fbpx
Home Blog Page 50

মুখ থুবড়ে পড়বে ছোট-মাঝারি পোশাক কারখানা

মহামারি করোনার পর থমকে যায় বিশ্ব অর্থনীতি। বন্ধ হয়ে যায় নামি দামি অনেক প্রতিষ্ঠান। অনেক কোম্পানি কর্মী ছাঁটাইয়ে বাধ্য হয়। যার আঁচ লাগে দেশের পোশাক শিল্পেও। বন্ধ হয়ে যায় রপ্তানি আদেশ। পরে সচল হয় অর্থনীতি, ঘুরে দাঁড়ায় দেশের পোশাক খাত। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতি ফের বাধ সাধে। কয়েকগুণ বেড়ে যায় জ্বালানির দাম। গ্যাস-বিদ্যুতের বর্ধিত দামে দেখা দেয় বহুমুখী সংকট।

এসব সংকট সামলে ওঠার আগেই ৪৩টি পণ্যে রপ্তানি সহায়তা বা নগদ প্রণোদনা কমিয়েছে সরকার। উন্নয়শীল দেশের কাতারে যাওবার ফলে ২০২৬ সাল থেকে কোনো প্রণোদনা থাকছে না। এ কারণে চলতি (জানুয়ারি) মাস থেকেই কার্যকর হয়েছে নতুন এ সিদ্ধান্তটি। তবে শিল্পোদ্যোক্তারা এটাকে ভালো চোখে দেখছেন না।

তাদের মতে, বহুবিধ সংকটে দেশের রপ্তানি খাত বিশেষ করে পোশাক শিল্প। বিশ্বের প্রধান বাজারে রপ্তানি কমেছে পোশাকের। উৎপাদনের ব্যয় বাড়লেও সে হারে দাম পাচ্ছে না পণ্যের। এ অবস্থায় প্রণোদনা সহায়তা কমানো হলে মুখ থুবড়ে পড়বে মাঝারি ও ছোট শিল্প। আগামী জুলাই থেকে কার্যকর হলে সংকট কিছু সামলেও নেওয়া যাবে বলে জানান তারা।

সরকারের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চলতি (২০২৪) সালের ১ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত জাহাজি করা পণ্যের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৪৩টি খাতে রপ্তানিতে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। এখন দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ হারে এ নগদ সহায়তা পাবেন রপ্তানিকারক। এর আগে যেটা ছিল ১ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত।

রপ্তানি সহায়তা কমিয়েছে সরকার। যেটা চলতি মাস থেকে কার্যকর হবে। কয়েকটি ক্যাটাগরির রপ্তানিতে পণ্য সহায়তা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে টি-শার্টসহ পোশাক রপ্তানির বড় পণ্যে সুবিধা থাকছে না। নতুন বাজারে সহায়তা কমানো হয়েছে। এতে আরও চাপ তৈরি করবে, বাধাগ্রস্ত হতে পারে অর্থনীতি।—মোহাম্মদ হাতেম

পোশাক খাতে ১ শতাংশের পরিবর্তে দশমিক ৫০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা পাবেন পোশাক রপ্তানিকারকরা। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে রপ্তানিকারকদের নগদ সহায়তা ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। পাট ও পাটজাত পণ্যে ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে এত দিনে ভর্তুকি ১০ শতাংশ থাকলেও এখন থেকে পাবেন ৮ শতাংশ। অন্য খাতেও রপ্তানিতে ভর্তুকি কমিয়েছে সরকার।

দেশীয় বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা ৩ শতাংশ করা হয়েছে, আগে যেটা ছিল ৪ শতাংশ। ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতের প্রণোদনার হার ৩ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তাও ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। তবে রপ্তানিকারকদের জন্য নিট, ওভেন ও সোয়েটারসহ তৈরি পোশাক খাতের সব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প অতিরিক্ত ৪ শতাংশ বহাল আছে। নতুন পণ্য বা নতুন বাজারে রপ্তানিতে ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানিতে বিশেষ নগদ সহায়তা ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। নতুন এ নির্দেশনার ফলে এসব খাতে নির্ধারিত পাঁচটি এইচএস কোডের রপ্তানির বিপরীতে কোনো নগদ সহায়তা মিলবে না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জাগো নিউজকে বলেন, রপ্তানি সহায়তা কমিয়েছে সরকার। যেটা চলতি মাস থেকে কার্যকর হবে। কয়েকটি ক্যাটাগরির রপ্তানিতে পণ্য সহায়তা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে টি-শার্টসহ পোশাক রপ্তানির বড় পণ্যে সুবিধা থাকছে না। নতুন বাজারে সহায়তা কমানো হয়েছে। এতে আরও চাপ তৈরি করবে, বাধাগ্রস্ত হতে পারে অর্থনীতি।

এমন একটা সময়ে প্রণোদনা কমানো হলো যখন উদ্যোক্তারা কঠিন সময় পার করছেন। কোনো স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা হয়নি, আলোচনা করা হয়নি। আমরা পাঁচ-ছয় মাস আগে বায়ারকে প্রাইস দিয়েছি, সুতা কিনেছি বেশি দাম দিয়েছি। এ অবস্থায় প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্ত জানুয়ারি থেকে কার্যকর হলে বিপদে পড়ে যাবেন ছোট ও মাঝারি শিল্প মালিকরা। মুখ থুবড়ে পড়তে পারে, বন্ধ হতে পারে সেগুলো।—শহিদুল্লাহ আজিম

তবে বৈরী পরিবেশেও বিনিয়োগ আসে দেশে। গড়ে ওঠে কারখানা। গত দুই বছরে ছয় শতাধিক নতুন কারখানা গড়ে ওঠে। যদিও নতুন বেতন কার্যকর, ক্রয়াদেশ কমে যাওয়া বন্ধও হয়েছে বেশ কিছু কারখানা। তবে উদ্বেগ তৈরি করেছে প্রধান কিছু বাজারে রপ্তানি কমে যাওয়া। বিশেষ করে মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ২২ শতাংশ আসা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১১ মাসে ২৫ শতাংশ কমেছে। ইউরোপের বাজারেও কমেছে রপ্তানি। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে রপ্তানিতে সংকট দেখা দেবে এমনটাই বলছেন উদ্যোক্তারা। যদিও এর সাথে রাজনৈতিক কোনো বিষয় দেখছেন তারা।

এ বিষয়ে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম জাগো নিউজকে বলেন, এমন একটা সময়ে প্রণোদনা কমানো হলো যখন উদ্যোক্তারা কঠিন সময় পার করছেন। কোনো স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা হয়নি, আলোচনা করা হয়নি। আমরা পাঁচ-ছয় মাস আগে বায়ারকে প্রাইস দিয়েছি, সুতা কিনেছি বেশি দাম দিয়েছি। এ অবস্থায় প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্ত জানুয়ারি থেকে কার্যকর হলে বিপদে পড়বেন ছোট ও মাঝারি শিল্প মালিকরা। মুখ থুবড়ে পড়তে পারে, বন্ধ হতে পারে সেগুলো।

