নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার ধর্মঘটের তৃতীয় দিনে অচল হয়ে পড়েছে মংলা সমুদ্র বন্দর। বৃহস্পতিবারও মংলা বন্দরে পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহণের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিরপূরণ পুননির্ধারণ, নদীর নাব্যতা রক্ষা ও নৌপথে সন্ত্রাসী-ডাকাতি বন্ধের দাবিতে নৌযান শ্রমিকরা এ ধর্মঘটের ডাক দেয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নৌযান শ্রমিকদের এ কর্মবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌ শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় আহবায়ক ওয়েজুল ইসলাম বুলবুল।
এদিকে, ১৫ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় মংলাস্থ বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে নৌযান শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের এ সমাবেশে মোঃ সামছু মাস্টারের সভাপতিত্বে খুলানা নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি বাহারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নৌযান শ্রমিক ফেডারশেনের যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাসেম মাস্টার, আনোয়ার মাস্টার, জাহাজ শ্রমিক সংঘের সহ-সভাপতি বাবুল হোসেন, মংলা নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সহ-সভাপতি মোঃ নুরল হুদা মাস্টারসহ শ্রমিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।
ধর্মঘটের ফলে মংলা সমুদ্র বন্দরে অবস্থানরত দেশী-বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য খালাস-বোঝাই বন্ধ রয়েছে। ফলে সারাদেশের সঙ্গে নৌপথে পণ্য পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গম, সার, ক্লিঙ্কার, পাথর, যন্ত্রপাতি ও কয়লাবোঝাই ১০টি বাণিজ্যিক জাহাজ পণ্য খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। বন্দর চ্যানেলে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় অলস পড়ে রয়েছে বিদেশি জাহাজ ও দেশি নৌযানগুলো। বিভিন্ন ধরনের আমদানি পণ্য নিয়ে বন্দরে থাকা জাহাজ থেকে মালামাল খালাস করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।