Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) has sought Indonesia’s cooperation to increase garment exports.
BGMEA President Faruque Hassan spoke about this cooperation during a courtesy meeting with Indonesian Ambassador Heru Hartanto Subolo on February 6.
During the meeting, they discussed ways to enhance cooperation and enhance bilateral trade relations between the two countries with special emphasis on the apparel and textile sector.
Discussions also included various bilateral trade-related issues. Both sides expressed interest in identifying new ways to work together to fully seize mutual trade and investment opportunities.
BGMEA President said that Bangladesh has increased its focus on apparel diversification, especially the production of high-value garments using man-made fibers. Bangladesh can also import man-made fiber from Indonesia.
Calling upon the ambassador, he said, encourage Indonesian businessmen to invest in the man-made textile sector in Bangladesh, emphasizing the potential for mutually beneficial partnerships. He expressed the industry’s interest in increasing garment exports to the Indonesian market and sought the ambassador’s cooperation in this regard.
Faruque Hassan also requested the ambassador to assist in establishing collaboration between BGMEA University of Fashion and Technology (BUFT) and the Indonesian Fashion Institute. It aims to enhance the knowledge and skills of BUFT students in fashion design, product development, technology and other relevant fields.
H&M has declared Daniel Ervér as the company’s new CEO, effected from January 31, 2023.
Daniel Ervér assumed leadership of the Swedish fashion company immediately, amid challenges in increasing sales and profitability.
Ervér has worked for H&M for eighteen years, and recently led the company’s main H&M brand, and will continue to hold in addition to his CEO position.
H&M, the second-largest listed fashion retailer in the world behind Inditex, has found it difficult to compete with Zara and the low-cost fast fashion behemoth Shein, both of which have experienced rapid sales growth.
The announcement of the leadership shift occurred with H&M’s sales decline of 4% in December and January over the prior year, which is concerning for the crucial Christmas shopping season.
Adil Shah, portfolio Manager at Storebrand in Oslo, which holds H&M shares said, “I think the market will welcome the change after digesting the numbers.”
Earlier, outgoing CEO Helena Helmersson said she had decided to leave the company after four years in the top job, adding the role has been “very demanding” and she did not have the energy to continue.
Olam Agri, a global agribusiness in food, feed, and fiber, announced the start of its regenerative agriculture program across the U.S. cotton belt with the goal of satisfying the increasing demand for traceable and sustainably cultivated cotton.
Olam Agri began implementing regenerative agriculture in cotton in 2020 with the goal of giving cotton producers the means, resources, and market access to reduce climate risk, improve soil fertility, sequester carbon, promote biodiversity, and control energy and water use.
This work has culminated in a new program that will provide clients with cotton goods that have full chain of custody certification, starting with production and continuing through harvesting, ginning, storage, and shipping. Every farm and ginning facility involved in the initiative holds a regenagri certification.
Furthermore, Olam Agri intends to pay those who use regenerative approaches as part of the program directly. It is anticipated that this technique of incentivization will increase farmer engagement and advance sustainable farming practices more broadly.
Olam Agri has been certified by regenagri to operate three ginning plants and 15,000 hectares of farmland that together produce 20,000 MT of cotton in the United States.
Olam Agri, one of the biggest cotton merchants in the world, has worked closely with smallholder farmers in Africa and large-scale farmers in Australia and the Americas for decades to develop an integrated global cotton business. Around the world, 350 million people, including 100mn farmers, depend directly on cotton for their livelihoods.
পর পর তিন মাস রপ্তানি আয় অব্যাহত ভাবে কমেছে। নতুন বছরে জানুয়ারিতে এসে রপ্তানি আয় ঘুরে দাঁড়িয়েছে।এক মাসেই রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারকে স্পর্শ করেছে। ফলে দেশের রপ্তানি আয়ে প্রধান পণ্য তৈরি পোশাকে রপ্তানি বেড়ে গেছে। ফলে পুরো রপ্তানিতেও এর ছাপ পড়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হাল নাগাদ প্রতিবেদনে এমনই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৪৯৭ কোটি ১৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। বা ৪ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। চলতি নতুন বছরের জানুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ১২ শতাংশ। আগের বছর একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ৪৪২ কোটি ১৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক। বা ৪ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলারের।
আর চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সাত মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৮৩৬ কোটি ৩২ লাখ মার্কিন ডলার। বা ২৮ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। একই সময়ে দেশের মোট রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৩২৬ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার। বা ৩৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ।
আগের মাস ডিসেম্বরে মোট রপ্তানির প্রবৃদ্ধি নেমেছিল এক শতাংশের নিচে। আর তৈরি পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ঠেকেছিল এক দশমিক ৭২ শতাংশে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার ইউরোপ-উত্তর আমেরিকা মন্দার কবলে পড়ে। এসব দেশে মূল্যস্ফীতির নাগাল ছাড়া। ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলো অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ব্যবস্থা নিয়ে এগুলো কাজে লেগেছে। ফলে মানুষের জীবনে প্রভাব পড়ে; প্রতিফলন ঘটে তাদের কেনা কাটায়। তবে পুরো বছরে এ ধারা অব্যাহত থাকার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বলে মনে করেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্বজুড়ে মন্দার খবরের মধ্যে আমরা মূল যে কারণে একটু ভালো করতে পারছি, তা হলো আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে অর্জিত দক্ষতা এবং পোশাকের বাজার ও পণ্যের বহুমুখী করার চেষ্টার কারণে। আগামীতে এর চেয়ে ভালো না করতে পারলেও মোটামুটি একটি ভালো অবস্থা ধরে রাখা যাবে। বৈশ্বিক অবস্থার যদি উন্নতি হয় তাহলে আমরা ভালো করব। এবং অন্য যে কারো চেয়ে ভালো করব।
ইপিবি তথ্য বলছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে ২৪৮ মিলিয়ন ডলারের; নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ। কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৫৭২ মিলিয়ন ডলারের; প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ। চামড়া ও চামড়া জাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৬২৮ মিলিয়ন ডলারের; নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এক সময়ের সোনালী আঁশের প্রবৃদ্ধি কমেছে ৭ শতাংশ; রপ্তানি হয়েছে ৫১০ মিলিয়ন ডলার। News Sources : banglanews24
Garment exporters and textile millers today demanded continuation of the earlier level of export cash incentives and policy support to gain competitiveness in order to help the sector overcome the challenges stemming from the ongoing global events.
They made the demands in two separate meeting held in Dhaka today.
Faruque Hassan, president of the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA); Mohammad Ali Khokon, president of Bangladesh Textile Mills Association, and Mohammad Hatem, executive president of Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association, made the demand related to cash incentive in a meeting with Finance Division Secretary Md Khairuzzaman Mozumder at the latter’s secretariat office in Dhaka.
Last year, the government through a circular reduced the cash incentive on export receipt as part of a measure to take preparation for the country’s graduation to a developing nation.
The BGMEA president in another meeting with State Minister for Commerce Ahasanul Islam held at the secretariat demanded extended policy support for increased competitiveness. News Sources : thedailystar
চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি অর্জনে বাকি ৫ মাসে রপ্তানি করতে হবে রেকর্ড ৫৭৫ কোটি ডলার হারে। যাকে একরকম অসম্ভব বলছেন উদ্যোক্তা ও বিশ্লেষকরা। যদিও বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনেও সুবাতাস ছিল জানুয়ারিতে। অন্যদিকে পোশাক, চামড়াসহ বিভিন্ন খাতের প্রণোদনা কমানোর ঘোষণা বাড়তি দুশ্চিন্তায় ফেলেছে উদ্যোক্তাদের।
