Home বাংলা নিউজ শেয়ারবাজার: এইচআর টেক্সটাইলের আয় কমেছে

শেয়ারবাজার: এইচআর টেক্সটাইলের আয় কমেছে

textiles

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এইচআর টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) প্রথম প্রান্তিকে কমেছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ কোম্পানির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২৩ পয়সায়, যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫৮ পয়সা। বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ডিএসইতে গতকাল এ শেয়ারের সর্বশেষ দর ৪.২৪ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে দাঁড়ায় ২২ টাকা ৬০ পয়সায়। দিনভর দর ২২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ২২ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। সমাপনী দর ছিল ২২ টাকা ৪০ পয়সায়, যা এর আগের কার্যদিবসে ছিল ২৩ টাকা ৬০ পয়সা। এদিন ৭৫ বারে কোম্পানিটির ৬৫ হাজার ৯১৬টি শেয়ারের লেনদেন হয়।

জানা যায়, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ নয় মাসের (অক্টোবর, ২০১৫-জুন, ২০১৬) আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের ঘোষণা করেছে। এ অনুযায়ী, এইচআর টেক্সটাইলের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১০০টি শেয়ারের বিপরীতে শেয়ারহোল্ডাররা ১০০ টাকা করে পাবেন। এ সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২৫ পয়সা, শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ হয়েছে (এনএভি) ১৪ টাকা ২৩ পয়সা। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ জানুয়ারি। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ নভেম্বর।

২০১৫ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। ওই সময় ইপিএস ছিল ১ টাকা ২২ পয়সা, এনএভি ১৬ টাকা ১৭ পয়সা ও নিট মুনাফা ৩ কোটি ৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ২০১৪ সালে ১২.৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। ওই সময় ইপিএস ছিল ১ টাকা ৯৮ পয়সা, এনএভি ১৬ টাকা ২০ পয়সা ও নিট মুনাফা ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

এইচআর টেক্সটাইল ১৯৯৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ‘প্রাইড’ ব্র্যান্ডের পোশাক তাদের মূল পণ্য। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। রিজার্ভ ১৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৫১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৫ দশমিক ২৭ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে বাকি ৩৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ শেয়ার।