fbpx
Home Blog Page 68

পোশাক কারখানায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরছে

সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শ্রমিকরা কাজে ফিরে আসায় প্রায় সব কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। গার্মেন্টস খাতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে।’

ন্যূনতম মজুরি নিয়ে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা অস্থিরতার পর প্রায় সব কারখানায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দেওয়ায় পোশাক খাতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে শুরু করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানী ও এর আশেপাশের এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা যায়।

তবে, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আশুলিয়ার কয়েকটি কারখানা এখনো চালু হয়নি।

তিনি বলেন, ‘শ্রমিকরা কর্মস্থলে ফিরছেন। আশা করছি, সব কারখানা খুলে দেওয়া হবে।’

ছবি: সংগৃহীত

গতকাল রাজধানীর মিরপুর এলাকায় দুয়েকটি কারখানার শ্রমিকরাও কাজে যোগ দেননি। তারা মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনে কয়েক ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ করেছেন।

সব পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকারের ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের গত ৭ নভেম্বর ঘোষিত ন্যূনতম মাসিক মজুরি গ্রহণ করেনি শ্রমিকদের একটি অংশ। তারা ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা দাবি করে আসছেন।

পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। বর্তমানে এটি ১১৩ ডলার ৬৩ সেন্টের সমান।

এই নতুন মজুরি আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। শ্রমিকরা জানুয়ারিতে নতুন কাঠামোয় বেতন পাবেন।

সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শ্রমিকরা কাজে ফিরে আসায় প্রায় সব কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। গার্মেন্টস খাতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে।’

বাংলাদেশ অ্যাপারেলস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি তৌহিদুর রহমানও ডেইলি স্টারকে একই কথা জানান।

বিজিএমইএ সভাপতি আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনকে (এএএফএ) আরেকটি চিঠি পাঠিয়ে মজুরি বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংগঠনটির আওতাধীন খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডের কাছ থেকে দাম বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।

গত ১১ অক্টোবর বেশ কয়েকটি খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়ে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়।

রিটেইলার ও ব্র্যান্ডগুলো হলো—এইও ইঙ্ক, অ্যাবারক্রোম্বি অ্যান্ড ফিচ, অ্যাডিডাস, আমের স্পোর্টস, বার্টন, গ্যাপ ইঙ্ক, হুগো বস এজি, কেএমডি ব্র্যান্ডস, লেভি স্ট্রাউস অ্যান্ড কোং, লুলুলেমন, প্যাটাগোনিয়া, পুমা এসই, পিভিএইচ কর্পোরেশন, সানমার, আন্ডার আর্মার ও এএলডিআই সাউথ গ্রুপ।

ফারুক হাসান জানান, আজ বিজিএমইএ বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের অস্থিরতা সম্পর্কে তাদের আপডেট করা হবে। মজুরি বাড়ানোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাদেরকে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে বলা হবে।’

চিঠিতে ফারুক হাসান বলেছেন, নতুন ন্যূনতম মজুরি এমন এক সময়ে এসেছে যখন বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতিও নজিরবিহীন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাকশিল্প সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির ছাড়াও জ্বালানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পরিবহনসহ খাতে খরচ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।’

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এখন বৈশ্বিক জলবায়ু কর্ম-পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের কারখানাগুলো কার্বন দূষণ কমাতে ও সম্পদ সাশ্রয়ী হতে আরও বিনিয়োগ করছে।’

এতে আরও বলা হয়—শুধু তাই নয়, কর্মস্থলের নিরাপত্তা ও শ্রমিকদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে এবং ক্লান্তি কমাতে কারখানাগুলো মেশিন, কর্ম প্রক্রিয়া ও উৎপাদন পদ্ধতি উন্নত করছে।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন করা অনেক কারখানার জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে শ্রমিকদের সম্মানজনক জীবনযাপন নিশ্চিত করা কারখানার মালিকদের পাশাপাশি বৈশ্বিক ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতাদেরও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘যেহেতু নতুন মজুরি কাঠামো গ্রহণ করেছি, তাই আমরা এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করব। দায়িত্বশীল ক্রয় অনুশীলনের ক্ষেত্রে আপনাদের সমর্থন প্রয়োজন।’

