Home বাংলা নিউজ স্থাপত্য ত্রুটি নিয়েই সচল ২৫৫ পোশাক কারখানা: উপেক্ষিত সংশোধনমূলক নির্দেশনা

স্থাপত্য ত্রুটি নিয়েই সচল ২৫৫ পোশাক কারখানা: উপেক্ষিত সংশোধনমূলক নির্দেশনা

ঢাকার রামপুরায় রূপা গ্রুপের সোয়েটার প্রস্তুতের ইউনিট রূপা সোয়েটার্স (বিডি) লিমিটেড। রানা প্লাজা ধসের পর জাতীয় উদ্যোগে কারখানাটি পরিদর্শন করা হয়। এতে স্থাপত্য ত্রুটি শনাক্ত হলেও তা কারখানার উৎপাদন বন্ধ করার মতো ছিল না। তবে সুনির্দিষ্টভাবে ত্রুটি সংশোধনের জন্য বিস্তারিত প্রকৌশল মূল্যায়নের (ডিইএ) মাধ্যমে সংশোধনমূলক পরিকল্পনা (সিএপি) গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয় কারখানাটিকে। কিন্তু ত্রুটি সংশোধন না করেই কারখানাটি এখনো চলমান। এ রকম মোট ২৫৫টি কারখানা নির্দেশনা সত্ত্বেও ডিইএ ও সিএপি না করেই উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে আইন অনুযায়ী এসব কারখানা বন্ধের নির্দেশনা দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকারি সংস্থা।

রূপা সোয়েটার্সের মতোই নারায়ণগঞ্জের নয়ামাটির এমএস নিট (পিভিটি) লিমিটেডও রয়েছে জাতীয় উদ্যোগের পোশাক কারখানা মূল্যায়নের আওতায়। ত্রুটি থাকলেও প্রাথমিক পরিদর্শনের পর ডিইএ ও সিএপি গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয় কারখানাটিকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ এ-সম্পর্কিত কোনো উদ্যোগ নেয়নি। একইভাবে নির্দেশনা সত্ত্বেও উদ্যোগ নেয়নি এমন কারখানার মধ্যে রয়েছে আরমিন সোয়েটার্স (বিডি), বিজি অ্যাপারেলস, মেগাস্টার অ্যাপারেলস লিমিটেডসহ মোট ২৫৫টি কারখানা।

জানা গেছে, দেশের মোট ১ হাজার ৫৪৯টি কারখানা জাতীয় উদ্যোগে মূল্যায়নের আওতায় রয়েছে। প্রাথমিক পরিদর্শনের পর কারখানাগুলোকে ঝুঁকির মাত্রাভেদে গ্রিন, ইয়েলো, অ্যাম্বার ও রেড শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে গ্রিন শ্রেণীভুক্ত কারখানাগুলোকে নিরাপদ বলে গণ্য করা হয়েছে। ইয়েলো শ্রেণীর কারখানাগুলোকে নিরাপদ বলা হলেও চার ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুপারিশ করা হয়েছে। অ্যাম্বার শ্রেণীভুক্ত কারখানাগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে। আর রেড শ্রেণীর কারখানাগুলোকে বিবেচনা করা হচ্ছে অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে। ‘ইমপ্রুভিং ওয়ার্কিং কন্ডিশন ইন দ্য রেডিমেড গার্মেন্ট সেক্টর’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কারিগরি সহায়তায় আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠীর অর্থায়নে এ মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

মূল্যায়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে মোট ৩১৯টি কারখানাকে অ্যাম্বার শ্রেণীভুক্ত করা হয়। এসব কারখানাকে ডিইএ ও সিএপি বাস্তবায়নসাপেক্ষে উৎপাদন সচল রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে ২৫৫টি কারখানা প্রাথমিক পরিদর্শনের পর দেয়া ডিইএ ও সিএপি বাস্তবায়নের নির্দেশনা পরিপালনে উদ্যোগ গ্রহণে গড়িমসি করছে। এমনকি সংশ্লিষ্ট সংগঠনের মাধ্যমে কারখানাগুলোর কর্তৃপক্ষকে তাগাদা দেয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি। পরিণতিতে কারখানাগুলোকে আইন অনুযায়ী বন্ধের নির্দেশনা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকারি সংস্থা। এরই মধ্যে কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই) সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলোকে চিঠি পাঠাতে শুরু করেছে। জাতীয় উদ্যোগে মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনায়ও নেতৃত্ব দিচ্ছে এ সংস্থাই।

