Home বাংলা নিউজ পোশাক খাতের বেশ উন্নতি হয়েছে, কাজ এখনো বাকি: আইএলওর মহাপরিচালক

পোশাক খাতের বেশ উন্নতি হয়েছে, কাজ এখনো বাকি: আইএলওর মহাপরিচালক

ilo-chief

গাই রাইডাররানা প্লাজা ধসের পর গত সাড়ে তিন বছরে পোশাক খাতের কারখানার সংস্কার ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশ উন্নতি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মহাপরিচালক গাই রাইডার। তবে বাংলাদেশের কাজ এখনো বাকি বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। ঢাকার এক হোটেলে গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে গাই রাইডার বলেন, ‘বাংলাদেশে আমি দুটি কারখানা ঘুরে দেখেছি। আমাকে বলা হয়েছে একটিতে সংস্কারকাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এ থেকে পুরো খাতের চিত্র পাওয়া যায়।’

আইএলওর এই শীর্ষ কর্তা ‘গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (জিএফএমডি)’ ও ‘ঢাকা সামিট অন স্কিলস, এমপ্লয়াবিলিটি অ্যান্ড ডিসেন্ট ওয়ার্ক, ২০১৬’ সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন। ঢাকায় তিনি চার দিন অবস্থান করেন। মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ দেশের শ্রম পরিস্থিতি ও আইএলওর কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন তিনি। এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে আইএলওর মহাপরিচালক কী বলেছেন তা লিখে পাঠিয়েছে সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয়।

গাই রাইডার বলেন, ২০১৩ সাল থেকে ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দুই উদ্যোগ অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স এবং বাংলাদেশের জাতীয় উদ্যোগের মাধ্যমে কারখানা সংস্কারের ক্ষেত্রে বেশ বড় কাজ হয়েছে। তবে গতি হারানো ঠিক হবে না, যৌথভাবে কাজ চালিয়ে যেতে হবে, যাতে সব কারখানা পরিদর্শনের আওতায় আসে এবং সংস্কার কার্যক্রম সফলভাবে শেষ হয়। তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্য, যা পূরণে বাংলাদেশ সরকার ও আইএলও একসঙ্গে কাজ করছে।’

বাংলাদেশে শ্রম সম্পর্কে গাই রাইডার বলেন, ‘এ নিয়ে আমার ধারণা হলো বাংলাদেশে শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে আস্থার ঘাটতি আছে। ভালো কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং কারখানাকে উৎপাদনশীল রাখতে আস্থা দরকার।’ তিনি বলেন, এখানে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকাগুলোতে (ইপিজেড) শ্রমিকদের পুরো অধিকার নিশ্চিত করা দরকার। আরও কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করার আছে, যেমন শ্রম অভিবাসন ও শিশুশ্রম। বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘স্কিলস ২১’ নামের একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে কাজ করবে বাংলাদেশ সরকার ও আইএলও।

ঢাকা ঘোষণা: দারিদ্র্য কমানো ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও মানবসম্পদ উন্নয়নের অঙ্গীকার করা হয়েছে ‘ঢাকা সামিট অন স্কিলস, এমপ্লয়াবিলিটি অ্যান্ড ডিসেন্ট ওয়ার্ক’ শীর্ষক সম্মেলনে। ১১-১৩ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের আয়োজন করে শ্রম মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (বিইএফ) ও ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশন (এনসিসিডব্লিউই)। সম্মেলন শেষে ঢাকা ঘোষণায় বলা হয়, ২০২১ সাল নাগাদ দক্ষতা উন্নয়ন ও সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে সব নীতি-উপায় ব্যবহার করা হবে, যাতে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।