তিনি আরও বলেন, অনেক বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমাদের, উৎপাদন বেড়েছে, ব্যাংক ঋণের সুদহার বেড়েছে। গ্যাস-ইলেকট্রিসিটির বিল দ্বিগুণ বেড়েছে, ওয়েস্ট বেড়েছে ৫৬ শতাংশ। এ অবস্থার মধ্যে প্রণোদনা কমানোর ফলো অনেক কারখানা বন্ধ হতে পারে, অনেক বড় বড় কারখানাও বেতন দিতে পারবে না। আমরা গ্রো করছিলাম সেই সময়ে ইউরোপ-আমেরিকায় রপ্তানি কমে গেছে। আমরা নতুন বাজারে রপ্তানি করছি, যেটা ভালো করছে তবে সহায়তা বন্ধের ফলে সেটাও বাধাগ্রস্ত হবে।

প্রণোদনা কমার ক্ষেত্রে ব্যাংক খাতের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। গ্যাসের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে বহু বছর ধরে, এটাকে একটা প্রাইসের মধ্যে আনলে অপচয় হতো না। তাছাড়া আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছি, সেখানে শর্তের কারণে কিছু সুবিধা চাইলেও দিতে পারবো না। তাই প্রণোদনা থেকে আমাদের সরে যেতে হবে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।—সেলিম আর এফ হোসেন

প্রণোদনা কমার ক্ষেত্রে ব্যাংক খাতের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ব্র্যাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, প্রণোদনা কমার ক্ষেত্রে ব্যাংক খাতের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। গ্যাসের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে বহু বছর ধরে, এটাকে একটা প্রাইসের মধ্যে আনলে সেটাতে অপচয় হতো না। তাছাড়া আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়শীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছি, সেখানে শর্তের কারণে কিছু সুবিধা চাইলেও দিতে পারবো না। তাই প্রণোদনা থেকে আমাদের সরে যেতে হবে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।

রপ্তানি সহায়তার বিষয়ে কথা হয় অর্থনীতিবিদ ও সিপিডির সম্মানিত ফেলো মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, রপ্তানিতে প্রণোদনা সুবিধা আরও দুই বছর রাখতে পারি, যেহেতু ’২৬ সালের পর প্রণোদনা বন্ধ হবে। তবে সেখানে সমস্যা দেখা দেবে রপ্তানিকারকদের জন্য। একবারে বা একধাপে সহায়তা বন্ধ করলে তাদের ক্ষেত্রে খুবই কঠিন হতো, এক্ষেত্রে ধাপে ধাপে বন্ধ করা হচ্ছে। সেই জন্যই গ্রাজুয়ালি করা হচ্ছে। প্রণোদনা হলো তার আয়-ব্যয়ের একটা অংশ মাত্র। তার অন্য জায়গায় যেগুলোতে হ্যারাসমেন্ট হয়, সেসব জায়গায় তাদের সহায়তা দিতে হবে।

অর্থনীতিবিদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখন টাকার অবনমন চলছে, সেটা তো কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে অব্যাহত থাকবে। সেটা হলেও কিছুটা প্রশমন হবে। কারণ এক ডলারের বিপরীতে ১১০ টাকা পাচ্ছিল সেটা তো এখন ১১২ বা ১৩ টাকা পাবে। ধীরে ধীরে আরও কিছু অবনমন হবে। আমার মনে হয় সেদিকটায়ও কিছুটা সামাল দিতে পারবেন রপ্তানিকারকরা। মোট কথা গ্রাজুয়ালি রপ্তানিকারকদের প্রস্তুত করে তোলা থেকেই প্রণোদনা ধাপে ধাপে কমানো হচ্ছে। News Sources : jagonews24

The bright future of jute fiber in garment manufacturing

Perhaps, the jute is going to get back its lost glory as the demand for jute may increase in manifold if the local garment exporters start using the jute fibre as an alternative to imported cotton and non-cotton fibre for making the apparels items.

Figure: Bangladesh produces 12 lakh tonnes of jute and the installed capacity of jute yarn production is 12 lakh tones.

The government, jute millers, jute spinners and the garment exporters have been working on how to increase the use of jute fibre for making the garment items so the diversification of garment fibre is increased.

Currently, on an average, Bangladesh imports fibres or raw materials like knit and woven fabrics, yarn and cotton worth more than $20billion to feed the local export oriented garment factories and for local markets to some extent.

If the jute fibre can be used in making the garment items as a diversified fibre, the country can save the significant portion of this $20 billion in a year for which we will not need to rely on imported fabrics, yarn and cotton for making the garment items for export purposes.

What the jute fibre producers say

Md. Saiful Islam, Managing Director of Faridpur based Mazeda Jute Industries Ltd, is one of such jute fibre maker and exporters.

It is possible to bring a revolution in jute industry if the jute fibre can be used in making garment fibre, Islam said adding currently he along with other spinners are making jute fibre and yarn to export to other countries.

Annually, Bangladesh produces 12 lakh tonnes of jute and the installed capacity of jute yarn production is 12 lakh tonnes and actual production of jute yarn in the country is 10 lakh tonnes in a year.

Bangladesh exports four lakh tonnes of jute yarn in a year, mainly for making the jute carpets, he said adding it is possible to export $50 billion from jute in a year if the garment fibre is made blending the cotton and jute fibre. That means the jute fibre can be used for more value addition, he said.

For instance the viscose fibre is made with the blending of fibres and if the fibre is made from the jute and cotton it would be wonderful fibre.

The bright future of jute fiber in garment manufacturing

Bangladesh will have to go for such blended fibre in a massive scale in future if it wants to be more competitive worldwide in garment trade, he added.

The government needs to formulate guidelines and needs to facilitate more in tax and VAT so the jute fibre can be produced in mass scale and contribute to the garment export of the country. He said he has been producing such fibre to some extent for export purposes.

The production capacity in his factory is 30 tonnes a day and currently he can produce 15 tonnes daily because of different problems like higher cost of fuel oil and electricity. He mainly produces yarn, jute bags and textile fibres and export 90 percent of the produced goods.

In Bangladesh, the number of jute mills is more than 350 and of this number 83 are jute spinners, he added.

Islam, who is also a former board of director of the Bangladesh Jute Spinners Association (BSJA) wants the government’s guideline for making the best use of jute fibre for bringing back the lost glory of jute.

Abul Hussain Mia, Chairman of Bangladesh Jute Mills Association said the future of textile fibre is jute fibre as the fibre diversification is taking place in the country.

The bright future of jute fiber in garment manufacturing

He also said the government, jute millers, garment exporters and textile millers are working together on how to improve the use of jute as textile fibre so the country needs not to import the fabrics with spending billions of US dollars.

The use of jute fibre is garment is also increasing because the western countries are reducing the use of Chinese, Uzbekistan and some other central Asian cotton for different reasons.

Primarily, they are planning for production of 50 -50 blending of jute and cotton fibre and if they are successful the 100 percent jute fibre may be produced in future, Mia also said.

The current fibre situation in garment production

Bangladesh is probably the number one cotton fibre made garment exporter worldwide as many countries, particularly China is reducing over dependence on shipment of cotton based garment items to make a very good business with receiving better prices by selling non-cotton based garment export from the international clothing retailers and brands.

Currently, of the total garment export from Bangladesh some 74 percent is made of from the cotton fibre and remaining 24 percent is made from the non-cotton fibre.

