আগামী ১ মার্চ শুরু হতে যাচ্ছে ডেনিম কাপড় ও পোশাকের নিয়মিত প্রদর্শনী ডেনিমঅ্যান্ডজিন্স বাংলাদেশের সপ্তম আসর। রাজধানীর হোটেল র্যাডিসন ব্লুতে আয়োজিত হবে দুই দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী। এবারের প্রদর্শনীর থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ডেনিম ম্যাশআপ’। নব্বইয়ের দশকের ডেনিম পণ্যের নকশা ও ফ্যাশন ধারা উপস্থাপনের লক্ষ্যে এ থিম নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নব্বইয়ের দশকে ডেনিম ফ্যাশন ছিল খুবই সূক্ষ্ম। এখন ডেনিমের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড (যেমন— গুচি, জারা, এইচঅ্যান্ডএম) পুরনো ফ্যাশন ধারাগুলোকে পুনরায় ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে। ২০১৭ সালে এটাই হবে ডেনিম ফ্যাশন ধারা। আসন্ন প্রদর্শনীতে ডেনিমঅ্যান্ডজিন্স একই ছাদের নিচে ডেনিমের বর্তমান ট্রেন্ডগুলো ফুটিয়ে তোলার প্রয়াস চালাবে।
এবারের আয়োজনে পণ্য প্রদর্শনীর পাশাপাশি সেমিনারও আয়োজন করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সেমিনারে তুরস্কের ড. ডাইলেক এরিক ‘স্টাডিং লাইফ স্টাইলস অ্যান্ড ক্রিয়েটিং স্টোরি টু সেল ডেনিমস’ বিষয়ের ওপর আলোকপাত করবেন।
এছাড়া ‘জিন্স সাপ্লাই অপরচুনিটি ইন ইউএস মার্কেট’ শীর্ষক বিষয়ের ওপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করবেন জর্ডি জুনাই। পাশাপাশি কর্মশালার আয়োজন রয়েছে প্রদর্শনীতে। ডেনিমঅ্যান্ডজিন্স প্রদর্শনীতে নির্দিষ্ট কিছু ডেনিম কারখানা অংশ নেবে।
গত বছর অক্টোবরে ডেনিমঅ্যান্ডজিন্সের ষষ্ঠ আয়োজন হয়। গতবারের থিম বা বিষয়বস্তু ছিল ‘ভিন্টেজ রিকল’ বা ডেনিমের অতীতকে স্মরণ। ওই আসরে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২৮টি ডেনিম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।
ডেনিমঅ্যান্ডজিন্স বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সন্দ্বীপ আগারওয়াল বলেন, সারা দুনিয়ায় ডেনিমের বাজার সুবিশাল। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও এ বাজারের বিশাল ও গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে এ মুহূর্তে জিন্সের বৃহত্তম রফতানিকারক বাংলাদেশ। পাশাপাশি ভারত, চীন, লাতিন আমেরিকা ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিশালী বাজারগুলোয়ও বাংলাদেশের আগমনী ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। সারা বিশ্বের ডেনিম ক্রেতাদের চাহিদা মেটানোর জন্য যে পর্যায়ের অবকাঠামো, জনবল ও আর্থিক সূচক থাকা আবশ্যক, তার বিচারেও এক অনন্য অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এ ধারাবাহিকতার প্রতিফলন দেখা যায় ডেনিমঅ্যান্ডজিন্স প্রদর্শনীতে।
জানা যায়, বর্তমানে ডেনিম রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে চীনের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি ডেনিম পণ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে সরবরাহ করছে বাংলাদেশের ডেনিম উত্পাদকরা। ২০২০ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে ডেনিমের চাহিদা ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে। এর ৭০ শতাংশই জোগান দেবে এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলো। সেক্ষেত্রে আগামী দিনে বাংলাদেশ ডেনিম উত্পাদন ও বাজারজাতে এশিয়ার অন্যতম দেশ হিসেবে বিবেচিত হবে। ডেনিমঅ্যান্ডজিন্স বাংলাদেশ শো আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের ডেনিম ইন্ডাস্ট্রিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাবে বলে আয়োজকরা মনে করছেন।