৫৮ সালে চার বন্ধুর হাত ধরে স্কয়ারের যাত্রা শুরু হয়। মূল কান্ডারি ছিলেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। তাঁর প্রয়াণের পর সন্তানেরাই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দেশের অন্যতম পুরোনো এই শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে। যুক্ত হয়েছেন নাতি-নাতনিরা। ওষুধ দিয়ে শুরু করলেও স্কয়ার গ্রুপের ব্যবসা বর্তমানে স্বাস্থ্যসেবা, ভোগ্যপণ্য, বস্ত্র ও তৈরি পোশাক, মিডিয়া, টিভি ও তথ্যপ্রযুক্তি, নিরাপত্তাসেবা, ব্যাংক ও ইনস্যুরেন্স, হেলিকপ্টার ও কৃষিপণ্যে বিস্তৃত।

বর্তমানে স্কয়ার গ্রুপের তৈরি পোশাক ৫৫ দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এই তালিকায় আছে হুগো বস, রালফ লরেন, মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার, পুমার মতো বিশ্বখ্যাত ক্রেতারাও।
জানতে চাইলে স্কয়ার টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান তপন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘তৈরি পোশাকে আমাদের আরও বিনিয়োগের পরিকল্পনা আছে। কারণ, চাহিদা অনেক। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও তারপরের ঘটনার প্রভাব তৈরি পোশাক খাতের জন্য বড় ধাক্কা। শ্রমিকদের নিরাপত্তা, কারখানার সুরক্ষা ও ক্রয়াদেশের পণ্য সময়মতো পাওয়া নিয়ে বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে আগামী মৌসুমের ২৫ শতাংশ ক্রয়াদেশ অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ের কারখানায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ভালো লক্ষণ নয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আমাদের দেশের বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।’

news Sources : prothomalo

শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে বিশেষ ঋণ দেবে ব্যাংক

গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারীদের আগস্ট মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধে মালিকদের বিশেষ ঋণ সুবিধা দেবে ব্যাংকগুলো।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, সাম্প্রতিক অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়িক পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে। এতে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কার্যক্রম এবং রপ্তানিমূল্য যথাসময়ে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন সক্ষমতা ঠিক রাখতে ঋণ সুবিধা দিবে ব্যাংকগুলো।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে। সচল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের চলতি বছরের আগস্ট মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য চলতি মূলধন ঋণসীমার বাইরে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে গ্রাহকের সক্ষমতা বিবেচনায় মেয়াদী ঋণসুবিধা পাবে।

ঋণসুবিধার পরিমাণ ঋণগ্রহীতা শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিগত তিন মাসের প্রদত্ত গড় বেতন ও ভাতার বেশি হবে না।

যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান মোট উৎপাদনের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ রফতানি করে তারা রফতানিমুখী শিল্প এবং যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের শ্রমিক-কর্মচারীদের মে থেকে জুলাই মাসের বেতন পরিশোধ করেছে তারা সচল হিসেবে বিবেচিত হবে।

সচল ও রফতানিমুখী হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিত্বকারী বাণিজ্য সংগঠনের (বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ইত্যাদি) প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে।

ঋণের বিপরীতে বাজারভিত্তিক প্রচলিত সুদহার প্রযোজ্য হবে।

ঋণসহ গ্রাহকের মোট ঋণ একক গ্রাহক ঋণসীমার মধ্যে থাকতে হবে। ঋণের অর্থ মেয়াদি ঋণ আকারে তিন মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ এক বছরে সমকিস্তিতে (মাসিক/ত্রৈমাসিক) আদায় করতে পারবে ব্যাংক এবং এ ঋণের সুদ ছাড়া অন্য কোনো প্রকার অতিরিক্ত সুদ, মুনাফা, ফি ও চার্জ নিতে পারবে না।

News Sources : rtvonline

RMG sector faces fresh labour protests

The central bank has offered soft loans for the apparel industry but the incentive has met with growing security concerns as worker protests forced dozens of readymade garment factories to suspend production near Dhaka on Sunday.

