সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পরও বাংলাদেশের আগামী দিনের পরিস্থিতিকে আশাব্যঞ্জক মনে করছেন মাস্টারকার্ড ভোক্তারা। তারা মনে করছেন, আগামী ছয় মাসে বাংলাদেশের অর্থনীতি, কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা, নিয়মিত বা দৈনন্দিন আয়ের সম্ভাবনা, শেয়ারবাজার ও জীবনযাত্রা আরও আশাব্যঞ্জক হবে। প্রযুক্তিভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা প্রদানকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান মাস্টারকার্ড। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৩ সাল থেকে ছয় মাস পর পর ভোক্তা আস্থা সূচক প্রকাশ করে থাকে। সর্বশেষ প্রকাশিত সূচকে দেখা গেছে, ১০০ পয়েন্টের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ৭১ দশমিক ৬ পয়েন্ট। ছয় মাসের ব্যবধানে ৪ দশমিক ৩ পয়েন্ট বেড়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৭টি দেশের সূচক প্রকাশ করে মাস্টারকার্ডের বাংলাদেশ লিয়াজোঁ অফিস।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মাস্টারকার্ড ভোক্তা আস্থা সূচক তৈরি করতে গত জুন ও জুলাই মাসে ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সী ৮ হাজার ৭৪৬ জন বাংলাদেশির মতামত নেওয়া হয়। এসব মতামত প্রদানকারীদের অর্থনীতি, কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা, নিয়মিত বা দৈনন্দিন আয়ের সম্ভাবনা, শেয়ারবাজার ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে আগামী ছয় মাসের ভবিষ্যদ্বাণী করতে বললে তারা বাংলাদেশের আগামী দিনগুলো আশাব্যঞ্জক বলে মত দেন। মাস্টারকার্ডের এ সূচকে সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক, খুবই আশাব্যঞ্জক, আশাব্যঞ্জক, নিরপেক্ষ, হতাশাপূর্ণ শীর্ষক পাঁচটি ক্যাটাগরি রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ভোক্তা আস্থা সূচক আশাব্যঞ্জক। অন্যদিকে সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক ক্যাটাগরিতে আছে ভারত, ভিয়েতনাম ও মিয়ানমার। তবে এশিয়ার অন্যতম উন্নত দেশ জাপান, কোরিয়া, হংকংয়ের নাগরিকেরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। তবু বাংলাদেশের মানুষ দেশ নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছে। মাস্টারকার্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট গীতাঙ্ক দেবদীপ দত্ত বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে এ দেশের মানুষ আগের চেয়ে বেশি আশাবাদী।