বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে প্রথম চূড়ান্ত লাইসেন্স পাচ্ছে মেঘনা গ্রুপ। প্রাক-যোগ্যতা লাইসেন্স পাওয়ার এক বছর পর চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) আনুষ্ঠানিকভাবে এ লাইসেন্স হস্তান্তর করবে। মেঘনা গ্রুপ দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। এর নাম মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চল ও মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্থনৈতিক অঞ্চল। মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা নদীর তীর চর রমজান, সোনাউল্লাহ, মেঘনাঘাট, সোনারগাঁ ও নারায়ণগঞ্জ মৌজায় প্রায় ৬৮ একর জমিতে স্থাপন করা হচ্ছে। এই অঞ্চলের চূড়ান্ত লাইসেন্স আজ দেওয়া হচ্ছে।
অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রাথমিক কাজ করার জন্য প্রাক-যোগ্যতা সনদ দেওয়া হয়। এর পরে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে চূড়ান্ত সনদ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে মেঘনা ইকোনমিক জোন প্রাথমিক সব শর্ত পূরণ করেছে। বিশেষ করে সমীক্ষা যাচাই, পরিবেশ ও সামাজিক ছাড়পত্র এবং মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। এ ছাড়া সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। এ জোনে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মেঘনা পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস ও ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মেঘনা এডিবল অয়েলস শিল্প স্থাপন শুরু হয়েছে। এ বছরের মধ্যে দুটি কারখানার পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হবে। এ অঞ্চলে ৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পাওয়ার প্লান্ট, পানি ও গ্যাস সংযোগসহ সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি পানি শোধনাগার, তরল বর্জ্য ও কঠিন বর্জ্য অপসারণ, অগি্ননির্বাপণসহ সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখানে এক বছরে প্রায় ৩ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আগামী ৫ বছরে ৩০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।
বেজা ইতিমধ্যে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে ১০টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রাক-যোগ্যতা সনদ দিয়েছে। বেজার ব্যবস্থাপক মলয় চৌধুরী সমকালকে বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের সব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম হওয়ায় সবার আগে মেঘনা গ্রুপকে চূড়ান্ত সনদ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের শর্ত পূরণ করে চূড়ান্ত সনদ পেতে আবেদন করেছে আব্দুল মোনেম গ্রুপ ও আমান গ্রুপ। মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী মহাব্যবস্থাপক সুমন চন্দ্র ভৌমিক সমকালকে বলেন, এ অঞ্চলের উন্নয়ন কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন বিনিয়োগের অপেক্ষায় আছেন। বিনিয়োগের লক্ষ্যে থাইল্যান্ড ও চীনের দুটি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের কোম্পানির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। এ অঞ্চলে কাগজ, ভোজ্যতেল, টিসু, ময়দা, এলপিজি ও পিভিসি প্লান্টসহ বিভিন্ন কারখানা স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।