Bangladesh’s export-oriented industries are set to receive a soft loan to pay August salaries amid the ongoing instability in the country. The Bangladesh Bank extended this support in response to the industries’ call for help them wither the tough time.

In its circular issued Sunday, the central bank asked banks to take steps so that loan funds are disbursed directly to the workers’ bank accounts or through mobile financial systems.

 The loan is repayable in a year with three months’ grace period.

Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) President Khandoker Rafiqul Islam earlier said approximately Tk2,800 crore is required to cover a single month’s salary for RMG workers.

But the good gesture came at a time when the apparel industry owners are faced with a fresh wave of labour protests.

At least 55 apparel factories in the Ashulia industrial area near capital Dhaka suspended production on Sunday as workers came out of factories and protested in the streets for rights and benefits, creating fresh worries among owners about safety of their industries.

Readymade garment industry insiders said workers’ monthly wages have been cleared, yet a section of workers were raising additional demands to create unrest amid a lax law and order situation since the fall of Awami League regime on 5 August amid massive uprising.

They alleged that “outside groups” were attempting to exploit the situation by escalating workers’ protests into a major unrest in this industrial hub.

Simultaneously, job seekers also demonstrated at Dhaka EPZ and Adamjee EPZ demanding employment and protesting what they said factories were biased towards females while hiring. They attempted to block roads in front of the EPZ gates, further exacerbating the situation.

Mohammad Hatem, president of the Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association (BKMEA) said, “Outsiders were attempting to create unrest in industrial zones, particularly in Ashulia, targeting large factories.”

“Some outsiders also threw bricks at factories, forcing several to announce a day off today,” Hatem told The Business Standard.

“If the situation continues like this, it will have bad effects on export as already we are under pressure to ship goods on time,” said AK Azad, managing director of Hameem Group, one of the Ashulia factories that had to suspend production on Sunday amid workers’ protest.

The group has booked full capacity orders. “Now industries need security to meet their shipment deadline,” he told TBS yesterday.

Amid a growing sense of insecurity, Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) made efforts to resolve the issues with cooperation from the army and industrial police. Industry leaders are scheduled to hold a meeting with Home Affairs Adviser Lt Gen (retd) Jahangir Alam Chowdhury on Monday afternoon at his office in the Secretariat. Two other advisers to the interim government, Md Nahid Islam and Asif Mahmud Shojib Bhuiyan, are also expected to present at the meeting, according to industry sources.

Prior to this, factory owners held an emergency meeting on Sunday at a city hotel to determine their next course of action to meet shipment deadlines with many exporters running well behind export schedules.

After a meeting on Sunday evening with factory owners and various law enforcement agencies, including the army, industrial police, and intelligence agencies, BGMEA President Khandoker Rafiqul Islam announced that all factories in the Ashulia area will remain open on Monday. 

He said that law enforcement agencies have assured factory owners of their support in maintaining security. Referring to discussions with labour leaders, the BGMEA president noted that they have indicated they are not involved in the unreasonable demands that have surfaced. According to BGMEA officials, approximately 55 ready-made garment (RMG) units of some 40 groups were closed on Sunday as a result of worker unrest in the Ashulia area.

Ashulia a hotspot again

RMG workers from several factories blocked roads in Ashulia industrial area of Savar on Sunday despite there being no unpaid dues, according to BGMEA officials.

Industry sources said that the latest protests were brewing over the past week over various demands, such as increase in tiffin allowances, attendance bonuses, a 10% annual increment, and earned leave for all staff.

Workers from factories including Hameem Group, Shermin Group, Ananta garments, Newage Group, AM Design, NASSA Group, Unicron Sweater, Naba Knit, and Trouser Land came out on the streets in Ashulia, according to industry sources. Meanwhile, Pearl Garments and Gildan factories in the area granted their workers leave with pay and advised them to go home amid attacks and instigations from outside.

BGMEA officials said the latest wave of protest might have been influenced by NASSA Group workers’ protest against reported non-payment of full benefits for maternity leave and earned leave as well as increment arrears of the group’s management staff.