However, the global scenario is just opposite. Globally, of the total fashion industry 78 percent is made from the non-cotton fibre and 22 percent is made from the cotton fibre.

The prices of the non-cotton fibre garment items are also higher than the cotton fibre made garment items because of product sustainability, quality and better functionality.

For instance, if a T shirt made from cotton fibre it is sold at $5 per piece but if it is made from non cotton fibre the price of the same T shirt is more than $10 per piece because of better quality, longevity and functionality.

Since Bangladesh is very strong in cotton based fibre garment items, it has been striving to diversify its fibre over the last many years. Recently, some textile factories have invested money in recycled yarn making, particularly from the left out plastic bottles and left out garment scrape, which is popularly known as jhoot fibre. However the availability of these fibre is still difficult in Bangladesh as the country has limited resources.

Currently, Bangladesh meets its cotton demand through import for its almost entire requirement. Because Bangladesh produces less than two percent of the required cotton and more than 98 percent is imported. So from the very beginning historically Bangladesh is very strong in cotton fibre garment making. As a result the fibre diversification did not take place in larger scale here in the country. But the world situation deserves fibre diversification.

Why fibre diversification is required

Fibre diversification is a demand for the time as there is a possibility of losing competitiveness in the global fashion business. Because with the changing landscape of global fashion the prices of non-cotton garment items are almost double of those made from the cotton based fibre. Bangladesh is very strong in basic garment and receive lower prices from the international clothing retailers and brands. If the local garment exporters want to be more competitive in global fashion business they must go for diversified fibre like recycled yarn and non-cotton fibre garment items.

The international clothing retailers and brands are saying that they will not buy garment items if those are not made from the man-made fibre or recycled yarn as they want to save the environment with making the garment from non-cotton fibres. Only with making garment from the cotton fibre cannot make the local apparel suppliers competitive in the near future when the country will graduate to a developing nation from the list of least developed countries (LDCs) in 2026.

So fibre diversification is very important for Bangladesh. Also because the demand for non-cotton items is falling worldwide and the prices as well but the cost of production is increasing. The diversified garment items are also necessary for the diversified markets. For instance, the demand garment items in the Asian markets, particularly in the Middle Eastern nations does not match with the demand in the western countries like in the Europe and USA.

What BGMEA leader says

Faruque Hassan, president of Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) at an event on sustainability report launching of a group of garment at a city hotel Friday said they have been working on fibre diversification to reduce over dependence on the cotton fibre.

The BGMEA has been working with the government for developing the jute fibre to diversify its types. He said he held a meeting with the foreign ministry Friday to diversify the jute fibre and to make garment items from jute.

BGMEA has already teamed up with many retailers and brands along with the local spinners and weavers for diversifying the fibres like producing yarn from recycled fabrics, petroleum products and buckles of different trees to diversify the fibre.

The Swedish retail giant H&M also recently said it has a big plan for sourcing for Bangladesh although the price will increase by up to 12 per cent following the country’s graduation from the grouping of the least-developed countries in 2026.

After becoming a developing nation, Bangladesh will lose its preferential market access and face 10 to 12 per cent duty on its exports. However, it will enjoy the duty preference in the European Union up to 2029 as the trade bloc has extended a three-year grace period, according to a media report.

The H&M suggested Bangladesh improve product diversity as more than 75 per cent of exported garment items are confined to the top five products although the country is the second-largest apparel supplier in the world.

Globally, the use of artificial fibre is rising.

MMF apparel items accounted for $222 billion of the $440 billion global garments market last year when cotton-based products contributed $190 billion.

Apparel exports from Bangladesh will cross $95 billion by 2030 if the country can expand its share in the global market for MMF to 12 per cent from less than 5 per cent at present, according to a recent study.

Worldwide, almost half of all apparel exports are of MMF products while 42 per cent are cotton-based garment items. In Bangladesh, 72 per cent of the garment exports are cotton-based apparel and just 24 per cent are MMF.

In fine, diversified use of fibre is the future of Bangladesh. Because every year Bangladesh needs to spend more than $3.0 billion for importing cotton for which the net retention from garment shipment is reduced to some extent. If the jute yarn can be used as diversified fibre in garment making in a wider range saving of foreign is possible to a big amount which is needed for the country.

Moreover, the wider use of jute fibre will also help recovery of lost glory of golden fibre of Bangladesh the jute and jute industry. The collaboration between the government and the BGMEA in developing the jute fibre in garment making can usher another big success in the country’s apparel and textile sector. The farmers will also be immensely benefited from this diversified use of jute fibre in garment making.

পোশাকশিল্পে মজুরি বাস্তবায়নে কৌশল ও শ্রমিক ছাঁটাই

সরকার পোশাক শ্রমিকদের নতুন মজুরি নির্ধারণ করে দিলেও শতভাগ কারখানায় এর পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। কিছু ক্ষেত্রে তারা কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্রেড কারচুপির মাধ্যমে শ্রমিকদের পদ অবনমন ও ছাঁটাই।

এমন দাবি করে শ্রমিক নেতারা বলছেন, যেসব কারখানায় সরকার নির্ধারিত শ্রমিক মজুরি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়েছে, এই হার ৬০ শতাংশের বেশি নয়।

তবে মালিকদের দাবি, এটা প্রায় ৯৭ শতাংশ। ১০ থেকে ১২টি কারখানায় মজুরি সমন্বয়ের জটিলতার ফলে এর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।

সরকারের নজরদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মতে, পোশাক শ্রমিকদের পুরোপুরি শর্ত মেনে মজুরি দিচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কারখানা। কাজ কমে যাওয়া এবং পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যাওয়ায় কিছু কারখানায় মজুরি যথাযথভাবে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।কিছু কারখানা বন্ধ হয়েছে। এতে সার্বিকভাবে নতুন মজুরি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সহজ হয়নি।

তৈরি পোশাক খাতের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতারা মনে করেন, বৈশ্বিক মন্দা ও মূল্যস্ফীতির ফলে নতুন মজুরি ছিল সময়ের দাবি ছিল। তবে ক্রেতারা পোশাকের দাম না বাড়ালে বেশির ভাগ মালিকের পক্ষে মজুরি বাস্তবায়ন দীর্ঘ মেয়াদে সম্ভব হবে না।

গত ১৩ নভেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে মজুরি বোর্ড পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ এবং গ্রেডের সংখ্যা সাত থেকে পাঁচে কমিয়ে এনে গেজেট প্রকাশ করে, যা ডিসেম্বর থেকে কার্যকরের কথা। সে অনুযায়ী জানুয়ারিতে নতুন বেতন কাঠামোয় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু কিছু পোশাক কারখানা তা আমলে নেয়নি।

বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এস এম মান্নান কচি কালের কণ্ঠকে বলেন, দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো শতভাগ পরিপালনীয় মানদণ্ড অনুসারে (কমপ্লায়েন্স) কাজ করে। এ জন্য মালিকদের বিপুল বিনিয়োগ করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, এ ছাড়া গ্যাস-বিদ্যুৎ, কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, ডলার সংকট এবং একই সঙ্গে নতুন মজুরি বাস্তবায়ন তৈরি পোশাক খাতকে চাপে ফেলে দিয়েছে। এর পরও ৯৭ শতাংশ কারখানায় মালিকরা নতুন মজুরি বাস্তবায়নে  সক্ষম হয়েছেন।  

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড কেন্দ্রের (জিটিইউসি) তথ্য মতে, ৩০ শতাংশ কারখানায় ডিসেম্বরের নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে ৬০ শতাংশ কারখানা মজুরি বাস্তবায়নে বাধ্য হয়েছে। জানুয়ারি মাসে এসব কারখানায় নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করা হবে।

সংগঠনটি জানায়, কিছু পোশাক কারখানা এর মধ্যে সিনিয়র অপারেটরকে কৌশলে পদ অবনমন করে জুনিয়র অপারেটর হিসেবে মজুরি দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে শ্রমিকের আইডি কার্ডে পদ উল্লেখ না থাকার বিষয়টিকে তারা কাজে লাগিয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে সাক্ষাৎকার নিয়ে পদ নির্ধারণ করা হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে, ‘তোমাদের গ্রেড জুনিয়র অপারেটর সমমানের। তাই নতুন মজুরি কাঠামো অনুসারে জুনিয়র অপারেটরের মজুরি দেওয়া হয়েছে।’ 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শ্রমিক কালের কণ্ঠকে বলেন, মালিকরা ক্রেতাদের চাপে নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করলেও কৌশলে তাঁদের দ্বিগুণ খাটিয়ে নিচ্ছেন। এতে তাঁদের মানসিক ও শারীরিক সমস্যা হচ্ছে।

জিটিইউসির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান শামিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শুধু আমাদের সংগঠনের সঙ্গে জড়িত—এমন শ্রমিকদের আন্দোলনে জড়িত থাকার কারণে গত দুই থেকে আড়াই মাসে ২২ হাজারের বেশি শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে।’ সব মিলিয়ে প্রায় এক লাখ শ্রমিক এ সময় ছাঁটাই হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশের (আইবিসি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তৌহিদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, দ্বিগুণ কাজের চাপে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শ্রমিকরা। এতে মানসিক চাপে পড়েছেন তাঁরা। দর-কষাকষির সক্ষমতা কমেছে। তিনি জানান, ১৫ হাজার ৩৫ টাকা যাঁদের বেতন (এ গ্রেডের  শ্রমিক), তাঁদের চাকরিচ্যুতির হার বেশি। তাঁদের বাদ দিয়ে কম মজুরিতে শ্রমিক নিচ্ছেন মালিকরা।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মিনা মাসুদ উজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে মালিকরা গ্রেড সমন্বয় করায় সিনিয়র অপারেটরদের মজুরি অনেক কমে এসেছে। এ বিষয়ে আমরা সমঝোতার চেষ্টা করছি।’

পোশাকশিল্পে মজুরি বাস্তবায়নে কৌশল ও শ্রমিক ছাঁটাই

সরকার পোশাক শ্রমিকদের নতুন মজুরি নির্ধারণ করে দিলেও শতভাগ কারখানায় এর পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। কিছু ক্ষেত্রে তারা কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্রেড কারচুপির মাধ্যমে শ্রমিকদের পদ অবনমন ও ছাঁটাই।

এমন দাবি করে শ্রমিক নেতারা বলছেন, যেসব কারখানায় সরকার নির্ধারিত শ্রমিক মজুরি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়েছে, এই হার ৬০ শতাংশের বেশি নয়।

তবে মালিকদের দাবি, এটা প্রায় ৯৭ শতাংশ। ১০ থেকে ১২টি কারখানায় মজুরি সমন্বয়ের জটিলতার ফলে এর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।

সরকারের নজরদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মতে, পোশাক শ্রমিকদের পুরোপুরি শর্ত মেনে মজুরি দিচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কারখানা। কাজ কমে যাওয়া এবং পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যাওয়ায় কিছু কারখানায় মজুরি যথাযথভাবে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।কিছু কারখানা বন্ধ হয়েছে। এতে সার্বিকভাবে নতুন মজুরি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সহজ হয়নি।

তৈরি পোশাক খাতের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতারা মনে করেন, বৈশ্বিক মন্দা ও মূল্যস্ফীতির ফলে নতুন মজুরি ছিল সময়ের দাবি ছিল। তবে ক্রেতারা পোশাকের দাম না বাড়ালে বেশির ভাগ মালিকের পক্ষে মজুরি বাস্তবায়ন দীর্ঘ মেয়াদে সম্ভব হবে না।

গত ১৩ নভেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে মজুরি বোর্ড পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ এবং গ্রেডের সংখ্যা সাত থেকে পাঁচে কমিয়ে এনে গেজেট প্রকাশ করে, যা ডিসেম্বর থেকে কার্যকরের কথা। সে অনুযায়ী জানুয়ারিতে নতুন বেতন কাঠামোয় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু কিছু পোশাক কারখানা তা আমলে নেয়নি।

বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এস এম মান্নান কচি কালের কণ্ঠকে বলেন, দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো শতভাগ পরিপালনীয় মানদণ্ড অনুসারে (কমপ্লায়েন্স) কাজ করে। এ জন্য মালিকদের বিপুল বিনিয়োগ করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, এ ছাড়া গ্যাস-বিদ্যুৎ, কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, ডলার সংকট এবং একই সঙ্গে নতুন মজুরি বাস্তবায়ন তৈরি পোশাক খাতকে চাপে ফেলে দিয়েছে। এর পরও ৯৭ শতাংশ কারখানায় মালিকরা নতুন মজুরি বাস্তবায়নে  সক্ষম হয়েছেন।  

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড কেন্দ্রের (জিটিইউসি) তথ্য মতে, ৩০ শতাংশ কারখানায় ডিসেম্বরের নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে ৬০ শতাংশ কারখানা মজুরি বাস্তবায়নে বাধ্য হয়েছে। জানুয়ারি মাসে এসব কারখানায় নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করা হবে।

সংগঠনটি জানায়, কিছু পোশাক কারখানা এর মধ্যে সিনিয়র অপারেটরকে কৌশলে পদ অবনমন করে জুনিয়র অপারেটর হিসেবে মজুরি দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে শ্রমিকের আইডি কার্ডে পদ উল্লেখ না থাকার বিষয়টিকে তারা কাজে লাগিয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে সাক্ষাৎকার নিয়ে পদ নির্ধারণ করা হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে, ‘তোমাদের গ্রেড জুনিয়র অপারেটর সমমানের। তাই নতুন মজুরি কাঠামো অনুসারে জুনিয়র অপারেটরের মজুরি দেওয়া হয়েছে।’ 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শ্রমিক কালের কণ্ঠকে বলেন, মালিকরা ক্রেতাদের চাপে নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করলেও কৌশলে তাঁদের দ্বিগুণ খাটিয়ে নিচ্ছেন। এতে তাঁদের মানসিক ও শারীরিক সমস্যা হচ্ছে।

