যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষস্থানীয় তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হচ্ছে চীন। পরের অবস্থানে থাকা ভিয়েতনাম কয়েক মাস ধরে চীনের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছিল। অর্থাৎ চীনের কাছাকাছি রপ্তানি করছিল ভিয়েতনাম। অবশেষে গত এপ্রিল শেষে এই বাজারে চীনকে টপকে শীর্ষস্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারক হয়ে গেছে ভিয়েতনাম। অন্যদিকে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ধারাবাহিকভাবেই কমছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসে চীন ৪৩২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। একই সময়ে ভিয়েতনাম রপ্তানি করেছে ৪৩৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। তার মানে, চীনের থেকে ৬ কোটি ডলারের বেশি রপ্তানি করেছে ভিয়েতনাম। বছরের প্রথম চার মাসে ভিয়েতনাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি রপ্তানি করেছে। এর বিপরীতে চীনের রপ্তানি কমেছে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা চলতি বছরের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি-এপ্রিল) বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২ হাজার ৩৬৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করে। এই আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ শতাংশ কম।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা চীন ও ভিয়েতনাম থেকেই প্রায় ৪০ শতাংশ তৈরি পোশাক আমদানি করছে। আর বাংলাদেশ থেকে ৯ শতাংশ। এই বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার হিস্যা ৫ শতাংশের ঘরে।
অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা মোট ৯ হাজার ৯৮৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করে। গত বছর সেটি ২২ শতাংশ কমে যায়। অর্থাৎ বিভিন্ন দেশ থেকে ৭ হাজার ৭৮৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর এই বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ পাঁচ দেশের রপ্তানি প্রায় একই হারে কমেছে। চলতি বছর থেকে ব্যবসা কিছুটা বাড়তে থাকে। এতে ভিয়েতনামের ব্যবসা বাড়লেও শীর্ষ পাঁচে থাকে বাকি চার দেশ অর্থাৎ চীন, বাংলাদেশ, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি কমেছে।
বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে বাংলাদেশ ২৩১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। গত বছর শেষে রপ্তানি কমার হার ছিল ২৫ শতাংশ। তার মানে বড় এই বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে কমছে। তবে রপ্তানি কমার হার কিছুটা কমেছে।
বাংলাদেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চতুর্থ ও পঞ্চম শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ যথাক্রমে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানিও কমেছে। এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ভারত ১৬৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া গত জানুয়ারি-মার্চ সময়ে রপ্তানি করেছে ১৩৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। তাদের রপ্তানি কমেছে প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ।
নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ফজুলল হক রোববার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ভিয়েতনামের তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই চীনের নাগরিক। ভূরাজনৈতিক কারণে চীনবিরোধী তৎপরতা ও বিধিনিষেধের কারণে মার্কিন অনেক ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানই চীন থেকে সরাসরি পণ্য আমদানি কমিয়েছে। চীনের হারানো ক্রয়াদেশ মূলত ভিয়েতনামে যাচ্ছে, যাদের মালিকানায় সেই চীনারাই আছেন। এটি চীনাদের আরেকটি ব্যবসায়িক কৌশল। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই বছর ধরেই ব্যবসা খারাপ। যদিও গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ব্যবসা কিছুটা বেড়েছে। তবে শিগগিরই ব্যবসা ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা কম।
The EPB data shows that apparel shipments to Spain, France, Netherlands, Poland and Denmark grew by 6.23%, 1.02%, 16.27%, 17.28% and 26.96% respectively.
The country’s apparel export to the European Union (EU) rose by 2% year-on-year to $21.64 billion in the July-May period of the current fiscal year 2023-24, according to data from the Export Promotion Bureau (EPB) compiled by Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA).
However, the country’s readymade garment (RMG) exports to the EU from January to April 2024 decreased by 9.85%, totalling 6.01 billion euros compared to 6.67 billion euros in the same period of 2023, according to Eurostat, the statistical office of the EU.