বৈশ্বিক টানাপোড়েন, অভ্যন্তরীণ সংকট আর হঠাৎ করেই প্রণোদনা কমানোর ঘোষণায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে পোশাক খাত ঘিরে। তবে এমন অবস্থার মধ্যেও জানুয়ারিতে সেই ছাপ পড়েনি রপ্তানির সবচেয়ে বড় এই খাতে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে আয় এসেছে ২ হাজার ৮৩৬ কোটি ডলার। যা বছর ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ। তবে বাকি ৫ মাসে এই খাতের লক্ষ্যমাত্রা কতটা অর্জিত হবে, তা নিয়ে সন্দিহান উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, কাস্টমস জটিলতা এবং গ্যাস সংকট-এই দুটিই হচ্ছে আমাদের আমদানি-রপ্তানির জন্য প্রধান বাধা। ইতোমধ্যে পোশাক খাতে নগদ সহায়তা কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেই সঙ্গে অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়নি। এতে এই খাতে দুশ্চিন্তা বেড়েছে।
হঠাৎ করে আশা জাগিয়ে লম্বা সময় ধরে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির বৃত্তে আরেক সম্ভাবনার খাত হোমটেক্সটাইল। সবশেষ অর্থবছরে রপ্তানি শত কোটি ডলার ছাড়ালেও চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার এক তৃতীয়াংশ। অন্যদিকে, দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত চামড়া ও চামড়াজাতপণ্যেও ঠেকানো যাচ্ছে না প্রবৃদ্ধির পতন।
লেদার ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড টেকনোলজিস সোসাইটির সভাপতি এ কে এম মুশফিকুর রহমান মাসুদ বলেন, ডলার সংকটের কারণে অনেক সময় আমরা আমদানি করতে পারি না। বাজারে কেমিক্যালসের দাম বেশি থাকে। ফলে চামড়ার খরচ বেড়ে যায়। ক্রেতার টার্গেট পূর্ণ করতে পারি না। পরিপ্রেক্ষিত্রে ক্রয়াদেশ বাতিল করতে হয়।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রপ্তানির লক্ষ্য ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলার। যা অর্জনে বাকি ৫ মাসে আয় করতে হবে ৫৭৫ কোটি ডলার হারে। অথচ গেলো ৭ মাসের গড় ছিল মাত্র ৪৭৫ কোটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজার ও পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ ছাড়া অসম্ভব এই অর্জন।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ডলারে সরবরাহ নিশ্চিত রাখতে হবে। যাতে আমদানিকারকদের আমদানি ব্যাহত না হয়। একই সঙ্গে গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হবে। যাতে রপ্তানিকারকদের উৎপাদন ব্যাহত না হয়। নিয়মিত রপ্তানি করতে পারেন।
অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স মিলিয়ে বহির্খাত থেকে আয় হয়েছে সাড়ে ৪ হাজার কোটি ডলারের কিছু বেশি। News Sources : channel24bd
কয়েক মাস পর আবারো কোন একক মাসে পোশাক রফতানি আয় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। জানুয়ারি মাসে পোশাক রফতানি থেকে আয় হয়েছে ৪৯৭ কোটি ডলার, যা এর আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি। অপরদিকে, জানুয়ারি মাসে সব ধরনের পণ্য রফতানি থেকে আয় দাঁড়িয়েছে ৫৭২ কোটি ৪৩ লাখ মার্কিন ডলার। গত অর্থ বছরের জানুয়ারি মাসে রফতানির পরিমাণ ছিলো ৫১৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার। সেই হিসেবে এ বছর জানুয়ারি মাসে রফতানি আয় ১১.৪৫ শতাংশ বেড়েছে। রোববার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) দেশ থেকে ৩ হাজার ৩২৬ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, যা এর আগের অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি। গত অর্থ বছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রফতানির পরিমাণ ছিলো ৩ হাজার ২৪৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে প্রধান রফতানি পণ্য পোশাক খাত থেকে ২ হাজার ৮৩৬ কোটি ৩১ লাখ ডলার আয় হয়েছে। এর মধ্যে নীট পোশাক (সোয়েটার, টি-শার্ট জাতীয় পোশাক) রফতানি হয়েছে ১ হাজার ৬১৮ কোটি ডলার সমমূল্যের এবং ওভেন পণ্যের (শার্ট, প্যান্ট জাতীয় পোশাক) রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১৮ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। আলোচ্য সময়ে পোশাক রফতানি বেড়েছে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এছাড়া জুলাই-জানুয়ারি সময়ে অন্যান্য প্রধান রফতানি পণ্য যেমন-পাট ও পাটজাত পণ্য ৫১ কোটি ডলার, হোম টেক্সটাইল ৪৫ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, পাদুকা ২৯ কোটি ৬২ লাখ ডলার, প্লাস্টিক পণ্য ১৪ কোটি ১৩ লাখ ডলার, কৃষিজাত পণ্য ৫৭ কোটি ২৭ লাখ ডলার, হিমায়িত মাছ ২৪ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং রাসায়নিক পণ্য ২০ কোটি ২২ লাখ ডলার রফতানি হয়েছে। News Sources : dainikjamalpur
তৈরি পোশাক রপ্তানিতে এতদিন দিয়ে আসা প্রণোদনা হঠাৎ করে তুলে নিলে দেশের রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় এ খাত সমস্যায় পড়বে মনে করছেন সংসদের বিরোধীদলী উপ-নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
রোববার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “হঠাৎ করে যদি সাবসিডি (ভর্তুকি) বন্ধ করা হয়, ইনসেনটিভ (প্রণোদনা) বন্ধ করা হয়, পোশাকখাত অসুবিধার মধ্যে পড়বে।’’
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিধি অনুযায়ী, স্বল্পোন্নত (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের পর রপ্তানিতে কোনো প্রকার ভর্তুকি বা প্রণোদনা দিতে পারে না কোনো দেশ।
