এ্যাকর্ড ও এ্যালায়েন্স ফিরে গেলেও দেশীয় ব্যবস্থাপনায় তদারকি করতে হবে দেশের তৈরি পোশাক কারখানা। এজন্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এমন অভিমত পোশাক খাত বিশ্লেষকদের। উদ্যোক্তারা মনে করেন, কারখানার মালিকরা এখন আগের চেয়ে সচেতন। নিজেদের স্বার্থেই তারা গড়ে তুলছেন কমপ্লায়েন্ট কারখানা।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং কর্মপরিবেশ নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করে ক্রেতা দেশগুলো। তারই প্রেক্ষিতে কারখানা পরিদর্শনে ইউরোপের ক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত এ্যাকর্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের নিয়ে গঠিত হয় এ্যালায়েন্স নামের পৃথক পৃথক ক্রেতা জোট।
কথা ছিল ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ বছরে গার্মেন্টসগুলোর সংস্কার কার্যক্রম শেষে চলে যাবে এসব সংগঠন। তবে তারপরও মেয়াদ বাড়ানোর আগ্রহ দেখায় তারা। তবে সব শেষ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেয়া হয় মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার দরকার নেই সংগঠন দুটির।
বাংলাদেশের পোশাক খাত কী আসলেও তাদের তদারকির বাইরে যাওয়ার পর্যায়ে আছে? এ সময়ে কতটা দক্ষ হলো দেশের পোশাক খাত? তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তা কিংবা গবেষক সবারই অভিমত, কারখানাগুলোর কাজের পরিবেশ পর্যবেক্ষণের জন্য দেশীয়ভাবে সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। শক্তিশালী করতে হবে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে।