fbpx
Home Blog Page 4

পোশাক কারখানার মালিকের ওপর হামলার নিন্দা, শিল্পের সুরক্ষা চায় ১১ ব্যবসায়ী সংগঠন

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মাহমুদ জিনস কারখানার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. রাফি মাহমুদের ওপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ১১টি ব্যবসায়ী সংগঠন। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি ও সব শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্যও দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলো।

আজ শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনগুলো এ ঘটনার জন্য ‘শ্রমিক নামধারী কিছু দুষ্কৃতকারীকে’ দায়ী করে বলেছে, উদ্যোক্তার ওপর এ আক্রমণ এই শিল্পের উদ্যোক্তাদের হতবাক করেছে এবং এ ঘটনা আগামী দিনে উদ্যোক্তাদের কেবল নিরুৎসাহিতই করবে না; বরং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্তের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, তারা ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশের রপ্তানির প্রধান খাত পোশাকশিল্পসহ সব শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।

সংগঠনগুলো বলেছে, পোশাকশিল্পসহ সার্বিক অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি মহল অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। তাদের দ্রুত চিহ্নিত করা জরুরি। আইনের সঠিক প্রয়োগ করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

বাংলাদেশ একটি নতুন যাত্রা শুরু করেছে—এ কথা উল্লেখ করে বলা হয়, দেশ গড়ার এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পোশাকশিল্প, অন্যান্য শিল্পসহ জাতীয় অর্থনীতির অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারকে শিল্প সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সুরক্ষা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। নতুবা শিল্পের সুরক্ষা নিশ্চিত না করা হলে এ দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (বিইএফ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইয়ুথ লিডারস অ্যাসোসিয়েশনের (বায়লা), লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) পক্ষ থেকে এ যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়।

Cotton Output Drops 8% to 299 Lakh Bales Amid Lower Acreage

India’s cotton output is projected to drop by 8% to 299.26 lakh bales in 2024-25, primarily due to a 10% reduction in acreage. The Committee on Cotton Production and Consumption (CCPC) attributes this decline to shrinking sowing areas, despite improved yields of 447.84 kg/ha over last year. Regional variations in production and acreage are evident, with the Central Zone showing the largest contribution. The CCPC’s estimates are slightly below the Cotton Association of India’s (CAI) forecast of 302 lakh bales. Yields, however, remain positive across zones, reflecting advancements in crop practices.

Key Highlights

# Cotton production estimated at 299.26 lakh bales, down 8% YoY.

# Acreage declines 10% to 113.60 lakh hectares this year.

# Yields improve to 447.84 kg/ha, supporting overall output.

# Central Zone remains the largest producer with 182.93 lakh bales.

# CCPC’s estimates are marginally lower than CAI’s projection of 302 lakh bales.

India’s cotton output is forecast to decline by 8% to 299.26 lakh bales for the 2024-25 crop year, according to the Committee on Cotton Production and Consumption (CCPC). This drop is attributed to a 10% reduction in acreage, which fell to 113.60 lakh hectares compared to 126.88 lakh hectares last year. Despite the reduced area, yields have improved to 447.84 kg/ha from 435.75 kg/ha, cushioning the impact on production.

The Central Zone, comprising Gujarat, Maharashtra, and Madhya Pradesh, continues to lead production with 182.93 lakh bales. However, its acreage dropped from 75.47 lakh hectares to 69.88 lakh hectares. Similarly, the Northern Zone saw production decline from 47.60 lakh bales to 33.05 lakh bales, as acreage shrank by 31%. The Southern Zone reported marginal drops in both production and acreage, at 78.01 lakh bales and 29.58 lakh hectares, respectively.

Supporting the price outlook, improved yields and declining acreage are expected to tighten supply, which may bolster cotton prices in the domestic and international markets. The CCPC’s estimate is slightly below the Cotton Association of India’s projection of 302 lakh bales, indicating possible revisions as the season progresses.

In other developments, advancements in agricultural practices have contributed to better yields, highlighting opportunities for further investment in cotton cultivation.

Finally

India’s cotton output dip, coupled with tighter acreage, is expected to support prices. Improved yields reflect positive agricultural strides amid production challenges.

BGMEA condemns attack on Mahmud Jeans DMD

The Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) has strongly condemned the attack on Deputy Managing Director of Mahmud Jeans Ltd Rafee Mahmud in Gazipur’s Kaliakoir yesterday (28 November).

In a press statement today (29 November), BGMEA expressed deep concern over the incident.

Rafee, also the son of the factory owner, was discussing the issue of pending wages with the workers yesterday evening. Some people attacked and injured him, confining him to the factory.

l

Later, the army and police rescued him from the factory, BGMEA said.

“Such an attack during ongoing negotiations is unacceptable.”

BGMEA believes that such audacity is a blow to the entire industry. It is unacceptable to attack an industry that is the driving force of the country’s economy, directly employs 40 lakh workers, and indirectly supports the livelihoods of 5 crore people.

This incident will send the wrong message about the country’s industry to the outside world, the statement read.

The association called on law enforcement agencies to actively assist in maintaining order within the industry and urged relevant government authorities to prioritise the security of all RMG factories.

BGMEA also demanded those who are involved in instigating and destabilising the industry be brought to justice.

Meanwhile, in another statement today, Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association (BKMEA) President Mohammad Hatem condemned the heinous attack on Rafee Mahmud.

“I also wish Rafi a swift recovery and demand the immediate arrest and exemplary punishment of the attackers,” he said.

He also urged the government to pay attention to protecting the RMG industry.

ঢাকার আশপাশে ১০ লাখ পোশাকশ্রমিক পাবেন সাশ্রয়ী দামে টিসিবির পণ্য

১০ লাখ পোশাকশ্রমিক পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। টঙ্গী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া, সাভারসহ ঢাকার কাছাকাছি থাকা পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা ভর্তুকি মূল্যে এই পণ্য পাবেন। আজ বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকের পর অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এ সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান।

বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, পরিবার কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি পরিবারের কাছে পণ্য বিক্রির জন্য টিসিবির কর্মসূচি চলমান। তবে এক কোটির সবার জন্য কার্ড দেওয়া যায়নি। আপাতত পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে অন্যান্য ক্ষেত্রেও তা করার বিষয়টি দেখা হবে।

পোশাকশ্রমিকদের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির এ পণ্য কবে থেকে বিক্রি শুরু হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, টিসিবির পরবর্তী সময়ের বিক্রি কার্যক্রমের মধ্যে পোশাকশ্রমিকেরা থাকবেন। তবে এটা শুধু ঢাকার আশপাশের বিশেষ এলাকার জন্য। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া, সাভারসহ ঢাকার কাছাকাছি থাকা পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা ভর্তুকি মূল্যে এই পণ্য পাবেন।

নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে ভোজ্যতেল, মসুর ডাল ও চিনি বিক্রি করছে সরকার। খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে পাঁচ কেজি চালও বিক্রি করা হচ্ছে। ১০ লাখ পোশাকশ্রমিকের কাছে ভর্তুকি মূল্যে চিনি, ভোজ্যতেল, চাল ও মসুর ডাল বিক্রি করা হবে। এ জন্য মাসে সরকারের খরচ হবে ৩১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

এদিকে টিসিবির কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির জন্য ৫১৯ কোটি টাকায় নতুন করে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনি কিনবে সরকার। স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে এই সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনি কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয় আজকের ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বৈঠক সূত্র জানায়, ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রোডাক্টসের কাছ থেকে। এ জন্য খরচ হবে ৯১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এ ছাড়া মেঘনা সুগার রিফাইনারি থেকে ২০ হাজার টন চিনি কেনা হবে প্রায় ২৩৩ কোটি টাকায়। এ ছাড়া আলাদাভাবে ২০ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে রাজশাহীর নাবিল নাবা ফুডস থেকে। এতে সরকারের খরচ হবে প্রায় ১৯৫ কোটি টাকা।

