Home Blog Page 36

বিজিএমইএর পর্ষদ বাতিল, প্রশাসক বসাল সরকার

তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে সরকার। তার বদলে রপ্তানিকারকদের শীর্ষ এই সংগঠনটিতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনকে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-২ শাখা রোববার এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রশাসক আগামী ১২০ দিনের মধ্যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করে নির্বাচিত পর্ষদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।

গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইসহ বেশ কিছু বাণিজ্য সংগঠনের পর্ষদ ভেঙে প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে বিজিএমইএর সভাপতি ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এস এম মান্নান কচি। ক্ষমতার পালাবদলের পর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এরপর সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব নেন সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।

India’s RMG exports see 11% YoY growth in Aug 2024: Textiles ministry

India’s readymade garments (RMG) exports saw an 11-per cent year-on-year (YoY) growth in August this year, the textiles ministry said.

The domestic textile sector is expected to grow to $350 billion by 2030, it noted.

While investment worth over ₹90,000 crore is expected to flow through the PM Mega Integrated Textile Region and Apparel (PM MITRA) Park and the Production-Linked Incentive (PLI) Scheme in the next three to five years, schemes like the National Technical Textiles Mission (NTTM) are expected to help India acquire leadership position in emerging sectors like technical textiles, a release from the ministry said.

NTTM is a specialised mission focussed on developing usage of technical textiles in various flagship missions and programmes, including those in strategic sectors. It promotes start-ups and research projects.

ক্ষমতার ফ্যাক্টরি ছিল বিজিএমইএ

বিগত সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগের তাঁবেদারি করে মন্ত্রী-এমপি, মেয়র আর দলীয় পদ-পদবি পেতে ক্ষমতার ফ্যাক্টরি হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি- বিজিএমইএ। পোশাকশিল্প মালিকদের এই সংগঠনটির নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে- বিজিএমইএ নেতারা সংগঠনকে ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থে আখের গোছানোর হাতিয়ার   বানিয়েছিলেন। নেতারা আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপি, মেয়র ও বিভিন্ন রাজনৈতিক পদ-পদবির নেশায় ব্যস্ত ছিলেন। সরকারের সুবিধা নিয়ে অনেকে অঢেল বিত্তের মালিক হয়েছেন। সাধারণ পোশাকশিল্প মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে দর্জিতন্ত্রের কান্ডারি পরিচিত বিজিএমইএ।

এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো. ফারুক হাসান গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিগত সাড়ে ১৫ বছরে মন্ত্রী-এমপি, মেয়র বা রাজনৈতিক দলের পদ বাগিয়ে নিতে ক্ষমতার ফ্যাক্টরি হিসেবে বিজিএমইএর একটা বদনাম আছে। সমাজে কিছুটা নেতিবাচক ভাবমূর্তিও তৈরি হয়েছে। তবে মন্ত্রী-এমপি, মেয়র বা রাজনৈতিক দলের পদ পাওয়া নেতারা পোশাকশিল্পের স্বার্থে যথেষ্ট ভূমিকাও রেখেছেন।’ তার মতে- ‘অনেকে আগে থেকেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে বিজিএমইএর নেতা হয়েছেন। অনেকে বিজিএমইএ নেতা হওয়ার সুবাদে রাজনীতিতে সুবিধা নিয়েছেন। আবার আমার মতো অনেককে দলীয় কাজে যুক্ত করার চেষ্টাও হয়েছিল।’বিজিএমইএ ২০২২ সালে এক তথ্যে বলেছে- বিগত ১২ বছরে ২ হাজার ৭৩৪টি পোশাকশিল্প কারখানা বন্ধ হয়েছে। তবে এসব কারখানা টিকিয়ে রাখতে তেমন কোনো সহায়তা বিজিএমইএ নেতারা করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। সূত্র বলছে, বিগত সাড়ে ১৫ বছর পোশাকশিল্প মালিকদের স্বার্থ দেখেননি তাদেরই সংগঠন বিজিএমইএ নেতারা। তারা সংগঠনকে ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থ ও আখের গোছানোর হাতিয়ার বানিয়েছেন। রাজনৈতিকভাবে কোটারি গ্রুপের কাছে জিম্মি করে রেখেছিলেন বিজিএমইএ-কে। সংগঠনটিতে নেই কোনো সুশাসন।