According to the BGMEA compiled EPB data, apparel shipments to Spain, France, Netherlands, Poland and Denmark grew by 6.23%, 1.02%, 16.27%, 17.28% and 26.96% respectively.
On the other hand, garment exports to Germany, the largest EU market for Bangladesh, declined by 10.12% year-on-year,
Apparel exports to Italy also declined by 6.1% in the first 11 months of this fiscal.
Meanwhile, apparel exports to the US hit $7.46 billion in the period – a 3.43% fall from the same period last fiscal year.
Exports to the UK, in the meantime, grew by 12.34% year-on-year to $5.15 billion and to Canada it declined by 0.31% to $1.3 billion.
However, garment exports to non-traditional markets grew by 6.47% year-on-year to $8.18 billion.
Among the major non-traditional markets, shipments to Japan, Australia and South Korea posted respectively 1.83%, 11.76% and 14.34% growth.
Apparel exports to India, however, decreased by 23.11%.
According to Eurostat data, the decline in Bangladesh’s knitwear exports to the EU was notable, dropping from 3.88 billion euros in Jan-Apr 2023 to 3.38 billion euros in the same period of 2024.
Similarly, woven garment exports fell from 2.79 billion euros to 2.64 billion euros during the respective periods.
Eurostat data indicated a 6.28% decrease in the EU’s total clothing imports from various countries, amounting to 26.41 billion euros in Jan-Apr 2024 compared to 28.19 billion euros in Jan-Apr 2023.
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের বৈশ্বিক বাজার প্রতিবছরই বড় হচ্ছে। তবে দেশের মধ্যেই বিপুল পরিমাণ কাঁচা চামড়ার সরবরাহ থাকলেও বাংলাদেশ রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ কাজে লাগাতে পারছে না। সাত বছর ধরে এই খাতের রপ্তানি একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে। একদিকে দাম না পাওয়ায় প্রতিবছর কোরবানির পশুর চামড়া নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে চামড়াপণ্য রপ্তানির জন্য বছরে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার চামড়া আমদানি করতে হচ্ছে। শুধু হেমায়েতপুরের চামড়াশিল্প নগরের দূষণের কারণে এগোতে পারছে না বাংলাদেশের চামড়াশিল্প।
বিশেষজ্ঞ ও খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, সাভারের হেমায়েতপুরের ২০০ একর জমির ওপর পরিকল্পিত চামড়াশিল্প নগর বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে ২১ বছর পার করেছে সরকার। চামড়াশিল্প নগরে জমি বরাদ্দ পেয়েছিল ১৫৪টি ট্যানারি। তার মধ্যে উৎপাদনে আছে ১৪২টি। কিন্তু এখন পর্যন্ত চামড়াশিল্প নগরের কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) পুরোপুরি কার্যকর করা যায়নি। এতগুলো বছরেও কঠিন বর্জ্য ফেলার স্থায়ী জায়গা বা ডাম্পিং ইয়ার্ডের কাজ শুরু হয়নি। ফলে বুড়িগঙ্গার পর এখন ধলেশ্বরী নদীও দূষণের শিকার হচ্ছে।
চামড়াশিল্প নগর পরিবেশবান্ধব করতে না পারার ব্যর্থতার মাশুল দিচ্ছে সম্ভাবনাময় চামড়াশিল্প খাত। রপ্তানি বৃদ্ধি না পাওয়ায় কাঁচা চামড়ার দামেও ধস নেমেছে—এমন দাবি করে চামড়াশিল্পের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্বের বড় ব্র্যান্ডের কাছে বেশি দামে চামড়া বা চামড়াপণ্য বিক্রি করতে হলে এলডব্লিউজি সনদ থাকতে হয়। শিল্পনগরের দূষণ বন্ধ না হওয়ায় সেই সনদের জন্য ট্যানারিগুলো আবেদন করতে পারছে না। বাধ্য হয়ে কমপক্ষে অর্ধেক দামে চীনাদের কাছে চামড়া রপ্তানি করতে হয়।
এলডব্লিউজি বা লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থা। চামড়াপণ্য উৎপাদনে ইতিবাচক সামাজিক ও পরিবেশগত দায়িত্বশীল ভূমিকাকে উৎসাহিত করা এই উদ্দেশ্য।
চামড়াশিল্প নগরের বেহাল পরিস্থিতির উন্নতি না হলেও সরকার এই খাতের রপ্তানি বাড়াতে চায়। তারই অংশ হিসেবে গত মার্চে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ ছাড়া চামড়াশিল্পের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের জন্যও আলাদা করে একটি কর্তৃপক্ষ করার উদ্যোগ নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রথম আলোকে বলেন, পরিবেশগত মানদণ্ডের চ্যালেঞ্জের কারণে দেশের কাঁচা চামড়া ও চামড়া পণ্যের রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। চামড়াশিল্প নগরের বর্তমান সিইটিপি দিয়ে এলডব্লিউজি সনদ অর্জন সম্ভব নয়। এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তাই সিইটিপি ব্যবস্থাকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে।
চামড়া ও চামড়া পণ্যের রপ্তানির চিত্র
করোনাকাল বাদ দিলে চামড়া পণ্যের বৈশ্বিক বাজার যে প্রতিবছর বড় হচ্ছে, তা প্রায় সব পণ্যবাজার গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বলছে। তেমনই দুটি প্রতিষ্ঠান—যুক্তরাজ্যভিত্তিক টেকনাভিওর এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সিএমআই কনসালটিংয়ের সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বিশ্বে চামড়াজাত পণ্য, অর্থাৎ জুতা, স্যান্ডেল, ব্যাগ ইত্যাদির বাজারের আকার ছিল প্রায় ২১ হাজার ৭৪৯ কোটি ডলারের। চলতি বছর সেটি বেড়ে ২৮ হাজার ২৭০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে। তার মানে গত আট বছরে বাজার বড় হয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। ২০৩৩ সালে এই বাজারের আকার বেড়ে ৫৫ হাজার ২৯০ কোটি ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে, এমন পূর্বাভাস রয়েছে।
বৈশ্বিক বাজার বড় হলেও এর সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়েনি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি হয়েছিল ১২৩ কোটি ডলার। তার মধ্যে চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি ছিল ১০০ কোটি ডলার। পরের টানা তিন বছর রপ্তানি কমেছে। মাঝে দুই বছর কিছুটা বাড়লে গত ২০২২-২৩ অর্থবছর রপ্তানি আবার কমেছে। গত অর্থবছর ১২২ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে চামড়াপণ্য ছিল ১১০ কোটি ডলারের। আর চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) চামড়া পণ্যের রপ্তানি ছিল ৮৩ কোটি ডলার।
বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের হিস্যা খুবই নগণ্য হলেও অন্য দেশগুলো পিছিয়ে নেই। ভিয়েতনাম ২০২৩ সালে ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে। একই অর্থবছরে ভারতের রপ্তানি ছিল ৫২৮ কোটি ডলার। তার মানে বাংলাদেশের চেয়ে ভিয়েতনাম ১৯ এবং ভারত ৪ গুণ বেশি রপ্তানি করছে।
এলডব্লিউজি ট্যানারি কম দেশে
২০০৫ সালে নাইকি, অ্যাডিডাস ও টিম্বারল্যান্ডের মতো কয়েকটি বৈশ্বিক ব্র্যান্ড ও জুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মিলে এলডব্লিউজি গঠন করে। পরিবেশ সুরক্ষায় জোর দিয়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের উৎপাদন নিশ্চিত করাই সংস্থাটির লক্ষ্য। বর্তমানে বিশ্বে এক হাজারের বেশি ব্র্যান্ড ও সরবরাহ খাতের প্রতিষ্ঠান এলডব্লিউজির সদস্য।
সংস্থাটির ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চামড়া খাতের ১ হাজার ২৮৫টি প্রতিষ্ঠান এলডব্লিউজির সনদ পেয়েছে। এই সংস্থার সনদ পাওয়া সবচেয়ে বেশি কারখানা রয়েছে ইতালিতে, ২৫৪টি। তারপর ভারতে ২৫১টি ও চীনে ২০৬টি সনদ পাওয়া কারখানা আছে। পাকিস্তানে এলডব্লিউজির সনদ পাওয়া ট্যানারির সংখ্যা ৪৫।