ইংল্যান্ড থেকে কেনা হচ্ছে পাসপোর্ট বুকলেট

চলতি অর্থবছরে ইংল্যান্ড থেকে ১৫ লাখ পাসপোর্ট বুকলেট এবং ১৫ লাখ লেমিনেশন ফয়েল কিনবে অন্তর্বর্তী সরকার। এগুলো আমদানিতে খরচ হবে প্রায় ৬১ কোটি টাকা। সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি আজ এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে। ইংল্যান্ডের এইচআইডি সিআইডি লিমিটেড এসব সামগ্রী সরবরাহ করবে। এ ছাড়া সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) অষ্টম শ্রেণি, দাখিল অষ্টম শ্রেণি ও কারিগরি অষ্টম শ্রেণির বিনা মূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের একটি ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১০২টি লটে ৭৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ কোটি ২০ লাখ ৫৪ হাজার ২৭৬ কপি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ২৭০ কোটি টাকা।

news source: prothomalo

US Department of Labor discusses workers’ rights in Bangladesh with BGMEA

A delegation from the Bureau of International Labor Affairs of the US Department of Labor discussed workers’ rights in Bangladesh during a high level meeting with Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) at The Westin in Dhaka yesterday

The discussion focused on key issues related to the ready-made garment (RMG) sector, with a special emphasis on workers’ rights, workplace safety, labor law reforms, and market access.

During the meeting, BGMEA Administrator Anwar Hossain apprised the delegation of the substantial progress made by the RMG industry in recent years, particularly in the areas of workplace safety, labor rights, and reforms to labor laws.

The BGMEA Support Committee members highlighted the ongoing efforts of the government of Bangladesh and the garment industry to further enhance workers’ rights and welfare.

Appreciating the progress made by Bangladesh, particularly in improving labor conditions, the US delegation emphasized areas where further improvements can be made, including the amendment of the Bangladesh Labor Act (BLA).

The meeting underscored the importance of continued collaboration between Bangladesh, the US government, and industry stakeholders to build a more sustainable, fair, and resilient RMG sector.

The delegation included Kelly M Fay Rodríguez, special representative for international labor affairs, Thea Lee, deputy undersecretary for international affairs, and Anne M Zollner, chief of the Office of Trade and Labor Affairs.

The delegation also included Christy Hoffman, general secretary of UNI Global Union; Scott Nova, executive director of the Worker Rights Consortium, and senior representatives from major global fashion brands including GAP Inc, PVH Corp, and VF Corporation.

The BGMEA side was headed by Administrator Anwar Hossain, along with members of BGMEA’s Support Committee and BGMEA leaders.

বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধি: শ্রমিকেরা চান ১৫ শতাংশ, মালিকেরা ৬ শতাংশ

তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি পুনর্নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত বার্ষিক ৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে অতিরিক্ত ১ শতাংশ (মোট ৬ শতাংশ) বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছেন মালিকেরা। গতকাল রোববার ন্যূনতম মজুরি পুনর্মূল্যায়ন ও বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধিসংক্রান্ত বিষয়ে শ্রম মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটির তৃতীয় বৈঠকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে শ্রমিকপক্ষ।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ২৮ নভেম্বর এ বিষয়ে কমিটির চতুর্থ বৈঠকে আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে, ৪ নভেম্বর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ (মোট ১৫ শতাংশ) মজুরি বৃদ্ধির দাবি করেছিলেন শ্রমিকেরা।

সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অতিরিক্ত সচিব সবুর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মালিক ও শ্রমিকপক্ষের ছয়জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহায়ক কমিটির সদস্য এ এন এম সাইফুদ্দিন ও বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) মহাসচিব ফারুক আহাম্মদ, শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুববিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার ও বাংলাদেশ শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কবির আহম্মেদ।

বৈঠকে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, দুই বছর আগেও মূল্যস্ফীতি ৫-৬ শতাংশের মধ্যে ছিল। সরকার আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার কথা বলছে। সেটি বিবেচনায় নিয়ে আমরা ৬ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের প্রস্তাব করেছি। যদি মূল্যস্ফীতি কমে না আসে, তাহলে পরবর্তী সময়ে যখন নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করা হবে, তখন সেটি আমলে নেওয়ার সুযোগ থাকবে। মূল্যস্ফীতি হচ্ছে ৯-১০ শতাংশ। তাহলে ১৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের যৌক্তিকতা কী?

মালিকপক্ষের প্রস্তাবের বিষয়ে শ্রমিকনেতা বাবুল আখতার বলেন, ‘ইনক্রিমেন্টের বিষয়ে মালিকপক্ষের প্রস্তাব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সে জন্য আমরা তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি। ইনক্রিমেন্টের বিষয়ে গ্রহণযোগ্য সমাধান না হলে আবার শ্রমিক অসন্তোষের শঙ্কা রয়েছে। ফলে আমাদের প্রত্যাশা, আগামী বৈঠকে এ বিষয়ে গ্রহণযোগ্য সমাধান হবে।’

পোশাক রপ্তানি: ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের কমছে, প্রতিদ্বন্দ্বীদের বাড়ছে

  • চলতি বছরের ৯ মাসে ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানি কমেছে ২ শতাংশ
  • ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও শ্রমিক অসন্তোষকে দায়ী ব্যবসায়ীদের
  • বাংলাদেশের কমলেও পাকিস্তান, কম্বোডিয়া ও মরক্কোর রপ্তানি বেড়েছে ৬-১৫ শতাংশ

ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি নেতিবাচক ধারাতেই আছে। চলতি বছরের ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে পোশাক রপ্তানি কমেছে ২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। ইউরোস্টেটের তথ্যমতে, এ সময় ইউরোপের বাজারগুলোতে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৪ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছর একই সময় ছিল ১৪ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার।

ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাড়তি লিড টাইম, গ্যাস-বিদ্যুতের ঘাটতি, দুর্বল ব্যাংকিং ব্যবস্থা, বিশ্বব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ বেশ কিছু কারণ রপ্তানিতে পিছিয়ে পড়ার জন্য দায়ী বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দীন রোবেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে গত বছরের তুলনায় ইউরোপের দেশগুলো পোশাক আমদানি কমিয়েছে। এতে আমাদেরও কমেছে। তারপরও যদি ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, গ্যাস-বিদ্যুতের সমস্যা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও শ্রমিক অসন্তোষ না থাকত, আমরা প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারতাম।’

মহিউদ্দীন রোবেল আরও বলেন, সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে রপ্তানি কিছুটা বেড়েছে, এতে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক ধারা থেকে ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে। দেশের সার্বিক অবস্থা ভালো করতে পারলে আশা করা যায়, আগামী দু-তিন মাসে রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হবে।

ইউরোপের বাজারে তৈরি পোশাকের বড় রপ্তানিকারক ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একমাত্র ইন্দোনেশিয়া ও তুরস্কের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। বাকি ৭ দেশের তুলনায় প্রবৃদ্ধিতে পিছিয়ে বাংলাদেশ। অথচ বাংলাদেশ ইউরোপের বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক সরবরাহকারী দেশ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো এ বছরের ৯ মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মোট ৬৮ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, আগের বছরের চেয়ে তাদের আমদানি কমেছে ২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এখাতে তাদের আমদানি ছিল ৬৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।

তথ্য বলছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ দেশ ছিল চীন। এ সময়ে দেশটি থেকে রপ্তানি ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ কমে ১৮ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছর একই সময় ছিল ১৯ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। আগস্ট পর্যন্ত তাদের রপ্তানি কম ছিল ৪ দশমিক ১০ শতাংশ। তুরস্ক ৭ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে এবং তাদের রপ্তানি কমেছে ৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ। গত বছর তাদের রপ্তানি আয় ছিল ৮ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। আগস্ট পর্যন্ত তাদের রপ্তানি কম ছিল ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। ভারতের রপ্তানি শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশ কমে ৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছর তাদের রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার। আর আগস্ট পর্যন্ত তাদের রপ্তানি গত বছরের তুলনায় কম ছিল ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধান রপ্তানিকারক দেশগুলো থেকে ইইউতে পোশাক রপ্তানি কমলেও কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, মরক্কো—এই চার দেশ থেকে রপ্তানি বেড়েছে।

কম্বোডিয়া থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে ইউরোপের বাজারে রপ্তানি ১৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়ে ২ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছর একই সময় তাদের রপ্তানি আয় ছিল ২ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। আগস্ট পর্যন্ত তাদের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

