fbpx
Home Blog Page 61

Sanctions could be imposed for political reasons, not for labour rights: RMG makers

Chances of trade sanctions are low; penalties at the individual level are possible, says Mostafa Abid Khan

Representational image

Entrepreneurs say labour conditions in Bangladesh’s garment industry have not reached a level that would prompt the United States or any other country to impose sanctions. Instead, they believe that any sanctions that may be imposed would be for political reasons.

“The labour situation has not yet reached a point where sanctions are warranted. If any sanctions are imposed, it would be for the purpose of achieving political interests, not due to labour rights,” said Mohammad Hatem, executive president of the Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association (BKMEA), at a seminar yesterday.

“We have nothing to do with any sanctions if they are imposed for political reasons,” he said at the event held at the Economic Reporters’ Forum office in the capital. “If the government tries to resolve the issue diplomatically, we will assist in that.”

Fazlee Shamim Ehsan, vice president of BKMEA, echoed the sentiment.

“The prevailing situation is political, so it should be negotiated and resolved diplomatically. It’s not possible through the owners or the workers,” he said, adding, “If there is something behind the scenes, they (the government) have to resolve it.”

At the seminar, Amirul Haque Amin, president of the National Garment Workers Federation, said, “How many of the ILO conventions have the countries that want sanctions ratified? They have only ratified two of the core conventions, and we have ratified eight.”

“Those who have not ratified six out of the eight fundamentals, if they come to impose sanctions on Bangladesh or any other country, pointing at labour rights, then it will not be democratic. It must be said that there is another agenda.”

He further stated, “What they want, they don’t mean it themselves. Through this, they want to control other countries.”

“Bangladesh has no reason to be afraid,” he emphasised, pointing out, “We are not in such a bad position to fall under sanctions. Our labour situation has improved considerably.”

“Are the labour conditions in the US better than ours?” he also questioned at one stage of the speech.

However, another labour leader, Towhidur Rahman, disagreed with Amirul Haque Amin’s statement.

Towhidur, former secretary-general of the IndustriALL Bangladesh Council, believes, “The memorandum of the United States must be taken into consideration because it is a global business.”

“To sustain the business, if it does not comply with global labour standards, if the US memorandum is not taken into account, or if the National Action Plan is not implemented according to European Union guidelines, I think there is a dark cloud in the western sky,” he asserted.

Rahman mentioned that four workers died in the wage hike movement, and the reason for their deaths has not yet been investigated. “If any murder is not investigated, then we will not get justice,” he expressed concern.

“115 workers are in jail in 43 cases. About 25,000 workers have been made defendants,” he pointed out, urging employers to help form trade unions.

Referring to the seven regional leaders still in prison, he questioned, “Why would members of the law enforcement agencies want to know their personal information?”

He accused the labour ministry and the labour department of widespread corruption.

The factory owners’ representative, Fazlee Shamim Ehsan, agreed with the complaint against the government authorities.

Mostafa Abid Khan, an economist and former member of the Bangladesh Trade and Tariff Commission, said, “According to the US memorandum, trade sanctions are less likely because, under the provisions of the WTO, it is not easy to impose sanctions, nor is there a chance to raise tariffs.”

“There may be a penalty against individuals,” he suggested, advocating for a proactive role rather than a reactive or fearful stance on the issue.

“Organisations working on international labour issues feel that the government and the private sector are speaking in the same tone. Then it is not tripartite,” he pointed out.

ANM Saifuddin, former BGMEA director and chairman of the standing committee on ILO and labour affairs, also spoke.

The seminar, “Current Labour Issues and International Scenario”, was moderated by ERF General Secretary Abul Kashem and presided over by its President, Refayet Ullah Mridha. ***

