fbpx
Home Blog Page 27

টাকা না দিয়েই পণ্য ছাড়িয়ে নিচ্ছেন বিদেশিরা

দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্পে অশনিসংকেত তাড়া করছে। একটি প্রতারক চক্র বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত পণ্য সংশ্লিষ্ট বিদেশি ব্যাংকে টাকা জমা না হওয়া সত্ত্বেও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে পণ্য সরবরাহ করছে।

পোশাক তৈরি ও রপ্তানিকারক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ জানান, প্রথমে ছোট ছোট রপ্তানি চালানের ক্ষেত্রে এই প্রতারণা লক্ষ করা গেলেও দিন দিন তা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। এখনই প্রতারক চক্র কিংবা অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িতদের লাগাম টেনে না ধরলে গার্মেন্টস শিল্প খাত ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে। এর ফলে পোশাক রপ্তানিকারকরা যেমন ক্ষতির মুখে পড়বে, একইভাবে দেশ বিশাল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হবে।

বিজিএমইএ চট্টগ্রাম অফিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ১০ বছরে ২৩টি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান তাদের বিদেশি ক্রেতার কাছে পণ্য পাঠিয়েও টাকা পায়নি। এতে অনেকেই ব্যাংকের দেনার দায়ে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। আবার অনেকে ব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট বিদেশি ক্রেতার কাছে ধরনা দিয়ে চলেছেন। আবার কেউ কেউ বিরাট অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে দেশি-বিদেশি মামলায় জড়িয়েছেন। সাধারণত বিদেশি ক্রেতা বাংলাদেশের কোনো কারখানা মালিককে সরাসরি কিংবা বায়িং হাউজের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ পোশাক তৈরির জন্য এলসি কিংবা চুক্তিপত্রের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়। স্থানীয় পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান তার নিজস্ব ব্যাংকে তা প্রদর্শন করে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে দেশি বা বিদেশ থেকে কাপড়সহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য এক্সেসরিজ আমদানি করে থাকে। কারখানার মালিকের স্থানীয় ব্যাংক ঐসব কাপড়সহ অন্যান্য পণ্যের খরচ বহন করে থাকে। পণ্য প্রস্তুত হওয়ার পর বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট নমিনি ফ্রেইট ফরোওয়ার্ডের মাধ্যমে নির্দিষ্ট জাহাজে পণ্য ভর্তি করে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের বন্দরে পৌঁছানো হয়। রপ্তানিকারক দেশীয় প্রতিষ্ঠান জাহাজে পণ্য ওঠার পর ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার থেকে প্রাপ্ত ডকুমেন্টসহ চালানের কপি তার স্থানীয় ব্যাংকে জমা দেয়। এই ব্যাংক বিদেশে ক্রেতার নির্দিষ্ট ব্যাংকে ডকুমেন্টসহ চালান পাঠিয়ে দেয়। বিদেশে নির্দিষ্ট বন্দরে পণ্য পৌঁছার পর ক্রেতা ব্যাংকে ডকুমেন্ট অনুযায়ী টাকা জমা দিয়ে বন্দর থেকে খালাস নিয়ে থাকে। ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার ও শিপিং লাইন ব্যাংকের টাকা পরিশোধের কাগজপত্র দেখে তবেই ক্রেতার কাছে পণ্য হস্তান্তরের সাধারণ নিয়ম। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার ও শিপিং লাইনের অসাধু লোকজনের যোগসাজশে বিদেশি ক্রেতা ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করে পণ্য খালাস নিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ধরনের অবৈধ পন্থায় ক্রেতা কর্তৃক পণ্য খালাস নেওয়ায় অনেকেই দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে জানা যায়।

সাম্প্রতিক একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমইএ এই ধরনের প্রতারণা ও অবৈধ কাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে নড়েচড়ে বসেছেন। চট্টগ্রামের মেলো ফ্যাশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের দুটি রপ্তানি চালানের মাধ্যমে পাঁচটি কনটেইনার তৈরি পোশাক আমেরিকায় ক্রেতার কাছে পাঠায়। মেলো ফ্যাশন তার বিদেশি ক্রেতার নমিনি ফ্রেইট ফরোয়ার্ড ওয়াইদা ফ্রেইট ফরোয়ার্ডের স্থানীয় এজেন্ট রেজর ফ্রেইট সার্ভিস লিমিটেডের মাধ্যমে নির্দিষ্ট জাহাজে পণ্য ভর্তি করে। ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৪৮ মার্কিন ডলারের ঐ রপ্তানি পণ্যের সব ডকুমেন্ট মেলো ফ্যাশন তার স্থানীয় ব্যাংকে জমা দেয়। স্থানীয় ব্যাংক যথারীতি ক্রেতার নির্দিষ্ট ব্যাংকে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু দেখা যায়, ওই বিদেশি ব্যাংকের ডকুমেন্ট অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ না করা সত্ত্বেও ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার শিপিং লাইনের যোগসাজশে ক্রেতা বন্দর থেকে পণ্য ছাড় করিয়ে নেয়। স্থানীয় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেলো ফ্যাশনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে শিপিং লাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। অথচ রপ্তানি আইন অনুযায়ী কোনোভাবেই ব্যাংকে টাকা জমা না দেওয়া পর্যন্ত শিপিং লাইন কোনোভাবেই পণ্য হস্তান্তর করতে পারে না।