ইইউর বাজারে ভিয়েতনামের পোশাক রপ্তানি আয় বেড়েছে শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ। তাদের রপ্তানি হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ডলার; যা গত বছর ছিল ৩ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলার।

পাকিস্তানও ভালো করেছে পোশাক রপ্তানিতে। আগস্ট পর্যন্ত তাদের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ। সর্বশেষ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আরও বেড়ে ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ইইউর বাজারে পাকিস্তানের রপ্তানির পরিমাণ ২ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। গত বছর একই সময় তাদের আয় ছিল ২ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার।

মরক্কো থেকেও রপ্তানি ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়ে ২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে; যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ বিলিয়ন ডলার।

এদিকে শ্রীলঙ্কা থেকে রপ্তানি ১ দশমিক ২২ শতাংশ কমে ১ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলারে উঠে এসেছে। আগের বছর ছিল ১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার। ইন্দোনেশিয়া থেকে ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ কমে ৭৬৫ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছর ছিল ৮৩৫ মিলিয়ন ডলার।

জুলাইয়ে রাজনৈতিক উত্থান ও ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মাধ্যমে এই অস্থিতিশীলতা শুরু হয় এবং ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছিল।

এরপর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ ও চাঁদাবাজির ঘটনা স্বাভাবিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে থাকে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর থেকে শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ৪০ কোটি ডলারের বেশি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই মন্দা কাটিয়ে উৎপাদন ও বিনিয়োগ বাড়াতে ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে সমস্যাগুলো তুলে ধরেছেন। শনিবার ব্যবসায়ীরা রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টার কাছে উৎকণ্ঠা জানিয়ে বলেন, টেক্সটাইলে ৩০-৩৫ শতাংশ লোডশেডিং হচ্ছে। ডিজেল কিনে জেনারেটর চালিয়ে কারখানা পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। গ্যাস-সংকটের কারণে নরসিংদীর এক টেক্সটাইল মিলের মালিক তাঁর কারখানার একাংশ বন্ধ করে দিয়েছেন।

এ সময় এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘যেসব কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, সেই কারখানাগুলোর শ্রমিকেরা অন্য কারখানার গেটে এসে চাকরির জন্য ভাঙচুর করছে। আমি চাকরি দেবে কীভাবে, আমার কারখানাও তো বন্ধ হয়ে যাবে। বর্তমানে গ্যাস-বিদ্যুতের যে পরিস্থিতি, তাতে কারখানা চালাতে পারলেও আমরা সার্ভাইভ করতে পারব না।’

উল্লেখ্য, দেশ থেকে মোট ৩৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি পোশাক রপ্তানি হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বাজার হলো ইইউ। গত বছর (২০২৩) বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা ইইউতে মোট পোশাক রপ্তানি করেছিল ১৮ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলারের।

Mosaic’s financial woes threaten thousands of jobs in Bangladesh

Thousands of garment workers in Bangladesh are facing an uncertain future after Australian fashion retailer Mosaic Brands defaulted on millions of dollars in payments to suppliers.

The collapse of the company has left 23 factories, including Padma Satel Arab Fashions, struggling to pay their workers and suppliers.

Mosaic’s financial woes threaten thousands of jobs in Bangladesh
Figure: The future of the garment workers and suppliers remains uncertain, as the outcome of Mosaic’s restructuring process is still unknown.

Padma Satel Arab Fashions, which employs 3,000 workers, has been waiting for $2.5 million in payments from Mosaic since June. The factory’s director, Jabed Ahmed, says the company has been encouraging them to continue production with promises of future payment.

“Since June, we have been continuously requesting them to pay our overdue payment, but they told us their sales were down and encouraged us to continue our shipments and they would pay soon,” said Padma Satel Arab Fashions director Jabed Ahmed.

Regarding the issue, a garment worker expressed fear that they will be unable to support their families if the factory is forced to close. She and other workers are worried about losing their jobs and being unable to afford necessities like food and medicine.

The suppliers are calling for a thorough investigation into Mosaic’s financial practices and are demanding that the company pay its debts. They argue that Mosaic’s aggressive business practices, including extended payment terms, have contributed to the current crisis.