দেশে চামড়া খাতের সাতটি প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত এলডব্লিউজি সনদ পেয়েছে। সেগুলো হচ্ছে এপেক্স ফুটওয়্যার, রিফ লেদার, এবিসি লেদার, সুপারেক্স লেদার, সাফ লেদার, সিমোনা ট্যানিং এবং অস্টান লিমিটেড। এর মধ্যে তিনটি কারখানা কাঁচা চামড়া থেকে ফিনিশড চামড়া উৎপাদন করে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হেমায়েতপুরের চামড়াশিল্প নগরের দূষণ বন্ধ না হওয়ায় সেখানকার কোনো ট্যানারিকে সনদ দিতে নিরীক্ষা (অডিট) না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এলডব্লিউজি কর্তৃপক্ষ। তবে সেখানকার কোনো ট্যানারি যদি নিজস্ব ইটিপি স্থাপন করে, তাহলে তারা নিরীক্ষা করবে। তারই অংশ হিসেবে চামড়াশিল্প নগরের সিমোনা ট্যানিং এলডব্লিউজি সনদ পেয়েছে।
কাঁচা চামড়ার দাম কম
কোরবানির পর চামড়ার বাজারে একটি গরুর কাঁচা চামড়ার দাম গতবারের তুলনায় ঢাকায় ৫০-১০০ টাকা বৃদ্ধি পায়। তারপরও এবার সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে কমপক্ষে ২৭৫-৩০০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে একেকটি চামড়া। ঈদের দিন পুরান ঢাকার পোস্তায় বড় ও মাঝারি আকারের গরুর কাঁচা চামড়া সর্বোচ্চ ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঢাকার বাইরে দাম ছিল আরও কম। অন্যদিকে ছাগলের চামড়া কিনতে অনীহা দেখিয়েছেন আড়তদারেরা। ছাগলের চামড়া ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ট্যানারিশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) নেতারা গত বুধবার জানান, এবার প্রায় পাঁচ লাখ কাঁচা চামড়া নষ্ট হয়েছে, যার বেশির ভাগই ছাগলের। আর আনুমানিক ৯০ লাখ চামড়ায় লবণ যুক্ত করা হয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৩ সালের কোরবানির সময় গরুর চামড়ার দাম ছিল বর্গফুটপ্রতি ৮৫-৯০ টাকা। এরপর চামড়ার দাম কমতে থাকে। ২০১৯ সালে কোরবানির পশুর চামড়ার দামে বড় ধরনের ধস নামে। ন্যূনতম দাম না পেয়ে দেশের অনেক অঞ্চলে চামড়া সড়কে ফেলে ও মাটিতে পুঁতে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তাতে প্রায় ২৪২ কোটি টাকার চামড়া নষ্ট হয়।
দাম না পেয়ে দেশে চামড়া নষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটলেও বিদেশ থেকে চামড়া আমদানি বাড়ছে। ২০১৮ সালে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার চামড়া আমদানি হয়েছিল। এনবিআরের তথ্যানুযায়ী, গত বছর ১ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকায় ১১ হাজার ৭১৮ টন বিভিন্ন ধরনের চামড়া আমদানি করে বিভিন্ন চামড়াপণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।
শিল্পনগরের উন্নয়ন কীভাবে
১৯৫১ সালের ৩ অক্টোবর এক গেজেটের মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণ করে সরকার নারায়ণগঞ্জ থেকে চামড়াশিল্পকে ঢাকার হাজারীবাগে এনেছিল। তবে সেখানে বর্জ্য শোধনের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে প্রতিদিন প্রায় ২৪ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য নালা দিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়ে পড়ত। রাস্তার পাশে ও ডোবায় ফেলা হতো কঠিন বর্জ্য।
পরিবেশদূষণ রোধে ২০০৩ সালে সাভারের হেমায়েতপুরে চামড়াশিল্প নগর প্রকল্প নেওয়া হয়। ব্যয় ধরা হয় ১৭৬ কোটি টাকা। পরে কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারসহ নানা খাতে ব্যয় বাড়িয়ে মোট প্রকল্প ব্যয় দাঁড়ায় ১ হাজার ৭৯ কোটি টাকায়। সিইটিপি নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০১২ সালে। সেটি নির্মাণের পর পুরোপুরি চালু না করেই ২০১৭ সালে কোরবানির ঠিক আগে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি হেমায়েতপুরে স্থানান্তর করা হয়।
