fbpx
Home Blog Page 2

অর্ধ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির পথে নন-লেদার জুতা

দেশের সিনথেটিক ও অ্যাথলেটিক জুতা রপ্তানির পরিমাণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। রপ্তানি বাণিজ্যে তৈরি পোশাকের ব্যাপক আধিপত্যের প্রেক্ষাপটে নতুন খাত হিসেবে নন-লেদার জুতার রপ্তানি বেড়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে সুখবর।

২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষ হওয়ার আগের দশকে নন-লেদার জুতার রপ্তানি ১২০ শতাংশ বেড়ে ১৮৯ মিলিয়ন ডলার থেকে ৪১৬ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বলছে, চলতি অর্থবছরেও এই খাতে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।

ইপিবির তথ্য অনুসারে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে নন-লেদার জুতা রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেড়ে ২১৭ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ডলারে হয়েছে।

রপ্তানিকারকরা আশা করছেন, চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ চামড়ার জুতা, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ও কৃষিপণ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নন-লেদার জুতা শিল্প অর্ধ বিলিয়ন ডলারে প্রবেশ করবে।

শোয়েনিভার্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াদ মাহমুদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পশ্চিমের ক্রেতারা পণ্যের তালিকায় বৈচিত্র্য আনতে ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের ওপর বড় ধরনের শুল্ক এড়াতে শীর্ষ জুতা উৎপাদক চীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।’

ময়মনসিংহে রিয়াদ মাহমুদের জুতা কারখানায় প্রায় চার হাজার ৭০০ জন কাজ করেন। সেখান থেকে ইন্ডিটেক্স, আলদি, মাতালান ও রেডটেপের মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের জন্য জুতা পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানি বহুমুখীকরণের চেষ্টা করলেও এখনো মোট রপ্তানির ৮০ শতাংশের বেশি আসে তৈরি পোশাক থেকে।

রিয়াদ মাহমুদ ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এখানে কম মজুরিতে শ্রমিক পাওয়া যায়। এ দেশের তৈরি পোশাক সম্পর্কে বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো ভালোভাবে অবগত। তারা এখন জুতার অর্ডার দিতে উৎসাহী হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শ্রম খরচ কম হওয়ায় ভিয়েতনামের তুলনায় বাংলাদেশি কারখানাগুলো সিনথেটিক জুতার প্রতিযোগিতামূলক দাম দিতে পারে। ফলে বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড ও নতুন ক্রেতারা আকৃষ্ট হচ্ছে।’

‘বড় ব্র্যান্ডগুলো আগামী মার্চ পর্যন্ত শোয়েনিভার্সের কারখানা বুকিং দিয়েছে। চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র উচ্চ শুল্ক আরোপের সম্ভাবনার কারণে ক্রেতারা এখন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।’

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) জানিয়েছে—এইচঅ্যান্ডএম, পুমা, ডেকাথলন, ফিলা ও কাপ্পার মতো ব্র্যান্ডগুলোর কার্যাদেশ বেড়ে যাওয়ায় নন-লেদার জুতার রপ্তানি বেড়েছে।

নন-লেদার জুতার প্রধান বাজার স্পেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ইতালি ও জার্মানি।

চামড়ার চেয়ে ভালো

ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, গত ১০ বছরে দেশের নন-লেদার জুতা রপ্তানি গড়ে বার্ষিক ২৩ শতাংশ হারে বেড়েছে। চামড়ার জুতা রপ্তানি প্রবৃদ্ধি মাত্র ছয় শতাংশ।

চামড়ার জুতা রপ্তানি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪৮৩ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫৪৪ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।

তবে বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও নন-লেদার জুতা রপ্তানিকারকরা মাত্র চার শতাংশ নগদ প্রণোদনা পান জানিয়ে রিয়াদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘চামড়ার জুতা খাতে তা ছিল ১৫ শতাংশ।’

নন-লেদার জুতা রপ্তানির ভবিষ্যৎ

এডিসন ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া শহীদ মনে করেন, দ্রুত প্রবৃদ্ধির কারণে নন-লেদার জুতা শিল্প ভবিষ্যতে রপ্তানি বহুমুখীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তবে সময় মতো পণ্য পাঠাতে ব্যর্থ হওয়ায় নাইকি ও অ্যাডিডাসের মতো শীর্ষ ব্র্যান্ড বাংলাদেশে আসেনি।

ফ্রান্স ও জার্মানিতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মাফ সুজের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহাদাত উল্লাহ ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ক্রেতারা বেশি অর্ডার দেওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের রপ্তানি বেড়েছে।’

টিকে গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মাফ সুজের দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৫০ হাজার জোড়ারও বেশি।

