fbpx
Home Blog Page 9

অর্থনীতি চাঙ্গা করতে একের পর এক প্রণোদনা দিচ্ছে চীন

বিশ্বের কারখানা বলা হয় চীনকে। এ দেশটির অর্থনীতি চাঙ্গা থাকলে শুধু এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বে এর প্রভাব পড়ে। তাই করোনা-পরবর্তী চীনের ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি বিশ্বের জন্যও উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে একের পর এক প্রণোদানা ও নীতি সহায়তা দিচ্ছে চীন সরকার।এরই মধ্যে বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ঋণের সুদের হার কমানো ও নিয়ম-নীতি শিথিল করা হয়েছে।

এবার বিশেষ বন্ড ছাড়তে যাচ্ছে বেইজিং। ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্য নিয়ে এই বন্ড ছাড়া হবে, যার মাধ্যমে ৩২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ দুই লাখ ৩০ হাজার কোটি ইউয়ান বাজার থেকে তোলা হবে। আগামী তিন মাস ধরে এই অর্থ আবাসন ব্যবসা, স্থানীয় পুঁজি সরবরাহ ও ব্যাংক ব্যবস্থাকে জোরদার করতে ব্যয় করা হবে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, চীনের অর্থমন্ত্রী লান ফো’য়ান ও অন্য কর্মকর্তারা একটি বহুল প্রত্যাশিত সংবাদ সম্মেলনে বন্ড ছাড়ার ঘোষণা দেন। অর্ধনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্য নিয়ে গত সপ্তাহেও বেশ কিছু পদক্ষেপ সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছিল। এসব পদক্ষেপের মধ্যে ছিল সুদের হার কমানো ও ব্যাংকগুলোর জন্য অতিরিক্ত অর্থের ব্যবস্থা করা।

বছরের পর বছর ধরে চলা আবাসনশিল্পের সংকট ও ভোক্তাদের কম কেনাকাটার কারণে চীনের অর্থনীতি ঝিমিয়ে পড়েছে।কর্মকর্তারা আশা করছেন যে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর কারণে অর্থনীতির শ্লথগতি ধারা ঠেকানো এবং চলতি বছরে ৫ শতাংশের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যাবে। পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অনেক মনে হলেও চীনের জন্য এই হার বেশ কম। কারণ দেশটি বছরের পর বছর দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

চীনের অর্থমন্ত্রী লান ফো’য়ান শনিবার বলেছেন, বেইজিং ট্রেজারি বন্ডের ব্যবহার আরো বাড়াবে এবং একই সঙ্গে অতি দীর্ঘমেয়াদি বিশেষ বন্ড বাজারে ছাড়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য আগামী তিন মাসে বিশেষ বন্ডের মাধ্যমে দুই লাখ ৩০ হাজার কোটি ইউয়ান তোলার ব্যবস্থা করা যাবে।’

লান ফো’য়ান আরো জানান, রাষ্ট্র খাতের বড় ব্যাংকগুলোর সহায়তার জন্য বিশেষ সরকারি বন্ড ছাড়ারও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে তিনি জানাননি যে এই বন্ড ছেড়ে সরকারি ঠিক কী পরিমাণ অর্থের সংস্থান করার পরিকল্পনা করছে।

এসব পদক্ষেপের পাশাপাশি স্থানীয় সরকারগুলোর ঋণ করার সীমাও বাড়িয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো অবকাঠামো নির্মাণে আরো বেশি অর্থ খরচ করতে পারবে। সে কারণে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মীদের চাকরি রক্ষা করা যাবে। উপ-অর্থমন্ত্রী লিয়াও মিন বলেন, ‘এর ফলে স্থানীয় সরকার ও নির্মাণ কম্পানিগুলোর তারল্য ও ঋণ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’

চীনের সিসিটিভি চ্যানেল জানিয়েছে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না, অ্যাগ্রিকালচারাল ব্যাংক অব চায়না, ব্যাংক অব চায়না এবং চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংকসহ বড় ব্যাংকগুলো ঘোষণা করেছে যে তারা ধাপে ধাপে সুদের হার কমিয়ে আনবে। কয়েকটি বড় শহরে দ্বিতীয় বাড়ির জন্য নেওয়া ঋণ বাদে বাকি সব ঋণের জন্য ব্যাংকগুলো ব্যবস্থা নেবে।

সিসিটিভির সূত্রে রয়টার্স জানিয়েছে, আবাসন বাজার চাঙ্গা করতে ৫০টির বেশি শহরে বিশেষ নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। সহস্রাধিক আবাসন কম্পানি এজাতীয় দিবসের ছুটির প্রচারণায় অংশ নিয়েছে। দেখা গেছে, এবারের প্রচারণায় বিভিন্ন প্রকল্পে মানুষের অংশগ্রহণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে।

চীনের দক্ষিণাঞ্চলের শেনঝেন শহরের প্রচারণায় আবাসন কম্পানিগুলো গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে অনেক রাত পর্যন্ত কার্যালয় খুলে রেখেছিল। বেচাকেনা যেমন বেড়েছে, তেমনি মানুষের আনাগোনাও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এমনকি অনেক গ্রাহক দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসব প্রকল্প দেখতে এসেছে।

গত মাসে চীনের গুয়ানডং প্রদেশের গুয়াংঝু শহরে বাড়ি কেনার ওপর সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। সাংহাই ও শেনঝেন শহর কর্তৃপক্ষ বলেছে, এসব শহরে অন্যান্য শহরের মানুষের আবাসন কেনায় যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা শিথিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আবাসন কেনার জন্য যে এককালীন অর্থ দিতে হয়, তাও কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।

সূত্র: সিএনএন মানি, রয়টার্স

বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টসের অর্ডার সরে যাচ্ছে ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে

রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা
ছবির ক্যাপশান,রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা

রাজনৈতিক অস্থিরতা, সরকার পতন এবং শ্রমিক অসন্তোষের জেরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশের একটা অংশ প্রতিবেশী ভারতসহ বিভিন্ন দেশের বাজারে চলে যাবার ঘটনায় উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিকে দেশের সবচে বড় রপ্তানি খাতের জন্য গভীর সংকট হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ক্রেতা এবং বাংলাদেশের পোশাক কারখানার মধ্যে মধ্যস্থতাকারী একটি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে সময়মতো শিপমেন্ট করতে না পারায় তাদের একটি ক্রেতার নব্বই শতাংশ ক্রয়াদেশ ভারতে চলে গেছে। ‘নো এক্সিট’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ জাকির বিবিসিকে বলেন, পরিস্থিতি ভালো হলে তবেই ক্রেতারা আবার ফিরতে পারেন।

“আমার অনেকগুলো অর্ডার ইন্ডিয়াতে প্লেস হয়ে গেছে। যে কাস্টমার আমার এখানেই কাজ করতো তার অর্ডারগুলো সে ইন্ডিয়াতে প্লেস করেছে শিপমেন্ট ও ডেলিভারি ইস্যুর কারণে। আমরা যদি পরিস্থিতি উন্নয়ন করতে পারি ক্রেতারা আবার ফিরে আসবে।”

বাংলাদেশের বড় বড় পোশাক কারখানা গড়ে উঠেছে এমন অঞ্চলের মধ্যে আশুলিয়া, সাভার এবং গাজীপুর এলাকায় সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। শ্রমিক অসন্তোষ এবং উত্তেজনার এক পর্যায়ে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে একজন শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে
ছবির ক্যাপশান,তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে

ক্রমাগত পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলা হলেও সেটি যে পুরোপুরি স্বাভাবিক নয় সেটি স্পষ্ট। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি রুবানা হক বর্তমান পরিস্থিতিকে পোশাক খাতের জন্য একটা বড় ধাক্কা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

“বারো থেকে পনেরো দিন প্রচুর ফ্যাক্টরি বন্ধ থেকেছে। একেবারে বন্ধ। কেউ কেউ আবার ধরেন দুপুর পর্যন্ত চালাতে পেরেছে এরপর পারেননি। এগুলোতো পুরাটাই লস। আর এর চাইতে বড় লস যেটা হচ্ছে সেটা হলো আমাদের যারা ক্রেতা তারাতো সরে যাচ্ছেন। তারা বলছেন যে আমরা তোমাদের সাথে আছি, বাংলাদেশকে লাগবে, সবই বলছেন, কিন্তু আমরাতো এটার বাস্তবতাটা জানি। বাস্তবতাটা হলো অন্তত শতকরা ২৫-৩০ ভাগ অর্ডার ডিসেম্বরের মধ্যে সরে যাবে। এবং বিভিন্ন দেশে চলে যাচ্ছে, ক্যাম্বোডিয়া যাচ্ছে, ভিয়েতনামে যাচ্ছে, ভারতে যাচ্ছে, পাকিস্তানে যাচ্ছে, এমনকি মিয়ানমারে চলে যাচ্ছে।”

রুবানা হক
ছবির ক্যাপশান,রুবানা হক

পোশাক খাতের সমস্যা তুলে ধরা নিয়ে একটি সংকট রয়েছে বলেও মনে করেন রুবানা হক।

বিবিসিকে তিনি বলেন, “যখন আপনি সাহস করে কোনো একটা সত্যি কথা বলতে যাবেন নানা দিক থেকে নানাভাবে আপনার উপরে সবাই চড়াও হবে। এবং বলবে যে এটা না বললেই পারতেন। কিন্তু এটা না বললেও কিন্তু ক্রেতারা জানেন যে ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ হচ্ছে। কাজেই সহজভাবে স্বচ্ছভাবে আমাদের সমস্যাগুলো যদি আমরা তুলে ধরতে পারি এবং বোঝাতে পারি যে এর পেছনে আরো অনেক কিছু কাজ করছে তাহলে সবাই মিলে কিন্তু সমবেতভাবে একটা সমাধানের দিকে যাওয়া যায়।”

শ্রমিক অসন্তোষ কেন

সরকার পতনের পর বাংলাদেশে পোশাক খাতে এক ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই আশুলিয়া, সাভার এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কারখানা বন্ধ থাকায় একটা বড় সময় ব্যহত হয়েছে উৎপাদন। সময়মতো পাঠানো যায়নি পণ্য যার বিরূপ প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই।

বাংলাদেশে রপ্তানি আয়ের  প্রধান উৎস পোশাক খাত
ছবির ক্যাপশান,বাংলাদেশে রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস পোশাক খাত

বাংলাদেশে পোশাক খাতে অস্থিরতার একাধিক কারণ সামনে আসছে। এর মধ্যে ঝুট ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মালিকানার সমস্যা, বকেয়া পাওনা, কিছু ক্ষেত্রে বহিরাগতদের উসকানি এবং শ্রমিকদের নতুন কিছু দাবি দাওয়া এর পেছনে কাজ করেছে।

আশুলিয়া এলাকায় শ্রমিক সংগঠনের একজন নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আগের সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক নেতাদের ফ্যাক্টরিতে যেমন সমস্যা হয়েছে, তেমনি পাঁচই অগাস্টের পর সুযোগ পেয়ে শ্রমিকরাও নানা দাবি নিয়ে মাঠে নামে।

“এ আন্দোলনটা শুরু হয় নারী-পুরুষ সমহারে চাকরির দাবিতে। আপনারা জানেন যে ত্রিশটার উপরে দাবি আসছে। একেক কারখানার একেক দাবি।”

বাংলাদেশ ন্যাশনাল লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম আক্তার মনে করেন শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টির নেপথ্যে বহিরাগত একটা প্রভাব কাজ করেছে।

“ঝুট ব্যবসা নিয়ে একটা সমস্যা- আগে যারা ছিল তাদের জায়গায় নতুন লোকজন এই ব্যবসা নিতে চায়। এছাড়া কিছু বহিরাগত সমস্যা ছিল। আর আন্তর্জাতিক কিছুটা চাপ থাকেই। যারা চায় আমাদের দেশ থেকে এই শিল্পটা আরেক দেশে যেন চলে যায়।”

মন্ত্রণালয়ে একটি পোশাক কারখানা শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষ ও সরকারের বৈঠক
ছবির ক্যাপশান,মন্ত্রণালয়ে একটি পোশাক কারখানা শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষ ও সরকারের বৈঠক

শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে ১৮ দফা চুক্তি হয়েছে। সব কারখানায় এই চুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হয়নি। এটাও একটা কারণ। গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহসভাপতি জলি তালুকদার বলেন, অবিলম্বে এই চুক্তি বাস্তবায়ন করতে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।

“মালিক, ঝুট ব্যবসায়ী যারা এলাকায় ষড়যন্ত্র করছে তারা যেন সেটা বন্ধ করে। সেই কথাটাই আমরা জোর দিয়ে বলছি যে আঠারো দফার চুক্তি হয়েছে সেটার বাস্তবায়ন যেন দ্রুত করে। সবগুলো ফ্যাক্টরিতেই যেন দ্রুত বাস্তবায়ন হয়।”

মালিক পক্ষের দিক থেকেও এই অস্থিরতার পেছনে বাইরের ইন্ধন বা একটা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে রুবানা হক বলেন, কোনো পোশাক খাতে অস্থিরতার মূল কারণ খতিয়ে দেখতে হবে সরকারকে।

“একেবারে নিঃসন্দেহে বাইরের ইন্ধন আছে এবং এর পেছনে কেউ না কেউ কাজ করছে। এখন এই শর্ষের ভূতটা কে, এটাতো বার করতে পারা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। কারণ আমরা শুধু শ্রমিক-মালিক সম্পর্কটা দেখতে পারি, এর পেছনে কাজ করতে পারি, নিজের ফ্যাক্টরিতে যেতে পারি কথা বলতে পারি। কিন্তু বাইরে কে আছে এটাতো দেখতে পারবো না। এটি সরকারকে দেখতে হবে।”আরো পড়তে পারেন

কারখানার নিরাপত্তা দিতে আশুলিয়া এলাকায়  সেনাবাহিনীর অবস্থান
ছবির ক্যাপশান,কারখানার নিরাপত্তা দিতে আশুলিয়া এলাকায় সেনাবাহিনীর অবস্থান

সংকট দীর্ঘায়িত এবং জটিল হবার পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঘাটতি ও সমন্বয়হীনতা একটা কারণ বলে অনেকে মনে করছেন। সরকার পতনের পর পুলিশ একটা বড় সংকটের মধ্যে দিয়ে গেছে। শিল্প পুলিশ, গোয়েন্দা মিলিয়ে যেভাবে সমন্বিতভাবে তৎপরতা চালাতো সেখানে একধরনের ঘাটতি দেখা দেয়। এখনও শিল্প পুলিশ বিভিন্ন জেলা থেকে এসে আশুলিয়া সাভার এলাকায় দায়িত্ব পালন করছে।

বিজিএমইএ কী বলছে

সরকার পতনের পর বাস্তবতা হলো বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএ’র নেতৃস্থানীয় অনেকেই নিরুদ্দেশ। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে এখন দায়িত্ব পালন করছেন আব্দুল্লাহ হিল রাকিব।

পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, এতদিন অনেকেই প্রকাশ করতে পারেনি। যার যত পুঞ্জিভূত ক্ষোভ এখন প্রকাশ করছে।

“আমি বলবো যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ের স্কোপ রয়ে গেছে। স্বদিচ্ছা সবারই আছে। চেষ্টা করছে। আর্মি ইজ গিভিং দেয়ার বেস্ট। এখানে আসলে উচিৎ সরকারকে আরো একটু কঠোর ভূমিকা পালন করা। আমরা কথা বলছি, তারাও হয়তো চেষ্টা করছেন।”

বিজিএমইএ'র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আব্দুল্লাহ হিল রাকিব
ছবির ক্যাপশান,বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আব্দুল্লাহ হিল রাকিব

পোশাক খাতে অস্থিরতার প্রভাব সম্পর্কে মি. রাকিব বলেন এটারতো একটা ইকনোমিক লস আছেই। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে।

“ডিরেক্ট ইমপ্যাক্ট হচ্ছে এই অর্ডারগুলো যেগুলো বিলম্ব হচ্ছে সেগুলো এয়ার শিপমেন্ট করতে হবে, ডিসকাউন্ট দিতে হবে, কাস্টমারের ক্ষতি হবে। আর ইনডিরেক্ট ইমপ্যাক্ট হচ্ছে এই যে নিউজটা এটা কাস্টমারের মাইন্ডসেট বা ডিসিশনে চেঞ্জ আনতে পারে। ব্র্যান্ডেড কাস্টমারদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। তারা সবাই আমাদের কনফিডেন্স দিচ্ছেন, এখন পর্যন্ত কিন্তু এটা কতদিন থাকবে জানি না।”

বিজিএমইএ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এও মনে করেন যে বর্তমানে যেসব কারখানা আক্রান্ত আছে সেটা সংখ্যা বিবেচনায় নগণ্য।

“এটাও সত্য যে এটা আসলে এক পার্সেন্টেরও কম, আমাদের টোট্যাল নাম্বারের তুলনায়।”

তবে পোশাক খাতের অনেক ব্যবসায়ী মনে করেন প্রকৃত সংকট আরো গভীর। এছাড়া সংগঠনের ভূমিকা নিয়েও কারো কারো প্রশ্ন রয়েছে।

এ ব্যাপারে আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, “আমাদের সাধারণ সদস্যরাই মনে করেন যে বিজিএমইএ সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। আপনি যদি দু’সপ্তাহ আগের অবস্থা দেখেন আর এখনকার সিচুয়েশন, অনেক উন্নতি হয়েছে। যত দ্রুত আমরা এই সিচ্যুয়েশনটা ডিল করতে পারবো, তত দ্রুত কাস্টমারদের কনফিডেন্স লেভেল ব্যাক করবে।”

শ্রম মন্ত্রণালয় কী বলছে

বাস্তবতা প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারখানায় মজুরি বকেয়া, ছাঁটাইসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে ঝামেলা লেগেই আছে। সরকার এখন কারখানাভিত্তিক সমস্যা ধরে সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছে। যৌথবাহিনীর আশুলিয়া সাভার এলাকায় বেশ তৎপর হয়েছে। কোথাও কোনো কারখানায় সমস্যা হলে গিয়ে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছে।

পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের শান্ত রাখতে শিল্প পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি এবং মালিক-শ্রমিক এবং ট্রেড ইউনিয়নের তৎপরতার মূল বার্তা হলো কোনোভাবেই শ্রমিক অসন্তোষ যেন বড় না হয়। ছড়িয়ে না পড়ে।

শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া
ছবির ক্যাপশান,শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া

শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বিবিসি বাংলাকে বলেন, শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়ে সরকার কাজ শুরু করেছে। আঠারো দফা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যেসব কারখানায় বকেয়া বেতন রয়েছে সেখানে প্রয়োজনে সরকার ঋণ দিয়ে বেতন ভাতা পরিশোধের ব্যবস্থা নিচ্ছে।

“সর্বোচ্চ কনসালটেশনের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে চাই। এবং সমাধান করে আসছি। ঝুট ব্যবসা নিয়েও আমরা কাজ করছি, কীভাবে কেন্দ্রীয়ভাবে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এটাকে কেন্দ্র করে যে রাজনৈতিক সহিংসতা সেখানে হয়, প্রতিবারই ট্রানজিশনের সময়, সেটাকেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তো সার্বিক বিষয়টাকে আমরা এড্রেস করছি। আর নিরাপত্তার বিষয়টা সময়ের সাথে সাথে আরো উন্নতি করবে। এখন বিজনেসম্যানরা মোটামুটি একটা কনফিডেন্সে এসেছে যে নিরাপত্তাটা আমরা দেয়ার চেষ্টা করছি।”

পোশাক খাতে অস্থিরতা নিরসন না হলে এর প্রভাব পড়বে দীর্ঘমেয়াদে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে বড় ক্ষতির মুখে পড়বে দেশ।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বিবিসি বাংলাকে বলেন, মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন, মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটিয়ে দ্রুত এই অস্থিরতা নিরসন জরুরি।আরো পড়তে পারেন

ড. গোলাম মোয়াজ্জেম
ছবির ক্যাপশান,ড. গোলাম মোয়াজ্জেম

“আমাদের আসলে ক্ষতি অনেক বড়ই বলতে হবে। ক্ষতি এই অর্থে যে আমাদেরতো শুধু কারখানার অর্ডার এবং শ্রমিকের মজুরি না এই মুহূর্তে আমাদের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে যেখানে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে- রপ্তানি ও রেমিট্যান্স। সেদিক থেকে আমাদের জন্য কারখানা পর্যায়ে স্থিতিশীলতা ফিরে আসা, এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। এ অবস্থান ধরে রাখা এবং প্রবৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য শ্রমিক অসন্তোষের স্থায়ী সমাধানে কাজ করা এবং দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ব্যবস্থা নেয়ার কোনো বিকল্প নেই, একথা সবাই বলছেন।

Some RMG work orders shifted to other countries for unrest

Some garment work orders have shifted to competitor countries as a result of the recent spell of labour unrest in major apparel manufacturing belts across Bangladesh.

Renowned entrepreneur and garment exporter Tapan Chowdhury made the remark during a conversation with members of the Economic Reporters’ Forum (ERF) at its office in Dhaka yesterday.

Chowdhury, chief executive officer of Square Group, said his company, which produces garment items for leading clothing brands, had seen a portion of work orders shift to other countries, especially Sri Lanka, as buyers want to avoid uncertainty and ensure smooth and timely supply of goods.

However, it is expected that these brands will return with a handful of work orders for his company and Bangladesh as a whole if stability and normalcy are restored.

Chowdhury, also managing director of Square Pharmaceuticals, said the law-and-order situation in major garment-producing areas is better now than it was during the initial days after the interim government was formed.

Replying to queries, he said Bangladesh’s graduation from the group of Least Developed Countries (LDCs) should be postponed as the sudden erosion of the preferential trade benefits may present challenges for businesses.

He added that investors had delayed plans to set up industries in the Active Pharmaceutical Ingredients (API) Industrial Park in Gazaria of Munshiganj as gas connections were yet to be provided.

He further said that Square Group plans to list more companies under the conglomerate on the stock markets if better opportunities arrive in the future, although he conceded they are now facing difficulties in managing their two listed companies.

“We are feeling very comfortable after a big change,” he said regarding the political changeover and the business environment in the country.

“We are hopeful as the interim government’s tenure is short and they want to bring a positive change. The advisers to the interim government are also saying that such an opportunity will not come again.”

During a recent visit to the US to attend the United Nations General Assembly, chief adviser Prof Muhammad Yunus asked major clothing brands to source more garment items from Bangladesh, Chowdhury said.

The Square Group CEO also voiced his support for the action being taken by the interim government against corrupt businessmen.

He recalled how he was involved in the family business with his father, where he learned not just to manage day-to-day operations, but also the importance of values and ethics in running businesses.

Chowdhury also mentioned a few instances of how some leading pharmaceutical companies failed to survive due to their tendency to dodge taxes.

He said it was very unfortunate that the reforms adopted by the previous caretaker government were not continued by the immediate past government.

“I want to believe change will come. I hope the interim government will be successful. The political leaders should also know that power does not exist forever.”

Although the textile and garment sectors are the biggest and most successful sectors in terms of contribution to the economy, employment generation and women empowerment, they have been facing some challenges due to labour unrest.

However, Chowdhury said the employees of Square are considered family members and this is the main strength of the company’s values.

The workers, especially female workers, also have a huge contribution to the sector’s success, he said.

“They spend their primes working in the garment sector and then contribute to their families, but it does not affect their productivity,” he said, adding that female garment workers in Bangladesh are extremely disciplined.

“We want stability in the country. The decision of who will run the country will come through a vote,” he added.

Large industries are investing in the heavy industrial sector and if the opportunity presents itself, Square Group also has plans to invest in large and heavy industries.

Since the county does not have a petrochemical industry, there is a lack of APIs.

Chowdhury added that the price of medicine is fixed through stringent consultation among regulators. As the drug administration monitors the process, companies cannot fix prices at will.