বিগত সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী রাজনীতিতে সুসময়ই গেছে পোশাকশিল্প মালিকদের। এক সময়ে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত অথবা সুসম্পর্ক রেখে চলা অনেকেই বিগত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের টিকিটে মন্ত্রী-এমপি, মেয়র হয়েছেন। দলীয় রাজনীতি না করেও কেউ কেউ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও মেয়রের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। শুধু এমপি-মন্ত্রীই নন, দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবি বাগিয়ে নিয়েছিলেন পোশাকশিল্প মালিকরা। আরও অনেকেই ছিলেন পাইপ লাইনে। যারা আওয়ামী লীগে সুবিধা করতে পারেননি, তারা গোপনে বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ফয়সাল সামাদ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘কোনো ব্যবসায়িক সংগঠনকে রাজনৈতিক চিন্তাধারা বা উদ্দেশ্যে ব্যবহার সমর্থন যোগ্য না। রাজনীতি আর ব্যবসা একসঙ্গে চলতে পারে না। বিজিএমইএ-তে রাজনীতির জন্য ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা হয়নি। গত এক দশকে বিজিএমইএ ব্যক্তিস্বার্থ পূরণে ব্যবহৃত হয়েছে। বিজিএমইএ-কে ব্যবহার করে অনেকে রাজনৈতিক নেতা হয়েছেন। অনেকে মন্ত্রী, এমপি, মেয়র হয়েছেন। এমনকি বিজিএমইএ নেতা হওয়ার সুবাদে অনেকে রাজনৈতিক পদ-পদবি বাগিয়ে নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সমাজের কাছে বিজিএমইএর নেতিবাচক ভাবমূর্তি প্রতিফলিত হয়েছে।

বিগত ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ওই বছরের মার্চে বিজিএমইএ সভাপতি হয়েছিলেন এক সময়ের বিএনপিপন্থি ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত তারকা ফুটবলার ও এনভয় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালাম মুর্শেদী। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে দুবার এমপি হয়েছেন। আর পিতার কোটায় দুই দফায় বিজিএমইএ পরিচালক হয়েছেন আবদুস সালাম মুর্শেদীর কন্যা শেহেরিন সালাম ঔশি।

এরপর ২০১১ সালের মার্চে বিজিএমইএ সভাপতি হন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। বিজিএমইএ সভাপতি পদ থেকে বিদায় নিয়ে তিনি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব ও আশীর্বাদে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন-এফবিসিসিআই সভাপতি হন। এরপর আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি বনে যান মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।

২০১৩ সালের মার্চে বিজিএমইএ সভাপতি হন মো. আতিকুল ইসলাম। তার ঘনিষ্ঠজনরা বলতেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রভাবে বাড়তি ছয় মাস বিজিএমইএ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন আতিক। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে দুই দফায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র হন মো. আতিকুল ইসলাম। মেয়র হিসেবে চরম ব্যর্থ ও বিতর্কিত হয়েছেন তিনি।

২০১৫ সালে বিজিএমইএ সভাপতি হয়েছেন মো. সিদ্দিকুর রহমান। দুই বছরের কমিটির মেয়াদ বাড়িয়ে সাড়ে তিন বছর নিজের দখলে রাখতে বিশেষ মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলে হতে চেয়েছিলেন এমপি-মন্ত্রী। তা হতে না পারলেও, হয়েছেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক। হয়েছিলেন এফবিসিসিআই সহসভাপতি।

