Home Bangla Recent পোশাক শিল্পকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স

পোশাক শিল্পকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স

বাংলাদেশের পোশাক শিল্প কারখানা সংস্কারের নামে বিদেশি ক্রেতা জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স এ খাতের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শ্রমিকদের একটি পক্ষ। তারা ২০১৮ সালের মে মাসের পর ওই দুটি সংগঠনকে বাংলাদেশে পুনরায় কাজ করার অনুমতি না দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এ দাবি জানায়। এ সময় তারা অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের ‘মনগড়া প্রতিবেদনে’র কারণেই তৈরি পোশাকের ন্যায্যমূল্য মিলছে না বলেও অভিযোগ করেছে।

‘নিরাপত্তার নামে অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স কর্তৃক পোশাক কারখানা বন্ধ করে লাখো শ্রমিক বেকার করার প্রতিবাদ’ শীর্ষক মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ফেডারেশনের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান বাহার, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা, সহ-সাধারণ সম্পাদক মায়া আক্তার, কেন্দ্রীয় নেতা মো. অন্তর রহমান প্রমুখ।

বাহারানে সুলতান বাহার ত্রিপক্ষীয় চুক্তির সময়সীমা শেষ হওয়ার পর কোনো ভাবেই যাতে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স বাংলাদেশে কাজ করার সুযোগ না পায় সে বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, এরা বাংলাদেশের পোশাক খাত নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এদের কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় প্রায় শতাধিক কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শুধু ঢাকাতেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ৬৪টি কারখানা। এতে লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এদের কারণে শুধু শ্রমিকরাই বেকার হননি- মালিকরাও ব্যবসা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন। এটি কোনো সংস্কার উদ্যোগ নয়। বরং এটি এদেশের পোশাক শিল্পের বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। বাহারানে ?সুলতান আরও বলেন, নিরাপত্তার নামে কারখানা বন্ধ করা হলেও সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অ্যাকর্ড এখন পর্যন্ত তারা সেটি পূরণ করেনি। অথচ ঠুনকো অজুহাতে একের পর এক কারখানা বন্ধ করে চলেছে।

অন্য বক্তারা বলেন, পোশাক শিল্পকে নিরাপদ করার নামে বাংলাদেশে তারা কার্যক্রম চালালেও গাজীপুরের মাল্টিফ্যাবসের কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ ঘটেছে। অথচ এই কারখানাটি ক্রেতা জোটের পরিদর্শনের পর নিরাপদ সনদ লাভ করে। এর থেকে প্রমাণ হয় অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের পোশাক খাতকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি। তাদের সংস্কারের মানদণ্ড নিয়ে তাই যে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন। কারণ তারা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সঠিকভাবে সংস্কার কাজ করেনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here