এদিকে মেলো ফ্যাশনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার ও শিপিং লাইনের লাইসেন্সিং অথরিটি চট্টগ্রাম কাস্টমস হওয়ায় ইতিমধ্যে তাদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে গত সপ্তাহে বৈঠক আয়োজন করে। বৈঠকে ফ্রেইট ফরোয়ার্ডিং প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মেলো ফ্যাশনের দাবিকৃত অর্থের ব্যাপারে সমাধানের সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। মেলো ফ্যাশন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, বিজিএমইএ, ব্যাংকে অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশের ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বিষয়টি তদন্ত করছে।

বিজিএমইএ’র সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ইত্তেফাককে বলেন, উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়া এই ধরনের প্রতারণা ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের এখনই বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারকে মূল ভূমিকা পালন করতে হবে। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে থাকা কমার্শিয়াল সেকশনের কর্মকর্তাদের ওই সব দেশের সংশ্লিষ্টদের নিকট অভিযোগসহ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংককে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মিশনগুলোকে জানাতে হবে। অথচ বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো টাকা পেলে তাদের স্থানীয় দূতাবাসের মাধ্যমে চাপ দিয়ে থাকে। ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার শিপিং লাইন, বায়িং হাউস এবং ব্যাংককে ভূমিকা রাখতে হবে এবং দায়িত্ব নিতে হবে।

বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ারডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুল আলম সুজন বলেন, টাকা ছাড়া পণ্য খালাস নেওয়া আমরা মানতে চাই না। তবে অর্ডার নেওয়ার ক্ষেত্রে মালিকদের সতর্ক থাকা উচিত। কারণ বায়িং হাউজের মাধ্যমে পাওয়া অর্ডারের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটতে দেখা যায়। 

অপ্রচলিত বাজারে বেড়েছে রপ্তানি

সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) অপ্রচলিত বাজারে (ভারত ছাড়া) বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডার বাইরে দেশের পোশাক রপ্তানি গন্তব্যগুলো অপ্রচলিত বাজার হিসেবে বিবেচিত হয়। আগামী দিনে অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ)।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী- ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে অপ্রচলিত বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়ে ৮১৯ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২২-২৩ বছরের ১১ মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৭৬৯ কোটি ডলারের পোশাক। কিন্তু গত অর্থবছরের ১১ মাসে ভারতে দেশের পোশাক রপ্তানি ২০২২-২৩ বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩ দশমিক ১১ শতাংশ কমে ৭২ কোটি ৮৮ লাখ হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ৯৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের পোশাক। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী- মোট রপ্তানি আয়ের ১৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ এসেছে নতুন বাজার থেকে। সামগ্রিক পোশাক রপ্তানি আয় ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে এ খাতে আয় হয়েছে মোট ৪ হাজার ৩৮৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪ হাজার ২৬৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, আমরা অপ্রচলিত বাজারে বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানি ভবিষ্যতে বৃদ্ধির বিষয়ে আশাবাদী। কারণ রপ্তানিকারকরা ওই সব বাজারে ভালো দাম পাচ্ছেন। তিনি বলেন, ভারত সরকার কিছু রাজ্যে তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগের ওপর বিশাল প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, যাতে বৈশ্বিক বাজারে আরও বেশি অংশ নেওয়া যায়। সরকারি সহায়তায় ভারতীয় উদ্যোক্তারা ইতোমধ্যে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে শুরু করেছে। যদিও ইইউ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার মতো প্রধান বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে লড়াই করছে। 

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রপ্তানি ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ১৬৫ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আয় আগের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমে ৭৪৭ কোটি ডলার হয়েছে। অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় এসেছে জাপান থেকে। দেশটি থেকে আয় হয়েছে ১৪৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলার, যা আগের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ১৪৫ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। 

গত অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে অস্ট্রেলিয়ায় পোশাক রপ্তানি ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়ে ১১৮ কোটি ডলার হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ১০৬ কোটি ডলারের পোশাক। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৫৭ কোটি ২৮ লাখ ডলারের। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি। 

২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫০ কোটি ১০ ডলার। গত অর্থবছরের ১১ মাসে রাশিয়ায় তৈরি পোশাক রপ্তানি ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়ে ৪৬ কোটি ২৩ লাখ ডলার হয়েছে। চীনে রপ্তানি ২৩ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়ে ৩১ কোটি ৫ লাখ ডলার হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যে আরও দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৩৪ দশমিক ০৮ শতাংশ বেড়ে ৩৬ কোটি ৮৯ লাখ ডলার হয়েছে। সৌদি আরব থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি আয় ৫৮ দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়ে ২৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

Navigating the challenges of Bangladesh’s garment industry to reach $100 bn by 2030

The garment industry in Bangladesh is a pivotal sector that drives the country’s economy, contributing significantly to its foreign exchange earnings. However, the path to sustaining and growing this industry is fraught with challenges, particularly in the context of order completion, financial management, and sector-wide support. With the strength of its three pillars, the industry is moving forward with an ambitious vision of achieving a $100 billion export target by 2030. This goal, however, seems impossible without robust government support.

Figure 1: Navigating the challenges of Bangladesh's garment industry to reach $100 bn by 2030.
Figure 1: Navigating the challenges of Bangladesh’s garment industry to reach $100 bn by 2030.

