Home বাংলা নিউজ শিল্পবর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে : শিল্পমন্ত্রী

শিল্পবর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে : শিল্পমন্ত্রী

industrial-waste-management

বাংলাদেশ সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় স্বল্প কার্বন নির্গমনকারী শিল্পায়ন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে অস্ট্রেলিয়ায় ‘দশ বছর মেয়াদি থ্রিআর সম্পর্কিত হ্যানয় ঘোষণার আলোকে বিভিন্ন দেশে গৃহিত উদ্যোগ বাস্তবায়ন ও বিশেষ অর্জন’ শীর্ষক কান্ট্রি প্রতিবেদন পর্যালোচনা অধিবেশনের সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী।

সপ্তম এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক থ্রিআর ফোরাম উপলক্ষে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার এডেলেইড কনভেনশন সেন্টারে এ অধিবেশনের আয়োজন করা হয়। শিল্পমন্ত্রী বলেন, আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশের শিল্প কারখানায় কাঁচামালের অপচয় হ্রাস, বর্জ্য পুর্নব্যবহার এবং পুর্নব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়াকরণের কৌশল বা থ্রিআর বাস্তবায়নে বহুমুখী কর্মসূচি ও প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় শিল্পমন্ত্রী এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে থ্রিআর কৌশল বাস্তবায়ন উপযোগী অবকাঠামো ও দক্ষ জনবল গড়ে তোলার তাগিদ দেন।

তিনি আরো বলেন, শিল্পায়ন ও উন্নয়নের সাথে পরিবেশ দূষণের বিষয়টি জড়িত। দেশে শিল্পায়নের ধারা যতই জোরদার হবে, পরিবেশ দূষণের ঝুঁকিও তত বাড়বে। এ বাস্তবতা বিবেচনা করে বাংলাদেশ এরইমধ্যে জাতীয় থ্রিআর কৌশল প্রণয়ন করেছে। এর আলোকে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে পরীক্ষামূলকভাবে থ্রিআর কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ মোকাবেলায় বর্জ্য ব্যবহার করে বায়ো-গ্যাস ও জৈব সার উৎপাদন, পরিবেশবান্ধব শিপ রিসাইক্লিং শিল্প গড়ে তোলা হচ্ছে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে শিল্পবর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। শিল্পবর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করতে সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্বে প্রকল্প নিতে হবে। এ লক্ষ্যে তিনি দেশগুলোতে বিদ্যমান নীতির পরিবর্তন করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাখাতে বিনিয়োগ আকর্ষণের পরামর্শ দেন। এ সময় তিনি উন্নত বিশ্বের আদলে এ অঞ্চলের দেশগুলোতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাখাতে লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তরের ওপর গুরুত্ব দেন। চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিনহুই লি’র সঞ্চালনায় এ অধিবেশনে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কিরিবাতি, কিরগিস্তান, সামুয়া ও থাইল্যান্ডের প্রতিনিধিরা পৃথকভাবে নিজ নিজ দেশের অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এ সময় বাংলাদেশের ওয়েস্ট কনসার্নের নির্বাহী পরিচালক এ এইচ মোঃ মাকসুদ সিনহা আলোচনায় অংশ নেন।