Hameem Group’s AK Azad said, “As per our knowledge NASSA Group’s workers are protesting from Saturday demanding some benefits. On Sunday they came out to the streets again and forced other factory workers to join them.”

The Business Standard could not reach NASSA Group officials for a comment despite repeated phone calls and text messages.  

Naba Knit and Dress and Ideas factories suspended production under Sections 13/1 and 13/3/4 of the labour law, leaving hundreds of workers standing outside the factory gates. However, some factories resumed production in the later part of the day.

Among the operational factories were Skyline and NASSA’s second unit, though one unit remained closed while counselling was in progress. 

“Other factories are running, and no roads are currently blocked. Industrial police and BGMEA officials are present, and the army is patrolling the area,” a BGMEA official stated later in the day.

BGMEA President Khandoker Rafiqul Islam noted that the organisation has been in discussions with trade union leaders, seeking their cooperation and identifying those involved in the unrest. 

“The union leaders acknowledged that this is not the right time for demonstrations demanding benefit hikes, especially after the implementation of a new wage structure,” Rafiqul Islam said. 

“We have also spoken with the current government to ensure security for industries during this period of economic volatility,” he added.

Job-seekers protest in Dhaka Old EPZ

According to BGMEA officials around 200-300 job seekers gathered in front of the main gate of old EPZ on rumour that EPZ authority started new recruitment. The EPZ authority denied such a claim and informed the army that they did not announce any vacancy.

The protesters added other demands like recruitment of equal numbers of male and female workers, and transparency in the recruitment process.

In this situation, army members immediately reached the location and tried to convince the job seekers and helped them take their demands to EPZ authority.

Similar protests took place in front of the Adamjee EPZ gate with 700-800 people asking for jobs. They accused the EPZ authority of only offering jobs to female candidates and being biased. They began protesting in front of the EPZ gate and tried to block the road.

Upon receiving a call from the EPZ authority, an army patrol unit persuaded the crowd to leave through negotiation with the authority.

Bangladesh RMG industry: beyond bond & BBLC – new financial paths needed (Part 2)

To navigate beyond the bond and BBLC facilities, we must recognize that the limited support from the caretaker government isn’t just about a lack of business-friendly policies or buyer support. It reflects a broader collapse in the economic ecosystem, posing challenges across various sectors. This systemic issue makes it even more crucial for us to innovate and adapt.

However, amidst these challenges, there’s a silver lining. The success of young entrepreneurs and experienced minds in our industry is truly inspiring and much needed. It’s crucial for someone with vision to provide clear guidelines to government officials on the policy support our sector needs. Over the past 20 years, we’ve never faced a shortage of orders—our challenge has always been meeting the overwhelming demand. With strong leadership, we can address these challenges and make meaningful changes that will elevate our industry to new heights.

Bangladesh RMG industry: beyond bond & BBLC – new financial paths needed (Part 2)
Figure: The Ready-Made Garment (RMG) and textile industries in Bangladesh have grown tremendously over the past few decades.

The future of our industry depends on proactive measures and strategic planning. By addressing these issues head-on, we can ensure that Bangladesh’s garment industry remains a global leader, providing livelihoods for millions and driving our economy forward. May Allah (SWT) give us the strength to overcome the obstacles ahead with unity. I can boldly say we will not face a shortage of orders in the coming days, but we need policies that excite and support our industry. Everyone, from small units to green factories, must be on the same page.

I shared my thoughts with my limited knowledge and apologize for any mistakes in my writing.

Let continue our part 2

The Ready-Made Garment (RMG) and textile industries in Bangladesh have grown tremendously over the past few decades, thanks to policies like the bonded warehouse system and back-to-back letter of credit (BBLC) facilities. These mechanisms have provided significant advantages, allowing manufacturers to import raw materials duty-free and streamline the financing of exports. However, as the industry matures and the global market evolves, it’s crucial to explore sustainable alternatives to these facilities to mitigate risks and ensure continued growth.