জিটিইউসির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান শামিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শুধু আমাদের সংগঠনের সঙ্গে জড়িত—এমন শ্রমিকদের আন্দোলনে জড়িত থাকার কারণে গত দুই থেকে আড়াই মাসে ২২ হাজারের বেশি শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে।’ সব মিলিয়ে প্রায় এক লাখ শ্রমিক এ সময় ছাঁটাই হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশের (আইবিসি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তৌহিদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, দ্বিগুণ কাজের চাপে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শ্রমিকরা। এতে মানসিক চাপে পড়েছেন তাঁরা। দর-কষাকষির সক্ষমতা কমেছে। তিনি জানান, ১৫ হাজার ৩৫ টাকা যাঁদের বেতন (এ গ্রেডের  শ্রমিক), তাঁদের চাকরিচ্যুতির হার বেশি। তাঁদের বাদ দিয়ে কম মজুরিতে শ্রমিক নিচ্ছেন মালিকরা।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মিনা মাসুদ উজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে মালিকরা গ্রেড সমন্বয় করায় সিনিয়র অপারেটরদের মজুরি অনেক কমে এসেছে। এ বিষয়ে আমরা সমঝোতার চেষ্টা করছি।’

Basics of Apparel Plant and Sewing Machines Layout

A good factory layout is directly associated with good workflow, right from material receiving till the finished goods go out of the factory. Whatever type of plant layout a firm develops, it should be designed to optimise quality, throughput time and flexibility.

Experts differ in views on how and what constitutes a good layout. It is never easy to rate one layout over the other when both achieve the desired results. But at times, little changes bring wonders.

Suresh Dureja, in this article, defines the basic considerations while conceptualising and designing a factory layout.

Plant layout is the spatial arrangement and configuration of departments, work stations, machinery and equipment used in the conversion process. Layout of an apparel production plant directs the flow of materials and work-in-process from start till its completion and integrates material handling and equipment.

An efficient layout has the flexibility to be changed to meet requirements of the product line, delivery schedules, and anticipated volume. Safety is a major consideration in plant layout. Fire and safety codes, emergency and accessible exits, open traffic areas, etc. must all be a part of layout plans.

The following factors should be taken into consideration while planning a layout:

• Minimization of manufacturing cost,

• Feeding the materials and parts at highest possible speed and in one direction without any backtracking or overlapping flow of products,

• Minimization of work transfer among the processes from acceptance of raw materials till delivery of finished product with properly defined spaces for each process, and

• Provision of future expansion plans.

The layout planning should be done based on factory site selection and arrangement of building and machines.

Layout of the Plant

Layout of the plant is decided based on process sequence, building structure, shop floor transportation, type of layout (product or process based or a combination of both) and arrangement of machines. The aim of every layout is to maximize utilization of available space in order to speed up the material flow. Highly specialized machines and small parts assembly may be configured with a line arrangement for final assembly.

Factors to be considered for designing an effective layout include number of workers both male and female, number of machines (size, weight by models), entrance, exit and passages (size, width, position, number of each of them) for production as well as administrative wing, change room, lunch room, lavatories, medical emergency room and provision for those governed by local laws. Utilities like boiler, air compressor, vacuum pumps, generator, electric panel, air conditioning machine, underground water storage tanks for boiler and washing machines, water softening plant, waste water recycling plant, drainage system are also equally important.

General Steps for Making a Plant Layout

Make a scaled drawing of factory/shop floor

Make models of machines/equipments

Draw immovable facilities/equipments
• Entrances, exits/stairs
• Washrooms, corridors
• Pillars, partitions
• Air conditioning ducts, steam, air and vacuum lines
• Power outlets, electrical lines for feed to machines,
electrical panels

Arrange the main flow process in a straight line regardless
of available space

Arrange the main flow process in the available space

If it is necessary to change the direction of main flow process change it for worker who is in charge of an iron or a special purpose machine

Arrange the additional divisions in the remaining space

Make a final drawing based on completed machine layout

Other factors that need attention before laying out the factory plan include ceiling height (3-3.5 metres from floor), lighting (large windows of 2 or 3 stages) and illuminance levels (600 Lux for production and 800 Lux for inspection areas) besides ventilation. Also, the workplace should have sufficient number of men’s and women’s toilets and drinking water outlets in the vicinity.

Factors influENcing Machine layout

“Machine layout is the arrangement of available space based on conditions required by production system design and depends on various factors.” – Suresh Dureja, Director of Manufacturing, Canada Goose, Toronto, Canada

1. Types of products to be manufactured

The number of different types of product items, man hours, lot size, variation in garment design, degree of fluctuation in a year, etc.

2. Manufacturing system

According to sewing system being followed, like make through, PBU assembly line, sectional assembly line, UPS with overhead hanger, teamwork with stand up working (TSS).

3. Method of style changeover

Overall change or consecutive change.

(a) Overall change

All products/styles being manufactured are entirely different from each other and require major changes in operation sequence and in layout of machine with requirement of special purpose machines, for example shirts, trousers, jackets, ladies dresses, etc.

(b) Consecutive change

The products/styles being manufactured are with slight style variations only. That is most of the operations are similar and do not require major changes in layout of machines/operations, every time new style is introduced, for example in formal shirts, casual shirts, etc.

4. Material transfer system

Per bundle system or per piece system.

(a) Bundle system

The garment parts are made into bundles of 5, 10 and 15 pieces depending on kind of garment being made. The bundles are moved from one operation to another. Bundle size is important for selecting an appropriate handling method. Bundles can be in tied form, in plastic bags, in boxes and baskets, in bundle trucks, in clamps, on rails, etc.

(b) UPS overhead hanger system

The garment parts in single piece clipped in overhead hanger rails, where movement of rails can be manual (switchtrack/UHS) or motorized (ETON).

(c) Per piece

It means that garment parts are transferred piece by piece from one operation to another, for example in Toyota Sewing System, etc.

5. Buffers

Number of cut components and half finished garments being maintained as WIP between operations.

6. Storage method of semi-finished products

Distribution of cut parts and temporary storage of semi-finished products in assemble tables, racks, shelves, bags, etc.

7. Equipments

Special purpose machine, general purpose machine, semi automatic and automatic workstations (where machine to operator ratio is more than one).

8. Transfer equipment

(a) Manual humping

Bundles are picked up and carried by the operators to and from the workplace and storage area. Little capital is necessary for this method which is flexible. But its efficiency is restricted by the maximum load that can be carried by distance.

(b) Racks

Bundles on racks are used between groups of operations. These facilitate visual balancing, reduce space requirements and improve the appearance of the shop floor. Bundle size is limited by the rack and box or basket size in which they are held. Garments are carried to and from the racks by hand.

(c) Trolleys or trucks

These permit the use of larger bundles or group of bundles, bulkier or heavier than those which can be moved by lifting or carrying, for example in the shirts, jackets and jeans factories.

(d) Unpowered conveyors

Chutes, roller conveyors and rails are all cheap and convenient means by which work can be stored or moved. They permit the use of bundles which are far heavier than would be possible by manual humping. Chutes must be set at a steeper angle. Gravity will only power one way systems.

(e) Powered conveyors

Belts and rails belong to this type. Suited for automatic routing, rails are run at head height and permit long garments to hang so that they crease little in transit.

