Home বাংলা নিউজ তৈরি পোশাক খাতই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম: শিল্পমন্ত্রী

তৈরি পোশাক খাতই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম: শিল্পমন্ত্রী

তৈরি পোশাক

আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পখাত টেকসই প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন,রানা প্লাজা ও তাজরীন ফ্যাশনে lদুর্ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকখাতের বিরুদ্ধে প্রতিযোগীরা বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করে আসছে।

সরকারের নীতি সহায়তা,উদ্যোক্তাদের সাহস এবং দক্ষ শ্রমিকদের প্রচেষ্টায় এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বাংলাদেশ ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে তৈরি পোশাকখাতে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে।  বুধবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড আয়োজিত তৈরি পোশাক শিল্পখাতের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ক ‘১৭তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০১৬’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে শিল্পমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট মেহেরুন এন.ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, বাংলাদেশ নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার ড.আদর্শ সুয়েকা,এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহসভাপতি মোঃ শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন),বিজিএমইএ’র সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ও বিকেএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি এএইচ আসলাম সানি বক্তব্য রাখেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন,শ্রমিকের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তৈরি পোশাক শিল্পখাতে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করেছিল।এটি ফিরে পেতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি পোশাক শিল্প কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়ন,শ্রম নিরাপত্তা জোরদার,পেশাগত ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলা,ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ,কারখানা পরিদর্শনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

এর ফলে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল না হলেও,বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্প দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রথম এবং গোটা পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। বর্তমানে এ শিল্পখাত থেকে ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি রফতানি হচ্ছে।আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তৈরি পোশাক শিল্পখাতের রপ্তানির পরিমাণ দ্বিগুণ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য,চার দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আজ থেকে শুরু হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। এতে বিশ্বের ২৩টি দেশের ১ হাজার ৫০টি কোম্পানি অংশ নিচ্ছে।