হেমায়েতপুর সিইটিপির তরল বর্জ্য পরিশোধনের সক্ষমতা দৈনিক ২৫ হাজার ঘনমিটার। তবে ট্যানারিগুলো পুরোদমে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করলে এটির সক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি বর্জ্য উৎপাদন হয়। এখন পর্যন্ত পরিশোধিত তরলে ক্লোরাইড ও বায়োলজিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড (বিওডি) নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে আনা যায়নি।
ট্যানারি মালিকেরা বলছেন, চামড়াশিল্প নগরের সিইটিপি ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এখনো অসম্পূর্ণ। কোরবানির পর বাড়তি চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য রেশনিং করে চামড়া প্রক্রিয়াজাতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত বছরও এভাবে করা হয়েছিল। তাতে দূষণ বন্ধ হয়নি, কেবল মাত্রা কমেছিল।
জানতে চাইলে বিটিএর সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের চামড়াশিল্পের বর্তমান পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতির জন্য আমাদের প্রথমে ২০টি ট্যানারির এলডব্লিউজি সনদ পাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোনো দরকার। এটি হয়ে গেলে বাকিগুলো ধাপে ধাপে হয়ে যাবে। তার জন্য সিইটিপি পুরোপুরি কার্যকর করার উদ্যোগ দরকার।’
$40 million will come from ADB and syndicated arrangements
Despite various challenges faced by industries, such as dollar shortages for importing raw materials and capital machinery, and a lack of uninterrupted gas and electricity supply, Ananta Group is set to invest $70 million to establish a synthetic knit fabric manufacturing facility.
The new unit, named Ananta Knitwear Limited and located in Narsingdi, will serve as the first backward linkage industry for one of the country’s leading apparel exporters, aiming to capture a significant share of the export market for activewear, sportswear, and intimate apparel based on manmade fibre.
Through this investment, the group has set a target to achieve about $700 million in export turnover over the next five years, according to the entrepreneurs.
They mentioned that despite the ongoing dollar shortage, the apparel manufacturer has undertaken this initiative with $40 million in low-cost long-term financing support from the Asian Development Bank (ADB) for importing capital machinery.
Sharif Zahir, managing director of Ananta Group, told The Business Standard, “The remaining amount will be managed through our own financing to procure land and complete construction work.”
Sources at the company said the group has already purchased 100 bighas of land to establish the factory.
The foreign financing comprises $20 million from ADB and a syndicated B-loan of $20 million from the ILX Fund, an Amsterdam-based emerging market asset manager focused on the Sustainable Development Goals, with ADB as the lender of record. As the mandated lead arranger, ADB arranged and syndicated the financing package.
The managing director mentioned that construction work will start next month, and the factory will go into production by the end of 2025.