দেশে অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘২০২১ সাল থেকে আরএফএল নন-লেদার জুতা রপ্তানি শুরু করে। বর্তমানে ৩৭ দেশে আমাদের জুতা রপ্তানি হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী বিপুল চাহিদা এবং দ্রুত প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বিবেচনায় এ খাতটি দ্রুত অন্যতম প্রধান রপ্তানি আয়কারী খাত হিসেবে সামনে আসতে পারে।’

প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে

জেনিস সুজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির খান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে উচ্চ শুল্ক এড়াতে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।’

‘শুল্ক কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার কারণে ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ কাজে লাগানো নিয়ে বিভ্রান্তিতে আছি।’

‘স্থানীয় উৎপাদকদের এখন আলোচনা করতে ও রপ্তানি আদেশ পেতে কমপক্ষে সাড়ে তিন মাস লাগবে,’ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘চামড়া ও নন-লেদার জুতার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সত্ত্বেও শুল্ক কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার কারণে গত দুই দশকে রপ্তানি এক বিলিয়ন ডলারে আটকে আছে।’

তার ভাষ্য, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে বছরে সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকা আমদানি শুল্ক পেয়ে থাকে। বন্ডেড ওয়্যারহাউজে কাঁচামাল আনতে হয়।

কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুল্ক কমিয়ে দিলে ও বন্ডেড ওয়্যারহাউজের শর্ত ছাড়া কাঁচামাল আমদানির অনুমতি দিলে সরকারের রাজস্ব বহুগুণ বাড়তে পারে।

রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র‌্যাপিড) চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সাভারের ট্যানারি শিল্পে কমপ্লায়েন্স না থাকায় চামড়ার জুতা রপ্তানি বাড়াতে কারখানার মালিকরা হিমশিম খাচ্ছেন। নন-লেদার জুতা শিল্পে এ ধরনের সমস্যা নেই। তাই রপ্তানি বেড়েছে।’

বিশ্ববাজার গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সিমাইজ মার্কেট রিসার্চের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী অ্যাথলেটিক জুতার বাজারমূল্য ছিল ৬৮ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার।

২০৩০ সালের মধ্যে এই বাজার বছরে সাত দশমিক ১১ শতাংশ হারে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রপ্তানিতে টানা পতন, পাটশিল্পে বড় ধাক্কা

আপাতদৃষ্টিতে রপ্তানি বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ নেই। দেশে বাধ্যতামূলক পাটের মোড়ক ব্যবহারের আইন বাস্তবায়নের গতিও ধীর। সব মিলিয়ে চাহিদা কম থাকায় পাটকল ব্যবসায়ীরা হিমশিম খাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘সোনালি আঁশ’ হিসেবে পরিচিত পাটের চাহিদা কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) ৭৭ কারখানার মধ্যে মাত্র দুই ডজন কারখানা পুরোদমে চালু আছে। ফলে পাটের সুতার উৎপাদন কমেছে ৪০ শতাংশ।

বিজেএসএর চেয়ারম্যান তাপস প্রামাণিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এ খাতের অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা অনেক চেষ্টা করছি। হাতে গোনা কয়েকটি কারখানা এখন ভালোভাবে চলছে।’

পাটের সুতা এ খাতের প্রধান রপ্তানি পণ্য। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার পাটের সুতা রপ্তানির পর থেকেই চালান কমছে।

কাঁচা পাটের দাম বেড়ে যাওয়ায় পাটের সুতার দাম বেশি। তাই অনেক বিদেশি ক্রেতা তুলার সুতা ও পলিপ্রোপিলিনের (পিপি) দিকে ঝুঁকেছেন।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে এই প্রাকৃতিক সুতা থেকে সামগ্রিক রপ্তানি আয় ৪৯২ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

এই বছরগুলোয় পাটের বস্তা ও ব্যাগের রপ্তানিও কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয় ৮৫৫ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছে। আগের বছরের তুলনায় ছয় শতাংশ কম।

চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ কমে ৩৪১ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

তাপস প্রামাণিক বলেন, ‘কম্পোজিট কারখানাগুলোর অবস্থাও ভালো নয়।’

তার মতে, ‘বিশ্ববাজারে আমরা ধীরে ধীরে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাচ্ছি। আমরা ভারতে রপ্তানি করতাম। ভারত সরকার অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপের পর সেখানে রপ্তানি কমেছে।’

‘কাঁচা পাটের দাম বেড়ে যাওয়ায় পাটের সুতার উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এ খাত অতীতের মতো নীতিগত সহায়তা পায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাধ্যতামূলক পাটমোড়ক আইন দেশের বাজারে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে আমরা এই মন্দা সময় পার করতে পারতাম।’