The backbone of Bangladesh’s garment industry

In the 1980s and 1990s, many young entrepreneurs, despite numerous obstacles, built a robust garment industry based on trust, integrity, and strategic use of financial facilities. They understood the importance of repaying bank loans and maintaining good financial standing. Today, we boast a highly educated and technologically advanced generation of entrepreneurs. Yet, the industry remains import-dependent and heavily reliant on BBLC and bonded warehouse facilities.

The government has set an ambitious target of $100 billion in exports by 2030, which seems almost impossible. Despite reaching $50 billion, we have encountered significant challenges with manpower and the banking and financial sectors. Moreover, we face immense pressure with the post-LDC (Least Developed Country) graduation in 2026. Currently, the government’s support for only one single sector is limited. We neither have the bank capacity nor the skilled manpower necessary to achieve this target.

However, it is not an impossible goal. We can achieve it, but we need to address the financial crisis management and explore various financial strategies to relieve internal reserves and financial institutions from pressure. This will enable us to run our businesses without financial obstacles, which is the key to success.

Bridging the banking and industry gap

In our current banking sector, we lack the dynamic bankers and strong linkages between banks and the industry that were prevalent in the past. From 1971 to 1990, numerous bankers and bureaucrats nurtured entrepreneurship through their guidance. My father is an example of this legacy, and many others in this sector also share similar experiences. Back then, these visionaries were deeply concerned about loan repayments, a concern that still resonates today. Many promising entrepreneurs are hesitant to expand due to the fear of loans. This is a major reason why several talented entrepreneurs fall behind in their endeavors.

We need to bridge this gap and create a supportive ecosystem where banks and industries work hand in hand. It’s essential to cultivate trust and provide the necessary guidance to foster growth and innovation in our economy. Every month, our RMG and Textile organizations (BKMEA, BGMEA, BGBA, BTMEA) and stakeholders should organize seminars with bank heads, not just MDs, to show & exchange dialogues about real garment banking. Everyone will agree that it is impossible in the garment sector to maintain 100% compliance with SOPs as per norms. It is essential now to invite them and show them our part of the issue. Otherwise, this fight will continue. Arranging dialogues and finding new ways of financial management is crucial.

The legacy of bond and BBLC facilities

The bond and BBLC facilities have been instrumental in the growth of Bangladesh’s garment sector. By allowing duty-free import of raw materials, these policies have enabled manufacturers to remain competitive in the global market. However, this dependency also poses significant risks. If these facilities were to be withdrawn or altered, the industry could face severe disruptions.

Challenges and risks

Loan burdens

Despite the advancements and investments, the industry grapples with substantial loan burdens. Many manufacturers have taken on significant debt to finance their operations and expansion. The reliance on BBLC and bond facilities means that any change in these policies could exacerbate financial stress.

A vision for a sustainable future

In light of these challenges, it is crucial to explore and implement sustainable alternatives. One potential strategy is to facilitate our customers in Bangladesh, including non-garment trading houses, foreign investors, buying houses, and trading houses, with BBLC and bonded warehouse facilities beside existing ones. This would enable them to import their required fabrics, trims, and raw materials at their own expense and utilize our manufacturing capabilities solely for CM (Cut, Make) basis. This approach reduces risk for both banks and manufacturers. Increasing CM-based work on an FOC (Free of Cost) basis is also beneficial. Currently, a manufacturer can import 50% on an FOC basis based on their performance. This should be expanded to help many new small and medium factories grow their exports.

Developing alternative financing mechanisms

Exploring new financing mechanisms can reduce the reliance on BBLC facilities. Options like factoring, supply chain financing, and partnerships with international financial institutions could provide the necessary capital without the constraints of traditional BBLC structures.

Policy reforms

The government and industry stakeholders must collaborate to develop modern policies that support sustainable growth. This includes creating incentives for local production, improving data management systems, and ensuring that financial regulations keep pace with industry needs.

Planning for the future

The garment industry in Bangladesh has a rich history of overcoming challenges and adapting to changing conditions. As we look to the future, it is essential to recognize the importance of bond and BBLC facilities while also preparing for a time when these may no longer be available. By investing in local production, exploring alternative financing mechanisms, leveraging technological advancements, and facilitating customer imports, the industry can reduce its dependency on imports and build a more sustainable foundation.

