Home Bangla Recent পোশাকশিল্পে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি

পোশাকশিল্পে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি

পুরো বিশ্বকে নাড়া দিয়েছিল রানা প্লাজার দুর্ঘটনা। শিল্পপ্রতিষ্ঠানে সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকলে কী ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে ওই ঘটনায় তা নজরে আসে বিশ্বের ভোক্তাগোষ্ঠী, শ্রমিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর। রানা প্লাজা বিপর্যয়ের পর বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের প্রাতিষ্ঠানিক, অবকাঠামোগত, শ্রম ও শ্রমিকদের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন এলেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। বরং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সামনে আরো বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প।

গতকাল মঙ্গলবার ‘রানা প্লাজা ধসের ৫ বছর : শোভন কর্মস্থল বিষয় নিয়ে এগিয়ে যাওয়া’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অ্যাকশনএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবিরের পরিচালনায় আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটির সদস্য ছবি বিশ্বাস।

সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটির ১৭তম বৈঠকে শ্রমিকদের মজুরি, শ্রমঘণ্টা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা মেটানোর পক্ষে। এ জন্য শ্রমিক, মালিক ও সরকারপক্ষ একযোগে কাজ করবে। তিনি বলেন, ‘রানা প্লাজা আমাদের সবার চোখ খুলে দিয়েছে। পোশাকশিল্প আমাদের রেমিট্যান্স এনে দিচ্ছে। এমন খাতের অবকাঠামো ঠিক রাখা এখন সময়ের দাবি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘রানা প্লাজা ধসের পর আন্তর্জাতিকভাবে অনেক বিধি-নিষেধের মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাদের পোশাকশিল্পকে। তা থেকে উত্তরণে অনেক পরিবর্তন এসেছে; কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে আমরা পৌঁছতে পারিনি। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ের অর্ধেক বেতনও পাচ্ছে না শ্রমিকরা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশন অনুযায়ী এখনো পোশাকশিল্প গজারিয়াতে স্থানান্তরিত হয়নি। শ্রমিক স্বার্থ ও শ্রমমূল্য নিয়ে আইএলও স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করলেও সরকার তাতে এখনো ব্যর্থ।’ আলোচনাসভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের প্রফেসর ড. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর সংকট মোকাবেলায় যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার বেশ কিছু ফলপ্রসূ হয়েছে। শ্রমিক বেড়েছে, শিল্প-কারখানাও বেড়েছে। বেড়েছে জবাবদিহি। তবে জনবল ও প্রসিকিউশন, ইন্সপেকশন বাড়েনি। মাত্র ৩১২ জন পরিদর্শক দিয়ে পাঁচ হাজার গার্মেন্টসহ ৩০ হাজার প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির আওতায় আনা দুঃস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়।

অ্যাকশনএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, ‘রানা প্লাজা ধসের ঘটনাটি বিশ্ব পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থার জবাবদিহি, গার্মেন্টকর্মীদের নিরাপত্তা ও অধিকারের বিষয়গুলো পুরো বিশ্বের ভোক্তাগোষ্ঠী, শ্রমিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নজরে আনে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here