২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে উন্নীত হচ্ছে। সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রপ্তানি খাতের ৪৩ পণ্যর ওপর থেকে প্রণোদনা ও ভর্তুকি ২০ থেকে ৫০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গত ৩০ জানুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই সিদ্ধান্ত সার্কুলার আকারে জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে একটি খাতের প্রণোদনার হার ঠিক রেখে চারটি পণ্যর ওপর থেকে প্রণোদনা তুলে নেওয়া হয়।
এর ফলে দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশের যোগানদাতা পোশাক খাতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে সংসদে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিরোধী দলীয় উপনেতা।
তিনি বলেন, “এই পোশাক শিল্প আমাদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি প্রধান চালিকাশক্তি। বর্তমানে যেখানে আমাদের ডলার সংকট এবং রপ্তানি আয়ের ওপর চাপ পড়েছে, সেই মুহূর্তে এই সার্কুলারটি আমি মনে করি আমাদের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকারক হবে।’’
চলতি অর্থবছরের জন্য কোন খাতে কতোটুকু প্রণোদনা ও ভর্তুকি দেওয়া হবে, তা গত অগাস্টে প্রজ্ঞাপন আকারে জানিয়েছিল সরকার। সেখানে ৪৩ পণ্যর বিপরীতে প্রণোদনা, নগদ সহায়তা, বিকল্প সহয়তা, বিশেষ সহায়তা ও ভর্তুকির হার বলা ছিল।
পাঁচ মাস পরে সেই প্রণোদনা বিভিন্ন হারে কমিয়ে আনার সমালোচনা করে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “সেটার ওপর ভিত্তি করে পোশাক শিল্পের যারা আছেন, তারা এই জুন পর্যন্ত কন্ট্রাক্ট করেছেন। সেই কন্ট্রাক্ট করার সময় সাবসিডিকে হিসাবের মধ্যে নিয়েছেন। এখন যদি এটা বন্ধ করা হয়, তাহলে এই পোশাকশিল্পের যারা আছেন, তারা প্রচণ্ড ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়বেন।’
তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পেলেও গ্যাসের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। গ্যাস সরবরাহও পর্যাপ্ত নয়। তার ওপর বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা কমছে। এ অবস্থায় প্রণোদনা তুলে নিলে চাপ আরো বড়বে বলে মনে করছেন জাতীয় পার্টির এ নেতা।
তিনি বলেন, “আমি মনে করি, পোশাক শিল্প অসুবিধার মুখে পড়বে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেজন্য আমি অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশে ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে অনুরোধ করব, যেন এই সার্কুলারটি রহিত করেন।
“অন্ততপক্ষে জুন পর্যন্ত যে সাবসিডি দেওয়ার কথা, সেটা যেন দেন। জুনের পর থেকে গ্র্যাজুয়ালি যদি কমান, সেটা আমি মনে করি পোশাক শিল্প মেনে নিতে বাধ্য হবে। কারণ আমরা ডব্লিউটিওর অধীনে ২০২৬ সালের পরে কোনো রকম সাবসিডি দিতে অপারগ।“
News Sources : নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Bangladesh government has reduced cash incentives in 43 sectors, including ready-made garments and leather, as part of preparations for transition from the list of Least Developed Countries (LDCs). After Corona, Russia-Ukraine and Israel-Hamas wars are straining the global economy. Again in Bangladesh, the cost of business is increasing day by day due to various reasons including the control of dollar price and gas crisis. At such a critical moment, the government’s decision to reduce cash assistance to exports will put RMG sector under great pressure.
Owners of Bangladesh’s main export sector, the garment industry, say the decision could have a major impact on small and medium-sized businesses in the sector. Potential to create alternative markets may be lost also.
Economists also say that the impact of cash assistance on exports will be negative. However, they also say that since the decision is being implemented over a long period of time, it will not have much of a negative impact. Rather, businessmen should move away from this incentive-based framework towards productivity and efficiency-based markets.
According to a notification of Bangladesh Bank on January 30, the export sector may face challenges if the export incentives/cash assistance are completely withdrawn after LDC graduation. That is why the government has decided to gradually reduce the rate of cash assistance/incentives in various phases from now on.
Earlier, cash assistance ranging from 1 percent to 20 percent of export earnings was provided to encourage exporters and make them more competitive in the international market. Now after the new announcement, the maximum rate is fixed at 15 percent and minimum at 0.5 percent. It has fixed this new rate of cash incentive against exports for the remaining six months of the current financial year 2023-24.