The current generation of entrepreneurs is highly educated and skilled, but to secure the industry’s future, we must also focus on policy reforms and strategic planning. This way, we can ensure that the next generation can conduct business safely and successfully, without the looming burden of debt and dependency on outdated facilities. It is not only a matter of surviving but thriving in a competitive global market.

By addressing these challenges now, we can create a resilient garment industry that continues to be a pillar of Bangladesh’s economy for generations to come. With the collective effort of industry leaders, policymakers, and stakeholders, we can pave the way for a brighter and more sustainable future, ensuring the legacy of the garment industry endures.

I have witnessed the growth of the RMG industry since childhood, experiencing its highs and lows, its successes and challenges. This unique perspective drives my belief that we must research and implement alternatives to bond and BBLC facilities to safeguard the future of our industry. RMG is no longer just an industry; it sustains the livelihood of approximately 50 million people in this country, directly and indirectly, with the potential to support many more in the future. No other sector can create such vast employment opportunities.

Therefore, we need to think critically and focus on securing not only the industry but also the future employment of the next generation. We must explore innovative solutions, implement best practices, and ensure that our policies and infrastructures are robust enough to withstand future challenges.

To be continued…

In the final part of this article, we will share valuable opinions from some of our most successful and forward-thinking RMG owners, who are ahead of their time and can provide insights into securing the future of our industry.

RMG workers block road in Ashulia demanding attendance bonus, 10% increment, and others

RMG workers from several factories blocked roads in the Ashulia area of Savar today (1 September), despite no unpaid dues, according to the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA).

Top BGMEA officials confirmed that the factories had already cleared workers’ salaries, with no pending payments. 

However, industry sources said that the protests, which have been ongoing for the past week, stem from various demands, including an increase in tiffin allowances, attendance bonuses, a 10% annual increment, and earned leave (EL) for all staff.

Speaking to TBS, Mohammad Hatem, president of the Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association (BKMEA) said, “Outsiders were attempting to create unrest in industrial zones, particularly in Ashulia, targeting large factories.”

“Some outsiders also threw bricks at factories, forcing several to announce a day off today,” Hatem said.

According to BGMEA, workers from factories including Hamem, Shermin, Ananta, Newage, AM Design, NASA, Unicron Sweater, Naba Knit, and Trouser Land are currently on the streets in Ashulia. Meanwhile, Pearl Garments and Gildan factories in the area have been granted leave with pay, and no workers are present.

Naba Knit and Dress & Ideas factories have shut down under Sections 13/1 and 13/3/4 of the labour law, leaving hundreds of workers standing outside the factory gates. However, some factories that had previously faced challenges in reopening are now operating.

Among the operational factories are Skyline and NASA’s second building, though one unit remains closed while counselling is ongoing. 

“Other factories are running, and no roads are currently blocked. Industrial police and BGMEA officials are present, and the army is patrolling the area,” a BGMEA official stated.

BGMEA President Khandoker Rafiqul Islam noted that the organisation has been in discussions with trade union leaders, seeking their cooperation and identifying those involved in the unrest. 

“The union leaders acknowledged that this is not the right time for demonstrations demanding benefit hikes, especially after the implementation of a new wage structure,” Rafiqul Islam said. 

“We have also spoken with the current government to ensure security for industries during this period of economic volatility,” he added.

Bangladesh garment industry short on cotton as floods worsen protest backlog

Garment factories in Bangladesh, one of the world’s biggest clothing production hubs, are struggling to complete orders on time as flooding disrupts their cotton supplies – exacerbating a backlog caused by recent political turmoil.

Bangladesh is a leading global cotton importer due to the size of its textile and garment industry, but the devastating floods mean few trucks and trains have been able to bring supplies to factories from Chattogram port over the last week, industry officials and analysts said.

The disruption, on top of the unrest and protests that led to factory closures earlier this month, have caused garment production to fall by 50%, said Mohammad Hatem, president of the Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association.