Mosaic Brands filed for voluntary administration in October, citing financial difficulties. The company is currently undergoing a restructuring process, which could involve asset sales, liquidation, or other measures.

The future of the garment workers and suppliers remains uncertain, as the outcome of Mosaic’s restructuring process is still unknown.

পোশাকশিল্পে কমে আসছে নারী শ্রমিক

দেশের পোশাক কারখানাগুলোতে নারী শ্রমিকদের সংখ্যা ক্রমাগত কমে আসছে। বিজিএমইএর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, এই শিল্পে ১৯৮০ সালে নারী শ্রমিকদের হার ছিল ৮০ শতাংশ, যা ২০২১ সালে ৫৩.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। 

বিশ্লেষণে দেখা যায়, মূলত ১৮ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত তারা এই শিল্পে নিয়োজিত থাকেন। বয়স ৩৫ হওয়ার পর তারা এই কাজ ছেড়ে বিকল্প পেশার দিকে ঝুঁকতে থাকেন। বিকল্প হিসেবে তারা যেসব কাজকে বেছে নিচ্ছেন সেগুলো হচ্ছে: কৃষিভিত্তিক ও গৃহস্থালী এবং নিজের মালিকানাধীন দর্জির দোকানে কাজ করা। মূলত সাম্প্রতিক সময়ে কারখানাগুলোতে অস্থিরতা, বেশি টাকা উপার্জনের আশা ও তুলনামূলক স্বাধীন পেশার কারণে তারা এইসব পেশায় আগ্রহী। 

এভাবে নারী শ্রমিক কমতে থাকলে দক্ষ শ্রমিক স্বল্পতায় দেশের রপ্তানি আয়ের শীর্ষে থাকা তৈরি পোশাক খাতে স্থবিরতা নেমে আসতে পারে। এই অবস্থায় নারীদের পোশাক খাতে আগ্রহী করে তুলতে ও দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে নিরাপদ ও নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ তৈরি, শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানো ও সঠিক সময়ে ন্যায্য মজুরি প্রদান জরুরি। এর পাশাপাশি এই খাতের টেকসই উন্নয়ন ও বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে ডিকার্বোনাইজেশন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পরবর্তী পরিস্থিতি ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বা উৎপাদন পদ্ধতিতে প্রযুক্তির স্বয়ংক্রিয়করণের প্রভাবকে মোকাবিলা করা জরুরি। গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আলোচনা অনুষ্ঠানে

‘বুনন ২০৩০: বাংলাদেশের পোশাক খাতে মূল কার্যক্রম: গভীর পর্যবেক্ষণ ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় এই তথ্য তুলে ধরা হয়। এটি উপস্থাপন করেন লাইটক্যাসল পাটনার্স এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জাহেদুল আমিন।

ঢাকা ভিত্তিক আন্তর্জাতিক বিজনেস কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান লাইটক্যাসল পার্টনার্স ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ যৌথভাবে এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে উল্লিখিত শিরোনামে প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। লাইটক্যাসল পার্টনার্স, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ ও এশিয়া ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে প্রতিবেদনটি সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ নিটওয়‍্যার অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এর নেতৃবৃন্দের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএর প্রশাসক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। আরো বক্তব্য রাখেন বিকেএমইএর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার, প্রাইড গ্রুপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মোহাম্মদ এ মোমেন, বিল্ড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম ও পোশাক কারখানার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ। আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ। অপরাজিতা ও বুনন প্রকল্প নিয়ে সূচনা বক্তব্য রাখেন এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ডেভলপমেন্ট বিভাগের পরিচালক আইনি ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পর টেকসই জিএসপি প্লাস লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কৌশল গ্রহণ সংক্রান্ত আর একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন মোহাম্মদ হাতেম। 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ২০২৩- ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, তৈরি পোশাকের রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষস্থানে আছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে, বাংলাদেশ ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা জাতীয় জিডিপিতে ১০.৩৫ শতাংশ অবদান রেখেছে। এই শিল্পের সঙ্গে বর্তমানে ৪০ লাখেরও বেশি শ্রমিক প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত। তাই এই সমস্যাগুলোর সমাধান না করা হয়, তাহলে পোশাক খাত-এবং দেশের অর্থনীতি বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে।

BGMEA: Decline in women workers in garment industry

The number of women workers in Bangladesh’s garment sector has been steadily decreasing over the years. According to recent data from the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA), women accounted for 80% of the workforce in this sector in 1980, but that number has dropped to 53.7% by 2021. 