According to the International Trade Organization (WTO) regulations, no export incentives or cash assistance can be provided for transition from least developed countries. However, the export sector may face a challenge if the cash assistance is suddenly withdrawn after transition from LDCs. For that, the government has decided to reduce the cash assistance gradually from this year.
At present incentives are given at different rates in different sectors of the garment industry. These are 3% in lieu of tariff bonds and duty draw-backs, an additional 1% for exporters in the textile sector in the euro area, an additional 4% for all small and medium industries in the knit, woolen and sweater sectors, 3% as support for new products or market expansion. And special cash assistance at the rate of 0.50% to readymade garments sector.
On the other hand, exports to the three major new markets – Australia, India and Japan – were given a 4% incentive. In the new circular, these markets have been brought under the list of conventional markets, where the rate of cash assistance is 0.5 percent.
Faruque Hassan, president of BGMEA, said, “Initially, the incentive rate was reduced in 4 categories. Then finally, the government said that five HS (Harmonized System) code items will not get any incentive now. But these five items Apparel is an essential part of exports.”
He said, “We have to be competitive in foreign currency. International orders are already low. There is a shortage of dollars in the country. That’s why we have to figure out how to bring more dollars into the country. Our reserves have decreased to a point where we are having trouble opening LCs.”
“Due to this, it has become difficult to import raw materials. That’s why we said not to reduce the incentives. But, the government did not agree to it,” he added.
Mohammad Hatem, Executive President of BKMEA said, we also do not want incentives to be given. But in such a difficult situation in the world, the economy is in a mess. Our exports have gone down. At this time, incentives cannot be reduced or in some cases completely waived.
Fazle Shamim Ehsan, vice president of BKMEA said, “On the one hand, the government is focusing on our value addition. On the other hand, on the other hand, it is withdrawing cash support for value added products. This is not acceptable at all.”
BGMEA vice-president Md. Nasir Uddin told to media, we are under pressure. The pressure is that utility bills, workers’ salaries and interest on bank loans have increased. If the incentives are stopped now, this sector will come under pressure.
দেশের পণ্য রপ্তানি আয়ে জানুয়ারি মাসে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। জানুয়ারি মাসে রপ্তানি হয়েছে ৫৭২ কোটি ৪৩ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য। গত বছরের জানুয়ারিতে রপ্তানি হয়েছিল প্রায় ৫১৪ কোটি ডলারের পণ্য। সেই হিসাবে গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে রপ্তানি বেড়েছে ৫৮ কোটি ডলারের।
গতকাল রোববার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বা ইপিবি রপ্তানির হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে বাংলাদেশ থেকে ৩ হাজার ৩২৬ কোটি ডলারের রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল ৩ হাজার ২৪৫ কোটি ডলার। সেই হিসাবে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে সামগ্রিক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ। তবে উল্লেখিত সাত মাসের জন্য সরকার রপ্তানির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল, সেটি পূরণ হয়নি। গত জুলাই থেকে জানুয়ারি সময়ের জন্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ হাজার ৫৮৮ কোটি ডলারের।
ইপিবির তথ্যে আরও দেখা যায়, দেশের রপ্তানি আয়ের বড় খাত তৈরি পোশাকে চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ সাত মাসে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৮৩৬ কোটি ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৭৪২ কোটি ডলার। পোশাকের রপ্তানির ওপর ভর করে সার্বিক রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাক খাত থেকে ২ হাজার ৮৩৬ কোটি ৩১ লাখ ডলার আয় হয়েছে। এর মধ্যে নীট পোশাক (সোয়েটার, টি-শার্ট জাতীয় পোশাক) রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৬১৮ কোটি ডলার সমমূল্যের এবং ওভেন পণ্যের (শার্ট, প্যান্ট জাতীয় পোশাক) রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১৮ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। আলোচ্য সময়ে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এছাড়া জুলাই-জানুয়ারি সময়ে অন্যান্য প্রধান রপ্তানি পণ্য যেমন-পাট ও পাটজাত পণ্য ৫১ কোটি ডলার, হোম টেক্সটাইল ৪৫ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, পাদুকা ২৯ কোটি ৬২ লাখ ডলার, প্লাস্টিক পণ্য ১৪ কোটি ১৩ লাখ ডলার, কৃষিজাত পণ্য ৫৭ কোটি ২৭ লাখ ডলার, হিমায়িত মাছ ২৪ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং রাসায়নিক পণ্য ২০ কোটি ২২ লাখ ডলার রপ্তানি হয়েছে।