পোশাক রপ্তানি খাতে নির্বাচনের প্রভাব

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ। তফসিল ঘোষণার আগের থেকেই বিরোধীদলগুলো রয়েছে লাগাতার হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে। এ অস্থিরতার মধ্যে উত্তাল হয়ে ওঠে ন্যূনতম মজুরির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন, যা শেষ পর্যন্ত রূপ নেয় সহিংসতায়। এ পরিস্থিতিতে পোশাক রপ্তানি কমার পাশাপাশি ভাটা দেখা দিয়েছে মোট রপ্তানি আয়েও। বিষয়গুলো নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন পোশাক কারখানার মালিকরা। 
সংশ্লিষ্টদের মতে, বিশ্বমন্দার কারণে বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই সংকটের মধ্যে রয়েছে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত পোশাক শিল্প। রপ্তানি আয় ধরে রাখাও এখন চ্যালেঞ্জ খাতটির জন্য। এ অবস্থায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ধস ঠেকাতে রাজনৈতিক দলগুলোকে সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। বিশেষ করে রপ্তানিমুখী শিল্পকে আন্দোলনের বাইরে রাখার কথা বলছেন তারা। পাশাপাশি হরতাল, অবরোধ ও সহিংস কোনো কর্মসূচির বিরোধিতা করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। কোভিড মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও রয়েছে এর প্রভাব। বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এ সংকটে। দেখা দেয় ডলার সংকট। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসা পরিচালনার ব্যয়ও বাড়ে অস্বাভাবিকহারে। আমদানি কমে যাওয়ায় এরইমধ্যে কমেছে উৎপাদন। বৈদেশিক রপ্তানিও হচ্ছে বাধাগ্রস্ত। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমে। 
ইপিবির তথ্য বলছে, তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমায় চলতি বছরের অক্টোবরে মোট রপ্তানি কমেছে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। অক্টোবরে রপ্তানি আয় এসেছে ৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের (এক বছর আগে ছিল ৪ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার) তুলনায় কম। এরইমধ্যে নতুন করে যোগ হয়েছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ, যা দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরও নাজুক করে তুলতে পারে।
শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ পরিস্থিতির মধ্যে দেশে হরতাল-অবরোধসহ রাজনৈতিক অস্থিরতা জাতীয় অর্থনীতিকে আরও শঙ্কার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ বিষয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, রাজনৈতিক দলের ডাকা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি সাপ্লাই চেইনকে ভীষণভাবে বিঘ্নিত করছে। এর প্রভাব পণ্যের বাজারমূল্য ও রপ্তানির ওপর পড়ছে। এ অবস্থায় নির্ধারিত সময়ে পণ্য জাহাজীকরণ করতে না পারলে ক্রয়োদশ বাতিলের ঝুঁকিতে পড়বেন উদ্যোক্তারা। একই সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ সব পণ্যসামগ্রীর ঊর্ধ্বমূল্যের প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর। রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশ নেতৃত্ব দেওয়া এ খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। চাহিদা কমে যাওয়ায় বিদেশি ক্রেতারাও পণ্য কেনা কমিয়েছেন। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামীতে শঙ্কা আরও বাড়বে। 
উদ্যোক্তারা বলছেন, অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে, বেকার হবেন হাজার হাজার শ্রমিক। এখন পর্যন্ত হরতাল-অবরোধের মধ্যেও আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম চলছে। ব্যবসায়ীরা ওভারটাইম করেই উৎপাদন ঠিক রেখেছেন। তবে ধারাবাহিক আন্দোলন হলে বা হরতাল-অবরোধ হলে অশনি সংকেত দেখা দেবে পোশাক শিল্পে। 
শিল্প উদ্যোক্তা বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, হরতাল-অবরোধসহ যে কোনো অস্থিরতাই আমদানি-রপ্তানির জন্য ভালো নয়। এটা আমরা প্রত্যাশা করি না। রপ্তানিতে আসলে ঘণ্টার হিসাব। সেক্ষেত্রে এক ঘণ্টা উৎপাদন না হলে এক ঘণ্টা লোকসান। এখন পর্যন্ত সমস্যা হরতাল-অবরোধে যেসব হচ্ছে তা অনেকটাই ম্যানেজ করা যাচ্ছে, যদিও কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। আপাতত যা হয়েছে তা ওভারটাইম করে বা দু-একদিন বাড়িয়ে পুষিয়ে নেওয়া যাবে। তবে এর চেয়ে বেশি হলে সমস্যা, ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকলে সমস্যা হবে। শিপমেন্ট সঠিক সময়ে হবে না, গাড়িভাড়া বেড়ে যাবে, গাড়িও ঝুঁকিতে থাকবে। 
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতাই বড় শঙ্কা। এটা দীর্ঘস্থায়ী হলে আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মৌসুমের অর্ডার কমে যেতে পারে। আমাদের রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে নিজেদের অর্ডার বাড়াতে তৎপর ভিয়েতনাম-কম্বোডিয়াসহ প্রতিযোগী দেশগুলো। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ধস ঠেকাতে রাজনৈতিক দলগুলোকে সহনশীল হতে হবে। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বন্ধ পোশাক কারখানা চালু ও কারখানায় নতুন নিয়োগ হবে। তৈরি পোশাক খাতে কর্মরত শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনে কারখানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটেছে। হতাহতও হয়েছেন অনেক কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী। 
সাবেক তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং অর্থনীতিবিদ ড. এবিএম মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। বেতন কেন্দ্র করে গার্মেন্ট ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বা হামলা হওয়াটা কাম্য নয়। আমাদের পোশাকখাত ক্ষতিগ্রস্ত হলে বড় ধাক্কা তৈরি হবে জাতীয় অর্থনীতিতে। আমরা এখন ডলার সংকটে আছি। ডলার আয়ের অন্যতম মাধ্যম গার্মেন্ট খাত। এ খাত টিকিয়ে রাখতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। News Sources : swadeshpratidin

EPZ workers’ minimum wages set between Tk12,800-Tk14,025 for different sectors

The minimum wages range from Tk12,800 to Tk14,025, varying based on sectors

The minimum wage for workers in the Export Processing Zones (EPZs) of the country has been set between Tk12,800 and Tk14,025, varying depending on the sector. 