চাল, গম, ভুট্টা, ডাল ও আটাসহ ১৯ নিত্যপণ্য প্যাকেজিংয়ের জন্য পাটের বস্তা বাধ্যতামূলক করে ২০১০ সালে আইন করে সরকার।

যাহোক, চাল কলের আইন মেনে চলা শুরু করতে পাঁচ বছর লেগেছিল। অনেকে তখন থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগের দিকে ঝুঁকে আছেন।

বিজেএসএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা দেশের বাজারে প্লাস্টিকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছি।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংক ঋণের কারণে বেশিরভাগ কারখানা ন্যূনতম কার্যক্রম বজায় রাখতে উৎপাদন অনেক কমিয়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশ পাটকল সমিতির মহাসচিব আব্দুল বারিক খান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রপ্তানি কমলেও আমাদের কিছু নির্দিষ্ট খরচ আছে। বর্তমান আয় থেকে কোনো রকমে ব্যাংক ঋণের সুদ মেটাচ্ছি।’

মজুদদাররা কাঁচা পাটের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

সংশ্লিষ্টরা আগে উচ্চ দামের জন্য পাটের খারাপ ফলনকে দায়ী করেছিলেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) তথ্য অনুসারে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পাট উৎপাদন ১৮ শতাংশ কমে ৭৫ লাখ ৬৫ হাজার বেলে (এক বেল প্রায় ১৮২ কেজি) নেমেছে।

কল মালিকরা পাটের প্রায় ৮০ শতাংশ প্রক্রিয়াজাত করে বস্তা, ব্যাগ, সুতা ও সুতলি উৎপাদন করে প্রধানত রপ্তানি বাজারের জন্য।

দেশের শীর্ষ পাট রপ্তানিকারক জনতা-সাদাত জুট মিলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা হেলাল আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সুতা উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচা পাট বিক্রি হচ্ছে প্রায় চার হাজার টাকায়।’

‘রপ্তানিতে দাম কমছে। তুরস্ক ও উজবেকিস্তানে পাটের সুতার চাহিদা কমেছে। সেখানকার কার্পেট নির্মাতারা এখন পাটের সুতার বিকল্প খুঁজছেন। সার্বিকভাবে পাট শিল্পের অবস্থা ভালো নয়।’

হেলাল আহমেদ আরও বলেন, ‘কেনাকাটায় প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে সরকারের উদ্যোগের পর সম্প্রতি দেশে পাটের ব্যাগের চাহিদা বেড়েছে। তবে সরকারের উচিত প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার সীমিত করার জন্য বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আসা যার ভিত্তিতে কারখানাগুলো উৎপাদনের পরিকল্পনা করতে পারবে।’

তিনি জানান, যে কারখানায় একসময় দিনে তিন শিফটে চলত, এখন এক শিফটে কমিয়ে আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আগামী মৌসুমে পাটের চাষাবাদ বাড়তে পারে। উৎপাদন বাড়লে আগস্টের পর থেকে পাটশিল্পের সংকট কাটতে পারে।’

National Defense Authorisation Act to boost US textile industry: NCTO

Hailing the House of Representatives for passing the fiscal year 2024-25 National Defense Authorisation Act (NDAA), the National Council of Textile Organisations (NCTO) said the legislation contains provisions that support a strong domestic textile and apparel manufacturing industrial base and aims to expand procurement of American-made defense-related textiles.

It helps preserve the Berry Amendment supply chain and authorises the department of defense (DoD) to take steps to build up the defense textile stockpile.

The legislation directs DoD to be more transparent and disclose all waivers submitted for the procurement of defense textiles not made in the United States.

Related News

In addition to supporting and expanding the critical Berry Amendment, which requires the Department of Defense to purchase cent per cent US-made textiles and clothing, the legislation includes two new key provisions important to the domestic textile industry.

It authorises the secretary of defense to establish pre-positioned stocks of defense textiles needed to support contingency operations, while requiring the secretary to develop a plan to mitigate delays in meeting the demand for a ramp up in defense textile articles.

It increases public transparency for domestic non-availability determinations (DNADS) on an annual basis, while requiring the under secretary of defense for acquisition and sustainment to develop and maintain a list of DNADs and share it with Congress and industry.

“We….urge the Senate to pass this critical legislation this year,” said NCTO president and chief executive officer Kim Glas in a statement.

“The US textile industry provides high-tech, functional components for the U.S. government, including more than $1.8 billion worth of vital uniforms and equipment for our armed forces annually. It is vital to America’s national security that the U.S. military maintain the ability to source high-quality, innovative textile materials, apparel and personal equipment from a vibrant US textile industrial base,” he added.