পোশাকের দাম বাড়াননি ৭৯ শতাংশ ক্রেতা

তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য সরকার নভেম্বর মাসে ন্যূনতম মজুরির নতুন কাঠামো ঘোষণা দেয়। এই মজুরি বাস্তবায়নের জন্য ক্রেতারা তাঁদের পণ্যের মূল্য বাড়ানোর কথা বললেও ৭৯ শতাংশ ক্রেতা ও প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত কোনো দাম বাড়ায়নি। গতকাল মঙ্গলবার তৈরি পোশাক খাতের ৬৬ জন উদ্যোক্তার মতামতের ভিত্তিতে এক জরিপ প্রতিবেদনে এমন তথ্য ওঠে আসে। রাজধানী ঢাকা ক্লাবে ফোরাম আয়োজিত ‘ফোরাম মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে আয়োজকরা এ তথ্য জানান।

এ জরিপের তথ্য তুলে ধরেন ফোরামের নেতা ও বিজিএমইএ পরিচালক ফয়সাল সামাদ। এ সময় ফোরামের অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ২০২৪-২৬ মেয়াদে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন ৯ মার্চ। প্রতিবারের মতো এবারো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল—ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদ।

মতবিনিময়সভায় ফোরাম নেতারা উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি ক্রেতাদের পোশাকের মূল্য বাড়ানোর দাবি জানান। তাঁরা বলেন, ভারত, চীনসহ অন্যান্য দেশে যেভাবে ক্রেতারা পোশাকের মূল্য বাড়িয়েছে সেই দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশেও অনুসরণ করার অনুরোধ করেন। ফয়সাল সামাদ জানান, তিনি বিজিএমইএ সভাপতি নির্বাচিত হলে পোশাকের মূল্য বাড়ানো, বিশেষ করে ‘প্রাইম মূল্য’ পাওয়ার লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করবেন।

কঠিন সময়ে রপ্তানিতে নগদ সহায়তা কমল

ডলার–সংকটের এ সময়ে পণ্য রপ্তানি বাড়ানো জরুরি, তবে রপ্তানি সেভাবে বাড়ছে না। এমন সময়ে পণ্য রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনা বা ভর্তুকি দেওয়া থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রথম ধাপে খাতভেদে নগদ সহায়তা ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমবে। এতে পণ্য রপ্তানিতে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন রপ্তানিকারকেরা।

নগদ সহায়তার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হচ্ছে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাত। তবে এখন নগদ সহায়তা কাটছাঁট করা হলে তৈরি পোশাকশিল্পের কমপক্ষে অর্ধেক পণ্য রপ্তানিতে প্রণোদনা পাওয়া যাবে না। এ ছাড়া নগদ সহায়তা কমছে শীর্ষস্থানীয় রপ্তানি খাত চামড়া, পাটজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য, আসবাব, প্লাস্টিকসহ বেশকিছু পণ্যে।

রপ্তানিকারকেরা কিছুটা ধাক্কা খাবেন। তবে বর্তমানে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে রপ্তানি খাত সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। তাতে বড় ধরনের কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না।

মোস্তাফিজুর রহমান, সম্মাননীয় ফেলো, সিপিডি

রপ্তানিকারকেরা বলছেন, করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং তারপর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে। তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা কমেছে। এই কঠিন সময়ে গত বছর রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) আকার কমানো হয়েছে। প্রতিনিয়ত ব্যবসার খরচ বাড়ছে। গ্যাসের সংকট কাটছে না। অথচ ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করে রাখা হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে হঠাৎ নগদ সহায়তা কাটছাঁট করার সিদ্ধান্তে বড় চাপের মধ্যে পড়বে দেশের রপ্তানি খাত।

তবে অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, রপ্তানিতে প্রণোদনা বা ভর্তুকি অনন্তকাল ধরে চলতে পারে না। সরকারের উচিত এখন ব্যবসার ক্ষেত্রে যেসব অদক্ষতা ও অবকাঠামোগত দুর্বলতা আছে, সেগুলোর উন্নতি করা।

রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা কমানোর বিষয়টি গতকাল মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য গত আগস্টে রপ্তানি প্রণোদনার প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও মাঝপথে তা স্থগিত করা হলো।

নগদ সহায়তা কমানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশ হবে।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধিবিধান অনুসারে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হলে কোনো ধরনের রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দেওয়া যায় না। তবে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর একবারে নগদ সহায়তা প্রত্যাহার করা হলে রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। সে জন্য চলতি বছর থেকে অল্প অল্প করে নগদ সহায়তা কমানোর বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে গতকাল রাতে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ এবং বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর চার নেতার সঙ্গে প্রথম আলোর কথা হয়। তাঁরা প্রত্যেকেই বলেন, নগদ সহায়তা কমানোর বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা কিংবা বৈঠক হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগদ সহায়তা কমানো-বাড়ানোর বিষয়ে অতীতে যেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো, এবার কিছুটা ব্যতিক্রমভাবে করা হয়েছে। হঠাৎ গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকে যায়। তারপর বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ তড়িঘড়ি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাব অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। এই রপ্তানি তার আগের অর্থবছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি ছিল। তবে চলতি অর্থবছরে প্রথমার্ধে প্রবৃদ্ধির গতি কমেছে। অর্থবছরে প্রথম ছয় মাসে ২ হাজার ৭৫৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ৮৪ শতাংশ।

সরকার গত অর্থবছরে রপ্তানির প্রণোদনা জন্য ৯ হাজার ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিল। তবে প্রণোদনার প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা এখনো সরকার পরিশোধ করতে পারেনি বলে জানালেন একাধিক ব্যবসায়ী।

পোশাক খাতে প্রভাব বেশি

দেশের সামগ্রিক পণ্য রপ্তানির মধ্যে ৮৪ শতাংশই তৈরি পোশাক খাতের দখলে। ফলে এই খাতের উদ্যোক্তারা নগদ সহায়তার বড় অংশ পান। তবে সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে প্রায় ৫৬ শতাংশ পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তা পাওয়া যাবে না বলে জানান বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা। তাঁরা বলছেন, রপ্তানির ক্রয়াদেশ নেওয়ার সময় ভর্তুকিসহ হিসাব করে পণ্যের দর নির্ধারণ করা হয়। ফলে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া সরকার মাঝপথে এসে এভাবে হঠাৎ ভর্তুকি তুলে নেওয়া ও কমানোর কারণে তাঁদের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, রপ্তানিমুখী দেশীয় বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতের রপ্তানিকারকদের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তা ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ১ শতাংশ। পোশাক খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানার রপ্তানি প্রণোদনা ৪ শতাংশ বহাল রয়েছে। তবে নতুন পণ্য বা নতুন বাজারে ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৩ শতাংশ। নতুন বাজার থেকে ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশেষ নগদ সহায়তা ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে।

একই সঙ্গে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পাঁচটি এইচএস কোডের পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তা পাওয়া যাবে না। পণ্যগুলো হচ্ছে নিট কাপড়ের টি–শার্ট, শার্ট, ট্রাউজার, ওভেন কাপড়ের জ্যাকেট, ব্লেজার ইত্যাদি। আর দীর্ঘদিন ধরে এগুলোই হচ্ছে দেশের তৈরি পোশাকশিল্পের শীর্ষ রপ্তানি পণ্য।