This updated wage policy will be considered effective from 1 December.

The newly established wages represent a significant increase, ranging from 50%-56% higher than the previous wage structure. 

The Bangladesh Export Processing Zone Authority (BEPZA), operating under the Prime Minister’s Office, issued the official gazette on 7 December, finalising these new wage rates.

The gazette outlines four distinct pay structures corresponding to different types of industrial establishments.

For apprentice workers across all types of establishments, a minimum wage of Tk10,175 has been fixed.

In specific sectors, such as clothing and clothing materials, shoes and shoe materials, leather products, service providers, tents and tent materials, plastic products, toys, caps and hats, and related companies, the minimum wage for the lowest grade helper or assistant has been set at Tk12,800. The highest grade for skilled workers now has a finalised minimum wage of Tk17,000.

Furthermore, for electronic and electrical products, software, lens and glass products, metal and metal casting, automobile and auto parts, bicycle, heavy industry, cosmetic, boat, golf shaft, fishing equipment, and other related establishments, the minimum wage for the lowest grade junior operator is set at Tk14,025. The highest senior operator grade has a minimum wage of Tk15,950.

In industries related to textile, chemical, dyeing, oil and refinery, agricultural products, furniture, wood and bamboo products, terry towels, sweaters, wigs, and other related establishments, the minimum wage for the lowest grade unskilled level is fixed at Tk13,250. The highest highly skilled grade has a finalised minimum wage of Tk17,000.

এলসি সীমা বাড়ানোর দাবি টেক্সটাইল মিল মালিকদের

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে লেটার অব ক্রেডিটের (এলসি) সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন টেক্সটাইল মিলাররা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে লেটার অব ক্রেডিটের (এলসি) সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন টেক্সটাইল মিলাররা। যেন তারা আরও কাঁচামাল আমদানি করতে পারেন।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) গত সপ্তাহে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠিয়েছে।

এলসি সীমা বৃদ্ধিতে সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট সীমা অতিক্রম করলেও তা অনুমোদন করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

চলমান মন্দা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিটিএমএ তাদের মেয়াদী ঋণের কিস্তির ২০ শতাংশ পরিশোধের অনুমোদন দেওয়া এবং বাকি অর্থ মেয়াদ শেষ হওয়ার চার বছরের মধ্যে পরিশোধ করার সুযোগ চেয়েছে।

তারা রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের ডলারের সমহার দাম বা ডলারের বিনিময় মূল্য নির্ধারিত না রেখে উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি দাবি জানিয়েছে।

এছাড়া করোনার সময় দেওয়া প্রণোদনা ঋণ পরিশোধের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোরও (প্রচলিত ব্যাংক সুদহারে) দাবি জানিয়েছেন টেক্সটাইল মিল মালিকরা।

চিঠিতে বিটিএমএ’র সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপ, অস্থিতিশীল ডলার বাজার ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে টেক্সটাইল ব্যবসা উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে পড়েছে। জ্বালানি ও কাঁচামালের দাম বৃদ্ধিতে এই সংকট আরও বেড়েছে।

চিঠিতে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, এই পরিস্থিতি এমন এক সময়ে দেখা দিয়েছে, এই খাত করোনা মহামারি ও যুদ্ধের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে লড়াই করছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, অনেক প্রতিষ্ঠান কোনো লাভ ছাড়া ব্যবসা চালু রেখেছে, আবার অনেকে লোকসানের মুখে পড়ছে। একইসঙ্গে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এছাড়া গত দুই বছরে স্থানীয় মুদ্রার প্রায় ৪০ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে।

ফলে, প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে যে এলসি (নন-ফান্ডেড) লিমিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা দিয়ে আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের বেতন ও মজুরি দেওয়া এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। News Sources :

ইপিজেড শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৮০০ থেকে ১৪ হাজার ২৫ টাকা

নতুন মজুরি চূড়ান্ত করে ৭ ডিসেম্বর গেজেট প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)।

