Home বাংলা নিউজ জাইকা থেকে স্বল্প সুদে ঋণ পাবেন পোশাক শিল্প মালিকরা

জাইকা থেকে স্বল্প সুদে ঋণ পাবেন পোশাক শিল্প মালিকরা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ২৫ ব্যাংক ও ১০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চুক্তি

তৈরি পোশাক শিল্পের কারখানা সংস্কারে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) থেকে স্বল্প সুদে ঋণ পাবেন শিল্প মালিকরা। কারখানা ভবন সংস্কার, পুনর্গঠন, পুনঃর্নির্মাণ ও অগ্নিনিরাপত্তা কাজের জন্য ৬ শতাংশ সুদে এ ঋণ দেয়া হবে। এ ঋণ সরবরাহের ব্যাপারে ২৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ১০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম সম্মেলন কক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবদুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। এ সময় ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী, জাইকার বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ তাকাতোশি নিশিকাতা, গণপূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মাহফুজ আহমেদ, ২৫টি ব্যাংক ও ১০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডিসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মাত্র ২ শতাংশ সুদহারে ব্যাংকগুলোকে তহবিল সরবরাহ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। পোশাক কারখানার ভবন সংস্কার, স্থানান্তর, সংযোজন, চলতি মূলধন ও অগ্নিনিরাপত্তার জন্য এ তহবিল থেকে ঋণসুবিধা দেয়া হবে। গ্রাহকপর্যায়ে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদহারে ঋণ দেবে ব্যাংকগুলো। পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৩৫ কোটি টাকা ঋণসুবিধা পাবেন। তিন বছর বাড়তি সময়সহ ঋণ পরিশোধের সময় ১৫ বছর। তবে প্রয়োজনে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির অনুমোদনসাপেক্ষে গ্রাহকের এ অর্থের পরিমাণ বাড়তে পারে।

প্রকল্পের তহবিলের মোট আকার ৪২৪ কোটি জাপানি ইয়েন। আর ঋণ তহবিলের পরিমাণ ৪১২ কোটি ৯০ লাখ জাপানি ইয়েন, বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় ২৯৮ কোটি টাকা। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিজিএপিএমইএর সদস্য— এমন তৈরি পোশাক খাতের ভবন মালিক অথবা কারখানা মালিকরা এ ঋণসুবিধা পাবেন।

অনুষ্ঠানে গভর্নর ফজলে কবির বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পে নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ২০২১ সালে ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তা অর্জনে জাইকার সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

যে ২৫টি ব্যাংক থেকে জাইকার প্রকল্পের ঋণ নেয়া যাবে, সেগুলো হলো— কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, ঢাকা ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ফারমার্স ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড। এছাড়া চুক্তিবদ্ধ ১০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হলো— বাংলাদেশ ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি, বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, আইডিএলসি ফিন্যান্স, আইআইডিএফসি, আইপিডিসি, ইসলামিক ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ও ইউনিয়ন ক্যাপিটাল অ্যান্ড লংকাবাংলা ফিন্যান্স লিমিটেড।