রপ্তানি বাজার ধরে রাখতে আরএমজিতে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিকল্প নেই: বিশেষজ্ঞরা

তৈরি পোশাক খাতের বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের হিস্যা ধরে রাখতে কারখানাগুলোতে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস অপরিহার্য। আর এর জন্য সরকারি নীতি সহায়তা এবং ব্র্যান্ড, ক্রেতা ও উৎপাদনকারীদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্ব অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। 

১৩ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ঢাকায় বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এক্সটার্নাল ডেবট আয়োজিত দ্বিতীয় বাংলাদেশ এনার্জি প্রসপারিটি ২০৫০ সম্মেলনের সমাপনী দিনে বক্তারা এ কথা বলেন।
১১ ডিসেম্বর থেকে বিয়াম ফাউন্ডেশনে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে রূপান্তর এবং বৈশ্বিক ও দেশীয় সংকটের মধ্যেও টেকসই বিদ্যুৎ নীতি অর্জনের ওপর জোর দেওয়া হয়। 

বাংলাদেশের পোশাক ও পরিবহন খাতে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস নিয়ে একটি সেশনে এথিক্যাল ট্রেডিং ইনিশিয়েটিভের প্রোগ্রাম এভিডেন্স অ্যান্ড লার্নিংয়ের সিনিয়র ম্যানেজার মুনির উদ্দিন শামীম পোশাক খাতে জ্বালানি রূপান্তর বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। 
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের কার্বন নিঃসরণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। ‘তৈরি পোশাক খাতে নিঃসরণ কমাতেই হবে আমাদের ব্যবসা ধরে রাখতে। আর কোনো বিকল্প নেই।’ 
ইউরোপে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন আইন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিউ ডিলিজেন্স’-এর (এইচআরইডিডি) প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ২০২৭ সালের পর আইনটি যখন বাস্তবায়ন শুরু হবে, তখন সব ব্র্যান্ডের জন্যই এ আইন মানা বাধ্যতামূলক হবে।
আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় বিধিমালা ও নীতিমালার উপস্থাপনায় জানানো হয়, বর্তমানে অনেক ক্রেতাকেই নবায়নযোগ্য জ্বালানি সার্টিফিকেট (আরইসি) দেখাতে হয়।
এথিক্যাল ট্রেডিং ইনিশিয়েটিভ (ইটিআই) হলো ট্রেড ইউনিয়ন, এনজিও ও কোম্পানিগুলোর একটি জোট, যা বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজ করে।
মুনির উদ্দিন শামীম জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে ২০০টির বেশি পোশাক কারখানা লিড সনদপ্রাপ্ত—যা শিল্পের মোট ইউনিটের ৪ শতাংশ। এই সনদপ্রাপ্ত কারখানাগুলো সবুজ কারখানা হিসেবে বিবেচিত। 
তিনি বলেন, ক্রেতারা এখন পণ্যের গুণগত মানের পাশাপাশি এর উৎপাদন প্রক্রিয়াজুড়ে যে শ্রমিক জড়িত, তাদের অধিকার রক্ষা হচ্ছে কি না সেটিও দেখছে। 
‘তাই ইউরোপীয় বাজার ধরতে উৎপাদনকারীকে কমপ্লায়েন্স মেনে চলতে হবে। আমাদের লিড সার্টিফাইড পোশাক কারখানা আরও বাড়াতে হবে।’ 
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জোট হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৫০ শতাংশের বেশি আসে ইইউ অঞ্চল থেকে।  আর দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে।
ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড লিন্ডেক্স।
লিন্ডেক্স বাংলাদেশের লিয়াজোঁ অফিসের দক্ষিণ এশিয়ার টেকসই উন্নয়ন ব্যবস্থাপক কাজী মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, লিন্ডেক্স একটি সুইডিশ ব্র্যান্ড। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, তুরস্ক, চীন, হংকং, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন অফিস আছে।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ভোক্তারা মূল্যের চেয়ে উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত সামাজিক ও পরিবেশগত বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেয়। পণ্য যে অঞ্চলে তৈরি হচ্ছে, সেই অঞ্চলের মানুষের ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে তারা সতর্ক। 
‘তারা দেখে এসব ব্র্যান্ডকে যারা পণ্য সরবরাহ করে, তারা কতটা টেকসই—যাকে আমরা বলি “গ্রিন ক্লেইমস”।  এটা প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ,’ বলেন তিনি।
ইকবাল আরও বলেন, ইউরোপীয় বাজারে গত দুই-তিন বছরে কর্পোরেট সাসটেইনেবিলিটি ডিউ ডিলিজেন্স ডিরেক্টিভ, এক্সটেন্ডেড প্রোডিউসার রেসপন্সিবিলিটি-র (ইপিআর) মতো অনেক নতুন আইন প্রনণয়ন হয়েছে। এসব আইনের অধীনে ২০২৬ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে সামাজিক ও পরিবেশগত নীতিমালা মেনে পণ্য বিক্রি বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, টেকসই পরিবেশ তৈরি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অবদান রাখতে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ কার্বন নির্গমন কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। ‘এই লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে দ্রুত কাজ করতে হবে।’ 
বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী দেশ ভিতেনাম, কম্বোডিয়া, ভারত, পাকিস্তান নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। লিন্ডেক্স বাংলাদেশের কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন, ‘তারা যদি ২০৩০-এর মধ্যে কার্বন নির্গমন কমানোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারে আর বাংলাদেশ যদি না করতে পারে, তাহলে বাংলাদেশ কম মূল্যে পণ্য দিলেও এখান থেকে পণ্য কিনবে না।’ 
‘কারণ ইউরোপে যদি পণ্য বিক্রি করতে না দেয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশ থেকে পণ্য কেনার কোনো মানে হয় না,’ বলেন তিনি। 
তিনি আরও বলেন, ‘ইউরোপীয় ক্রেতাদের প্রভাবিত করার জন্য পণ্য ছাড়ের চেয়ে আপনি সামাজিক এবং পরিবেশগত কী ধরনের এক্সিলেন্স করছেন, এটা বড় ধরনের মার্কেটিং টুল। আমরা কার্বন নিঃসরণ কত শতাংশ কমাচ্ছি, সেটা আমাদের বড় মার্কেটিং টুল।’
সেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্লাইমেট-টেক কোম্পানি সলশেয়ার-এর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনোভেশনের পরিচালক সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ কার্বন নিঃসরণ দ্রুত কমাতে সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং সৌরশক্তি বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এথিক্যাল ট্রেডিং ইনিশিয়েটিভের প্রোগ্রাম এভিডেন্স অ্যান্ড লার্নিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মুনির উদ্দিন শামীম ব্র্যান্ড, ক্রেতা এবং সরবরাহকারীদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক তৈরি, দায়িত্বশীল ক্রয়ের চর্চা, জ্বালানি রূপান্তরকে মূলধারায় আনা, জলবায়ু ইস্যুতে যৌথ দায়িত্ব গ্রহণ এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার ওপর জোর দেন।
অন্য সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলোকে (এসএমই) সহায়তা দেওয়া; সরকার, ক্রেতা ও কারখানার মধ্যে কার্যকর সেতুবন্ধন তৈরি করা; সব কারখানার জন্য সাসটেইনিবিলিটি রিপোর্টিং বাধ্যতামূলক করা; সচেতনতা ও সক্ষমতা বাড়ানো এবং নীতি সহায়তা।
মুনির উদ্দিন শামীম অর্থনৈতিক কূটনীতি শক্তিশালী করা, সহজ অর্থায়ন প্রাপ্তি, শিল্প খাতে কার্বন নিঃসরণ কয়ামতে বাজেট বরাদ্দ, কর অব্যাহতি এবং সরকারের নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার সুপারিশ করেন।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী করার জন্য তারা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ‘প্রতিটি কারখানাকে জ্বালানি সাশ্রয়ী করার জন্য আমরা কাজ করছি।’ 
তিনি জানান, একটি পাইলট প্রকল্পও নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় প্রতিটি কারখানাr একটি ম্যাপিং করা হবে, তারা এখন কোথায় আছে। 
ফজলে শামীম আরও বলেন, তারা একটি সফটওয়ার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছেন। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপারেল ফেডারেশনের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। ‘বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ একসঙ্গে কাজ করছে। এর জন্য আমরা ক্রেতাদের কাছেও ফান্ড চাচ্ছি।’ 
তিনি জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতি পিস পোশাক তৈরিতে কতটুকু কার্বন নিঃসরণ হয়, তা জানতে একটি গবেষণা পরিচালনা করা হবে। ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন যখন বলবে এই পণ্যর জন্য এতটুকু কার্বন নিঃসরণ করা করা যাবে, তখন সেই অনুযায়ী নিঃসরণ কমানোতে কাজ করা হবে।’ 
ফজলে এলাহি বলেন, ‘আমাদের এর জন্য সরকারের সহায়তা প্রয়োজন । সরকার যেন দ্রুত স্মার্ট গ্রিড করে। সেখান থেকে আমরা গ্রিন এনার্জি কিনতে পারব। আমার কাছে হিসাব থাকবে কতটুকু গ্রিন এনার্জি আমি ব্যবহার করেছি।’ 

Protest for increment hike: Ashulia situation improves  

The unrest in Ashulia’s industrial area, originating from ongoing protests by RMG workers over annual increment hikes, has improved somewhat on the first day of the week.

Production activities remained normal in most factories here.
However, despite the government’s announcement of a 4% annual increment increase, workers in some apparel factories in Ashulia continued their strike, demanding a 15% increase instead.