সংগৃহীত ছবি

দেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) কর্মরত শ্রমিকদের ন্যূনতম নতুন মজুরি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে খাতভেদে ১২ হাজার ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৪ হাজার ২৫ টাকা পর্যন্ত ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়। চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে নতুন এ মজুরি কার্যকর হয়েছে।

বর্তমান মজুরি-কাঠামোর চেয়ে নতুন নির্ধারিত এই মজুরি ৫০ শতাংশ থেকে ৫৬ শতাংশ পর্যন্ত বেশি।

নতুন মজুরি চূড়ান্ত করে ৭ ডিসেম্বর গেজেট প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)।

প্রকাশিত গেজেটে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী, চার ধরনের বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শিক্ষানবিশ শ্রমিকদের জন্য ১০ হাজার ১৭৫ টাকা ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে।

এতে পোশাক ও পোশাক উপকরণ, জুতা ও জুতার উপকরণ, চামড়াজাত পণ্য, সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, তাঁবু ও তাঁবু উপকরণ, প্লাস্টিক পণ্য, খেলনা, ক্যাপ ও হ্যাটস এবং সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের ৫টি নিয়মিত গ্রেডের মধ্যে সর্বনিম্ন গ্রেড হেলপার বা সহকারী পর্যায়ে ন্যূনতম ১২ হাজার ৮০০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সর্বোচ্চ হাই স্কিল গ্রেডে ন্যূনতম মজুরি ১৭ হাজার টাকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এ ছাড়া, ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য, সফটওয়্যার, লেন্স ও গ্লাস পণ্য, মেটাল ও মেটাল কাস্টিং, অটোমোবাইল ও অটো পার্টস, বাইসাইকেল, ভারী শিল্প, প্রসাধনী, নৌকা, গলফ শ্যাফট, ফিশিং ইকুইপমেন্টস ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য ৩টি নিয়মিত গ্রেডের মধ্যে সর্বনিম্ন গ্রেড জুনিয়র অপারেটর পর্যায়ে ন্যূনতম ১৪ হাজার ২৫ টাকা মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সর্বোচ্চ সিনিয়র অপারেটর গ্রেডে ন্যূনতম মজুরি ১৫ হাজার ৯৫০ টাকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। news sources : tbsnews

ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিট পোশাক রপ্তানিতে চীনকে ছাড়িয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ

ইউরোপীয় ইউনিয়নের আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান দপ্তর ইউরোস্ট্যাট জানিয়েছে, ২০২৩ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে ২৭ দেশের এই ব্লকে বাংলাদেশের নিট পোশাকের রপ্তানিমূল্য ছিল ৮৩১ কোটি ইউরো। একইসময়ে চীনের রপ্তানিমূল্য ছিল ৮২৭ কোটি ইউরো। অর্থাৎ, সামান্য ব্যবধানে এগিয়েছে বাংলাদেশ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে নিট পোশাক রপ্তানিতে বৈশ্বিক জায়ান্ট চীনকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো এই অর্জন করেছে দেশের পোশাক খাত। 

ইউরোপের বাজারে ডেনিম রপ্তানিতে বাংলাদেশের আধিপত্য অর্জনের পরেই এলো উল্লেখযোগ্য এ অগ্রগতি। 

ইইউ এর আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান দপ্তর ইউরোস্ট্যাট জানিয়েছে, ২০২৩ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে ২৭ দেশের এই ব্লকে বাংলাদেশের নিট পোশাকের রপ্তানিমূল্য ছিল ৮৩১ কোটি ইউরো। একইসময়ে চীনের রপ্তানিমূল্য ছিল ৮২৭ কোটি ইউরো। অর্থাৎ, সামান্য ব্যবধানে এগিয়েছে বাংলাদেশ।

এই অর্জন সত্ত্বেও বাজারটিতে বাংলাদেশ ও চীন উভয়েরই নিট পোশাক রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে। গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশের কমেছে ২০ দশমিক ৯৪ শতাংশ। অন্যদিকে, বিশ্বের বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক চীনের কমেছে ২১ দশমিক ৫১ শতাংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নে উচ্চ মূল্যস্ফীতি হওয়া, এবং সেই প্রেক্ষাপটে চাহিদার মন্থরগতিই মূলত এজন্য দায়ী।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্যেও, ইইউ এর নিট পোশাক খাতের আমদানি চাহিদায় মন্দাভাবে চিত্র উঠে এসেছে।  জানুয়ারি- সেপ্টেম্বর সময়ে যা ১৭.৭১ শতাংশ বা ৩ হাজার ১৯৪ কোটি ইউরোতে নেমে আসছে। আগের বছরের একই সময়ে চাহিদা ছিল ৩ হাজার ৮৮২ কোটি ইউরোর।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক পণ্যের মন্থর চাহিদা অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে এই অঞ্চলে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বছরওয়ারি হিসাবে ১৭.৬৬ শতাংশ কমে মোট ১ হাজার ৩৬৯ কোটি ইউরো হয়েছে। চীনের মোট রপ্তানিও একই সময়ে ২০.১৭ শতাংশ কমে ১ হাজার ৭১২ কোটি ইউরো হয়েছে।