The Three Pillars of the Garment Industry

The foundation of Bangladesh’s garment industry rests on three critical pillars: Banking support, back-to-back letters of credit (LC), and bond facilities related to the National Board of Revenue (NBR). These elements form the backbone of financial and operational stability within the sector.

  1. Banking Support: Access to banking facilities is crucial for financing the various stages of production. Adequate bank support allows factories to manage their cash flow and operational costs effectively.
  2. Back-to-Back LC: This financial instrument helps manufacturers secure the necessary raw materials without immediate payment, enabling smoother production processes and ensuring timely delivery of finished goods.
  3. Bond Facilities: Related to the NBR, bond facilities provide tax incentives and facilitate the import of raw materials under favorable terms, which is vital for maintaining competitive pricing in the global market.

The Role of a Disciplined Workforce

A disciplined and dedicated workforce is perhaps the most significant asset of the Bangladeshi garment industry. The commitment and hard work of millions of workers have been instrumental in the sector’s growth and resilience. Their ability to adapt to changing demands and maintain high standards of production quality is a key factor that continues to drive the industry forward.

Order Completion and Financial Strain

One of the foremost challenges faced by the garment industry is the extended timeline required for completing orders. While the actual production time spans 70-90 days, the entire process, from order acceptance to negotiation, can extend up to 6-7 months. This prolonged period places considerable financial strain on factories, which must cover operational costs, including worker salaries, without receiving payment for the orders until much later.

The lack of adequate bank support further exacerbates this issue. The financial requirements for managing large-scale operations, amounting to billions of dollars, are substantial. Without sufficient bank financing, factories must rely on their resources, which can be both risky and unsustainable. This situation underscores the need for more robust financial mechanisms to support the industry through its extended production cycles.

Economic Significance and Government Support

The garment sector is a cornerstone of Bangladesh’s economy, serving as one of the primary foreign exchange-earners. The government’s support for this sector has been substantial, providing various incentives and developmental initiatives. However, given the sector’s critical role, more focused attention and resources are needed to ensure its continued growth and resilience.

In addition to government support, collaboration among industrialists and engagement with foreign donor groups are essential. These stakeholders can provide the necessary investments, expertise, and market access to bolster the industry’s capabilities. Encouragingly, there has been a growing recognition of the need for a concerted effort to support the garment sector, and this momentum should be sustained.

Navigating the challenges of Bangladesh's garment industry to reach $100 bn by 2030
Figure 2: The garment sector is a cornerstone of Bangladesh’s economy, serving as one of the primary foreign exchange-earners. Courtesy: GOPA Group

Collaborative Efforts for Economic Growth

Our government, along with garments trade bodies, organizational leaders, and industry owners, is working together to achieve the ambitious export target of $100 billion by 2030. This unified effort is essential for driving economic growth in Bangladesh. By leveraging the strengths of the three pillars and ensuring strategic management of orders, the industry can navigate its challenges and capitalize on its potential.

Moving Forward: Strategic Management and Resilience

To achieve the ambitious export target of $100 billion by 2030, the garment industry must address its current challenges while leveraging its strengths. Effective management of orders is critical to navigating the financial complexities of the industry. Decision-makers must base their actions on accurate and up-to-date data to avoid overcommitting their resources. Evaluating the feasibility of taking on new orders, ensuring factory capacity, and maintaining financial discipline are key to sustaining operations and avoiding pitfalls.

Furthermore, continuous efforts to write about and advocate for the industry’s needs are vital. Constructive feedback, shared experiences, and collaborative problem-solving can help refine strategies and support the sector’s growth. This collective effort will ensure that the garment industry not only survives but thrives, returning to its traditional strength and contributing even more significantly to the national economy.

Conclusion

The garment industry in Bangladesh stands at a crossroads, facing significant challenges but also possessing immense growth potential. Addressing the financial strains, managing orders strategically, leveraging government and external support, and fostering resilience through crisis management are essential steps toward a sustainable future. Supported by the critical pillars of banking, back-to-back LCs, bond facilities, and a disciplined workforce, the industry can continue to be a driving force in Bangladesh’s economic landscape. Achieving the $100 billion export target by 2030 will require concerted efforts, but with the right support and strategic approach, it is an attainable goal.

Management must be transformed in all aspects of integration eliminating silo mentality management and balancing well management of four pillars framework – Planning, Organizing, Leading and controlling at every section led by country origin manager and at body corporate.

Need investment in People, Product, Function, Process and System to integrate all the processes in single grid building up country origin manager and successor without relying on solely person itself. We all should remember that Privilege and policy support are not to be in life long for a single industry.

I am a very small boat in an ocean, sharing my thoughts with my limited knowledge. I have seen many ups and downs in this sector due to my father’s involvement in this business since childhood. I myself have suffered a lot during the Corona situation. Even then, whenever I get a chance, I write for the sake of the textile sector of the country. If there are any mistakes in my writing, I apologize.

Revolutionizing Textile Coloration: The Rise of Printing 4.0

The textile sector is undergoing a significant transformation with the advent of Printing 4.0, characterized by the integration of advanced digital technology. This evolution not only enhances the aesthetics of textiles but also emphasizes sustainability and efficiency. As digital textile printing becomes more economical and environmentally friendly, it emerges as a critical technology for companies aiming to reduce their carbon footprint and streamline manufacturing processes. This essay explores the advancements driving Printing 4.0 and their substantial impact on textile coloration.