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আস্থাভাজন হিসেবে ২০১৯ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো নারী হিসেবে বিজিএমইএ সভাপতি হন মোহাম্মদী গ্রুপের কর্ণধার ড. রুবানা হক। এক্ষেত্রে তার স্বামী ও ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র প্রয়াত আনিসুল হকের পরিচয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারকা ব্যবসায়ী আনিসুল হকও বিজিএমইএ সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সেনাসমর্থিত এক-এগারো সরকারের আমলে এফবিসিসিআই সভাপতি হন। এরপর হয়েছিলেন দক্ষিণ এশীয় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন সার্ক চেম্বারের সভাপতি। রাজনীতি না করেও হঠাৎ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ঢাকা উত্তরের জনপ্রিয় মেয়র হয়েছিলেন আনিসুল হক। পিতা-মাতার পরিচয়ে এই দম্পতির পুত্র নাভিদুল হকও বিজিএমইএ পরিচালক হয়েছিলেন।

সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি গঠনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে ২০২১ সালের এপ্রিলে সরাসরি নির্বাচনে বিজিএমইএ সভাপতি হন ফারুক হাসান। তিনি কোনো রাজনৈতিক ক্ষমতায় ঝোঁকেননি। তবে তাকে রাজনৈতিক কাজে যুক্ত হওয়ার চাপ ছিল বলে জানিয়েছেন।

এ বছর এপ্রিলে বিজিএমইএ সভাপতি হন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। তিনি দীর্ঘ দিন বিজিএমইএ সহসভাপতি ছিলেন। তবে ৫ আগস্টের রাজনৈতিক-পট পরিবর্তনের পর বিজিএমইএ নেতাদের একাংশের তোপের মুখে সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এস এম মান্নান কচি। তিনি বর্তমান কমিটিতে পরিচালক হিসেবে বহাল রয়েছেন।

এরপর গত ২৪ আগস্ট জরুরি বোর্ড সভায় যে পুনর্গঠিত কমিটি হয়, তাতে বিজিএমইএ সভাপতি হন ডিজাইন টেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার রফিকুল ইসলাম। তার কাছে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রশ্ন ছিল- বিগত সাড়ে ১৫ বছরে বিজিএমইএ পরিচয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, এমপি, মেয়র ও দলীয় পদে বসা নেতাদের কীভাবে মূল্যায়ন করছেন? জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন- ‘ট্রেড পলিটিক্স বা বাণিজ্য সংগঠনের নেতৃত্ব প্রদান আর জাতীয় রাজনীতি দুটোই আলাদা থাকা উচিত। ব্যবসা আর রাজনীতি একসঙ্গে চলতে পারে না। এই অপসংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। বিজিএমইএ ক্ষমতার একটা ফ্যাক্টরি, মানুষ যে ধারণ পোষণ করছে, সেটাও পরিবর্তন করতে হবে।’

বিজিএমইএর সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মাহামুদ হাসান খান বাবু গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘অনেকের কাছে বিজিএমইএ সভাপতি বা নেতা হওয়াটা ছিল ফ্যাশন। বিজিএমইএ পদ-পদবি ব্যবহার করেছেন, মন্ত্রী-এমপি ও মেয়র হয়েছেন। আবার অনেক নেতা আছেন, যারা এসব পদ-পদবির পিছু ছোটেননি। অনেক নেতা মন্ত্রী-এমপি আর মেয়র হিসেবে পোশাকশিল্পের স্বার্থে ভূমিকা রাখলেও, অনেকে রাখেননি। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মন্ত্রী-এমপি, মেয়র আর দলীয় পদে বসা নেতারা ব্যক্তি স্বার্থে বিজিএমইএ-কে ব্যবহার করেছেন।’

সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৮ জন পোশাকশিল্প মালিক সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাদের সংবর্ধনা দেয় এ খাতের নির্বাচন কেন্দ্রিক জোট সম্মিলিত পরিষদ। নির্বাচিত ১৮ সংসদ সদস্য (বর্তমানে সাবেক) হলেন- বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, সেপাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু মুনশি, উইসডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ কে এম সেলিম ওসমান, এনভয় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালাম মুর্শেদী, ফেবিয়ান গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মো. তাজুল ইসলাম, হামিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নসরুল হামিদ, রেনেসাঁ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা শাহরিয়ার আলম, বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোর্শেদ আলম, হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ, ওয়েল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, শাশা ডেনিমস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, স্প্যারো গ্রুপের চেয়ারম্যান চয়ন ইসলাম, মন্ডল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মমিন মন্ডল, তুসুকা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়জুর রহমান (বাদল), নিপা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. খসরু চৌধুরী, এক্সিস নিটওয়্যার লিমিটেডের দেওয়ান জাহিদ আহমেদ, স্মার্ট গ্রুপের মুজিবুর রহমান এবং এ অ্যান্ড এ ফ্যাশন স্যুয়েটারস লিমিটেডের মো. আবদুল ওয়াদুদ।

চ্যালেঞ্জিং সময় পার করে পোশাক শিল্প এখন স্থিতিশীল : বিজিএমইএ

পোশাক শিল্প একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করে বর্তমানে স্থিতিশীলতা অর্জন করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। 

শনিবার রাজধানীর উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংগঠনের নেতৃৃবৃন্দ।এ সময় বলা হয় যে সরকার, মালিক, শ্রমিক, সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকলের সহযোগিতায় বিজিএমইএ বোর্ড বিপর্যয়কর পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। এইজন্য বিজিএমইএ বোর্ড সরকার ও সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ক্রেতারাও বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ওপর আস্থা রাখছেন।  

তিনি বলেন, বিজিএমইএ বোর্ডের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সরকারের নির্দেশনায় পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী গঠন হয়েছে এবং যৌথবাহিনী গার্মেন্টস অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিতভাবে টহল পরিচালনা করেছে। বিজিএমইএ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কমিউনিটি পুলিশিং চালু করেছে।

সংবাদ সম্মেলেনে বলা হয়, পোশাক কারখানাগুলোতে আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় বিজিএমইএ থেকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়ে অর্থ উপদেষ্টাকে চিঠি দেয়া হয় ও বিজিএমইএ বোর্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে দেখা করেন। বিজিএমইএ এর অনুরোধের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগস্ট মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শ্রম অসন্তোষে আশুলিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯টি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সেপ্টেম্বর মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধের সক্ষমতা ছিল না। বিজিএমইএ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে সেপ্টেম্বর মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধের লক্ষ্যে ৩৯টি পোশাক কারখানাকে সুদবিহীন সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

পোশাক শিল্পের ৪০ লাখ শ্রমিককে ন্যায্য মূল্যে টিসিবি পণ্য বিক্রয় কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর সরকার কর্তৃক পোশাক শিল্প শ্রমিকদের জন্য ন্যায্য মূল্যে টিসিবি পণ্য বিক্রয় কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

এতে আরও বলা হয়, বিজিএমইএ এর অনুরোধের প্রেক্ষিতে পোশাক শিল্প কারখানাগুলোর জন্য BNBC-2006 এর আলোকে  Steel Structural ভবনের এর জন্য Fire Resistance Rating প্রদানের বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।

শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে এবং শিল্পকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিজিএমইএ নিম্নোক্ত কিছু বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে-