According to BGMEA sources, production activities were suspended in 10 factories within the industrial area. Among these, workers at four factories either walked out or staged a strike despite reporting to work in the morning. Additionally, five factories were closed under the “no work, no pay” provision as per section 13(1) of the Bangladesh Labour Act, while one factory remains closed with paid leave for workers.
An official from the Industrial Police told The Business Standard that there were some disturbances in 7/8 factories. However, following discussions, workers in half the factories resumed their duties.

Mohammad Mominul Islam Bhuiyan, Superintendent of Police for Industrial Police-1, told TBS that the situation in Ashulia is calmer compared to recent days. “Work is ongoing in most factories, and we are actively engaging with all stakeholders to further stabilise the situation,” he added.
Worker layoffs amid protest

Reports have emerged of worker layoffs in several factories amidst ongoing protests in the industrial area, where workers are demanding increment hikes. The Industrial Police and labour leaders have also confirmed the situation.

While the exact number of affected factories and workers remains unclear, Mohammad Mominul Islam Bhuiyan Superintendent of Industrial Police-1, told TBS that approximately 300 workers have been laid off across three factories. Among them, two factories implemented layoffs under Section 26(1) of the Bangladesh Labour Act, while one acted under Section 23(1).
Khairul Mamun Mintu, legal affairs secretary

পোশাক শিল্প : বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ কী ?

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে আর্থিক ও প্রশাসনিক সমস্যাগুলোর কারণে উৎপাদনের ক্রয়াদেশ ভারতের দিকে স্থানান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু ক্রয়াদেশ ভারতের বিভিন্ন পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান, যেমন গোকলদাস, ট্রাইডেন্ট এবং ওয়েলস্পানের কাছে চলে যাওয়ায় তাদের শেয়ারদর উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। গত সোমবার ভারতের শেয়ারবাজারে এসব কোম্পানির শেয়ারদর ১৪ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম মানিকন্ট্রোল বলছে, বাংলাদেশের সরকারের অন্তর্বর্তী সময়ের মধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপের অধীনে থাকা ৩২টি লোকসানি পোশাক কোম্পানির মালিকানা বিক্রি করার পরিকল্পনা রয়েছে। এটি শ্রমিক আন্দোলন ও বেতন-ভাতা না দেওয়ার সমস্যাগুলো মোকাবেলা করার উদ্দেশ্যে হতে পারে। বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের গ্রেপ্তারও তাদের সমস্যাগুলো বাড়িয়ে দিয়েছে।
বেক্সিমকো গ্রুপের ১৬৯টি কোম্পানির মধ্যে প্রধানত টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পে ৩২টি কোম্পানি বিক্রি করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা জনতা ব্যাংক এবং আইএফআইসি ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে সহায়তা করবে।
ভারতের বাজারে পাঞ্জাবভিত্তিক হিমাতসিংকা সাইড লিমিটেডের শেয়ারদর সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে এবং ট্রাইডেন্ট লিমিটেডেও শেয়ারদর ১৩.৯৬ শতাংশ বেড়ে ৩৯.২৭ রুপি হয়েছে। অন্যান্য কোম্পানির শেয়ারদরও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যেমন গোকলদাস এক্সপোর্টসের শেয়ারদর ৮ শতাংশ বেড়ে ১০৫০ রুপি এবং ওয়েলস্পান লিভিংয়ের ৬.৬ শতাংশ বেড়ে ১৭৫ রুপি হয়েছে।
বাংলাদেশ বিশ্বের পোশাক শিল্পের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে, যেখানে ওয়ালমার্ট এবং এইচঅ্যান্ডএমের মতো বিশাল ব্র্যান্ডগুলো ক্রেতা হিসেবে রয়েছে।
তবে বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাতে অস্থিরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তারা তাদের অর্ডারগুলো ভারতে চলে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ।

RMG workers of 29 factories boycott work demanding higher increment

Meanwhile, police said they are working to improve the situation by holding discussions with all parties

Workers of 25 RMG factories in Ashulia abstained from work for the second day demanding a 15% rise in annual increments on 12 December. Photo: Collected

Workers of 25 RMG factories in Ashulia abstained from work for the second day demanding a 15% rise in annual increments on 12 December. Photo: Collected

RMG workers are continuing their protest against the 4% rise in annual increment declared by the government and demanding a 15% rise instead.

Workers of 25 factories continued their boycott today (12 December) as well.

Amid protests for higher pay, the government on Monday (9 December) decided to add a 4% increase to the regular annual increment of 5% for readymade garment (RMG) workers. With the new announcement the RMG workers are now privy to a 9% raise annually.

According to industrial police, although the workers are waging a movement to increase their increment, they are not creating any anarchy except abstaining from work.