This decline is primarily observed among workers aged 18 to 35, with many leaving the industry once they reach the age of 35 to pursue alternative professions, including agriculture, domestic work, or operating their own tailoring businesses.

This shift is driven by several factors, including unrest in factories, the hope of earning higher wages, and the desire for more independent work. However, this trend poses a significant risk to the garment sector, which is a key driver of the country’s export revenue. The lack of skilled workers could lead to stagnation in the industry.

To reverse this trend, it is essential to create a safe, women-friendly working environment, protect workers’ rights, ensure timely and fair wages, and provide better health services. These measures are crucial for maintaining a skilled and motivated workforce, which is vital not only for the garment industry but also for the broader development of the country.

Furthermore, it is important to address the challenges posed by decarbonization, the transition from Least Developed Country (LDC) status, and the fourth industrial revolution (automation) to ensure the sustainable development of this sector. These challenges must be met to help Bangladesh remain competitive in the global market.

This information was shared during a keynote presentation titled “Bunon 2030: Key Interventions, Insights, and Way Forward for Bangladesh’s RMG Sector” at a discussion event held at a hotel in Gulshan, Dhaka, on Saturday. 

The presentation was delivered by Zahedul Amin, co-founder and director of LightCastle Partners.

The event was jointly organized by the Dhaka-based international business consultancy firm LightCastle Partners and Policy Exchange Bangladesh. 

The report, under the same title, was unveiled at the event and handed over to key stakeholders, including government representatives and leaders from the BGMEA and the Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association (BKMEA).

The report, which was based on feedback from over 100 industry leaders, and government officials, examined key topics from four dialogues held over the past year. 

The first dialogue focused on ‘Circularity, Decarbonization, and Competitiveness,’ the second on “Embracing Wellbeing—Nurturing the Future of Apparel Workers in the Industry,” the third on “Sustainable Apparel’s Future—Navigating Industry Shifts by 2030,” and the final and fourth on “Future-Proofing RMG—Tackling Automation for Sustainable Growth and Worker Wellbeing.”

Saturday’s event marked the closing session of the 2024 “Bunon: 2030” series.

The chief guest at the event was Anwar Hossain, administrator of BGMEA and vice chairman of the Export Promotion Bureau (EPB). Mohammad Hatem, president of BKMEA, MA Jabbar, managing director of DBL Group, Prof Mohammad A Momen, co-founder of Pride Group, and Ferdaus Ara Begum, CEO of Build, also spoke at the event.

The session was chaired by Dr M Masrur Reaz, chairman and CEO of Policy Exchange Bangladesh, while  Ainee Islam, director, Program Development, The Asia Foundation delivered the opening remarks.

The presentation highlighted key insights and recommendations from all the dialogues, emphasizing the importance of Bangladesh enhancing resource efficiency and striving for a just transition, particularly in light of its upcoming LDC graduation, while strategically aligning with EU regulations.

In addition, Mohammad Hatem presented strategies to achieve General System of Preferences (GSP) Plus targets after Bangladesh’s transition from Least Developed Countries (LDC) status. He highlighted the financial crisis which hinders adoption of energy-efficient technologies in RMG factories. Non-compliance among some garment owners could further worsen the situation.

According to the Export Promotion Bureau’s data for 2023-2024, Bangladesh is the world’s top ranking exporter of ready-made garments. In the 2023-2024 fiscal year, the country exported garments worth US$36 billion, which accounted for 10.35% of its national GDP. The industry currently employs over 4 million workers. Therefore, if these issues are not addressed, both the garment sector and the country’s economy could face significant disruptions.

For further information, please visit https://www.lightcastlebd.com/bunon2030/

RMG BANGLADESH NEWS