তারপরেও দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সাথে আলাপকালে পোশাক রপ্তানিকারকরা এ শিল্পটি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। পশ্চিমা বিশ্বে মূল্যস্ফীতি কমা এবং সুদহার স্থিতিশীল হওয়ার ঘটনাকে তাঁরা ইতিবাচক নির্দেশক বলে মনে করছেন। এতে সামনের দিনগুলোয় পশ্চিমা ভোক্তারা পোশাকের পেছনে বেশি খরচ করবেন এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে।  

বাংলাদেশের নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সমিতি (বিকেএমইএ)-র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান বলেন, ইইউ’তে মন্থর চাহিদার মধ্যেই চলতি বছরে প্রথমবারের মতো বাজারটিতে নিটওয়্যার রপ্তানিতে প্রথম স্থান অর্জন হয়েছে বাংলাদেশের। ‘এর প্রধান কারণ, চীন আর এখন লো-এন্ডের পোশাকপণ্য উৎপাদন করে না। অন্যদিকে বাংলাদেশ এই খাতে শক্তিশালী ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ গড়ে তুলেছে।’  

আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জিং বৈশ্বিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’

গত সোমবার বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন- বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান আগের বছরের একই মাসের তুলনায় গেল নভেম্বরে রপ্তানি আয় কম হওয়ার জন্য প্রধানত তিনটি কারণ উল্লেখ করেন। এগুলো হলো– পোশাকের বৈশ্বিক চাহিদায় গতিমন্থরতা, ইউনিট মূল্যের পতন এবং শ্রমিক অসন্তোষের ফলে নভেম্বরে উৎপাদন ব্যাহত হওয়া। 

তবে সামনের মাসগুলোয় পোশাক খাতের জন্য কিছু ইতিবাচক লক্ষণ রয়েছে, কারণ ব্ল্যাক ফ্রাইডে ও থ্যাকস গিভিং ডে’র বিক্রিতে কিছু ব্র্যান্ডের পণ্যের স্টক শেষ হয়ে গেছে, তারা এখন নতুন করে পণ্যসম্ভার গড়ে তুলছে। ডিসেম্বরেও আছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব- বড়দিন ও বক্সিং ডে। উৎসবকালীন এই সময়ে পশ্চিমা দেশগুলোয় ব্যাপক কেনাকাটা হয়’- যোগ করেন তিনি।    

পোশাক খাতের এই নেতা বলেন, মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেতে থাকায়– প্রায় ১৮ মাস পরে বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ সুদহার বাড়ানো বন্ধ রেখেছে। এতে প্রবৃদ্ধির জন্য অনুকূল ভিত্তি তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জ্বালানির দাম ও পণ্য পরিবহনের খরচও কমছে। এসব ঘটনায় পৃথিবী যে ব্যবসাবাণিজ্যের একটি অনুকূল অবস্থায় ফিরছে তারও নির্দেশক। 

গত অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানির ৫০ শতাংশের বেশি হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নে। তখন পোশাকের মোট রপ্তানিমূল্য ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলার। 

এদিকে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির আরেকটি প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তরের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল- এর তথ্যানুসারে, জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিমূল্য ২৩.৩৩ শতাংশ কমে ৫৭৮ কোটি ডলারে নেমেছে।   
বিজিএমইএ সভাপতি এর আগে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বাংলাদেশের সামগ্রিক পোশাক রপ্তানি সংকুচিত হলে, বাংলাদেশ প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে ভালো করেছে।

ফারুক হোসেন পোশাক রপ্তানিতে সাম্প্রতিক সময়ের মন্থর দশার জন্য– বিশ্ব অর্থনীতি ও বাণিজ্যে অনিশ্চিয়তার আশঙ্কা করা বিভিন্ন  পূর্বাভাসগুলোর কথা উল্লেখ করেন। এসব পূর্বাভাসে, চলতি বছর জুড়েই চাহিদা ও কার্যাদেশ কমতে পারে, এমন অনুমান রয়েছে। 

এবছর রপ্তানি কমার আশঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘২০২৩ সাল পোশাক রপ্তানির জন্য অনুকূল সময় হবে না।’ News Sources : tbsnews