Sharif Zahir added that it will create about 2,000 new jobs in two phases, with a daily production capacity of 60 tonnes and an initial capacity of 30 tonnes.
He hoped that it would help attract some leading sportswear brands like Nike, Adidas, and Puma to import MMF-based sportswear from Bangladesh.
The new factory is expected to receive platinum certification under Leadership in Energy and Environmental Design, the global standard in green building rating systems. The factory will use advanced automated, energy-efficient machinery and equipment based on the latest technology.
Sharif Zahir said the new unit would be able to produce 2MW of solar energy from its rooftops.
“Bangladesh’s textile industry is a major contributor to the economy, but the breadth of its impact is much broader. It is also about livelihoods and national resilience,” said ADB Director General for Private Sector Operations Suzanne Gaboury in a statement on Monday.
“The textile industry employs millions, drives exports, and sustains families. ADB’s support will help attract much-needed financing to this strategically crucial part of the national economy.”
Asif Zahir, deputy managing director of Ananta Group, expects that Ananta Knitwear’s annual turnover will be about $100 million, noting that it will serve as a deemed exporter for the group’s intimates and activewear manufacturing unit as well as other factories in the country.
He further mentioned that this initiative would help increase the turnover of its intimate apparel manufacturing unit to $200 million from the current $50 million.
In addition to the new project and ongoing expansion plans for existing units, Asif Zahir hopes that the group’s annual exports will reach about $700 million by 2029.
Ananta Group manufactures products including jeans, suits, sweaters, intimates, activewear, and outerwear, generating total revenue of about $400 million. With over 30 years in business, the group employs over 30,000 people across seven factories.
The Bangladesh Textile Garments Workers Federation on Saturday (22 June) announced protests across the country for 25-30 June, demanding food ration for them.
Mahbubur Rahman Ismail, central president of the textile garment workers’ association, at a press conference in Dhaka said ration of daily essentials is crucial to alleviate their financial burden.
Peer countries have such measures for their workers, but this is notably absent in Bangladesh, he said.
Ismail said allocating just 10% of the proposed total budget could ensure food security for six crore workers through a low-cost ration system.
He also criticised the government for prioritising non-productive sectors over the productive garment industry, a major contributor to the economy.
Ismail called on all labour organisations to unite with democratic and political forces to advocate for workers’ rights, including housing, rationing, healthcare, medical treatment, and children’s education in the budget.
Association leaders warned the government that workers will intensify protests if their demands are ignored.
Bangladesh’s readymade garment exports to the European Union in January-April of 2024 fell by 9.85% to 6.01 billion euros compared to 6.67 billion euros in the same period of 2023, according to data released by Eurostat, statistical office of the European Union.
Exporters said that Bangladesh managed to reduce its negative apparel export growth in the EU, the 27-nation economic bloc, slightly but still performed worse compared with competitors.
They said that, like the United States, Bangladesh lagged behind its competitors in the EU market due to severe energy crisis, high cost of utilities, increased cost of production, long lead times and cumbersome customs procedures.
RMG exporters noted that overall apparel imports by the EU declined due to the global economic slowdown.
The EU data showed that Bangladesh’s knitwear exports to the EU in January-April of 2024 dropped to 3.38 billion euros from 3.88 billion euros in the same period of 2023.
Similarly, the country’s woven garment exports to the EU in the first four months of 2024 declined to 2.64 billion euros from 2.79 billion euros in the same period of 2023.
According to Eurostat data, clothing imports by the EU from different countries in January-April of 2024 decreased by 6.28% totalling 26.41 billion euros compared with those of 28.19 billion euros in the same period of 2023.
The EU data showed that apparel imports by the EU from China in January-April 2024 decreased by 1.81% to 6.54 billion euros, down from 6.66 billion euros in the same period of 2023.
EU apparel imports from Turkey in the first four months of 2024 declined by 11.84% to 3.03 billion euros compared with those of 3.44 billion euros in the same period of the previous year.