# শিল্পে সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা;
# কাস্টমস বন্দর সংক্রান্ত প্রক্রিয়াগুলো সহজতর ও দ্রুততর করা;
# ট্টগ্রাম বন্দরে পূর্ণ লোডিং ও আনলোডিংয়ে অহেতুক সময়ক্ষেপন বন্ধ করা; 
# এই ক্রান্তিকালে পরবর্তী ৩ মাসের জন্য কারখানার ইউটিলিটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করা;
# ব্যাংকখাতের সংস্কার যেন উৎপাদন ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব না রাখে;
# কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কারণে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়;
# শিল্পকে ব্যবসাবান্ধব করতে যথাযথ নীতি সহায়তা প্রনয়ণের বিষয়ে এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংক সমন্বয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা;
# শিল্পে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা ও বিদ্যুতের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণসহ একটি টেকসই বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি নীতি প্রণয়ন করা;
# সকল ধরনের ঋণের বিপরীতে ঋণ শ্রেণীকরন না করা এবং ঋণ পরিশোধে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-৪৪ তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০২৪ এর ন্যায় পুনঃতফসিলকরণের সুযোগ প্রদান করা; 
# তৈরি পোশাক কারখানাসমূহের স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে জরুরি ভিত্তিতে সিএনজি স্টেশন হতে সিলিন্ডারের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের নিমিত্তে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা;
# ঝুটসহ অন্যান্য রিসাইকেলিং উপযোগী বর্জ্য অপসারণকে বাইরের প্রভাবমুক্ত রাখা;
# পোশাকখাতের গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রণোদনা পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনা করা; 
# পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি নিরাপদ এক্সিট পলিসি’র ব্যবস্থা করা;
# শিল্পে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের কঠোর আইনের আওতায় আনা।

Bangladesh RMG industry incurred $400m production loss due to unrest: BGMEA

Bangladesh’s apparel industry has faced a production loss of around $400 million due to the latest worker unrest in September and October in the Savar, Ashulia, and Gazipur industrial areas.

Some work orders also shifted to the competitor countries considering the law and order situation, said Khandoker Rafiqul Islam, president of Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) today (19 October). 

During a press conference at the BGMEA office in the capital’s Uttara, the BGMEA chief also said some international fashion retailers and brands are coming back again with the restoration of normalcy in the sector.

Rafiqul said law and order and discipline are the major challenges for the country’s RMG industry now. 

He said the factories are now running normally after some collective efforts from the government, law enforcement agencies, labour leaders, and BGMEA.

The BGMEA president requested the government not to disconnect utility lines like gas and electricity in any industry for three months, as many were affected by the labour unrest.

He also urged the government to reduce the bank interest rates to single digit.

Rafiqul Islam also requested the government to allow apparel makers to bring CNG from the CNG filling stations to run their production during the gas shortage in the national grid.

Unemployment nears 90% as garment factories close in Zimbabwe

The closing of garment factories in Zimbabwe due to a prolonged economic crisis has made recruitment and organising challenging for trade unions, according to the IndustriALL Global Union. Unemployment in Zimbabwe is nearing 90 per cent due to a largely informal economy and stagnant industrial manufacturing. Despite the challenges, including retrenchments that have reduced union membership, trade unions continue to show resilience, as reported.

The National Union of the Clothing Industry (NUCI), affiliated with IndustriALL Global Union, credits its member retention to an organising strategy focused on improved industrial relations and collective bargaining. However, the union continues to advocate for living wages and better working conditions. Currently, garment workers earn a minimum wage of $180, as set by the sectoral collective bargaining agreement, while the union is campaigning for living wages exceeding $250.

“The union continues to provide services to its members even under the unfavourable economic environment. At policy level, we continue to engage the government and municipalities on the revival of the textile and garment industry through local procurement and sourcing policies that create local jobs. We are optimistic that with appropriate policy interventions the garment industries will be revived,” said Joseph Tanyanyiwa, the National Union of the Clothing Industry, general secretary, adding that despite the dire economic situation, there are glimmers of hope for the industry.

“We commend the resilience of trade unions in Zimbabwe’s textile and garment industry who are organizing under tough conditions amid cost-of-living and economic crises. This underscores the importance of union commitment to always servicing members,” said Paule France Ndessomin, IndustriALL regional secretary for Sub Saharan Africa.

Other Zimbabwean IndustriALL affiliates that organise in the textile, garment, shoe, and leather sectors are the Zimbabwe Textile Workers Union and the Zimbabwe Leather, Shoe, and Allied Workers Union.