উদ্বেগ আতঙ্ক

সমপ্রতি তৈরি পোশাক খাতের প্রধান ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে বাংলাদেশের ওপর সম্ভাব্য বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রপ্তানিকারকরা। এরই মধ্যে দেশের তৈরি পোশাক পণ্যের বৈশ্বিক ক্রেতারা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদের ক্রয় আদেশে নতুন শর্ত যুক্ত করেছেন। এমন প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীতে স্টক হোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, বড় দুই বাজার থেকে নানা ধরনের চাপ আসছে। ‘ইউএস থেকে ইস্যু আছে আপনারা দেখেছেন যে প্রেসিডেন্ট বাইডেন মেমোরেন্ডাম সাইন করেছেন। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওরাও বাংলাদেশ ভিজিট করে গেছে, সেটারও প্রেশার। ক্রেতারা এরই মধ্যে ক্লজ দিয়ে গেছে যে, স্যাংশন হলে পেমেন্টতো দূরের কথা তারা গুডস নেবে না, গুডস দিলেও পেমেন্ট দেবে না। এই ক্লজে আমাদের ব্যাংক এলসি খুলবে না।’ বর্তমান এই সংকট উত্তরণে এ খাতের সব অংশীদারের সহযোগিতা চেয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শর্তে তারা বলেছেন, এ ধরনের সম্ভাব্য কোনো নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়িত হলে তারা পণ্য বা অর্থপ্রদানের দায়ভার গ্রহণ করবেন না। এই শর্ত বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য একটি নেতিবাচক ধাক্কা; যা স্থানীয় রপ্তানিকারকদের অনিশ্চয়তা এবং সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।

বিষয়টি স্বীকার করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, একজন বায়ার (ক্রেতা) ইতিমধ্যেই তাদের নতুন এলসি (লেটার অফ ক্রেডিট)-এ এমন একটি ধারা যুক্ত করেছে যে, বাংলাদেশ যদি কোনো নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়, তাহলে তারা পণ্য নেবে না; বা যদি পণ্য চালানের পরে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়িত হয়, তবে তারা ওই পণ্যের জন্য পেমেন্ট করতে সক্ষম হবে না।

সম্প্রতি এক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান দেশের একটি পোশাক কারখানাকে শর্ত দিয়েছে। বুধবার তার স্পষ্টিকরণ করেছে বিজিএমইএ সভাপতি। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্ব বাণিজ্যের দৃশ্যপট দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে; মানবাধিকার এবং পরিবেশগত কারণে ক্রমবর্ধমান অগ্রাধিকার পাচ্ছে, অন্যদিকে ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলোও বাণিজ্যকে প্রভাবিত করছে।বিজ্ঞাপনতাই বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করার জন্য এই বিবৃতি দেয়ার তাগিদ অনুভব করছি। তিনি বলেন, বিজিএমইএ’র একজন সদস্যকে বিদেশি ক্রেতার কাছ থেকে এলসি’র একটি অনুলিপি আমাদের নজরে এসেছে। অনুলিপিতে রয়েছে- “জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, যুক্তরাজ্য যদি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাহলে ওই সব দেশ বা অঞ্চলের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবো না। এ অবস্থায় নিষেজ্ঞার কারণে হওয়া যেকোনো ধরনের বিলম্ব বা লেনদেন বাতিলের তথ্য প্রকাশের দায় নেবো না।

ফারুক হাসান বলেন, এই বক্তব্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে বলে উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, যা সঠিক নয়। উল্লেখ্য যে, এলসি একটি নির্দিষ্ট ক্রেতার কাছ থেকে এসেছে এবং এটি কোনো দেশের দ্বারা সংবিধিবদ্ধ আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি নয়। সুতরাং এটিকে বাংলাদেশের উপর বাণিজ্য প্রয়োগ বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পরিমাপ হিসেবে ভুল ব্যাখ্যা করা উচিত নয় বলে বিজিএমইএ তাদের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেন। তবে কোনো ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এমন শর্ত দিয়েছে কিংবা কোন পোশাক কারখানাকে এমন শর্ত দেয়া হয়েছে, তা জানাননি বিজিএমইএ সভাপতি।
স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে পোশাক উদ্যোক্তারা ইতিমধ্যেই কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন এবং ক্রেতাদের থেকে উদ্ভূত সর্বশেষ এই শর্ত তাদেরকে আরও শঙ্কিত করে তুলেছে।

বিশ্বব্যাপী পোশাক ব্যবসা যখন ঘুরে দাঁড়ানোর অপেক্ষায় রয়েছে ঠিক তখনই এই সমস্যা হাজির হয়েছে উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এটি পোশাক রপ্তানিকারকদের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয়। এখন ব্যাংকগুলো এ ধরনের মাস্টার এলসি বা রপ্তানি আদেশের বিরুদ্ধে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি খুলতে ইচ্ছুক নাও হতে পারে।

