Home Bangla Recent বাজেটে গার্মেন্টস খাত নিয়ে প্রত্যাশা ও বাস্তবতায় রয়েছে ব্যবধান

বাজেটে গার্মেন্টস খাত নিয়ে প্রত্যাশা ও বাস্তবতায় রয়েছে ব্যবধান

প্রস্তাবিত বাজেটে তৈরি পোশাক খাত নিয়ে অর্থমন্ত্রীর প্রত্যাশা ও বাস্তবতার মধ্যে একটি ব্যবধান রয়েছে বলে মনে করেন এ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, কর্মসংস্থানে পোশাক খাতের অবদানের প্রশংসা করা হয়েছে, অথচ এ খাতের রফতানিকারকদের করহার ও গ্রীন সনদের করহার বাড়ানো হয়েছে। তাই প্রস্তাবিত এসব করহার পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন তারা। তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমএই সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান শুক্রবার গণমাধ্যমকে বলেন, বাজেটে কর্পোরেট কর এবং গ্রীন ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। অথচ অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছেন, কর্মসংস্থানে পোশাক খাতের অবদানের কথা বিবেচনায় নিয়ে এ খাতে বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়েছে। প্রকৃত অর্থে ওই সব সুবিধা আরও কমানো হয়েছে। এর আগে তৈরি পোশাক খাতে উৎপাদন ও রফতানিতে নিয়োজিত করদাতাদের করহার ছিল ১২ শতাংশ। এটা বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ এবং পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১২.৫ শতাংশ এবং গ্রীন সনদ আছে এমন সবুজ কারখানাকে ১০ থেকে ১২ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে আমাদের মনে হয়েছে কোথাও কোন ভুলভ্রান্তি হয়েছে। আমাদের আশা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এসব সমাধান করা হবে।

এদিকে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকদের আয়কর কমানো উচিত বলে মনে করেন রফতানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী। প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট বিষয়ে জানতে তিনি গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন। সালাম মুর্শেদী বলেন, অর্থমন্ত্রী করহার বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার কথা বলেছেন, আমি মনে করি এটা কমানো উচিত। ১০ শতাংশ করা উচিত। আশা করি, অর্থমন্ত্রী এটা পুনর্বিবেচনা করবেন।

বিজিএমইএর সাবেক এই সভাপতি বলেন, পোশাক শিল্প চ্যালেঞ্জের মুখে। কারখানা সংস্কারে মালিকদের অতিরিক্ত টাকা লেগেছে। ইউরোপ ও আমেরিকার ক্রেতাদের জোট এ্যাকর্ড ও এ্যালায়েন্সের পরামর্শ অনুযায়ী সংস্কার চলছে, অনেক টাকা খরচ হচ্ছে এতে। আমরা পোশাক শিল্পে আরও কর্মপরিবেশ উন্নয়নে কাজ করছি। গ্রীন ইন্ডাস্ট্রি বা পরিবেশবান্ধব সবুজ শিল্পায়ন গড়ে তুলছি। আবার সামনে পোশাক শ্রমিকরা নতুন মজুরি কাঠামোতে বেতন পেতে যাচ্ছেন। আমরা আশা করব, অর্থমন্ত্রী তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রফতানিতে নিয়োজিত করদাতাদের করহার কমাবেন।

অন্যদিকে দেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের জন্য কর্পোরেট কর ১০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন বিকেএমইএ সাবেক প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে তৈরি পোশাক খাতের কর্পোরেট করহার বাড়ানোর প্রস্তাবের ফলে সরকারের কর্মসংস্থানমুখী যে বাজেট পরিকল্পনা রয়েছে এটা ব্যাহত হবে। এছাড়া ২০২১ সালের নিম্নতম আয়ের দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার যে রূপকল্প রয়েছে তা বাস্তবায়নও কঠিন হয়ে পড়বে। তিনি আরও বলেন, বাজেট প্রস্তাবনায় বিনিয়োগ, দারিদ্র্যবিমোচন এবং কর্মসংস্থানবিরোধী কর প্রস্তাব করা হয়েছে। তাই তিনি সরকারের কাছে এই কর্পোরেট কর আরও কমিয়ে বিনিয়োগবান্ধব বাজেট দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here