Textile printing has come a long way, evolving through various stages from block printing to flat-bed screen printing, continuous rotary printing, and most recently, inkjet or digital printing. This latest phase, known as Printing 4.0, leverages digital technologies to revolutionize textile printing, offering a versatile and sustainable solution for producing high-quality printed materials with intricate designs and vibrant colors.

The process of digital textile printing is straightforward and involves several key steps:

1. Design Creation:  A desired design is created using graphic design software.

2. Fabric Preparation:  The fabric is pre-treated to ensure optimal ink absorption.

3. Printing:  The design file is transferred to the digital printer’s software. Inkjet technology allows the print head to deposit tiny ink droplets onto the fabric surface with precision.

4. Finishing:  The fabric is either dried or cured to set the ink, ensuring proper adhesion to the fabric surface.

Digital textile printing has advanced due to Printing 4.0 innovations, making it a preferred choice due to shorter production times and lower setup costs. Manufacturers such as Reggiani, Kornet, and Durst have introduced smart technologies that enable quicker production turnaround times while maintaining high print quality. Additionally, the growing emphasis on sustainability has led to the development of eco-friendly ink formulations. Companies like Epson, Mimaki, and Roland have developed digital textile printers compatible with water-based and eco-friendly solvents. The use of pigment inks, which do not require post-processing treatments, helps conserve water, energy, and resources.

Efficient color management is another critical aspect of Printing 4.0, enabling precise color reproduction and consistency. Firms such as Barbieri Electronic and X-Rite provide modern spectrophotometers, calibration tools, and software specifically designed for digital textile printing. RIP software solutions from EFI and Caldera enhance color profiling and calibration, while textile-specific CAD software facilitates the creation of complex patterns. Additionally, companies like Mimaki and EFI employ AI and machine learning algorithms to optimize printing operations by analyzing data, detecting flaws, and predicting maintenance requirements, thereby increasing efficiency, reducing waste, and improving print quality.

Direct-to-garment (DTG) printers, which allow graphics to be printed directly onto clothing, are becoming increasingly popular in both commercial and domestic settings. This technology enables personalized designs and has become a favored tool for promotional marketing by businesses. DTG printers offer the flexibility to produce custom apparel on demand, catering to the growing consumer demand for unique and individualized products.

Printing 4.0 represents a significant leap forward in the textile industry’s shift toward more sustainable and efficient production. The incorporation of digital technologies, smart innovations, and eco-friendly practices not only improves the quality and vibrancy of printed textiles but also aligns with global sustainability goals. As the industry continues to evolve, digital textile printing is at the forefront, paving the way for a future where technology and environmental consciousness coexist harmoniously.

The impact of Printing 4.0 extends beyond just the technical and environmental aspects. It also influences the economic landscape of the textile industry. By reducing the need for large-scale inventory and enabling just-in-time production, digital textile printing helps manufacturers respond more quickly to market demands and trends. This agility is crucial in the fast-paced fashion industry, where consumer preferences can change rapidly. Smaller production runs become economically viable, allowing for greater experimentation and innovation in design.

Moreover, digital textile printing democratizes the industry by lowering the barriers to entry for smaller businesses and independent designers. The reduced setup costs and shorter lead times make it feasible for startups and boutique operations to compete with larger, established players. This democratization fosters creativity and diversity within the industry, as a wider range of voices and perspectives can contribute to the market.

The sustainability benefits of Printing 4.0 are significant. Traditional textile printing methods are resource-intensive, consuming substantial amounts of water, energy, and chemicals. In contrast, digital printing processes are more efficient and environmentally friendly. For example, digital printers use precise amounts of ink, minimizing waste. The shift to water-based and eco-friendly solvents reduces the environmental impact of printing operations. Additionally, the elimination of post-processing treatments for pigment inks conserves resources and further reduces the ecological footprint.

The role of artificial intelligence and machine learning in Printing 4.0 cannot be overstated. These technologies enable predictive maintenance and real-time monitoring of printing processes, ensuring optimal performance, and minimizing downtime. By analyzing large datasets, AI can identify patterns and anomalies that human operators might miss, leading to more efficient operations and higher-quality outputs. The integration of AI also facilitates continuous improvement, as machines learn from each print job and refine their processes accordingly.

The future of textile printing lies in the continued integration of these advanced technologies. As digital printing becomes more widespread, we can expect to see further innovations that enhance the capabilities and sustainability of the process. For instance, developments in ink formulations may lead to even more vibrant colors and durable prints. Advances in fabric pre-treatment and finishing techniques could improve the feel and longevity of printed textiles.

The social implications of Printing 4.0 are also noteworthy. As industry adopts more sustainable practices, it contributes to broader efforts to combat climate change and reduce environmental degradation. Consumers are becoming increasingly conscious of the environmental impact of their purchases, and the textile industry’s move toward sustainability aligns with this growing awareness. By offering eco-friendly products, companies can attract environmentally conscious consumers and differentiate themselves in a competitive market.

In conclusion, Printing 4.0 marks a transformative period in the textile industry, driven by the integration of digital technologies and a commitment to sustainability. This evolution enhances the aesthetics and quality of printed textiles while addressing the environmental challenges associated with traditional printing methods. The advancements in digital textile printing, supported by innovations in AI, machine learning, and eco-friendly practices, position the industry for a sustainable and prosperous future. As the industry continues to evolve, digital textile printing will remain at the forefront, leading the way toward a more sustainable and technologically advanced era in textile production.