জানতে চাইলে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘যে পাঁচটি এইচএস কোডের পোশাক নগদ সহায়তা পাবে না বলা হয়েছে, সেগুলো থেকেই গত অর্থবছরে আমাদের ৫৬ শতাংশ রপ্তানি হয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। সুদের হার বাড়ানো হয়েছে। শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ নগদ সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্ত আমাদের রপ্তানিকারকদের বড় রকমের অসুবিধায় ফেলবে।’

অন্যদিকে বিকেএমইএর সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচটি এইচএস কোডের মধ্যে চারটিই নিট খাতে। ফলে নিট পোশাকের ৭০-৮০ শতাংশই নগদ সহায়তার বাইরে চলে যাবে। বর্তমান দেশে-বিদেশে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে রপ্তানি খাত। এমন প্রেক্ষাপটে প্রণোদনা এই খাতকে টিকে থাকতে সহায়তা করত পারত। নগদ সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্তে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের মতো সম্ভাবনাময় বাজারে রপ্তানি সম্প্রসারণও বাধাগ্রস্ত হবে।

অন্য খাতে প্রণোদনা কত কমল

তৈরি পোশাকের পর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বর্তমানে দেশের দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানি খাত। বিদায়ী অর্থবছরে ১২৫ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি তার আগের অর্থবছরের তুলনায় পৌনে ২ শতাংশ কম। চলতি অর্থবছর এই খাতের রপ্তানি কমেছে প্রায় ১৮ শতাংশ। রপ্তানিতে ধুঁকতে থাকা চামড়া খাতের প্রণোদণাও কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ক্রাস্ট লেদার রপ্তানিতে প্রণোদনা পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছে। আর ফিনিশড লেদারে ভর্তুকি ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। এ ছাড়া চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে আগে ১৫ শতাংশ প্রণোদনা থাকলেও এখন থেকে তা কমে ১২ শতাংশ হবে।

পণ্য রপ্তানিতে নতুন সম্ভাবনা হিসেবে দেখা দিয়েছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে এই খাত থেকে ১১৬ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় এসেছে। যদিও গত অর্থবছর কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি ২৭ শতাংশ কমেছে। চলতি অর্থবছর আবার ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে খাতটির রপ্তানি। নতুন নিয়মে কৃষিপণ্য ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যে ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

একই ভাবে দেশের রপ্তানি খাতের মধ্যে একটি পাট ও পাটজাত পণ্য। যদিও গত কয়েক বছর এই খাতের রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে কমছে। তারপরও বৈচিত্র্যময় পাটপণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫, পাটজাত পণ্যে ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭ শতাংশ এবং পাট সুতায় প্রণোদনা ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

একইভাবে হালকা প্রকৌশল পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা ১৫ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ, ওষুধের কাঁচামালে ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ এবং শতভাগ হালাল মাংসে প্রণোদনা ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

এ ছাড়া হিমায়িত চিংড়ি, মোটরসাইকেল, রেজার ও রেজার ব্লেড, কনজু৵মার ইলেকট্রনিক, পেট বোতল ফ্লেক্স, জাহাজ, প্লাস্টিক দ্রব্য, হাতে তৈরি পণ্য যেমন হোগলা, খড়, আখ বা নারিকেলের ছোবড়া, গার্মেন্টের ঝুট, গরু–মহিষের নাড়ি–ভুঁড়ি, শিং ও রগ; কাঁকড়া ও কুঁচে, পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বন ও জুট পার্টিকেল বোর্ড, শস্য ও শাকসবজির বীজ, আগর, আতর ইত্যাদি রপ্তানিতে নগদ সহায়তা কমেছে।

তবে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি হিসেবে সরকার ধাপে ধাপে নগদ প্রণোদনা কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি ঠিকই আছে। এতে রপ্তানিকারকেরা কিছুটা ধাক্কা খাবেন। তবে বর্তমানে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে রপ্তানি খাত সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। তাতে বড় ধরনের কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না। তারপরও রপ্তানিকারকদের আর্থিক যে সুবিধা এতে কমবে, সেটি ব্যবসার পরিবেশের উন্নয়ন ও ব্যবসার খরচ কমানোর মাধ্যমে যাতে পুষিয়ে নেওয়া যায়, সে জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। News Sources :prothomalo

পোশাক রফতানিতে আশার সঞ্চার, বাড়ছে ক্রয়াদেশ

গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে ক্রয়াদেশ বেড়েছে ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ

দীর্ঘদিন ধরে তৈরি পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ কমে গেলেও গত তিন মাস ধরে তা বাড়তে শুরু করেছে। এতে রফতানিকারকদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রচলিত বাজারের ওপর অতি নির্ভরতাও কাটতে শুরু করেছে। রফতানিতে নতুন বাজারের হিস্যাও বাড়ছে। এতে তৈরি পোশাকশিল্পে লেগেছে নতুন এক রূপান্তরের ঢেউ। দেশের অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা রফতানিকারকদের।

তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই তিন মাসে ক্রয়াদেশ বেড়েছে ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

এই খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও কানাডায় মুদ্রাস্ফীতি কমেছে। এ কারণে পোশাক রফতানির অর্ডার বাড়ছে। তারা বলছেন, আগামী মাসগুলোতে আরও বেশি অর্ডার পাবেন। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে।

বিজিএমইএ’র তথ্য অনুযায়ী, ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশনের (ইউডি) সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে গত তিন মাসে রফতানি আদেশ এসেছে ৬,৭৭১টি।‌ গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬,৩৫২টি।

এই প্রবণতা বলছে, পোশাক রফতানির অর্ডারের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও কানাডায় মুদ্রাস্ফীতি কমেছে। এছাড়া নতুন বাজারের দিকে এগিয়ে চলছি। সার্বিকভাবে চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের প্রতিযোগীদের তুলনায় অর্ডার পাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আগামী দিনে অর্ডার আরও বাড়তে পারে। তিনি অবশ্য লোহিত সাগরে চলমান সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

একাধিক উদ্যোক্তা বলেছেন, বাংলাদেশ বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইইউর বাজার থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্ডার পাচ্ছে। কারণ, এই দেশগুলোর ব্র্যান্ডগুলো ২০২৩ সালের শেষে ছুটির মৌসুমে তাদের বেশিরভাগ স্টক বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছিল।

এদিকে ইইউর তথ্য অনুসারে, ইউরোজোনের বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার গত বছরের নভেম্বরে ছিল ২ দশমিক ৪ শতাংশ, যা অক্টোবরে ২ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে কমেছে। কিন্তু চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং চলমান মধ্যপ্রাচ্য সংকটের ফলে ডিসেম্বরে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৪ শতাংশে। যদিও এক বছর আগে এই হার ছিল ১০ দশমিক ১ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, তৈরি পোশাক রফতানিতে পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণের জন্য এক দশকের বেশি সময় ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে এই খাতের উদ্যোক্তারা। সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে বেশ কিছু কারখানা এখন ভ্যালু অ্যাডেড বা বেশি দামের বৈচিত্র্যময় তৈরি পোশাক রফতানি করছে। এদিকে নতুন বাজারের দিকেও ঝুঁকে সফলতা পেয়েছেন অনেকে। তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির ৫৮ দশমিক ৯০ শতাংশের গন্তব্য ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউ জোটে তখন যুক্তরাজ্যও ছিল। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ২৮ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং কানাডায় ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ পোশাক রফতানি হতো। অর্থাৎ, রফতানি হওয়া তৈরি পোশাকের সাড়ে ৯২ শতাংশের গন্তব্য ছিল প্রচলিত বাজারগুলো। সে সময় নতুন বাজারের হিস্যা ছিল মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশ।