ডিআইএফইর মহাপরিদর্শক সৈয়দ আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘কারখানাগুলোর কর্তৃপক্ষ কী কারণে ত্রুটি সংশোধনে পদক্ষেপ নিচ্ছে না, তা আমাদের অবহিত করেনি। চিঠিতে এ বিষয়ে আমরা জানতে চেয়েছি। এ-বিষয়ক উদ্যোগ গ্রহণে ব্যর্থ হলে আইনগতভাবেই কারখানা বন্ধ করে দেয়ার মতো সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হবে তাদের।’ কারখানাগুলোকে পাঠানো চিঠিতে ডিআইএফইর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আপনার কারখানা ভবনের প্রিলিমিনারি অ্যাসেসমেন্ট ও কারেকটিভ অ্যাকশন প্ল্যান (সিএপি) এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আপনি সিএপি বাস্তবায়নের কোনো পদক্ষেপ নেননি। এছাড়া স্ট্রাকচারাল, ফায়ার ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাসেসমেন্টের আলোকে কাজের কোনো অগ্রগতিও নেই। এ অবস্থায় সিএপির আলোকে সংশোধন কার্যক্রম শুরু করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে এ-বিষয়ক অগ্রগতি এ দপ্তরকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় শ্রম আইন অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জানা গেছে, ডিইএর আওতায় কারখানা ভবনগুলোর ‘অ্যাজ বিল্ট’ নকশা নিরূপণ করতে হচ্ছে। পরীক্ষা করতে হচ্ছে ভবনের তলদেশের মাটিও। আবার কংক্রিট পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি যাচাই করা হচ্ছে ভবনের কলামের সামর্থ্য। এছাড়া কোন কলামগুলোর ভিত আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন, তা চিহ্নিত করতে কারখানার নমুনাও তৈরি করতে হচ্ছে। রূপা সোয়েটার্স (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রিলিমিনারি অ্যাসেসমেন্টের পর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ডিইএ করিয়েছি। এরপর সিএপি যাচাই-বাছাই করে আমরা দেখেছি, কারখানা সংস্কারে যে ব্যয় হবে, তাতে বিদ্যমান স্থানে ব্যবসা ফিজিবল হয় না। সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে আমরা কারখানাটি পরিত্যক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছি। এ তথ্য চিঠির মাধ্যমে আমরা ডিআইএফইকে জানিয়েছি।’

বর্তমানে কারখানাটি সচল রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কারখানা বন্ধ করে দেয়ার মতো ঝুঁকি ছিল না। তাই কারখানাটি এখনো সচল রয়েছে। তবে এটা পরিত্যক্ত করে গাজীপুরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে। একইভাবে ডিইএ ও সিএপি না করার পেছনে কারখানা স্থানান্তরকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এমএস নিটের কর্ণধার খাজা রহমাতুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমাদের কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। তবে নারায়ণগঞ্জের কাশিপুরে নতুন স্থানে কারখানাটি স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন স্থানে বর্তমানে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। ছয় মাসের মধ্যে সেখানে কারখানা স্থানান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।’

ঢাকার রামপুরায় রূপা গ্রুপের সোয়েটার প্রস্তুতের ইউনিট রূপা সোয়েটার্স (বিডি) লিমিটেড। রানা প্লাজা ধসের পর জাতীয় উদ্যোগে কারখানাটি পরিদর্শন করা হয়। এতে স্থাপত্য ত্রুটি শনাক্ত হলেও তা কারখানার উৎপাদন বন্ধ করার মতো ছিল না। তবে সুনির্দিষ্টভাবে ত্রুটি সংশোধনের জন্য বিস্তারিত প্রকৌশল মূল্যায়নের (ডিইএ) মাধ্যমে সংশোধনমূলক পরিকল্পনা (সিএপি) গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয় কারখানাটিকে। কিন্তু ত্রুটি সংশোধন না করেই কারখানাটি এখনো চলমান। এ রকম মোট ২৫৫টি কারখানা নির্দেশনা সত্ত্বেও ডিইএ ও সিএপি না করেই উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে আইন অনুযায়ী এসব কারখানা বন্ধের নির্দেশনা দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকারি সংস্থা।

রূপা সোয়েটার্সের মতোই নারায়ণগঞ্জের নয়ামাটির এমএস নিট (পিভিটি) লিমিটেডও রয়েছে জাতীয় উদ্যোগের পোশাক কারখানা মূল্যায়নের আওতায়। ত্রুটি থাকলেও প্রাথমিক পরিদর্শনের পর ডিইএ ও সিএপি গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয় কারখানাটিকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ এ-সম্পর্কিত কোনো উদ্যোগ নেয়নি। একইভাবে নির্দেশনা সত্ত্বেও উদ্যোগ নেয়নি এমন কারখানার মধ্যে রয়েছে আরমিন সোয়েটার্স (বিডি), বিজি অ্যাপারেলস, মেগাস্টার অ্যাপারেলস লিমিটেডসহ মোট ২৫৫টি কারখানা।