However, he said prices of oncology medicines are higher as most are imported.

মিরপুরে পোশাকশ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট

বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা-ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন কচুক্ষেত এলাকার আটটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল থেকে বেতনের দাবিতে ইউনিফর্ম টেক্সটাইল লিমিটেডের কর্মীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। এতে আশপাশের সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আন্দোলনরীরা জানান, ইউনিফর্ম টেক্সটাইলের প্রায় ১৩’শ শ্রমিকের দেড় মাসের বেতন না দিয়ে মালিকপক্ষ পালিয়েছে। বেতন চাইলে বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকিও দিচ্ছেন। রোববার (১৩ অক্টোবর) কারখানা বন্ধ করে মালামাল সরিয়ে নিয়ে বলেও অভিযোগ করেন শ্রমিকরা। বকেয়া বেতনসহ সব পাওনা বুঝিয়ে না দেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।

সুলতান মাহমুদ নামে এক পোশাকশ্রমিক বলেন, গত তিন মাস ধরে আমাদের বেতন বকেয়া আছে। বেতন না দেয়ায় আমাদের পরিবার চলছে না। বকেয়া না পাওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না।

সোহরাব নামের আরেক পোশাকশ্রমিক বলেন, আমরা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু মালিকপক্ষ আমাদের বেতন না দিয়ে ঘুড়াচ্ছে। আমাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করলে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

এদিকে দুর্গাপূজার সরকারি ছুটি শেষ হওয়ার পর প্রথম কর্মদিবসে এই আন্দোলনের কারণে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। সড়ক অবরোধের ফলে মিরপুর-১৪ থেকে কচুক্ষেত পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

Ashulia labour unrest: Over 1,000 workers sued in two cases, 16 arrested

Two separate cases have been filed against more than a thousand garment workers in Dhaka’s Ashulia over alleged assault and vandalism in two garment factories during a labour protest.

A total of 139 people have been named in the cases and 960 unidentified people were accused.

Ashulia Police Station Officer-in-Charge Abu Bakar Siddique told The Business Standard that joint forces have arrested a total of 16 people in connection with the cases since yesterday

Of them, four were arrested in the case filed by Ssain Apparels Limited and 12 were arrested in the case filed by Future Clothing Limited, said Ashulia Police Station Inspector (Investigation) Md Kamal Hossain.

When contacted, Future Clothing Limited’s Manager (HR, Admin and Compliance) Emdadul Haque and Ssain Apparels Limited’s Assistant Manager (Admin) Sujat Mallik refused to comment on the matter.

Earlier yesterday, joint forces arrested four workers of Ssain Apparels Limited and eight of another factory on charges of beating factory officials.

The four detained Ssain Apparels workers were staging a protest demanding wages for the ‘no work, no pay policy’ period, recently implemented by factory authorities amid labour unrest.

What’s driving RMGs to losses, what’s ahead?

Many large garment factories in Bangladesh have scaled up their production, but the focus remains on low-cost, mass-produced items. Also, smaller factories are either struggling or shutting down altogether. With 40% of garment factories currently operating at a loss, the future of Bangladesh’s garment industry looks uncertain.

Dr Khondaker Golam Moazzem, research director at the Centre for Policy Dialogue, warns that the number of factories may shrink in the coming years if manufacturers fail to shift toward producing high-value, higher-margin goods. He attributes the sector’s growing risks to declining competitiveness, poor strategies, rising costs, and an over-reliance on the same low-cost products, with little effort to diversify.

“Even large factories that have expanded are still producing the same cheap products, and buyers are aware of this overcapacity,” he said.

The Business Standard spoke to 15 entrepreneurs and exporters of readymade garments and textiles. Nine of them reported that their factories are currently operating at a loss. Three are accepting orders at break-even points, while two are making any profits, although less than half of what they previously earned. Only one entrepreneur mentioned maintaining the same level of profit as before.

Twelve out of 15 entrepreneurs indicated they were not making profits. A loss, in this context, refers either to a decline in profits or a rise in costs, meaning 80% of those factories are now unprofitable.

The primary reasons for this downturn include a drop in global demand for apparel translating to fewer orders along with a sharp increase in gas and electricity rates and supply shortages of inputs. Production costs have also surged by nearly 50% due to an increase in wage and utility expenses.

Further challenges include difficulties with banks’ credit limits, higher bank liabilities and fear of defaulting on loans.

Increased production costs and falling orders are causing many apparel makers to lose money or barely break even.  The recent devaluation of the taka against the dollar, while expected to help apparel exporters, has been overshadowed by rising energy costs and wages and garment makers fear much worse to come including loan defaults and factory shutdowns.

This situation dragged on for a couple of years and it has worsened further by a series of events since July and some regulatory measures. The issues, if not tackled, might create new loan defaulters in the apparel industry apart from causing export revenue drop and job losses, industry insiders and trade analysts warned.

 Going out of business

The spate of incidents following the July-August student uprising and the labour unrest in some areas of Gazipur and Savar for a span of over three weeks have made it difficult for some factories paying workers’ wages next month which may provoke fresh discontent.

According to the labour and employment ministry, 70 industries, including garment factories, have not paid their August salaries till 30 September.

According to data from the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) and the Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association (BKMEA), around 250 of their member factories have closed in the last two years. Leaders of these trade bodies stated that although some factories have resumed production during this period.

“In my 36 years in this sector, I have faced many tough times, but I have never experienced anything as difficult as the current situation.”

Mohammad Hatem, BKMEA president

In the past two weeks alone, major groups like Crony Group and Birds Group have shut down their factories reflecting the severity of the situation.

Similarly, the owner of Adams Apparels Limited and Adams Styles, located in Mirpur, Dhaka was compelled to shut down one of the factories earlier this year due declining orders and mounting bank liabilities.

Shahidul Haque Mukul, managing director of the factory, said, “The problem started with Covid-19. After the Russia-Ukraine war, orders started to decline. We were not getting support from banks. There was customs harassment – we couldn’t cope with these and at one point workers’ salary fell in arrears. Later, the production had to be reduced.”

 Losing profitability

It is not only small factories that are at risk; relatively large factories are also in danger. Many have started to lose money largely due to declining orders and the utility crisis.

Fatullah Apparels Limited, located in Narayanganj on the outskirts of the capital, reported a loss of Tk3.62 crore for FY24 as prices offered by buyers did not cover the cost of production.

Fazlee Shamim Ehsan, chief executive officer of the company, said, “This loss figure stands even after factoring in gains from the devaluation of the taka against the dollar and government incentives.”

Fatullah Dyeing Limited, another factory owned by the same entrepreneur, incurred an even greater loss of Tk7.5 crore during the same period. According to Ehsan, while the price of gas has surged, supply has been insufficient, forcing the factory to operate at less than half its capacity.

Bankers see decline

Bankers involved in back-to-back LCs for garment exports or raw material imports have revealed a recent decline in the profitability of garment manufacturers.

A senior official at a key branch of City Bank in the capital, who manages five major exporter groups – have seen three of the businesses affected by recent unrest.

The official, who spoke to TBS on the condition of anonymity, said, “Buyers are taking advantage of the currency devaluation as the flow of orders is low.”

He added, “A reputed company recently faced issues due to the unrest. As several companies were unable to export on time, their bank liabilities have increased.”

An officer at an IFIC Bank branch in Uttara also mentioned that the liabilities of some factories have increased recently. A forced loan was issued after a factory failed to pay its instalment on time.

“But none of the 10 garment factories faced such a situation even two years ago,” he added.

Explaining the reason for this, he said, “As far as I know, most of the benefits from currency exchange are going into the buyers’ pockets. As a result, businesses are unable to offset the increased cost of production.”

He also reiterated that the liabilities of several factories have risen.

Syed Mahbubur Rahman, managing director of Mutual Trust Bank, attributes the decline in the profitability of garment manufacturers to their inability to run factories at full capacity. He believes that those with a high loan component may be at risk in this situation.

Declining profits

Several leading exporters in the country, speaking to TBS on the condition of anonymity, revealed that the return on investment in garment factories is typically calculated over three to four years, with a standard net profit margin of 6-9%. While this profit range was achievable in the past, few seem able to reach it now.

“My profit has dropped to 2.5%,” said the owner of a factory that employs 15,000 workers.

However, the owner of a smaller factory with 450 workers that produces relatively high-end products, reported maintaining profitability. Speaking on condition of anonymity, he said, “I make relatively high-end, unique garments, and my buyers are factoring in the increased production costs when placing their bids.”

50% rise in cost of production

RMG factory owners say production costs have increased by 50% over the last two years while prices in some cases have decreased. Some factories are offsetting these losses through gains from currency devaluation and government incentives. However, factory operations have been disrupted since July.

For the past month, labour unrest has disrupted production in factories in Gazipur and Savar areas where most large factories are located. Additional costs, such as allowances for tiffin bills, have further strained operations.

BKMEA Presidnt Mohammad Hatem said, “In my 36 years in this sector, I have faced many tough times, but I have never experienced anything as difficult as the current situation.”

Rakibul Alam Chowdhury, managing director of Chattogram-based HKC Apparels Limited, told TBS, “Orders have decreased by 30%. We are incurring losses but still taking orders. In this situation, we have to borrow to pay wages and utility bills, which is leading to an increase in our bank liabilities.”

Fear of being loan defaulters

Most entrepreneurs fear the pressure of paying salaries and repaying bank loans may escalate in the coming months potentially increasing the number of defaulters due to this dual pressure.

Starting in September, failing to pay just three instalments will classify borrowers as defaulters, Mohammad Hatem pointed out.

“Harder times are ahead. I may also become a defaulter,” he said.

The situation is similarly bleak for entrepreneurs in the textile sector, which is struggling primarily due to the gas crisis. Many are also facing challenges in accessing funds from banks against local back-to-back letters of credit (LCs).

Azahar Khan, chairman of Mithela Textile Industries, expressed his concerns to TBS: “I don’t know how I will pay salaries next month if we don’t receive funds from banks. The growing discontent is concerning.”

He added, “My factory is on life support due to the gas crisis.”

Monir Hossain, managing director of Fariha Spinning Mills, described a different but equally troubling issue, saying, “The bank is not releasing my funds after processing local back-to-back LCs, despite receiving the buyer’s acceptance. I currently have $5 million stuck, which prevents me from paying the gas bill and repaying loans taken under the Export Development Fund (EDF), which carries an interest rate of 5-6%. If we fail to repay the EDF on time, the regular interest rate will apply.”

“If this continues, we may have to shut down the factory within six months due to the debt burden. In my 40 years of entrepreneurial experience, I have never encountered such a situation,” he lamented.

Below fair market rate

Some factory owners have significantly expanded their production capacity, anticipating future growth. However, after the onset of the Ukraine war, orders declined, and in an effort to minimise losses, many entered into fierce competition, accepting orders at prices below fair market rates.

Md Shehabudduza Chowdhury, managing director of Amity Fashions Limited, said, “We began competing among ourselves to secure orders. As a result, buyers noticed that orders were being placed at reduced prices, and they took advantage of the situation.”

At least 10 out of 15 entrepreneurs reached by TBS have been affected by this. Those unwilling to offer lower prices, lost out on orders, while others created an unhealthy environment in the sector by accepting orders at prices below production costs.

Are currency devaluation benefits going to buyers’ pockets?

Professor Mustafizur Rahman, a distinguished fellow at the Centre for Policy Dialogue, said, “Some challenges faced by garment exporters have intensified recently.”

He asked, “The currency has devalued by 35% against the USD in the past two years. Why should exporters be worse off after receiving this benefit? Does this advantage simply enrich foreign buyers?”

He emphasised that entrepreneurs in Bangladesh need to enhance their negotiation capacity.

MA Razzaque, an international trade expert and chairman of Research and Policy Integration for Development, believes the current situation is largely due to a decline in global demand for clothing.

“It is not just Bangladesh’s exports that have decreased; other competing countries have also experienced declines. However, our decline has been at a higher rate,” he added.

Meghna Group partners with Turkey’s Tam Hangers to produce RMG hangers

The Meghna Group is collaborating with Turkey’s renowned Tam Hangers to produce plastic garment hangers for export to retailers worldwide.

In Bangladesh, this collaboration operates under the name Tam Hangers Bangladesh Limited, with 51% ownership held by Tam Hangers and 49% by Meghna Group.

A new facility in Mirzapur, Tangail, began trial production on 4 October, using 16 machines, each capable of producing 30,000 hangers a day. The facility plans to expand to 40 machines with a total investment of $7.5 million, creating approximately 500 jobs.

Md Shahidullah Shahid, head of International Business Development at Meghna Group, said they will continue trial production for three months.

In addition to producing new hangers, the company is recycling old ones sourced from abroad to create new products, thus reusing raw materials for virgin production. 

Tam Hangers is a leading supplier of hangers to global brands and operates in over 50 countries, including the UK, China, Germany, Italy, India, and Australia.

According to the company’s website, Tam Hangers has been involved in the production and sales of hangers since 1972, serving the global textile and apparel market.

Paul Williams, co-CEO of Tam Hangers, attended the factory’s opening ceremony alongside other directors from the Meghna Group.

Shahid said their three-storey factory currently occupies two acres, with an investment of $3 million to date. Located within the 34-acre Meghna Industrial Park, the facility is set to expand to five stories.

“After an audit, we will begin shipping directly to retailers, while the products made during this period will be stored,” he added.

He said the factory is committed to sustainable production practices, noting that it will use recycled materials and operate entirely on solar power, with an initial 500-kilowatt solar setup in place.

Shahid also said they have been nominated as a supplier of hangers for global brands, including Marks & Spencer and H&M. 

“These brands purchase garments from Bangladesh, and the companies supplying products to them will source hangers from us,” he added.  

“However, we will also export products directly,” Shahid said, mentioning that the new facility is located near Meghna Group’s production unit, which manufactures plastic buttons, labels, and other garment accessories. 

According to the Bangladesh Garments Accessories and Packaging Manufacturers and Exporters Association, there are about 1,800 packaging and accessory manufacturing units, primarily located in Gazipur, Narayanganj, and Tangail. 

These factories produce over 40 types of products—including buttons, plastic hangers, polybags, labels, zippers, and thread—contributing approximately $8.22 billion (deemed and direct) in earnings for the country during the 2022-23 fiscal year, with about $1 billion coming from direct exports. 

The association’s adviser Md Moazzem Hossain Moti told TBS that direct hanger exports earned $30 million for Bangladesh last year, adding that foreign investment will further boost the industry. 

Concerning the sustainability of the project, Shaidullah Shahid said Bangladesh needs a circular economy to achieve sustainable economic development amid global climate risks. Global brands are also encouraging manufacturers to focus more on recycling in their production processes. 

At the Bangladesh Business Summit 2023, H&M Group’s Stakeholder Engagement and Public Affairs Manager Faisal Rabbi said recycled materials and decarbonisation will be crucial for the ready-made garments sector, as these may soon be requirements for market access in the European Union. 

The backward linkage industry in Bangladesh supplies 90% of the necessary accessories for export-oriented garments, positioning it as a potential hub for meeting global market demand.

পোশাকের কিছু কার্যাদেশ অন্য দেশে চলে গেছে

দেশের কয়েকটি পোশাক কারখানায় সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষের কারণে পোশাকের কিছু কার্যাদেশ অন্য দেশে চলে গেছে।

গতকাল বুধবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে আলাপকালে পোশাক রপ্তানিকারক ও স্কয়ার গ্রুপের প্রধান নির্বাহী তপন চৌধুরী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘কয়েকটি শীর্ষ পোশাক ব্র্যান্ড কাজের একটি অংশ অন্যান্য দেশে, বিশেষ করে শ্রীলঙ্কায় দিয়েছে। বিদেশি ক্রেতারা অনিশ্চয়তা এড়াতে ও পণ্যের সময়মতো সরবরাহ নিশ্চিত করতে চান।’

আশা করা হচ্ছে, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরলে কয়েকটি কার্যাদেশ আবার দেশের ফিরে আসবে।

তার দৃষ্টিতে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রথম দিনগুলোর তুলনায় এখন পোশাক কারখানা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তপন চৌধুরী বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় যাওয়া স্থগিত করা উচিত। কারণ, অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা হঠাৎ কমে গেলে ব্যবসায় সংকট হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই) ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে গ্যাস সংযোগ না থাকায় কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা বিনিয়োগকারীরা পিছিয়ে দিয়েছেন।’

‘ভবিষ্যতে ভালো সুযোগ পেলে স্কয়ার গ্রুপ পুঁজিবাজারে আরও প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করবে,’ উল্লেখ করে তিনি জানান যে তাদের তালিকাভুক্ত দুইটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সমস্যা হচ্ছে।

দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও ব্যবসার পরিবেশ নিয়ে তার মন্তব্য, ‘বড় ধরনের পরিবর্তনের পর আমরা খুব স্বস্তি বোধ করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সংক্ষিপ্ত। আমরা আশাবাদী কারণ তারা ইতিবাচক পরিবর্তন চান। সরকারের উপদেষ্টারাও বলছেন, এমন সুযোগ আর আসবে না।’

‘জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান পোশাক ব্র্যান্ডগুলোকে বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য কেনার আহ্বান জানিয়েছেন।’

স্কয়ার গ্রুপের প্রধান নির্বাহী দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত উদ্যোগের প্রতি তার সমর্থন জানান।

কিছু শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রতিষ্ঠান কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতার কারণে কীভাবে টিকে থাকতে পারেনি এর কয়েকটি উদাহরণও দেন তপন চৌধুরী।

‘আমি বিশ্বাস করি, পরিবর্তন আসবে। আশা করছি, অন্তর্বর্তী সরকার সফল হবে। রাজনৈতিক নেতাদেরও জানা উচিত, ক্ষমতা চিরদিন থাকে না।’

Despite RMG concerns, businessmen mostly at ease under interim govt: Square CEO

Tapan Chowdhury, CEO of Square Group and former adviser to a caretaker government, has said despite the instability in the garment sector, businessmen are feeling much more at ease under the interim government compared to the previous government’s over 15-year period.

“We feel quite comfortable now. A significant change has taken place and we are witnessing major transformations in government offices. Previously, the environment was so dire that no one could speak out,” he said addressing the “Tapan Chowdhury Conversation with ERF Members” at the Economic Reporters Forum (ERF) today (9 October).

The businessman also said that the country should be governed by political parties and urged the interim government to provide an election roadmap as soon as possible.

ERF President Refayet Ullah Mirdha presided over the event while the organisation’s General Secretary Abul Kashem moderated the event, held at the ERF auditorium.

Referring to the RMG unrest, Tapan said, “Due to the unstable conditions in our country’s apparel sector, many buyers are shifting to Sri Lanka. They previously sourced garments from there, but because of the instability in Sri Lanka, they turned to us. Now, with our current instability, they are returning there.”

Expressing hopes for stability, he said that while the situation still remains volatile, gradual changes are occurring as the government has taken some measures. 

“External actors often contribute to the destabilisation of this sector and it is also politicised domestically. We must address this for the country’s sake, as around 45 lakh workers, mostly women, are directly employed,” the businessman said.

Regarding the revenue authority, Tapan said, “The current NBR chairman has a very positive approach and is engaging with stakeholders regularly. The same goes for the Ministry of Commerce. Hence, we are optimistic about the future.”

In response to a journalist’s question, the businessman said, “I do not think that there is a need for business representatives on the interim government’s advisory council. Traders tend to lobby for their own interests. Currently, no council members are businessmen, which allows for equitable benefits across all sectors.”

Regarding major business groups like S Alam and Beximco that have engaged in unethical practices, the Square CEO said, “The government is taking action against those involved in such practices, based on evidence.”

“There is a societal tendency to expect overnight success in business. We need to move past that mentality and conduct business ethically to achieve our goals. Many successful businessmen who did not follow ethical practices have ultimately faced failure,” he added.

World Cotton Day 2024 celebrated with theme “Weaving a Beautiful Future for Cotton”

October 7 is celebrated globally as World Cotton Day. This year the theme of the day is “Weaving a Beautiful Future for Cotton.”

The World Cotton Day is dedicated to showcasing cotton’s incredible versatility. While cotton is a staple in the textile industry, it also plays a crucial role in animal feed, medical supplies, and even the production of edible oil.

This year World Cotton Day marks the 5th anniversary of this international event, which honors one of the most widely used plants — cottonseed and cotton fiber being its most notable products.

World Cotton Day 2024 celebrated with theme “Weaving a Beautiful Future for Cotton”
Figure 1: The World Cotton Day is dedicated to showcasing cotton’s incredible versatility.

Notably, cotton is unique among crops. First of all, we get fiber from the seed. Besides, more than five million tons of cotton seeds are produced in the world every year as a by-product. From cottonseed, we get edible oil and ghee. Khail is used as cattle and fish feed.

The idea for World Cotton Day originated from the Cotton Four nations—Burkina Faso, Benin, Chad, and Mali—and other cotton-producing countries in Africa, aiming to promote cotton by-products and their markets.

The United Nations General Assembly officially recognized October 7 as World Cotton Day on August 30, 2021. It has been observed since 2019 to highlight the global importance and significance of cotton.

By recognizing the greater economic and social impact of cotton worldwide, the United Nations declared World Cotton Day and included it in the United Nations permanent calendar. Since then, every year on October 7, World Cotton Day is celebrated to highlight the importance of cotton worldwide.

Since then, the purpose of World Cotton Day has been to create jobs in Least Developed Countries (LDCs) – an opportunity to highlight its role in maintaining economic stability, promote sustainable trade policies and enable developing countries to benefit from every stage of cotton production.

More than 100 million households are directly involved in cotton production and produce 25-26 million tons of raw cotton, with an average of about 800 kg of fiber cotton produced per hectare.

Figure 2: More than 100 million households are directly involved in cotton production and produce 25-26 million tons of raw cotton.

Cotton is produced in more than 75 countries of the world. It is a poverty-relieving crop – employing people in the least developed countries of the world. It is the only agricultural product that provides both fiber and food. Cotton can also be grown in dry, arid and salinity land – something that is not possible with other crops.

To increase the use of cotton, increase demand, inform people about the benefits and value of cotton, create positive media coverage for cotton around the world, get support from government representatives of important cotton countries, and involve the UN and the UN and world, are also the objectives of celebrating the cotton day.

Through World Cotton Day, every stakeholder like cotton production, ginning, spinning, garments, brands or retailers, consumers, academics, researchers, media workers, NGOs and government authorities can realize the importance. Producers produce cotton, use cotton in ginning spinning and garments, and produce cotton products, brands or retailers influence cotton choice decisions.

The cotton crop is perfectly suited to tropical and temperate regions of the world. Overall cotton occupies only 2.1 percent of the world’s arable land and yet fulfills 27 percent of the world’s textile sector.

More than seventy countries in the world’s tropical and temperate regions grow cotton on 33–35 million hectares each year—2.5 percent of the world’s cultivated land.

In Bangladesh, about 80-85 lakh bales of fiber cotton are required annually for the 450 yarn mills in the textile sector – the bulk of which is met by imports from abroad and this demand is increasing.

About taka 25-30 thousand crore have to be spent every year to import this amount of cotton.

At present, only three percent of the total demand can be met in our country, the remaining 97 percent of cotton has to be imported from abroad. 5000 Garments and other sectors of ready-made garments directly involve about 5 million people. Considering these, World Cotton Day is very important for Bangladesh. In the fiscal year 2022-23, 46.99 billion US dollars were earned from the textile sector. Moreover, 84% of our foreign exchange earnings come from the garment sector.

The demand for cotton is expected to increase exponentially in the future. This increase in demand will increase the need for sustainable cotton.

On the other side, the use of pesticides in conventional cotton production worldwide pollutes the environment. So sustainable cotton production is the best solution to this problem. Sustainable cotton must be produced by reducing the use of hazardous chemicals and using less water.

This will increase farmers’ income and reduce poverty. Sustainable cotton production has started in Bangladesh in collaboration with Cotton Connect.

RMG BANGLADESH NEWS