Garment export to US falls 9.16% in Jan-Aug

Garment export to the USA fell by 9.16 percent year-on-year to $4.70 billion in the January-August period of the current year because of a fall in demand for apparels in American markets, according to data from the Office of Textiles and Apparel (OTEXA).

The data on apparel and textile import from different countries has recently been released by the OTEXA, which undertakes industry analysis, contributes to US trade policy development, participates in trade negotiations and trade promotion and addresses trade barriers.

In combined, the textile and garment shipment from Bangladesh to the USA also fell by 8.98 percent year-on-year to $4.84 billion in the January-August period this year, the OTEXA data also said.

Philippine manufacturing PPI sees 1% YoY drop in Aug 2024

The Philippine producer price index (PPI) for manufacturing saw a faster year-on-year (YoY) decline of 1 per cent in August this year from a YoY drop of 0.4 per cent in July 2024. This brings the average annual growth rate of PPI from January to August this year to minus 0.8 per cent.

In August 2023, manufacturing PPI in the country posted an annual increment of 0.5 per cent.

Among the 22 industrial sub-sectors in manufacturing, manufacture of coke and refined petroleum products; computer, electronic and optical products; and transport equipment were the main contributors to the faster YoY decline in PPI in August.

Of the remaining 19, eight exhibited annual decreases during the period, while 11 saw annual increases, a release from the Philippines Statistics Authority said.

The PPI for readymade garments (RMG) rose by 0.8 per cent YoY in August compared to a 1.7-per cent YoY rise in July.

Month on month (MoM), the PPI for manufacturing in the country posted a decrease of 0.2 per cent in August from a 0.0004 per cent increase in July this year. The PPI had posted a 0.5 per cent monthly increase in August 2023.

Three sub-sectors—transport equipment, food products and basic metals—contributed 53 per cent to the downtrend in the MoM growth rate of PPI for manufacturing in August.

Of the remaining 19, eleven registered monthly decreases, six exhibited MoM increases and two recorded no change during the period.

The PPI for RMG rose by 0.2 per cent MoM in August compared to a 0.2-per cent MoM drop in July.

All RMG factories except 3 open in Savar, Ashulia, Gazipur

Only three garment factories out of 1278 were closed in Savar, Ashulia, Gazipur today (16 October).

There was no significant disruptions in the garment industry in the major hubs including Savar, Ashulia, Narayanganj, and Gazipur, according to a government source.

Only one factory out of 401 in Savar and Ashulia areas was closed while in Gazipur, one factory out of 871 was closed, according to a government source.

Moreover, one out of 301 factories in the Dhaka metropolitan area remained closed.

All factories in the industrial hub Narayaganj remained open.

According to data, the overall operation rate in the Savar-Ashulia areas was high, with 99.76% of factories open. The closure rate stood at 0.24%.

In Gazipur, the ratios was 99.89 percent and 00.11 percent respectively.

Narayaganj witnessed  100 percent operation of factories.

Dhaka city saw a 99.97 percent opening while 00.33 percent closure.

Bangladesh’s Q1 FY25 exports up 5.04% YoY; garment exports up 5.34%

Bangladesh’s export earnings saw a 6.78-per cent ($220-million) year-on-year (YoY) growth in September this year to $3.51 billion, according to the Export Promotion Bureau (EPB).

EPB data showed that in the first quarter (July-September) of fiscal 2024-25, the country’s export earnings grew by 5.04 per cent ($10.82 billion) YoY to reach $11.37 billion.

Readymade garments (RMG) ruled the overseas market during this quarter, bagging $9.29 billion—a 5.34 per cent YoY growth, domestic media outlets reported.

Out of that, export of knitwear was worth $ 5.22 billion—a rise of 5.72 per cent YoY, while that of woven garments in Q1 FY25 was worth $4.07 billion—an increase of 4.85 per cent YoY.

RMG BANGLADESH NEWS