Home বাংলা নিউজ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমির ভাড়া বর্গমিটারে ৪ হাজার টাকা: বেজা

অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমির ভাড়া বর্গমিটারে ৪ হাজার টাকা: বেজা

বেজা

অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পকারখানা স্থাপনে উদ্যোক্তাদের প্রতি বর্গমিটারে ৫০ ডলারের সমপরিমাণ চার হাজার টাকা ভাড়া গুনতে হবে। এককালীন ৫০ বছরের জন্য এ ভাড়া দিতে হবে। আজ বুধবার অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) গভর্নিং বোর্ডের সভায় ভাড়া নির্ধারণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এতে সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে। বেজার ছয় সদস্যের ট্যারিফ কমিটি দেশে ইপিজেড ও বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলের (ইজেড) ভাড়া পর্যালোচনা শেষে নির্মাণাধীন ও প্রস্তাবিত অঞ্চলগুলোর জমি ব্যবহারে ভাড়া নির্ধারণের সুপারিশ করেছে। জমির ভাড়া ছাড়াও বিভিন্ন সার্ভিস চার্জের প্রস্তাব করেছে কমিটি। সুপারিশে বলা হয়, ইজেডগুলোতে সাধারণভাবে ৫০ বছরের এককালীন ভাড়া দিতে হবে। তবে বেজার উন্নয়ন করা জমির ভাড়া শিল্পের জন্য এককালীনের পরিবর্তে বছরে প্রতি বর্গমিটারে তিন ডলার ও কারখানার পাশের ফাঁকা জমির ভাড়া দুই ডলার হবে।

ইজেডগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল, সিইটিপি, এসটিপি ও ডবি্লউটিপির জমির জন্য গুনতে হবে প্রতি বর্গমিটারের এককালীন ভাড়ার অর্থের ৮০ শতাংশ। অন্যদিকে ইজেডে নির্মিত ভবনে প্রতি বর্গমিটারে কারখানা করার জন্য ভাড়া হবে প্রতি মাসে চার ডলার ও বাণিজ্যিক এলাকার ক্ষেত্রে ছয় ডলার। এসব জমি ও ভবনের ভাড়া পাঁচ বছর পর পুনর্নির্ধারণ করা হবে। এ ছাড়া সার্ভিস চার্জের ক্ষেত্রে পানির জন্য ওয়াসার দরের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি। পরিশোধন ব্যয় ও রিসাইক্লিং ব্যয়ের সঙ্গে আরও ১০ শতাংশ বেশি দিতে হবে। বিদ্যুৎ সরবরাহ মূল্য ও গ্যাসের ক্রয়মূল্যের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি দিতে হবে। তরল বর্জ্য পরিশোধনে অপারেটর চার্জের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি ধরা হয়েছে। তাছাড়া রেগুলেটরি পারমিট ফি ৫০০ এবং শিল্প ইউনিট নিবন্ধন ফি প্রায় ৪০ হাজার টাকা (৫০০ ডলার)। শিল্প ইউনিটের নকশা অনুমোদন ফি ১০ হাজার ও অর্থনৈতিক জোনের নকশা অনুমোদন ফি ৫০ হাজার টাকা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ফি বছরে প্রতি বর্গমিটারে ৪০ টাকা বা ৫০ সেন্ট। কমপ্লায়েন্স চার্য পরে নির্ধারণ করা হবে।