India’s RMG exports to the EU in January-April 2024 dropped by 10.74% to 1.53 billion euros, down from 1.71 billion euros in the same period of 2023.
Apparel imports by the EU from Vietnam in the first four months of 2024 fell by 6.25% to 1.17 billion euros, compared with those of 1.25 billion euros in the same period of 2023, according to the data.
Bangladesh also saw a negative growth of over 14% in apparel exports to the US, the largest export destination of the country, earning $2.30 billion during the January-April period of 2024, as reported by the US Department of Commerce’s Office of Textiles and Apparel.
Babul Mia, a worker of Anzir Apparels Ltd in Savar’s Ashulia, went to his hometown Mymensingh to celebrate Eid-ul-Adha. When he came back after the holidays, he was taken aback to learn that the factory had been closed for an indefinite period.
“Upon my return after the Eid holidays, I saw that the factory had been closed indefinitely for lack of work orders from buyers,” Babul told The Business Standard.
However, the factory owners’ explanation for the shutdown failed to convince Babul.
“There was no shortage of work in the factory in the last two years,” he said.
Like Babul, as many as 500 workers of two units of Anzir Apparels factory, located on Idris Road and in the Zirabo area of Ashulia, are now in great distress, losing their jobs, and over their due arrears.
However, the authorities of Anzir Apparels said they were compelled to shut the factory in the face of persistent losses caused by dwindling work orders from foreign buyers.
Sources said on the occasion of Eid-ul-Adha, workers of Unit-2 and 3 of Anzir Apparels were given only bonuses. However, the arrears of the previous three months [April, May, June] are still unpaid.
Several workers of Anzir Apparels said many of their colleagues were unable to visit their village homes to celebrate Eid due to non-payment of salaries, while some others managed to make the trip by borrowing money independently.
Faridul Islam, general secretary of Jatiya Sramik Federation, told TBS that they have already submitted a memorandum to the secretary of the Ministry of Labour and Employment, and the Department of Inspection for Factories and Establishments over the matter.
In the memorandum, the federation also requested the government to pay close attention to the matter, citing the possibility of the factory owner fleeing abroad.
Assistant General Manager of Anzir Apparels, Mehedi Hasan told TBS that they have around 800 workers in two factories in Zirabo and Ashulia.
“The factory was incurring losses to the tune of Tk1-1.5 crore every month due to dwindling foreign work orders.”
He further said the factory has been closed for the time being, but could not ascertain when it will be opened.
However, Managing Director Md Shahidullah denied that three months’ salaries of the workers are unpaid.
He told TBS that maybe some workers are still owed half of their June salaries. However, a few months’ salaries of some officials have yet to be paid.
He said he has closed the factory temporarily to avoid losses as the production was reduced because of load-shedding, leading to losing work orders from foreign buyers.
Meanwhile, RMG workers under the banner of Jatiya Sramik Federation held an agitation programme on the Jatiya Press Club premises yesterday.
They termed the abrupt shutdown of Anzir Apparels factory illegal, and demanded the reopening of it and payment of arrears of the 500 workers.
They also placed an 8-point demand that includes attendance bonuses; granting leave to workers as per law; payment of dues as per labour law in case of retrenchment of any worker; payment of annual leave; paid maternity leave.
There are over 5.017 million workers in the garment factories in the country and 55.57 per cent of the workers are women, state minister for labour and employment Nazrul Islam Chowdhury informed parliament on Sunday while responding to a tabled question of ruling Awami League MP elected from Bhola-3 Nurunnabi Chowdhury.
The state minister said that according to the information of BGMEA, there are 33,17,397 workers in the garment factories in Bangladesh. Among them 52.28 per cent are women workers. Therefore, the number of women workers are 1.734 million.
According to BKMEA data, there are 1.7 million workers in the knit sector. Of which 62 per cent–10,54,157 are women workers.