Asian factories enjoy solid momentum, Europe faces setback

Manufacturing activity in Europe suffered a setback last month but Asian factories enjoyed solid momentum, offering policymakers some hope the region can weather the hit from soft Chinese demand, surveys showed.

The downturn in Europe was widespread, with Italy the only big player not to see a fall in its Purchasing Managers’ Index (PMI) despite manufacturers largely cutting prices.

HCOB’s final euro zone manufacturing PMI, compiled by S&P Global, fell to 45.8 in June from May’s 47.3. It has been below the 50 mark separating growth from contraction for two years.

“What looks like the green shoots of recovery seem to be diminishing. We can’t take a recovery for granted,” said George Moran at Nomura.

Germany’s factory sector, which accounts for about a fifth of Europe’s biggest economy, experienced a retreat, while in France the manufacturing recession deepened.

France’s far-right National Rally party scored an historic win in parliamentary elections on Sunday, stoking risks of a crisis in the euro area even as other political parties rushed to build a united front to block its path to power.

In Britain, which holds a national election on Thursday, manufacturing growth slipped in June from May’s 22-month high as ongoing disruption to shipping in the Red Sea led to lower demand from overseas customers.

A euro zone index measuring output, which feeds into a composite PMI due on Wednesday that is seen as a good gauge of economic health, sank from May’s 49.3 to a six-month low of 46.1, albeit just ahead of the 46 flash estimate.

A new orders index in the currency union dropped to 44.4 from 47.3, despite factories cutting prices charged for a fourteenth month.

But cost pressures weighed on manufacturers in countries like Japan, where a weak yen is boosting the price companies pay for fuel and raw material imports.

China’s Caixin/S&P Global manufacturing PMI rose to 51.8 in June from 51.7. It marked the fastest clip in more than three years and exceeded market forecasts of 51.2.

The private-sector reading followed official PMI data on Sunday showing China’s manufacturing activity fell for a second month in June and services activity slid to a five-month low.

The surveys demonstrate how Chinese firms are ramping up production despite weak domestic demand, which Beijing has failed to reverse with a rescue package for an ailing property sector.

In a sign Asia is benefiting from solid global demand, South Korea’s factory activity growth quickened in June to the fastest in 26 months on surging new orders, its PMI showed.

Factory activity also expanded in June at a faster pace than in May in Vietnam and Taiwan, other surveys showed.

“Another strong month of data provides further evidence that global industrial activity and trade are picking up,” said Joe Hayes, principal economist at S&P Global Market Intelligence, on South Korea’s factory activity.

“Viewed as a bellwether for exports due to its integration in supply chains for key intermediate goods like batteries and semiconductors, South Korean manufacturing output and orders often provide leading signals for trends more broadly.”

Japan’s factory activity expanded in June, but at a slower pace than in May, as companies struggled with rising costs due to the weak yen. The final au Jibun Bank Japan manufacturing PMI was 50, on the break-even line, after a brief improvement to 50.4 in May.

A PMI gauging Japanese firms’ future output expectations rose to a six-month high thanks to a better medium-term outlook for the car and chip sectors.

Activity in India’s manufacturing sector rebounded last month as output increased on robust demand, leading to the fastest rate of hiring in over 19 years.

News Sources : thedailystar

Navigating the Duty Policy Change: The Future of Bangladesh’s Textile and Apparel Sector

The Apparel Digest Report Compilation

The heads of Bangladesh’s textile and garment industry have expressed serious worries about the budget for the fiscal year 2025, calling on the government to reevaluate certain tax measures that they fear could harm their sector. At a joint press conference following the budget announcement, representatives from the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA), Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association (BKMEA), and Bangladesh Textile Mills Association (BTMA) highlighted several concerns. They pointed out the absence of a reduction in the source tax from 1% to 0.5%, a change they had advocated for to ease the financial burden on exporters. The budget also suggests increasing import duties on construction materials for steel buildings from 5% to 10% and raising the VAT on energy-saving lights from 5% to 15%. BGMEA President SM Mannan Kochi stressed that these adjustments could discourage investment and slow job growth in the industry. He called for the source tax to be set at 0.5% for five years and for cash incentives to continue until 2029.

BTMA President Mohammad Ali Khokon and BKMEA Executive President Mohammad Hatem shared these concerns, asking for the removal of various VATs and taxes. Mohammad Ali Khokon requested the elimination of a 7.5% VAT on garment waste and a 15% VAT on fibres made from such waste, as well as the removal of the 5% VAT on manufactured fibres and the 5% advance tax and income tax on flax fibre. Mohammad Hatem highlighted the industry’s difficulties with the dollar crisis, energy supply issues, and high-interest rates, warning that unmet demands could lead to further challenges.

A major issue is the proposed 1% import duty on capital machinery for industries in economic zones and high-tech parks, a shift from the current 0% duty. Industry leaders argue that this could significantly increase operational costs and deter investment. BGMEA President SM Mannan Kochi noted that they have acquired forty-six plots in economic zones but that it will take at least three years to establish factories. He also pointed out that many entrepreneurs have set up factories outside industrial zones and are waiting for utility connections. Without these connections and loan approvals, these businesses could face operational difficulties.

