বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মঈনউদ্দিন মিন্টু বলেছেন, মেলায় অত্যাধুনিক মেশিন থেকে শুরু করে যাবতীয় এক্সেসরিজসমূহ একই ছাদের নিচে ঠাঁই পেয়েছে। এই ধরনের মেলা পোশাকশিল্প মালিকদের মধ্যে স্বস্তি আনবে। তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে তা অর্জন করা স্বপ্ন নয়। এজন্য গার্মেন্টস, এক্সেসরিজ শিল্পের সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে তা অর্জন করা সম্ভব। গতকাল বুধবার দুপুরে নগরীর জিইসি
কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী গার্মেনটেক মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। আস্ক ট্রেড এন্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেড মেলার আয়োজন করেছে।
গার্মেন্টস শিল্পে ব্যবহৃত আধুনিক যন্ত্রপাতি, প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, গার্মেন্টস এক্সেসরিজসামগ্রী তুলে ধরতে চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ইয়ার্ন এন্ড ফেব্রিক্স, গার্মেন্ট এক্সেসরিজ বাণিজ্য মেলা ‘গার্মেনটেক-১৭’ এর আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজিএপিএমইএ’র সভাপতি মো. আবদুল কাদের খান, বিজিএমইএ’র পরিচালক শাহেদ আহমেদ আজাদ, আস্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু সুলতান ভূঁইয়া, পরিচালক নন্দ গোপাল, পরিচালক মো. সেলিম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে কাগজে-কলমে বাণিজ্যিক রাজধানী। বাস্তবে নয়। ব্যতিক্রমধর্মী মেলায় সব ধরনের গার্মেন্টসামগ্রী একস্থানে আনা হয়েছে। এতে বিশ্বে অত্যাধুনিক মেশিন, যন্ত্রপাতির প্রদর্শন করা হয়েছে। যা চট্টগ্রামের গার্মেন্টশিল্পের জন্য অতি আশাব্যঞ্জক।
তিনি আরও বলেন, গার্মেন্টস শিল্প ১২ হাজার মিলিয়ন ডলার রপ্তানি দিয়ে শুরু হয়েছিল। বর্তমানে তা বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। গার্মেন্টশিল্পে বাংলাদেশ বিস্ময়কর এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে ৫০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মডার্ন টেকনোলজির বিকল্প নেই।
আয়োজক সংস্থা আস্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু সুলতান ভূঁইয়া বলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আন্তর্জাতিকমানের প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি মাধ্যমে গামেন্টস ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাবে।
আস্কের পরিচালক নন্দা গোপাল বলেন, আন্তর্জাতিক টেকনোলজি প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করা। ১৬ বছর ধরে ঢাকায় এই ধরনের আন্তর্জাতিক মানের মেলা আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় ভারত, চায়না, জাপান, ফিলিপাইন, কোরিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের ১১টি দেশের ১২০টি কোম্পানি অংশ নিয়েছে।
বিজিএপিএমইএ’র সভাপতি আবদুল কাদের খান বলেন, দেশি-বিদেশের আধুনিক প্রযুক্তি মাধ্যমে রপ্তানি বহুমুখী ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ আরও এগিয়ে যাবে। গার্মেন্টস শিল্পের সঙ্গে এক্সেসরিজ ব্যবসা এগিয়ে যাচ্ছে। গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও কাঁচা পণ্যের জন্য বিদেশমুখিতা না হয়ে দেশীয় ব্যবসায়ীদের পণ্য ব্যবহারের জন্য গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানান।