সরকারি ছুটির মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় কাস্টমস হাউস খোলা রাখা হলেও আমদানি-রফতানিতে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। স্বল্পসংখ্যক কর্মকর্তাকে দায়িত্বে রাখার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পণ্য শুল্কায়নে স্থাপিত অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সার্ভারেও ত্র“টি দেখা দিয়েছে।
এতে কার্যক্রম আরও বিঘ্নিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমদানি ও রফতানিকারকরা। শনিবারও কাস্টমস হাউসে আমদানি-রফতানিকারক ও তাদের প্রতিনিধি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফাইল অনুমোদন করাতে পারেননি। এ কারণে জমে যাচ্ছে পণ্যভর্তি কনটেইনার।
এদিকে ৭ ও ৮ জুলাই অনলাইনে শুল্কায়ন স্থাপন কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য স্থাপিত অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সার্ভার পুরোপুরি শাটডাউন করে ত্র“টি সারানো হবে বলেও জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এজন্য ওই দু’দিন এই সার্ভারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, স্বাভাবিক সময়ে আমদানি ও রফতানি পণ্যের সাড়ে তিন থেকে চার হাজার বিল অব এন্ট্রি দাখিল হয়ে থাকে। কিন্তু ঈদের ছুটিতে বিশেষ ব্যবস্থায় কার্যক্রম চালু রাখা হলেও মাত্র ৫ থেকে ৮শ’ বিল অব এন্ট্রি দাখিল হচ্ছে। দাখিলের পর নোটিং প্রক্রিয়া শেষ করতেও অস্বাভাবিক সময় লেগে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এক সঙ্গে টানা ৯ দিন ঈদের ছুটি ঘোষণার পর আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ এবং চট্টগ্রাম বন্দর অচল হয়ে যাওয়ার আশংকা করছিলেন ব্যবসায়ীরা। এ কারণে বিশেষ ব্যবস্থায় চট্টগ্রাম কাস্টমস ও বন্দরসংক্রান্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার দাবি উঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার থেকে শুরু হয় বিশেষ ব্যবস্থায় কাস্টমস হাউসে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু শনিবার বিকালে যুগান্তরকে বলেন, বিশেষ ব্যবস্থায় কার্যক্রম চালু রাখতে পুরো কাস্টমস হাউসে মাত্র ৫ জন কর্মকতাকে দায়িত্বে রাখা হয়েছে। এতে আশানুরূপ সুফল পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম এ প্রসঙ্গে যুগান্তরকে বলেন, কয়েক মাস ধরে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সার্ভারে সমস্যার কারণে কাজ করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এতে তাদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বর্তমান সার্ভারের পাশাপাশি বিকল্প আরেকটি সার্ভার এখানে স্থাপন করার দাবি করেন তিনি।
কাস্টমস সূত্র জানায়, এনবিআরের কেন্দ্রীয় সার্ভার থেকে দেশের সব শুল্ক বন্দরে সংযোগ দেয়া হয়। সেখানে সার্ভারের একটি সুইচ পরিবর্তন ও বিটিসিএলের ধীর গতির কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।