The industry has requested that the government approve loans, allow gas, and power connections for factories located outside of industrial zones until the economic zones are fully operational. They expressed fears that without such support, investments and job creation could be severely affected. BGMEA President SM Mannan Kochi also urged the creation of a fund for small and medium-sized entrepreneurs with low-interest rates for at least 15 years to help them grow in the face of high-interest rates and business setup costs.

Bangladesh’s textile and garment sector is seeking more favourable government policies to ensure its continued growth and stability. The proposed budget changes, particularly regarding import duties and VATs, pose potential threats to investment and employment in the industry. Leaders have called on the government to address these concerns, emphasizing the need for sustained incentives, lower taxes, and better infrastructure support to maintain the sector’s competitiveness and its critical role in the national economy.

Garment workers demand budget allocation, rationing system

RMG leaders highlighted that the garment industry accounts for 84% of the country’s total exports, with 70% of the workers being women. However, this budget lacks any special provisions for these female workers

Women's Committee of the National Garment Workers Federation (NGWF) organises protest rally in front of the National Press Club on Thursday, 27 June 2024. Photo: TBS

Women’s Committee of the National Garment Workers Federation (NGWF) organises protest rally in front of the National Press Club on Thursday, 27 June 2024. Photo: TBS

Garment workers’ organisations held protest rallies, symbolic hunger strikes, and demonstrations yesterday (27 June), demanding separate budget allocation and a rationing system for garment workers. 

The protest took place in front of the National Press Club and Ashulia Press Club. 

In front of the National Press Club, the Women’s Committee of the National Garment Workers Federation (NGWF) organised the event which was presided over by Women’s Committee President Jesmin Akter and conducted by General Secretary Camellia Hasan. 

“The prime minister, along with the commerce minister and the state minister for labour, had spoken about a rationing system for workers. Despite having the largest budget, no ration system was included,” said NGWF Central President Amirul Haque Amin addressing the rally. 

“A rationing system for all garment workers might require Tk10,000 crore, but the finance minister did not include it in the budget. There is still an opportunity to implement a rationing system in the upcoming budget. If this is not done, female workers will be forced to surround the Parliament and the Prime Minister’s Office,” Amin warned. 

RMG leaders also highlighted that the garment industry accounts for 84% of the country’s total exports, with 70% of the workers being women. However, this budget lacks any special provisions for these female workers. 

Simultaneously, the National Garment Solidarity held a human chain and rally, demanding a rationing system for garment workers and the abolition of tax exemptions for undisclosed assets in the budget. 

In Ashulia, the Bangladesh Textile-Garment Workers Federation organised a protest rally in front of the Ashulia Press Club, condemning the lack of budget allocation for the labor sector and the absence of a rationing system.

শ্রমিকদের জন্য রেশন দাবি তিন সংগঠনের 

রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের জন্য রেশন–সুবিধা চালু করতে আগামী ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন তিনটি শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। তাঁরা বলছেন, প্রস্তাবিত বাজেট পোশাকশ্রমিকসহ শ্রমজীবী মানুষের জীবনে স্বস্তি আনতে পারেনি। উল্টো আছে দুর্ভোগ আর অনিশ্চয়তার শঙ্কা। কারণ, মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই বাজেটে। ফলে পোশাকশ্রমিকদের কম মূল্যে নিত্যপণ্য দিতে রেশন–সুবিধা চালু করা দরকার।

রেশনের জন্য বাজেটে বরাদ্দের দাবি আদায়ে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল শুক্রবার সকালে অনশন কর্মসূচিও পালন করে। এতে নারী পোশাকশ্রমিকেরা অংশ নেন। একই জায়গায় বেলা সাড়ে ১১টায় মিছিল ও সমাবেশ করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির নেতা-কর্মীরা। আর আশুলিয়ায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল-গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন।

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের অনশন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি আমিরুল হক, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, নারী কমিটির সভাপতি জেসমিন আক্তার প্রমুখ। তাঁরা বলেন, পাঁচ বছর ধরে শ্রমিকদের রেশন দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চললেও প্রস্তাবিত বাজেটে তার কোনো প্রতিফলন নেই। অথচ নিত্যপণ্যের পাশাপাশি গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির বিল, বাড়িভাড়া, যাতায়াত ও চিকিৎসা খরচ বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকেরা দিশাহারা অবস্থায় আছেন। ৪২ লাখ পোশাকশ্রমিকের রেশন–সুবিধা দিতে প্রায় আট লাখ কোটি টাকার বাজেটে মাত্র ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেই হবে বলে জানান তাঁরা।

এদিকে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক এফ এম নুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীর সাহা প্রমুখ।

শ্রমিকনেতারা বলেন, সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানারও কোনো উদ্যোগ নেই বাজেটে। উল্টো অপ্রদর্শিত আয় ও সম্পদের মালিক এবং অর্থ পাচারকারীদের জন্য আছে প্রশ্নাতীত করছাড়। পোশাকশ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নির্দিষ্ট বরাদ্দের দাবি জানান শ্রমিকনেতারা। তাঁরা বলেন, দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে। পোশাকশ্রমিকেরা যে মজুরি পান, তা দিয়ে তাঁদের মৌলিক চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। 

অন্যদিকে আশুলিয়ায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল-গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, শ্রমিকনেত্রী শবনম হাফিজ, শ্রমিক নেতা হারুন সরকার প্রমুখ।

Industrial credit disbursement surges over dollar price hike

Industrial loan releases slightly increased by 10% in the first half of FY24 compared against those in the same period of FY23, driven mainly by high dollar rates.