“The industry is now under immense pressure to meet deadlines, and without a swift resolution, the supply chain could deteriorate even further,” Hatem said.

Bangladesh was ranked as the third-largest exporter of clothing in the world last year, after China and the European Union, according to the World Trade Organization, exporting $38.4 billion worth of clothes in 2023.

At the clothing factory she runs in the capital, Dhaka, Rubana Huq is counting the cost of lost production.

“Even for a moderate-sized company like ours, which makes 50,000 shirts a day and if the price of one single shirt is $5, there was $250,000 of production loss,” said Huq, a former president of the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA).

She said some garment plants were slowing resuming production, but estimated that complete recovery “would be at least six months away”, warning that Bangladeshi manufacturers could lose 10%-15% of business to other countries.

Bangladesh’s readymade garments industry, which supplies many of the world’s best-known fashion brands, accounts for more than 80% of the country’s total export earnings.

Buyers are adopting a cautious approach and could potentially delay new orders, said Shahidullah Azim, a director of the BGMEA industry group.

“The longer this uncertainty persists, the more challenging it becomes for us to maintain the momentum we have built,” he told Reuters.

The Bangladesh Meteorological Department said flood conditions could persist if the monsoon rains continued, as water levels were receding very slowly.

Some cotton shipments could get diverted to India, Pakistan and Vietnam, commodity analysts said.

“We are already hearing and seeing some cotton for prompt delivery wanted by Pakistan and Vietnam,” said Louis Barbera, partner and analyst at VLM Commodities based in New Jersey.

New orders shifted from Bangladesh could also be accommodated in southern India, said Atul Ganatra, president of the Cotton Association of India.

Even before the floods and political unrest, the Bangladeshi garment industry was grappling with power shortages that remain a problem, said Fazlee Shamim Ehsan, vice president at the country’s knitwear manufacturers and exporters association.

“Energy shortages continue to hamper our operations,” he said.

Bangladesh misses out on $5bn annually due to policy gap on recycled textiles

Bangladesh has been missing out on a potential export business of recycled textile products worth $4-5 billion per year due to lack of comprehensive policy framework on circular textile, according to a report.

These policy frameworks would incentivize entrepreneurs to upgrade recycling of post-RMG Jhut, the study report also stated.

The study titled “Regulatory Framework to Enable Recycling of Post-Industrial Waste (Jhut) for the RMG Industry in Bangladesh” was jointly conducted by the Gesellschaft für Internationale Zusammenarbeit (GIZ) GmbH and H&M under the program for Sustainability in the Textile and Leather Sector. 

Bangladesh’s textile and ready-made garment (RMG) industry, a vital contributor to its economy, is currently facing significant environmental and social challenges due to the inefficient management of post-industrial textile waste, commonly referred to as Jhut.

The report also stated that this issue presents a complex web of environmental hazards, health risks, and human rights concerns, deeply rooted in the industry’s practices and supply chain management. 

The annual production of an estimated 330,000 – 500,000 tonnes of pre-consumer textile waste, with a very limited recycling capacity, highlights a critical gap in sustainable industrial waste management and impediment to move towards a circular textile industry. 

The disposal methods currently employed result in detrimental environmental impacts, including air pollution, resource depletion, and harmful chemical leaching, posing severe threats to ecosystems and public health.

In recent years, an in-depth exploration of Bangladesh’s textile and apparel industry waste management has brought the challenge of Jhut to the forefront. 

Classified as post-industrial waste, Jhut encompasses fabric scraps, yarn, and additional residues emerging from production processes. 

Bangladesh has an existing recycling capacity for apparel-grade recycled yarns ranging between 18,000 to 24,000 tonnes annually which represents only a modest 5-7% of the expansive 330,000-500,000 tonnes of 100% cotton and cotton-elastane waste produced every year.

Moreover, less than 5% of this waste is upcycled into products such as rag rugs, rag dolls, blankets, etc and a significant portion, over 55%, is exported to recycling companies globally, while the remaining waste is downcycled.