In total, there are 50 lakh 17 thousand 652 workers in the garment industry in the country. Of which 55.57 per cent–27 lakh 88 thousand 616 are women workers, the state minister said.
Citing data from the Bangladesh Bureau of Statistics (BBS), the state minister said that according to the 2022 labour force survey, the total workforce in the garment sector is 43,16,000. Of which 37.51 per cent meaning 16 lakh 19 thousand are women workers.
In reply to another query, state minister for commerce Ahsanul Islam Titu said that due to the adverse impact of Covid-19, the effect of the Russia-Ukraine war, global economic recession and price inflation in America and Europe, the main export markets of Bangladesh, the slow pace of export earnings is being observed.
Bangladesh’s main export product, manufactured garments, has decreased in demand in the world market, resulting in a decline in export growth. However, in countries such as the UK, France, Spain, Canada and Japan, the trend of export earnings from this sector continues to grow.
A Cotton Council International (CCI)-led media roundtable promoted strategic India-U.S. textile trade partnerships and highlighted U.S. cotton as the preferred choice of imported cotton for Indian spinners. On June 19, a three-part “COTTON USA™: Weaving Threads of Unity between the U.S. Cotton and Indian Textile Industry” event in New Delhi explored this partnership in more depth.
“India’s textile industry is projected to grow to $350 billion by 2025, and as India is a key market for U.S. cotton, there is substantial opportunity to expand our cooperation,” CCI Executive Director Bruce Atherley said.
“Our discussions today emphasized the strategic importance of this partnership in driving sustainable practices and economic growth in both countries.”
To further this agenda at its COTTON USA™ event, CCI met with U.S. Embassy personnel and then joined five top Indian textile manufacturers, the U.S. Cotton Trust Protocol®, Supima and other global cotton textile supply chain luminaries to discuss topics of mutual interest and chart a path of cooperation moving forward. The event also features a high-level panel discussion on “Celebrating Women’s Influence in the Fashion and Textile Industry.”
While India has picked up the pace in textile exports, registering a growth of 6.91% year-on-year in March, its ambitious target of $100 billion in textile exports by 2030 will require collaborative action and robust international trade pathways. The recent discussions highlighted opportunities for synergy between U.S. cotton and Indian stakeholders and charted a roadmap for an efficient and profitable partnership between the U.S. and India that empowers Indian spinners, textile mills and manufacturers to achieve these goals.
“India’s impressive textile manufacturing ecosystem is energized with expansion opportunities, and we at Supima are excited about the partnership prospects that can arise out of this growing industry,” Supima President and CEO Marc Lewkowitz said. “The increasing demand for premium quality verifiable SUPIMA® cotton highlights the need for scaling production to meet global needs.”
Peush Narang, CCI’s program representative in India and Sri Lanka, added, “Our valuable partnership with the Indian textile industry will propel both industries; by using U.S. cotton, Indian textile manufacturers can meet global quality standards and enhance their competitive edge in the international market. Indian textile manufacturers use high-quality U.S. cotton fiber to create beautiful garments. And by using U.S. cotton, they also receive benefits of the entire COTTON USA™ experience—including full traceability of the supply chain, the unique COTTON USA SOLUTIONS® technical servicing program, and a package of services, data and intelligence—which no other cotton can provide.”
Before Eid-ul-Adha 2024, 99% of factory workers received salaries and bonuses by the 14th of June.
Mohammad Hatem, Executive President of the Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association (BKMEA) said, “Around 99% of BGMEA and BKMEA member factories have paid salaries and bonuses. Some 30 remaining factories will make their payments on Saturday.”
Regarding this, a senior official from the Industrial Police said that, under the jurisdiction of the Industrial Police, from 9500 factories, around 90% have disbursed their salaries, while the remaining 10% could not even clear salaries for March.”
Meanwhile, according to Industrial Police, around 1,500 factories within various industrial zones have yet to provide festival bonuses to their workers and employees as of Friday.
Moreover, around 1,000 factories have not yet disbursed March salaries.