Banks and non-bank financial institutions together disbursed industrial loans of Tk309,503 crore in July-December 2023, up from Tk280,934 crore in the same period of FY23, according to the Bangladesh Economic Review.

Within the reporting period, industrial term loans amounted to Tk59,957 crore and working capital loans totalled Tk249,546 crore, up from Tk48,136 crore and Tk232,798 crore respectively in the same period of FY23.

Bankers attributed the growth in industrial loans to the sharp rise in the dollar rate, which increased by 11.11% to Tk110 in December 2023 from Tk99 in December 2022.

The higher dollar rate has made imported goods and raw materials more expensive when priced in local currency, prompting industries that rely heavily on imports to seek additional financing to cover the high expenses.

Additionally, companies with existing dollar-denominated loans face higher repayment costs due to the depreciation of the local currency. To manage this exchange rate risk, many businesses have refinanced their loans in local currency, leading to an increase in local currency loan disbursements.

Despite the Bangladesh Bank lifting 9% lending rate cap on July 1, 2023 and introducing the Six-Month Moving Average Rate of Treasury Bill, also called Smart, interest rate determination system, the weighted average lending rate was 9.36% in December 2023.

The relatively low cost of borrowing made local currency loans attractive to businesses.

Industrial loan disbursements advanced to Tk562,344 crore in FY23 from Tk481,517 crore in FY22.

However, overall loan disbursement growth was constrained by severe liquidity crises in banks, high non-performing loans, dollar shortages, high inflation and other economic challenges.

Consequently, the 10% growth in industrial loans in the first half of FY24 was significantly lower than the 21% and 18.46% growth rates observed in the same periods of FY22 and FY21, respectively.

Additionally, the opening and settlement of letters of credit for importing capital machinery and industrial raw materials dropped in the first half of FY24 compared to the same period of FY23.

LC openings for industrial raw materials fell by 10%, while settlements declined by 31%.

Moreover, total recovery of industrial loans decreased by 9.3% to Tk234,765 crore in the July-December period of FY24, from Tk258,811 crore in the same period of FY23.

তৈরি পোশাকশিল্পে শ্রমিকের সংখ্যা আসলে কত

দেশের পণ্য রপ্তানি আয়ের শীর্ষ খাত তৈরি পোশাকশিল্পে কত শ্রমিক কাজ করেন, সেই পরিসংখ্যান নিয়ে বরাবরই একধরনের ধোঁয়াশা রয়েছে। এ সপ্তাহে জাতীয় সংসদে শ্রম প্রতিমন্ত্রী এই শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের যে সংখ্যা উল্লেখ করেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও গবেষকেরা মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছেন।

পোশাকশিল্পের মালিকেরা এক দশক আগে দাবি করতেন যে পোশাক খাতে কাজ করেন ৪০ থেকে ৪২ লাখ শ্রমিক। তবে বর্তমানে পোশাকশ্রমিকের সংখ্যা সচেতনভাবেই এড়িয়ে যান তাঁরা। কারণ, রানা প্লাজা ধসের পর কিছু কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। তা ছাড়া কোভিড মহামারির সময় বিপুলসংখ্যক শ্রমিক ছাঁটাইয়ের শিকার হন, যাঁদের অনেকেই আর শেষ পর্যন্ত কাজে ফেরেননি।

শ্রমিকের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যেই গত রোববার জাতীয় সংসদে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, দেশের তৈরি পোশাক খাতে ৫০ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন শ্রমিক আছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে শ্রম প্রতিমন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।

অবশ্য রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতে এই–সংখ্যক শ্রমিক নেই বলে জানিয়েছেন পোশাকশিল্পমালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা। তাঁরা বলছেন, পুরোনো কারখানা যেমন বন্ধ হয়, তেমনি নতুন কারখানাও চালু হয়। তবে কারখানা বাড়লেও আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের কারণে শ্রমিকের সংখ্যা খুব বেশি বাড়ছে না।

জাতীয় সংসদে প্রতিমন্ত্রী জানান, রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর তথ্য (বায়োমেট্রিকস ডেটাবেজ) অনুযায়ী, তৈরি পোশাক কারখানায় ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৭ জন শ্রমিক রয়েছেন। এর মধ্যে ৫২ দশমিক ২৮ শতাংশই নারী শ্রমিক। সংখ্যার হিসাবে নারী শ্রমিক রয়েছেন ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫৯ জন। অন্যদিকে নিট পোশাকশিল্পমালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর তথ্য অনুযায়ী নিট খাতে ১৭ লাখ ২৫৫ জন শ্রমিক রয়েছেন। যার ৬২ শতাংশ অর্থাৎ ১০ লাখ ৫৪ হাজার ১৫৭ জনই নারী। সব মিলিয়ে দেশে তৈরি পোশাক খাতে ৫০ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন শ্রমিক রয়েছেন।

অবশ্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২২ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী তৈরি পোশাক খাতে মোট লোকবল ৪৩ লাখ ১৬ হাজার জন বলে জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী।

কারখানা বাড়লেও শ্রমিকের সংখ্যা খুব বেশি বাড়ছে না। আগে একটি সেলাই মেশিনে দুজন শ্রমিক কাজ করতেন। তবে অটোমেশনের কারণে বর্তমানে একটি মেশিনে একজন কাজ করেন।