এতে আরও বলা হয়, ‘কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন ও মসৃণ কার্যক্রম নিশ্চিত করতে ১ ডিসেম্বর থেকে যেসব পণ্য পাঠানো হবে, সেগুলোর দাম যথাযথভাবে সমন্বয় করা জরুরি।’

BGMEA decided to re-open all garment factories

The decision to reopen all closed garment factories for an indefinite period has been taken after discussions among Bangladesh Garments manufacturers and exporters association (BGMEA), workers, labor unions, local political leaders, administration, and industrial police in the relevant areas. This decision was announced on Tuesday (November 14) after a meeting, as reported by BGMEA.

Earlier, on last Sunday (November 12), a declaration was made to shut down all activities of 130 garment factories in the area, ensuring the safety of workers and protection of the factories’ properties for an unspecified period. However, within two days of this announcement, the decision to reopen all factories was made following discussions involving workers, labor leaders, factory owners, and law enforcement.

BGMEA Director Mahiuddin Rubel stated that as the situation gradually normalizes, all closed factories will be reopened. The decision was reached through discussions involving workers, labor leaders, factory owners, and law enforcement.

In a statement addressing the current situation in the garment industry, BGMEA President Faruk Hasan mentioned that, with the cooperation of workers, labor unions, local political leaders, administration, industrial police, and media personnel, the garment industry in all areas of Bangladesh is currently operating in a stable and peaceful environment. Production activities are ongoing in all factories. As of now, there are no reports of dissatisfaction among workers in any factory.

He further mentioned that, in response to BGMEA’s call, workers, labor unions, local political leaders, administration, industrial police, and media personnel in the Ashulia area have expressed their desire for all closed garment factories in Ashulia to resume operations. Workers have assured that if the factories are reopened, they will work diligently. As a result, all closed factories in Ashulia will be reopened on November 15. Additionally, three garment factories in Kashimpur and Konabari areas have already been reopened. Consequently, normal production activities are taking place in all factories in those areas.

BGMEA President Faruque Hassan requested law enforcement agencies to ensure the security of all types of industrial establishments, including garment factories. He urged them to take strict measures for the safety of their properties. However, he emphasized the importance of working cautiously to prevent any worker, employee, or owner from falling victim to any fraud or deception in the process.

শ্রম অসন্তোষ নিয়ে বিজিএমইএ’র কাছে জানতে চেয়েছে ইইউ প্রতিনিধিদল

বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে নতুন মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরে পোশাকের দর বাড়াতে ভূমিকা নিতে প্রতিনিধি দলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান শ্রম অসন্তোষ এবং ন্যূনতম মজুরি বিষয়ে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) নেতাদের কাছে জানতে চেয়েছে ঢাকা সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল।

মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ অফিসে এক বৈঠকে তারা এ বিষয়ে জানতে চায় বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।

সভায় উপস্থিত বিজিএমইএ’র পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, “আমরা তাদেরকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছি। আমরা বলেছি, বাহিরাগতরা এসে জড়িয়েছে, যার কারণে এটি বেড়েছে।”

“এ বিষয়ে চাইলে ভিডিও ফুটেজও আমরা তাদের পাঠাতে পারি বলে জানিয়েছি,” বলেন তিনি।

এছাড়া তারা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) রোডম্যাপ অনুযায়ী অগ্রগতির বিষয়েও বিজিএমইএ’র কাছে জানতে চায়। 

ছবি-মুমিত এম/টিবিএস

“বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে এ খাতের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষত রানা প্লাজা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের পোশাক খাতের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়েছে”, জানান ফয়সাল।

সভায় বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে নতুন মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরে পোশাকের দর বাড়াতে ভূমিকা নিতে প্রতিনিধি দলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ফয়সাল সামাদ বলেন, “আমরা পোশাকের দর বাড়াতে তাদের সহযোগিতা চেয়েছে। জবাবে তারা বলেছে, ইতিমধ্যে তারা ব্র্যান্ডগুলোর নজরে ইস্যুটি এনেছে।”

গত ১২ নভেম্বর ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনির নেতৃত্বে তিন সদস্যের ইইউ প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসেন; তাদের এ সফর আগামীকাল ১৬ নভেম্বর শেষ হবে। 

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, শ্রম খাতের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ‘অগ্রগতি পর্যালোচনা’ করার লক্ষ্যে এই সফর।

বাংলাদেশ শ্রম খাতে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০২১-২০২৬) গ্রহণ করেছে এবং এই পরিকল্পনাটি আইএলও গভর্নিং বডির কাছে বাংলাদেশ সরকারের জমা দেওয়া রোডম্যাপের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত।

রোডম্যাপের লক্ষ্য হলো সংগঠনের স্বাধীনতা এবং সম্মিলিত দরকষাকষির অধিকার সহ দেশের শ্রম অধিকারগুলো পালনের উন্নতি করা।

Bangladesh’s apparel exports increase 5.95% worldwide

Bangladesh apparel export worldwide has increased by 5.95% to $14.78 billion in July-October of FY2023-24 compared to the $13.95 billion in the same time period one year earlier. 

Meanwhile, the export to the European Union reached $7.06 billion, with 3.99% growth during July-October, of FY 2023-24, compared to the same period of previous fiscal year, according to the latest statistics Export Promotion Bureau (EPB).

The RMG export to Spain, France, Netherlands, and Italy showed 18.07%, 2.56%, 12.73% and 9.88% growth respectively.

On the other hand, Germany the largest export market in the EU declined by 11.49% with an amount of $1.81 billion compared to the $2.04 billion in July-October period of FY2022-23.

Also, the RMG export to the US stood $2.57 billion in July-October 2023-24 with declined 3.05% Y-O-Y growth. At the same time, exports to UK and Canada reached $1.8 billion and $462.86 million, with positive 14.63% and negative 1.53% growth respectively.

During July-October of FY 2023-24, our apparel export to non-traditional markets grew by 17.01% to $2.86 billion from $2.45 billion in the corresponding period of the previous year.

Among the major non-traditional markets, exports to Japan, Australia and South Korea increased by 23.03%, 45.44% and 29.85% respectively. However, our apparel exports to India declined by 12.8%. 

Responsible Business Hub organises session on human rights and environmental due diligence, digital data disclosure platform

The Responsible Business Hub (RBH) organised a factory onboarding session on Human Rights and Environmental Due Diligence (HREDD) & Digital Data Disclosure Platform at the BGMEA Complex on 15 November. 

The event aimed to provide compliance, environment and sustainability managers from different factories with essential knowledge and information concerning human rights and environmental due diligence in Bangladesh’s readymade garments (RMG) industry.

RBH was established by BGMEA with the support of GIZ with the objective to strengthen human rights and environmental due diligence in the RMG industry of Bangladesh. 

During the event, representatives of the factories were oriented on the latest regulations and reporting requirements related to due diligence and sustainability.

The RBH will provide training to the participants to enhance their knowledge and capacities in HREDD & Digital Data Platform. This, in turn, will enable them to support their respective garment factories in adapting and complying with the new standards.

In his address as the chief guest, BGMEA President Faruque Hassan highlighted the Sustainability Strategic Vision 2030, emphasizing the industry’s commitment to economic sustainability through innovation, digitization, product diversification, and efficiency enhancement. 

He reiterated the goal of achieving a robust position of Bangladesh’s garment industry in the global market. The Responsible Business Hub, a recent initiative supported by GIZ, is a crucial component in attaining this ambitious goal.

Faruque Hassan emphasized that the implementation of Human Rights and Environmental Due Diligence is an ongoing process requiring collective efforts. 

He expressed the hope for collaboration among governments, apparel manufacturers, and consumers to implement upcoming restrictions in this regard.

During the session, Dr Carla Dohmwirth, advisor, Initiative for Global Solidarity (IGS), GIZ, delivered a presentation on the German Supply Due Diligence Act. 

Wasim Zakariah, chairman of the Standing Committee on SDG Affairs at BGMEA, made a presentation on RBH and HREDD. 

Sheikh H.M. Mustafiz, chairman of the BGMEA Standing Committee on Sustainability, provided closing remarks focusing on BGMEA’s Strategic Vision 2030.

Labour unrest: BGMEA seeks charge-free delayed shipment facility from buyers

The Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) has appealed to apparel buyers and brands to accept delayed shipment of goods without imposing any additional charges on factories severely impacted by the labour unrest over the past three weeks.

The apparel manufacturers’ body made the call in a meeting with representatives of buyers and brands at its Uttara office in the capital on Wednesday.

Amid intensive protests by apparel workers, hundreds of ready-made garment (RMG) factories were forced to halt operations due to absence of workers and concerns about vandalism. However, as the situation improved following the recent wage hike, nearly all factories have resumed production.

Furthermore, the BGMEA has appealed to global buyers to actively promote positive stories about Bangladesh’s RMG industry, particularly its significant strides in compliance, within their respective markets, said sources present at the meeting.

BGMEA President Faruque Hassan and other senior leaders of the association were present at the meeting attended by representatives of more than 30 leading brands and buyers including H&M, Marks & Spencer, Tom Tailor and Kiabi.

“Factories affected by the unrest should be given the preference of delayed shipment. The BGMEA has requested buyers for it urging them not to impose any charges for the delay,” a BGMEA leader present at the meeting told The Business Standard, on condition of anonymity.

Faisal Samad, a director of BGMEA, told TBS, “We have proposed that delays in shipments from factories affected by labour protests should be considered. While buyers have expressed receptiveness, a definitive outcome is yet to be determined.”

Sources said buyers sought detailed information about the recent labour unrest during the meeting. Discussions also addressed reports of worker fatalities, lawsuits, and factory damage. BGMEA representatives clarified that the unrest was instigated by outsiders rather than workers. The buyers were also shown video footage of attacks on various factories.

The BGMEA has asked buyers to address the cost of production, which has increased by 40%, including utility bills, other financial costs and new wages.

Faisal Samad said, “They [buyers] said they will take the increased cost into consideration while placing orders and negotiating prices.”

EU delegation seeks information from BGMEA on workers’ unrest demanding wage hike

During meeting, BGMEA requested the delegation to play a role in increasing wages

A visiting European Union (EU) delegation has sought information from the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) regarding RMG workers’ dissatisfaction and ongoing protests demanding an increase in the minimum wage.

The three-member delegation held a meeting on Tuesday night with BGMEA leaders at the organisation’s office of Uttara in the capital to inquire about the ongoing unrest among RMG labourers.

“We have told them that other forces are trying to incite unrest,” Faisal Samad, director of BGMEA, informed The Business Standard that they have provided explanations to the delegation.

The BGMEA director said, “We have informed the delegation; if they want, BGMEA can provide video footage as evidence.”

Additionally, the delegation has expressed interest in learning about progress in following the roadmap of the International Labour Organization (ILO) and advancements in labour rights according to the roadmap of ILO and human rights.

“We have presented the progress in this field, the recent developments in Bangladesh’s garment sector, particularly after the Rana Plaza tragedy,” said Faisal.

During the meeting, the BGMEA requested the delegation to play a role in increasing wages.

“We have sought their cooperation to increase the prices of garment products. In response, they have mentioned that brands are already aware of this issue.”

Earlier on 12 November, A three-member EU delegation led by Deputy Managing Director for Asia and the Pacific at the European External Action Service (EEAS) Paola Pampaloni arrived in Dhaka to have discussions with relevant stakeholders on the country’s labour sector, which is scheduled to conclude on 16 November.

The visit is aimed at taking “stock of progress” in implementing the National Action Plan for the labour sector, EU Ambassador to Bangladesh Charles Whiteley had told UNB.

Bangladesh adopted a National Action Plan (2021-2026) in the labour sector and the plan is closely linked to the roadmap submitted by the government of Bangladesh to the ILO Governing Body in response to an Article 26 complaint.

