বর্তমানে বিশ্বের ১১৮টি দেশে পাটজাত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাটমন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক।
২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার সরকারি দলের সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
পাটমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত পাট ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, আইভরিকোস্ট, ভিয়েতনাম, জিবুতি, ফিলিপাইন, ব্রাজিল, আলসালভেদর এবং যুক্তরাষ্ট্রেও রপ্তানি করা হয়।
সরকারি দলের অপর এক সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বেল পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে গত অর্থবছরের চেয়ে ৮৭৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা বেশি আয় হয়েছে।
তিনি বলেন ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১৯ দশমিক ৬২ লাখ বেল পাট ও পাটজাত দ্রব্য রফতানি করে ৭ হাজার ২৯৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা আয় করেছে। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৮৭৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা বেশি।
তিনি আরও বলেন, দেশে গত মৌসুমে পাট উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৮২ দশমিক ৪৬ লাখ বেল। ওই সময়ে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রফতানি হয়েছে ১৯ দশমিক ৬২ লাখ বেল। গত অর্থবছরে ১১ দশমিক ৩৭ লাখ বেল পাট রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১ হাজার ৫৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। যেখানে একই সময়ে পাট ও পাটজাত দ্রব্য ৮ দশমিক ২৫ লাখ মেট্রিক টন পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে ওই অর্থবছরে আয় হয়েছে ৬ হাজার ২৪০ কোটি টাকা।
পাটমন্ত্রী বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৮ দশমিক ১৯ লাখ বেল পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে দেশ ৬ হাজার ৪১৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা আয় করেছে। বাংলাদেশ মোট ১০ দশমিক ০১ লাখ বেল পাট রপ্তানি করে আয় করেছে ৮১৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, যেখানে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি আয় ছিল ৫ হাজার ৬০২ কোটি ১৬ লাখ টাকা।