Home Bangla Recent পোশাক খাতে কমপ্লায়েন্সের ঘাটতি এখন নেই

পোশাক খাতে কমপ্লায়েন্সের ঘাটতি এখন নেই

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশ ও শ্রম অধিকার উন্নয়নে এরই মধ্যে অনেক কাজ হয়েছে। দেশের পোশাক খাতে এখন কমপ্লায়েন্সের ঘাটতি নেই। যে কারণে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিতব্য সাসটেইনেবিলিটি কমপ্যাক্ট সভায় বাংলাদেশ প্রশংসিত হবে। একই কারণে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পরও ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) জিএসপি প্লাস সুবিধা পাবে।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূত রিনজস টেরিঙ্কের সঙ্গে মতনিমিয় শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। ‘সাসটেইনেবিলিটি কমপ্যাক্ট’ হচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও শ্রম অধিকার নিশ্চিত করা তথা পোশাক খাতকে টেকসই করতে সরকার, ইইউ ও আইএলওর ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা। রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পর ২০১৩ সালে জেনেভায় এ সমঝোতা হয়। ২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর প্রথম সভা হয়েছিল। আগামী ২৫ জুন আবারও বৈঠকে বসবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের কারখানার কর্মপরিবেশ এখন অনেক ভালো। অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স বলেছে, ২ শতাংশেরও কম কারখানা ঝুঁকিপূর্ণ। এখন শ্রম পরিস্থিতিও ভালো যাচ্ছে। কোনো ধরনের শ্রম অসন্তোষ নেই। শ্রমিকদের নতুন ওয়েজ বোর্ড দেওয়া হচ্ছে। তাতে বেতন বাড়বে।

শ্রম আইন হালনাগাদ করা হয়েছে, তাতে শ্রম সংগঠন করা সহজ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইপিজেডেও সাধারণ শ্রম আইন প্রযোজ্য হবে। দেশে সবুজ কারখানা বাড়ছে। বর্তমানে ২৮৯টি এমন কারখানা রয়েছে। এসব কারণে জেনেভায় চলমান আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনেও (আইএলসি) বাংলাদেশ প্রশংসিত হচ্ছে। সাসটেইনেবিলিটি কমপ্যাক্ট বৈঠকেও বাংলাদেশ প্রশংসা পাবে বলে তিনি আশাবাদী।

তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলেও ইইউ জিএসপি প্লাস সুবিধা দেবে। এ জন্য যেসব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে, তা যথাসময়ে করা হবে।

ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রশংসা করার মতো। এখানে শ্রম পরিবেশের অনেক উন্নতি হয়েছে। শ্রমিকরা কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছেন। ক্রেতাগোষ্ঠী কর্মপরিবেশের উন্নয়নে খুশি। তবে এখনও অনেক ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে বাংলাদেশ আরও ভালো করতে পারে।

বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু, অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) তপন কান্তি ঘোষসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার। তৈরি পোশাকের ৬৩ ভাগ রফতানি হয় ইইউভূক্ত ২৮টি দেশে। একক দেশ হিসেবে জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি পোশাক রফতানি হয়। এরপরেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here