Home বাংলা নিউজ অ্যালায়েন্সভুক্ত পোশাক কারখানায় ৬৯ শতাংশ সংস্কার সম্পন্ন

অ্যালায়েন্সভুক্ত পোশাক কারখানায় ৬৯ শতাংশ সংস্কার সম্পন্ন

বাংলাদেশে গত তিন বছরে পোশাক খাতের সংস্কারের সার্বিক অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে অ্যালায়েন্সের প্রধান ও ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি।

তিনি বলেন, অ্যালায়েন্সভুক্ত কারখানাগুলোর নিরাপত্তা সংক্রান্ত ত্রুটির ৬৯ শতাংশ সংস্কার হয়েছে। রানা প্লাজা ধসের পর থেকে বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের পোশাক খাতে প্রশংসনীয় নিরাপত্তা উন্নয়ন হয়েছে। সম্প্রতি এক টেলিকনফারেন্সে পোশাক কারখানার কর্ম পরিবেশ উন্নয়ন বিষয়ে ক্রেতা জোটের এই মনোভাবের কথা জানিয়েছেন তিনি।

তবে এ সময় তিনি দাবি করেন, নিরাপত্তা প্রশ্নে কোনো আপস করা হয়নি বলেই সংস্কারে ব্যর্থতাসহ অন্যান্য কারণে এখন পর্যন্ত ১২৭ কারখানার সঙ্গে সব ধরনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে অ্যালায়েন্স। ভবিষ্যতেও পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক ও কারখানার নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো আপস না করার বিষয়ে অনড় অবস্থানের কথা জানান তিনি। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত ওই টেলিকনফারেন্সে বিশ্বের নানা প্রান্তের সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মরিয়ার্টি।

বছরে একাধিকবার এ টেলিকনফারেন্সের আয়োজন করে থাকে অ্যালায়েন্স। ২০১৮-এর মধ্যে কার্যক্রম সম্পন্ন না হলে অ্যালায়েন্স কী করবে- এমন প্রশ্নে মরিয়ার্টি বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে, অ্যালায়েন্সের মেয়াদ শেষেও এ দেশের পোশাক খাতের চলমান সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এজন্য সবপক্ষের সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন। কীভাবে সংস্কার অব্যাহত থাকবে এ বিষয়ে সরকার, বিজিএমইএ ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) যৌথভাবে কাজ করছে।

প্রসঙ্গত : ২০১৩ সালের এপ্রিলে সাভারে ধসে পড়া রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পর ৫ পোশাক কারখানার এগারোশ’র বেশি শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পোশাক কারখানার কমপ্লায়েন্সের কথা বলে দু’ক্রেতাজোট বাংলাদেশে সংস্কার তদারকির কাজ শুরু করে। এদেরই একটি হচ্ছে অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি।

অন্যটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ক্রেতাজোট অ্যাকর্ড। অ্যালায়েন্সভুক্ত ব্র্যান্ডগুলো যেসব কারখানা থেকে পোশাক আমদানি করে মূলত সেসব কারখানার কমপ্লায়েন্সমান নিশ্চিত করতেই অ্যালায়েন্স তাদের বাংলাদেশ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এরা এসব কারখানার অগ্নি, ভবনের কাঠামো ও বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার নিরাপত্তামান পরীক্ষা এবং সংস্কার কাজ তদারক করছে। এ ছাড়া তারা  শ্রমিকদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ এবং শ্রম অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও দেশে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।