এস এম মান্নান, সভাপতি, বিজিএমইএ

জানতে চাইলে বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের তথ্যভান্ডারে একসময় ১৭ লাখ শ্রমিকের কথা উল্লেখ থাকলেও এখন বাস্তবে ১৩ লাখের বেশি শ্রমিক নেই। দীর্ঘদিন ধরে কারখানাগুলো ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সক্ষমতায় উৎপাদন চালাচ্ছে। তার মানে, উৎপাদন কমার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকও কমেছে। প্রতি মাসে কিছু শ্রমিক চাকরি ছাড়েন। সেসব জায়গায় নতুন নিয়োগও বন্ধ।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতে কত শ্রমিক কাজ করেন, তার প্রকৃত হিসাব জানতে উদ্যোগ দরকার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর অনেক সদস্য প্রতিষ্ঠান একই সঙ্গে দুইটি বাণিজ্য সংগঠনের সদস্য। সেসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের তথ্য-উপাত্ত উভয় বাণিজ্য সংগঠনের তথ্যভান্ডারে রয়েছে। দ্বৈত গণনার কারণে পোশাক খাতে প্রকৃত শ্রমিকসংখ্যা বের করা কঠিন। তা ছাড়া বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সদস্য নয়, এমন প্রতিষ্ঠানও তৈরি পোশাক রপ্তানি করছে।

জানতে চাইলে বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিকসংখ্যা ৪০ লাখের বেশি হওয়ার সুযোগ নেই। তথ্যভান্ডার ও ইনস্যুরেন্সের তথ্য অনুযায়ী বিজিএমইএর সদস্য কারখানাগুলোয় ৩২ লাখ শ্রমিক আছেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কারখানা বাড়লেও শ্রমিকের সংখ্যা খুব বেশি বাড়ছে না। আগে একটি সেলাই মেশিনে দুজন শ্রমিক কাজ করতেন। তবে অটোমেশনের কারণে বর্তমানে একটি মেশিনে একজন কাজ করেন। যদিও আমাদের রপ্তানি বেড়েছে।’

রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলোকে ডিজিটাল ম্যাপ বা মানচিত্রের আওতায় নিয়ে এসেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট (সিইডি)। ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি) নামের এই প্রকল্প ব্র্যাকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হলেও তাতে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে রয়েছে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।

এমআইবির তথ্য অনুযায়ী, ৩ হাজার ৬৭৮ পোশাক কারখানায় ২৮ লাখ ৯১ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। এর মধ্যে ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ ও ৫৭ দশমিক ১ শতাংশ নারী। কারখানাগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৭৭৯টি বিজিএমইএ এবং ৫৪৩টি বিকেএমইএর সদস্য। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ উভয় সংগঠনের সদস্য কারখানা আছে ২৭৮টি। এই দুই সংগঠনের কোনোটিরই সদস্য নয় এমন কারখানা আছে ১ হাজার ৭৮টি।

এমআইবি প্রকল্পের এক কর্মকর্তা জানান, নিয়মিত তথ্য হালনাগাদ করে কারখানাগুলো। তা ছাড়া দুই বছর পরপর পরিদর্শন করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। বর্তমানে পরিদর্শনের কাজটি হচ্ছে।

আমরা মনে করি, তথ্য-উপাত্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে মন্ত্রীর আরও সতর্ক থাকা দরকার। অন্যদিকে যাঁরা তথ্য সরবরাহ করেছেন, তাঁদেরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। গ্রহণযোগ্য তথ্য দেওয়া হলে বিভ্রান্তি এড়ানো যেত

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, গবেষণা পরিচালক, সিপিডি

জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় সংসদে সদস্যদের বিভিন্ন খাতভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত জানতে চাওয়ার আগ্রহ ইতিবাচক। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর তথ্য দেওয়ার বিষয়টিও ইতিবাচক। তবে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করাটা খুবই দরকার। রোববার শ্রম প্রতিমন্ত্রী তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকসংখ্যার যে তথ্য দিয়েছেন, তা বাস্তবসম্মত কি না, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, শ্রম প্রতিমন্ত্রী বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর দেওয়া তথ্য উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি সরকারি সংস্থা বিবিএসের তথ্যও দিয়েছেন। উভয় তথ্যের মধ্যে একধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে। অন্যদিকে কোন উৎসের ভিত্তিতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এ তথ্য দিয়েছে, সেটি বোধগম্য নয়। এই দুটি বাণিজ্য সংগঠন ম্যাপড ইন বাংলাদেশের সদস্য। তাদের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ৩ হাজার ৬৭৮ কারখানায় ২৮ লাখ ৯১ হাজার পোশাকশ্রমিক আছেন। বিবিএসের হিসাবে রপ্তানি শিল্পের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজারে কর্মরত শ্রমিকসংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে।

সিপিডির এই গবেষক বলেন, ‘আমরা মনে করি, তথ্য-উপাত্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে মন্ত্রীর আরও সতর্ক থাকা দরকার। অন্যদিকে যাঁরা তথ্য সরবরাহ করেছেন, তাঁদেরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। গ্রহণযোগ্য তথ্য দেওয়া হলে বিভ্রান্তি এড়ানো যেত।’

RMG BANGLADESH NEWS