ফারুক হাসান বলেন, গত ব্ল্যাক ফ্রাইডে, থ্যাঙ্কসগিভিং এবং সাইবার মানডেতে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক পণ্যের বিক্রিতে একটি বড় উল্লম্ফন দেখা গিয়েছিল। পোশাক রপ্তানিকারকরা যদি আগামী ছয় মাস টিকে থাকতে পারেন, তাহলে সামনের দিনে তারা আরও শক্তি নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
বাংলাদেশ সিঅ্যান্ডএফ এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং অ্যান্ড বার্থ অপারেটর এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ কনটেইনার শিপিং এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো এসোসিয়েশনের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিজিএমইএ। বন্দর পরিষেবার গুণমান উন্নয়ন নিয়ে ডাকা বৈঠকটিতে সম্ভাব্য পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা নিয়েই আলোচনা হয়েছে বেশি। বাজার পুনরুদ্ধারের এই সময়ে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সব স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতা চেয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিজিএমইএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি এসএ মান্নান কচি ও প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম।

সমপ্রতি এক অনুষ্ঠানে ইউরোপ ও সম্ভাব্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ ব্যবসার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে; এর ফলে দোকানে মালামাল কমে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিলে চীন ও রাশিয়া বাদে ইউরোপের দেশগুলোসহ বেশির ভাগ দেশই তা অনুসরণ করতে পারে। সাশ্রয়ী মূল্যে বাংলাদেশের পোশাকের ক্রেতা থাকতে পারে; তবে যাদের ক্রয়ক্ষমতা ভালো তারা অন্য দেশে বিকল্প খুঁজবে। যদি কোনো ক্রেতা অন্য কোথাও বিকল্প খুঁজে পান, তাহলে আগের দেশে ফিরতে তার কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে।

বিশ্বব্যাপী অধিকার গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান ও সরকার থেকে বাংলাদেশের ওপর চাপ বেড়েছে। ‘দেশে যারা হুমকি দেয়, ভয় দেখায়; যারা ইউনিয়ন নেতা, শ্রমিক অধিকার রক্ষাকারী এবং শ্রমিক সংগঠনকে আক্রমণ করে’ তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের এই সতর্কবার্তা উদ্বেগজনক।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশি পোশাক কর্মী কল্পনা আকতারের নাম উল্লেখ করে বাংলাদেশে শ্রম অধিকার রক্ষাকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। শ্রম অধিকারকে ক্ষুণ্ন করে এমন সব দেশ ও ব্যবসায়ের ওপর গত ১৬ই নভেম্বর নতুন সতর্কতা জারি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের পোশাক পণ্যের এক-পঞ্চমাংশ রপ্তানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, যার আর্থিক মূল্য ৪৭ বিলিয়ন ডলার। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রভাব রয়েছে। সমপ্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে শ্রম ও মানবাধিকার নিয়ে একই ধরনের উদ্বেগ দেখানো হয়েছে। 

চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি কমেছে। ইপিবি’র তথ্য-উপাত্ত অনুসারে, জানুয়ারি-অক্টোবর ২০২৩ সময়েও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৮.৩৯ শতাংশ কমেছে।

এদিকে গত অর্থবছরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ৫০ ভাগই হয়েছে ইইউ এবং যুক্তরাজ্যে। এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের জুলাই-নভেম্বরে রপ্তানি বেড়েছে মাত্র ১.৩০ শতাংশ। এ বছরের নভেম্বরে মোট রপ্তানি হয়েছে ৪.৭৮ বিলিয়ন ডলারের, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের ৫.০৯ বিলিয়নের চেয়ে ৬.০৫ শতাংশ কম। News Sources :

Exports up 27% in Nov as peak festival sales begin in West

November’s overall export earnings of $4.78 billion were, however, 6% less compared to the same period of last year.

Exports grew 27% in November compared to October on the back of higher demands for apparels in the West as the festival season has already set in Bangladesh’s major export destinations.  

Apparel exports were $4.05 billion in November, 28% higher than October’s $3.16 billion, according to the Export Promotion Bureau (EPB) data released on Monday. 

The data of positive export trend came a day after the central bank figures showing a 2.4% decline in remittance inflow in November than the previous month.

November’s overall export earnings of $4.78 billion were, however, 6% less compared to the same period of last year, when exports surged on pent-up demand during the post-Covid recovery.

Apparel makers said despite disruptions from worker unrest and political programmes, they had to ship additional supplies for global buyers and brands to help them build stocks ahead of Thanksgiving Day, Black Friday, Christmas and Boxing Day.