Meanwhile, police said they are working to improve the situation by holding discussions with all parties.

According to BGMEA sources, production has been halted at a total of 29 factories in Ashulia.

Among the factories, eight factories have been closed following Section 13(1) of Bangladesh Labour Law, eight others are following Leave with Pay rule and workers of 13 factories have left without working after arriving at the factories in the morning.  

Among the factories where production has been halted are Nassa Group, Trouser Line and Al Muslim, while New Age Apparels was among the factories where general holiday was declared.

Talking to The Business Standard, aggrieved workers said although they have many demands, the primary one among them is a 15% rise in increments.

“Workers don’t know whether there will be any work unless they come to the factory. Workers get an idea what is happening at nearby factories after coming to work. When they get the news that other factories are halting their productions, the workers also abstain from work at their own factories,” said a worker when asked about why they are coming to the factories despite observing work abstention.

Another worker, who did not support the movement, said, “I don’t think there is any reason to wage the movement in such condition of the country while getting a 9% increment. Whatever is happening now is damaging the industry. I’m worried about the future.”

Contacted, Superintendent of Industrial Police-1 Mohammad Mominul Islam Bhuiyan said, “A total of 13 factories have halted their production today, among which 10 factories have declared general holiday. The number of factories halting production yesterday [11 December] were 11.”

RMG workers of 3 Ashulia factories leave work demanding 15% annual increment, Tk25,000 minimum wage

At least three readymade garment (RMG) factories in Ashulia have announced general holidays as workers stopped working over various demands, including a 15% annual increment and a minimum wage of Tk25,000. 

“Workers at the New Age, Al Muslim, and Nasar factories stopped working in the morning and left the factories around 11am over several demands,” an officer from the Ashulia Industrial Police, unwilling to be named

“The authorities of these three factories later declared a holiday. A similar holiday was also declared in another factory yesterday [8 December] due to a work stoppage due to the same demands,” he added. 

Khairul Mamun Mintu, legal secretary of the Bangladesh Garments and Sweater Workers Trade Union Center, said workers in several factories have been on strike since yesterday over demands, including an increment. 

“These demands arose due to the non-implementation of the 18-point agreement reached in the tripartite meeting with the government. These demands include increases in night shift allowances and attendance bonuses,” he explained.

Khairul said such work stoppages are unexpected given that the Reform Commission and the committee formed for wage re-evaluation are working on these issues, and meetings are being held.  

“However, I believe the increments and wage re-evaluation issue should be resolved by December. Otherwise, there is a risk of dissatisfaction spreading again from January onwards,” he added.

Despite multiple attempts, Md Sarwar Alam, the superintendent of Industrial Police-1, could not be reached for a comment on the matter. 

According to sources from the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA), seven factories in the Ashulia area are either closed, have sent workers on paid leave, or had workers stopping work.

Among the factories affected are NASA Super Garments Limited, NASA Basic Limited, AJ Super Garments Limited, Al Muslim Apparels, and Trouser Line Limited.

Sources indicate that the work stoppage by workers has led to a suspension of production at these factories.

Female workforce in garment industry slips to 53%

The share of women working in Bangladesh’s garment industry decreased over the past decade, with female participation falling to 53 percent in 2023 from 56 percent in 2014, according to a recent study.

It attributed the changes in the distribution of female workers across different segments of the country’s main export earning sector to their increased presence in home textile and woven industries.

However, there was a significant decline in the female participation rate in jacket-making industries, it added.

Kazi Iqbal, research director of the Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS), shared these findings at an annual development conference organised by BIDS at the Lakeshore Hotel in Dhaka yesterday.

The study, titled “Technology Upgradation of the RMG Industries in Bangladesh”, noted that women made up more than 80 percent of the garment sector’s workforce during its initial development.

Although this trend prevailed for many years, female participation in garment industries started declining amid a growing reluctance to engage in laborious factory work.

The study also found that second-generation workers are less interested in joining the garments sector.

Besides, the overall number of garment workers decreased over time as professions such as machine operators and their helpers have become obsolete thanks to mechanisation.

On the other hand, the number of factory supervisors and management personnel remained mostly unchanged.

Furthermore, the study informed that an average of between 4.13 and 2.15 workers lost their jobs for each $1 million spent on purchasing new equipment.

But although modern technology enabling automation is displacing labour, such innovations are creating new opportunities for employment, the study said.

Additionally, the study pointed out that the growing capabilities of local firms propelled automation in recent years, reducing the need for labourers to operate machinery.

There was also evidence that the reduction in female participation could have resulted from gender-biased technological transitions for occupations like machine operators.

Moderated by Sajjad Zohir, executive director of the Economic Research Group, a total of four studies were shared at the session.