জানা গেছে, দেশের মোট ১ হাজার ৫৪৯টি কারখানা জাতীয় উদ্যোগে মূল্যায়নের আওতায় রয়েছে। প্রাথমিক পরিদর্শনের পর কারখানাগুলোকে ঝুঁকির মাত্রাভেদে গ্রিন, ইয়েলো, অ্যাম্বার ও রেড শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে গ্রিন শ্রেণীভুক্ত কারখানাগুলোকে নিরাপদ বলে গণ্য করা হয়েছে। ইয়েলো শ্রেণীর কারখানাগুলোকে নিরাপদ বলা হলেও চার ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুপারিশ করা হয়েছে। অ্যাম্বার শ্রেণীভুক্ত কারখানাগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে। আর রেড শ্রেণীর কারখানাগুলোকে বিবেচনা করা হচ্ছে অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে। ‘ইমপ্রুভিং ওয়ার্কিং কন্ডিশন ইন দ্য রেডিমেড গার্মেন্ট সেক্টর’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কারিগরি সহায়তায় আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠীর অর্থায়নে এ মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

মূল্যায়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে মোট ৩১৯টি কারখানাকে অ্যাম্বার শ্রেণীভুক্ত করা হয়। এসব কারখানাকে ডিইএ ও সিএপি বাস্তবায়নসাপেক্ষে উৎপাদন সচল রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে ২৫৫টি কারখানা প্রাথমিক পরিদর্শনের পর দেয়া ডিইএ ও সিএপি বাস্তবায়নের নির্দেশনা পরিপালনে উদ্যোগ গ্রহণে গড়িমসি করছে। এমনকি সংশ্লিষ্ট সংগঠনের মাধ্যমে কারখানাগুলোর কর্তৃপক্ষকে তাগাদা দেয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি। পরিণতিতে কারখানাগুলোকে আইন অনুযায়ী বন্ধের নির্দেশনা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকারি সংস্থা।

এরই মধ্যে কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই) সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলোকে চিঠি পাঠাতে শুরু করেছে। জাতীয় উদ্যোগে মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনায়ও নেতৃত্ব দিচ্ছে এ সংস্থাই। ডিআইএফইর মহাপরিদর্শক সৈয়দ আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘কারখানাগুলোর কর্তৃপক্ষ কী কারণে ত্রুটি সংশোধনে পদক্ষেপ নিচ্ছে না, তা আমাদের অবহিত করেনি। চিঠিতে এ বিষয়ে আমরা জানতে চেয়েছি। এ-বিষয়ক উদ্যোগ গ্রহণে ব্যর্থ হলে আইনগতভাবেই কারখানা বন্ধ করে দেয়ার মতো সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হবে তাদের।’

কারখানাগুলোকে পাঠানো চিঠিতে ডিআইএফইর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আপনার কারখানা ভবনের প্রিলিমিনারি অ্যাসেসমেন্ট ও কারেকটিভ অ্যাকশন প্ল্যান (সিএপি) এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আপনি সিএপি বাস্তবায়নের কোনো পদক্ষেপ নেননি। এছাড়া স্ট্রাকচারাল, ফায়ার ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাসেসমেন্টের আলোকে কাজের কোনো অগ্রগতিও নেই। এ অবস্থায় সিএপির আলোকে সংশোধন কার্যক্রম শুরু করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে এ-বিষয়ক অগ্রগতি এ দপ্তরকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় শ্রম আইন অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জানা গেছে, ডিইএর আওতায় কারখানা ভবনগুলোর ‘অ্যাজ বিল্ট’ নকশা নিরূপণ করতে হচ্ছে। পরীক্ষা করতে হচ্ছে ভবনের তলদেশের মাটিও। আবার কংক্রিট পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি যাচাই করা হচ্ছে ভবনের কলামের সামর্থ্য। এছাড়া কোন কলামগুলোর ভিত আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন, তা চিহ্নিত করতে কারখানার নমুনাও তৈরি করতে হচ্ছে।

রূপা সোয়েটার্স (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রিলিমিনারি অ্যাসেসমেন্টের পর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ডিইএ করিয়েছি। এরপর সিএপি যাচাই-বাছাই করে আমরা দেখেছি, কারখানা সংস্কারে যে ব্যয় হবে, তাতে বিদ্যমান স্থানে ব্যবসা ফিজিবল হয় না। সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে আমরা কারখানাটি পরিত্যক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছি। এ তথ্য চিঠির মাধ্যমে আমরা ডিআইএফইকে জানিয়েছি।’

বর্তমানে কারখানাটি সচল রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কারখানা বন্ধ করে দেয়ার মতো ঝুঁকি ছিল না। তাই কারখানাটি এখনো সচল রয়েছে। তবে এটা পরিত্যক্ত করে গাজীপুরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে। একইভাবে ডিইএ ও সিএপি না করার পেছনে কারখানা স্থানান্তরকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এমএস নিটের কর্ণধার খাজা রহমাতুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমাদের কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। তবে নারায়ণগঞ্জের কাশিপুরে নতুন স্থানে কারখানাটি স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন স্থানে বর্তমানে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। ছয় মাসের মধ্যে সেখানে কারখানা স্থানান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।’