They hope for the trend to continue in coming months as the peak sales season in Europe and American markets that usually run through January.    

Talking with The Business Standard, Shafiur Rahman, Country Manager of Dutch brand G-Star Raw, said generally in November every apparel brand enjoyed about 30% of their annual sales, which is the main reason behind the export growth.

He explained that due to Black Friday sales, some stores emptied their shelves and hurried into building fresh stocks with a shorter lead-time.

Shafiur also mentioned that supplies for October might have been partly delivered in November due to disruptions caused by the workers unrest.

Pacific Jeans Managing Director Sayed M Tanvir said in November exporters were under pressure from global buyers to ship goods ahead of Christmas Day.

November exports also indicate that the apparel exports may bounce back to a positive trend seen in the previous year, which is expected, he added.

BGMEA President Faruque Hassan said there were three reasons for lower earnings compared to the same period of last year—- slowdown in global apparel demand, fall in unit price and a disruption in production due to workers unrest in November.

However, the apparel sector sees some positive signs to bounce back in the months ahead as some brands have already cleared their inventories ahead of the peak festival sales, he said.

In December, there are festivals including Christmas and Boxing Day, and this time stores in western countries see good sales, he added.

Most countries stopped hiking interest rates after about 18 months as inflation started going down, the apparel sector leader said, stating the ground for the positive growth trend.

Fuel price and freight costs were also going down globally, which is another indicator of the world coming back in business, the industry leader added.

Though the export industry is facing heightened global pressures on labour rights issues ahead of the national elections, Faruque Hassan believed that the government will be able to handle the situation through holding a free, fair and acceptable election.

He also hoped that their global business partners would not mix up politics with business.

According to EPB, in October overall export earnings were $3.76 billion, which was a 26-month law.

Total exports in November this year were $4.78 billion, 6.05% lower than $5.09 billion in the same period of last fiscal.

Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association (BKMEA) Executive President Mohammad Hatem hoped if the political situation does not worsen, the business may return to a positive trend by next year.

Despite the apparel shipment, the export earnings from all the major sectors witnessed negative growths in the July-November period of FY24.

Among other notable sectors, home textile and leather sectors experienced negative growth.

In the July-November period of FY24, the export earnings from agricultural and jute products also experienced negative growth, along with engineering products, compared with a year-ago period.

স্যাংশন আসলে ক্রেতারা পোশাক নেবে না, এলসি খোলা যাবে না: বিজিএমইএ সভাপতি

দেশের পোশাক খাতের প্রধান ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে নানা ধরনের চাপ আসছে বলে জানিয়েছেন পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান।  সংকট উত্তরণে এ খাতের সব অংশীদারদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। বিজিএমইএ সভাপতি বলেছেন, ‘ইউএস থেকে ইস্যু আছে আপনারা দেখেছেন যে প্রেসিডেন্ট মেমোরেন্ডাম সাইন করেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওরাও ভিজিট করে গেছে, সেটারও প্রেশার। ক্রেতারা এরই মধ্যে ক্লজ দিয়ে গেছে যে, স্যাংশন হলে পেমেন্টতো দূরের কথা তারা গুডস নেবে না, গুডস দিলেও পেমেন্ট দেবে না । এই ক্লজে আমাদের ব্যাংক এলসি খুলবে না ।’ 
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর খুলশিতে স্টক হোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সংগ্রহ করা হয়েছে : মানবজমিন

BGMEA forms board to conduct biennial election for 2024-2026 term

The BGMEA also formed an election appellate board

BGMEA forms board to conduct biennial election for 2024-2026 term

The Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) forms a board to conduct its biennial election for the 2024-2026 term.

The decision was made at a meeting of its Board of Directors at BGMEA Complex on December 4. 

BGMEA President Faruque Hassan presided over the meeting which was attended by other members of the BGMEA board.

The meeting also discussed other issues centring on the BGMEA’s upcoming election.

The election board will be headed by Jahangir Alamin, former president of BTMA.

Other members of the board are Shomi Kaiser, vice president of the FBCCI and President of E-commerce Association of Bangladesh; and ASM Nayeem, FCA, FCCA, former president of ICAB.

The BGMEA meeting also formed an election appellate board in the meeting.

The appellate board will be headed by Kamran T Rahman, president of MCCI.

Other members are Khairul Huda Chopol, vice president of FBCCI; and Nizamuddin Rajesh, director of FBCCI.

The election board will announce an election schedule at least 80 days before the election date.

As per the rules, BGMEA election will be held at least 15 days before the expiry of the existing board.

The tenure of the current board of directors will come to an end on 12 April 2024.

The election of BGMEA is going to be held in March next year to elect the leadership for 2024-2026.

RMG BANGLADESH NEWS