বিদেশি কাপড় আমদানিতে নিয়ন্ত্রণ চায় বিশেষায়িত বস্ত্র খাত। উদ্যোক্তারা বলেছেন, বৈধ-অবৈধভাবে দেশে আসা বিদেশি কাপড় বাজার দখল করে নিয়েছে। এ কারণে দেশি বস্ত্র খাত অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে।
বস্ত্র খাতের আধুনিয়কায়নে সরকারি-বেসরকারি এক সংলাপে এসব কথা জানান স্পেশালাইজড মিলস অ্যান্ড পাওয়ারলুম অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসটিএমপিআই) সভাপতি আজিজুল হক। গতকাল রোববার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সংগঠনের পক্ষে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এফবিসিসিআইর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্সপায়ার্ড প্রজেক্টের টিম লিডার আলী সাবেত, সাংসদ আবদুর রউফ প্রমুখ সংলাপে অংশ নেন।
চলতি অর্থবছরে বাজেটে বিশেষায়িত বস্ত্র খাতে প্রথমবারের মতো আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার, স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা ও এ খাতের পোশাক পল্লী নির্মাণসহ ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয় বিএসটিএমপিআইর পক্ষ থেকে। সংগঠনের অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে, পোশাক খাতে দেশি বস্ত্র ব্যবহার উৎসাহিত করা, শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা কাপড় খোলাবাজারে প্রবেশ রোধ করতে উদ্যোগ নেওয়া, বস্ত্র খাতের আধুনিকায়নে বিদেশি উৎসের ঋণ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া ইত্যাদি। বিশেষায়িত বস্ত্র কারখানায় শার্ট-প্যান্টের কাপড়, শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, লংক্লথ, পপলিন, শাটিং-সুটিং ইত্যাদি উৎপাদিত হয়ে থাকে। সারাদেশে এ ধরনের ৪৫০টি কারখানা রয়েছে।
গুলশানের হলি আর্টিসান এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার প্রতি ইঙ্গিত করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, এ দেশের অগ্রযাত্রাকে রুখতেই এ ধরনের হামলা চালানো হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এখন আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আবার এ দেশকে টার্গেট করা হয়েছে। জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এসব জঙ্গিকে প্রতিহত করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি দেশে যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে, তা বন্ধ করতে না পারলে বিশ্বের কাছে দেশের অর্জন ম্লান হয়ে যাবে। অনেক কষ্টে পাওয়া স্বাধীনতাও হুমকির মুখে পড়বে। উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো নির্বাচিত সরকার অজনপ্রিয় কিছু করতে চায় না।