দেড় দশকের ব্যবধানে তৈরি পোশাক রফতানিতে নতুন বাজারের হিস্যা বেড়ে ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তাতে প্রচলিত বাজারগুলোর ওপর অতি নির্ভরতা কমে আসছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বাজার হিস্যা ২৮ দশমিক ৭০ শতাংশ থেকে ১৭ দশমিক ৪৬ শতাংশে নেমেছে। একইভাবে কানাডার হিস্যা ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ থেকে কমে গত বছর ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ হয়েছে। যদিও ইইউর হিস্যা খুব একটা কমেনি, বেড়েছে যুক্তরাজ্যের হিস্যা।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মতে, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও বাংলাদেশের পোশাক খাত তার রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৭২ শতাংশ ধরে রাখতে পেরেছে এবং চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে ২৩ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।

প্রসঙ্গত, গত দেড় দশকে রানা প্লাজা ধস ও করোনা মহামারির চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তৈরি পোশাক রফতানি বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ। ২০০৯ সালে তৈরি পোশাকের রফতানি ছিল ১ হাজার ১৮৯ কোটি ডলার। বিদায়ী ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৭৩৯ কোটি ডলার।

বিদায়ী বছরে ইইউতে ২ হাজার ৩৩৮, যুক্তরাষ্ট্রে ৮২৭, যুক্তরাজ্যে ৫৩৪, কানাডায় ১৫১ এবং নতুন বাজারে ৮৮৭ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়। অর্থাৎ একসময় যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও বর্তমানে বাজারটি থেকে এগিয়ে গেছে নতুন বাজার। শুধু তা-ই নয়, প্রবৃদ্ধিও অন্য যেকোনও বাজারের চেয়ে ভালো।

২০২৩ সালে নতুন বাজারে তৈরি পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয় সাড়ে ২০ শতাংশ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি কমে ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশের মতো। অন্যদিকে ইইউতে দেড় শতাংশ, কানাডায় ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ ও যুক্তরাজ্যে ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, নতুন বাজারে বড় চমক জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। দীর্ঘদিন ধরে জাপানের বাজারে এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলারের ওপরে তৈরি পোশাক রফতানি হচ্ছে। গত বছর এই বাজারে পোশাক রফতানির পরিমাণ ছিল ১৬৮ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ। অথচ এই বাজারে ২০০৯ সালে রফতানি ছিল ১১ কোটি ডলার। এর মানে, জাপানে গত ১৫ বছরে রফতানি বেড়েছে ১৫ গুণ।

বিদায়ী বছরে অস্ট্রেলিয়ায়ও তৈরি পোশাক রফতানি এক বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করেছে বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে এই বাজারে পোশাক রফতানি হয়েছিল ৭ কোটি ডলারের। গত বছর সেটি ১২৮ কোটি ডলার হয়েছে। গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয় ৩৮ শতাংশ।

এদিকে ভারতের বাজারেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ২০০৯ সালে বাজারটিতে পোশাক রফতানি হয়েছিল ৮০ লাখ ডলারের। ১০ বছরের ব্যবধানে ২০১৯ সালে সেই রফতানি বেড়ে ৫১ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। এরপরের বছর করোনার কারণে রফতানি কমে। গত দুই বছর দেশটিতে পোশাক রফতানি ছিল যথাক্রমে ৯০ ও ৯২ কোটি ডলার। বিদায়ী বছরে এই বাজারে প্রবৃদ্ধি হয় ২ দশমিক ২০ শতাংশ। News Sources :dainikkhagrachari

Import of machineries up 1% in H1’FY24

Imports of capital machinery in the country slightly rose in the first six months of FY24, after the downturn that persisted for nearly one and a half year amid political uncertainty, while exporters are hoping for increased orders from western buyers.

According to Bangladesh Bank data, businesses opened letters of credit (LCs) worth $1.34 billion to import capital machinery in the July-December period of this fiscal, 1% higher year-on-year.

During the July-November period of this fiscal year, LC openings for capital machinery imports were 17% lower compared to the same period of FY23 as entrepreneurs did not get adequate amounts of dollars from banks in the face of a perennial dollar shortage in the country for nearly two years.

Data from the central bank showed that LC openings for imports of capital machinery for RMG, packaging and other industries increased in the July-December period of FY24 compared to a year ago.

For example, exporters opened $142 million worth of LCs to import garment machinery during this period, compared to $128 million in July-December period of FY23.

LC openings for packaging machinery imports surged to $29 million in six months to the end of December 2023 from just $1.7 million a year ago.

79% RMG buyers yet to adjust their prices with revised wages

A survey found that after RMG buyers committed to adjusting prices after the workers’ minimum wage was increased, 79.1% of readymade garment manufacturers said that buyers have not done so yet.

Only 3% of buyers increased product prices by up to 5%.

The findings came from a survey titled, “Garment Industries’ Crucible: Our Views”, where 66 RMG makers were interviewed.

Forum, a panel of the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA), conducted the survey and Forum panel leader Faisal Samad, also a director of BGMEA, presented the survey to the media in the capital on Tuesday.

The survey also stated that 4.5% buyers increased product price by 1%, 6% buyers increased by 2%, 3% buyers increased by 3%, and 4.5% buyers increased product price by 4%.

In 2023, 32.8% apparel manufacturers said that their customs and bond expense increased by 26%-50% year-on-year where 26.6% RMG makers said that their customs and bond cost rose by up to 25%, 20.3% said the cost hike by 51%-75%, 6.3% said the cost up by 76%-100% and 11.8% blamed that their cost jump by over 100% year-on-year, the survey read.

The survey shows that in last year, average 3.9% Free On Board (FoB) price declined year-on-year amid the severe high inflation, and 47.1%manufacturers said that buyers reduced FoB price by over 5%year-on-year.

Meanwhile, the survey found out that only 19.1% of factories were able to manage hundred percent orders for the next four months, while 42.6%claimed that they had less than 50%orders during the period compared to their capacity.

Faisal Samad said: “Due to the global economic crisis, our RMG industry is suffering. Such surveys help to find out the real scenario. During the Covid-19 period, BGMEA conducted a survey. Primarily, manufacturers felt hesitation to participate.

“But when we were able to do the job, the government issued 14 circular based on the survey. It helped us to bounce back.”

The former BGMEA vice president said: “We have a lot of chances to increase exports to the USA through reduced taxes. We are using their cotton, and we may negotiate with them that if they will reduce import tax for your cotton-based clothes, their cotton export to Bangladesh will increase.

“Our exports to the USA will also rise. If I become president, I will work on this,” he added.

RMG BANGLADESH NEWS