The roadmap aims to improve the country’s observance of labour rights including freedom of association and the right to collective bargaining.

গাজীপুরে সব কারখানা খুলেছে, কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি উত্তর-মিডিয়া) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান জানান, নিরাপত্তা নিয়ে মালিকদের উদ্বেগ দূর হওয়ার পর সকলেই তাদের কারখানা খুলেছে।

ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরের বিভিন্ন শিল্প এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষের কারণে সাময়িক ও অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা সব পোশাক কারখানাই মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) খুলে দিয়েছে কৃর্তপক্ষ। এদিন সকালে শ্রমিকরা নিজ নিজ কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কারখানা এলাকায় স্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করেছে। 

কলকারখানা অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক সঞ্জয় দাস জানান, গাজীপুরের বিভিন্ন শিল্প অঞ্চলের সকল পোশাক কারখানা সম্পূর্ণভাবে উৎপাদন শুরু করেছে। ইতিমধ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে যেসকল কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছিল, সেসব প্রতিষ্ঠানেও মঙ্গলবার স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে।  

পুলিশের সূত্র জানায়, পোশাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে গত ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মৌচাক এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। পরে এ আন্দোলন ঢাকা ও গাজীপুরের অন্যান্য পোশাক কারখানা থাকা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। শ্রমিকরা সড়ক, মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন। বিভিন্ন কারখানা, পুলিশের গাড়িসহ যানবাহন ভাঙচুর করেন। 

এরপর গত ৭ নভেম্বর ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করে সরকার। কিন্তু, ঘোষিত মজুরি প্রত্যাখ্যান করে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার গাজীপুর মহানগরীর কয়েকটি এলাকায় শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভের সময় বিভিন্ন কারখানা, যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, মহাসড়ক অবরোধ, শ্রমিক-পুলিশ ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় কয়েকজন শ্রমিক ‍মৃত্যুবরণ করেন, শ্রমিক ও পুলিশসহ আহত হন দুই শতাধিক মানুষ। পরে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অধিকাংশ কারখানা সাময়িক ও ১৭টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

ফাইল ছবি।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি উত্তর-মিডিয়া) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান জানান, এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গাজীপুরে পোশাক কারখানায় ভাঙচুরের ঘটনায় ১৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলার মধ্যে ৪টিতে বাদী পুলিশ, বাকীগুলোতে বাদী ক্ষতিগ্রস্থ কারখানা কর্তৃপক্ষ। এসব মামলায় এজাহার নামীয় আসামির সংখ্যা ১০৭ জন এবং গ্রেফতার করা হয়েছে ১২২ জনকে। আর অজ্ঞাতনামা আসামি ১২ হাজারের বেশি। যাদের অধিকাংশই পোশাক শ্রমিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহানগর পুলিশ, জেলা পুলিশ, শিল্প পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি টহল জোরদার করা হয়। ফলে সকলের চেষ্টায় গাজীপুরের শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি দ্রুতই স্বাভাবিক হয়ে আসে। নিরাপত্তা নিয়ে কারখানা মালিকদের উদ্বেগ দূর হওয়ার পর সকলেই তাদের কারখানা খুলেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শ্রমিক আন্দোলনের সময়ে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকার তুসুকা কারখানা। এ কারখানাসহ একই মালিকের ৫টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার এসব কারখানাও খুলেছে। এগুলো হলো- তুসুকা জিন্স লি., তুসুকা ট্রাউজার্স লি., তুসুকা প্রসেসিং লি., তুসুকা প্যাকেজিং লি. এবং নিডেল আর্ট এমব্রয়ডারি লিমিটেড। 

ওই কারখানার মহাব্যবস্থাপক মাসুম হোসেন জানান, কারখানার অভ্যন্তরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও চলমান আন্দোলনের কারণে বাধ্য হয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় কারখানা মঙ্গলবার চালু করা হয়েছে। শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

RMG BANGLADESH NEWS