Usually, these are downcycled into stuffing materials for cushions and mattresses, incinerated onsite for waste-to-energy purposes, and a negligible amount is landfilled. 

In Bangladesh, comprehensive data regarding Jhut waste remains incomplete.

While formal practices are tracked and documented, the extent of informal Jhut collection and management practices remains uncertain, and the pronounced disparity underscores the vast potential for enhancing Bangladesh’s textile recycling infrastructure.

The study outlined six key policy solutions for the informal textile Jhut sector in Bangladesh like to improve data availability, transparency and traceability through a national Jhut database. 

Moreover, it also suggested introducing industry guidelines for Jhut management and recycling standards and to implement changes in existing VAT and tariff rules for Jhut transactions. 

It also outlined economic incentives to formalize Jhut collection, handling and sorting and to establish a central depository system and cluster-based Jhut sorting hubs for decent work and social inclusion along with improving the investment environment for state-of-the-art recycling technologies.

There are some potential threats that could arise if factory owners set a strategy to implement Jhut recycling within their own premises which include influence or restrictions from political parties, general political pressures or influences, increased attention from various stakeholders, and sometimes factory owners beginning to reuse waste themselves.

The report also stated that in the global context, an evolving narrative around sustainability in the textile sector is shaping the operations and strategies of major brands. 

A pronounced push towards integrating circularity in value chains is evident, with entities such as H&M and GIZ at the forefront of these initiatives. 

Significantly, regulatory frameworks, particularly from bodies like the European Union, are edging towards stricter mandates and instating extended producer responsibilities. 

This global shift offers Bangladesh a multifaceted opportunity, the report added, saying that on one hand, aligning with these international sustainability goals holds promise for elevated trade and partnership prospects. 

On the other hand, the drive to formalize and institutionalize the informal Jhut sector could usher in a new era of circular economy models and formal employment opportunities in the country.

Report: BD RMG industry tops global social audits

Bangladesh’s readymade garment (RMG) industry gained the highest average number of social audits, which assess labour and human rights risks, even as audits have declined in other surveyed countries including China, Vietnam, Turkey and India, according to a report by the International Trade Center (ITC).

The report said excessive auditing can lead to “fatigue” and “inefficiencies” in supply chains.

Audit fatigue may not only divert organizations from the primary goals of audits — self-improvement, transparency, and compliance — but may also encourage them to view audits as routine tasks to be completed as quickly as possible, sometimes resorting to fraudulent practices, it added.

Social auditing in supply chains is used to identify labour and human rights risks and ensure that suppliers satisfy global, regional or company standards of ethical labour and supply-chain practices.

“The decrease in social audits is also evident in countries where the Social and Labor Convergence Program (SLCP) operates. While adoption has increased, the average number of social audits has declined in all countries except Bangladesh, which also holds the highest average number of social audits among all SLCP countries,” said the ITC report published last month.

The average number of social audits per facility in Bangladesh was 3.6 in 2021, rising to 3.7 in 2022 and then returning to 3.6 in 2023.

In China, the number was 3.1 in 2021, decreasing to 2.8 in 2023. Vietnam also experienced a similar downward trend, with an average of 3.2 audits in 2021 declining to 2.6 in 2023.

The average number of social audits in Turkey and India was 2.9 and 2.5 in 2021, respectively, and fell to 2.3 and 2.2 in 2023, according to the ITC report.

The research titled ‘Navigating the Regulatory Landscape: Audit Fatigue in the Garment and Textile Industry’ examines the SLCP as an example of how data alignment and reduced auditing can be achieved.

Of the 439 respondents who participated in this SLCP signatory survey, 83% were from China, 72% from Vietnam, 57% from Bangladesh, and 49% from Türkiye, followed by India 45%, Indonesia 33%, Pakistan 21%, Sri Lanka 11%, and Thailand and Taiwan 9% each.

The SLCP provides tools to capture accurate data about working conditions in global supply chains.

This multi-stakeholder initiative replaces the need for repetitive social audits by facilitating data sharing.

RMG BANGLADESH NEWS