Presenting a paper on “Supply Chain Dynamics for Sustainable RMG Growth in Bangladesh”, BIDS Research Director Monzur Hossain said the European Union (EU) offers tariff protection for least developed countries (LDC) following their graduation to developing country status.

This includes import subsidies of about 4 percent for fabrics, 8 percent for semi-finished garments and 12 percent for clothing sourced from “Most-Favoured Nations”.

In the post-LDC era, Bangladesh may face tariffs as high as 9.6 percent on exports to the EU, he added.

The study also said Bangladesh may lose 10.8 percent of its garment exports by 2031 due to the elimination of export subsidies following LDC graduation.

This potential loss of export earnings could range from 7 percent to 14 percent in major markets.

For the 9.6 percent tariff in the EU, the production of textiles and apparel items for the trade bloc may decline by about 6.1 percent. So, it is possible that Bangladesh’s negative trade balance with the EU could widen, thereby impacting its gross domestic product (GDP).

As such, the country’s real GDP could contract by about 0.38 percent if developed countries start imposing tariffs, it added. This loss of duty benefits could slash Bangladesh’s total exports by about 6 percent while the apparel sector will likely witness a 14 percent decline.

A study titled “Structural Changes in Industrial Sector of Bangladesh: 2012 to 2019”, presented by BIDS Research Associate Jayed Bin Satter, said female participation has also dropped in the manufacturing sector.

Similarly, the overall share of female business leaders fell, mostly driven by their exit from the garment sector, it added.

Presenting a study on “The State of the Manufacturing Workers in Bangladesh”, BIDS Research Associate Farhin Islam said significant intergenerational effects on workers’ education were observed.

While there is a tendency for real wages to remain flat, collective bargaining has a significant impact on raising wages, improving other benefits and enhancing working conditions.

 Trade unionisation significantly enhances women’s family decision-making power through stronger collective bargaining and advocacy whereas factory-level unions lack sufficient influence on women empowerment.

 The poverty rate among garment workers is significantly lower than that of workers in non-garment sectors and other domestic industries with more stringent compliance requirements.

40% of RMG businesses face LC opening delays: BIDS survey

Amid protests by RMG workers demanding a rise in increment, alongside other benefits, the government today decided to add a 4% hike to the regular annual raise of 5%.

Speaking at a briefing at the Bangladesh Secretariat this evening,  Labour and Employment Adviser M Sakhawat Hussain said the RMG workers will get the 9% increase in their salary this year. 

The increase will come into effect with their December salaries, he added.

The announcement comes as the RMG industry grapples with frequent worker unrest demanding payment of arrears and increasing wages.

Sakhawat said, “In consideration of the overall situation [in the country], it has been decided to provide a 9% salary increment to the workers of the RMG industry,” he said.

“Of the total increment, the RMG workers will get a 5% regular salary increase as prescribed by the Minimum Wage Board. Besides, the owner and the workers have agreed to another additional 4% increment,” added the adviser.

He said the workers will enjoy the increment in their December salaries.

He also said workers who aren’t eligible for  the yearly increment will also get the additional 4% increase. 

The increase will stay in effect till the next wage board is announced, stated Sakhawat. 

Speaking about the ongoing workers’ unrest in the industry, he said, “Conspiracies are being hatched both at home and abroad. Newspapers of different countries are reporting that now is the time to divert [apparel] buyers from Bangladesh. Many workers are protesting without understanding. Provocation is also coming from many places.”

At the event, Labour Secretary AHM Shafiquzzaman said, “The issue of an increase in the yearly increment was included in the 18-point demands jointly prepared by the owners and workers to improve the labour standards in the apparel sector.”

A committee was later formed to that end. The committee has now submitted its recommendation. “They recommended providing a 4% additional increment in addition to the regular 5% annual increment. Both the workers and owners have agreed to this.”

General Secretary of Bangladesh Garments and Industrial Workers Federation Babul Akhter said the decision was made after five meetings. 

He urged the workers to return to work and maintain production and not to step into any local or foreign conspiracy. 

Bangladesh has been experiencing waves of worker unrest in recent months, particularly in the RMG factories in Savar, Gazipur and Naraynganj industrial areas. Protesters have set fire to factories, attacked owners and clashed with locals in Gazipur during the unrest. Many have been sued and detained. 

Earlier today, at least three RMG factories in Ashulia announced general holidays as workers stopped working over various demands, including a 15% annual increment and a minimum wage of Tk25,000. 

“Workers at the New Age, Al Muslim, and Nasar factories stopped working in the morning and left the factories around 11am over several demands,” an officer from the Ashulia Industrial Police, unwilling to be named, told The Business Standard. 

“The authorities of these three factories later declared a holiday. A similar holiday was also declared in another factory yesterday [8 December] due to a work stoppage due to the same demands,” he added. 

RMG BANGLADESH NEWS