Home Bangla Recent পোশাক রফতানিতে আয় ২৯ বিলিয়ন ডলার

পোশাক রফতানিতে আয় ২৯ বিলিয়ন ডলার

গতবছর বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল দ্বিতীয়

বরাবরের মতো ২০১৭ সালেও বৈশ্বিক বাজারে পোশাকের প্রধান রফতানিকারক ছিল চীন। গত বছর পোশাক রফতানি বাবদ দেশটির আয় ১৫৮ বিলিয়ন ডলার। একই খাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর সমন্বিত আয় ছিল ১৩০ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে পোশাক বাজারে রফতানিকারকের তালিকায় ইউরোপীয় দেশগুলো জোটবদ্ধভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তবে একক দেশ হিসেবে ২৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি করে দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। আর ২৭ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানির মাধ্যমে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। এ তালিকার চতুর্থ থেকে নবম স্থানে আছে যথাক্রমে ভারত, তুরস্ক, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। বৈশ্বিক বাণিজ্য নিয়ে ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউটিও) সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।

পোশাক রফতানির বৈশ্বিক বাজারে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর অংশ বা হিস্যার হ্রাস-বৃদ্ধিও উঠে এসেছে ডব্লিউটিওর প্রতিবেদনে। এক্ষেত্রে ২০০০, ২০০৫, ২০১০ ও ২০১৭ সালের পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে। দেখা গেছে, চীনের বাজার-অংশ সম্প্রতি সংকোচনের ধারায় চলে গেছে। ২০০০ সালে বৈশ্বিক পোশাক রফতানিতে দেশটির হিস্যা ছিল ১৮ দশমিক ২ শতাংশ। ২০০৫ সালে তা বেড়ে ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ ও ২০১০ সালে ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হয়। তবে ২০১৭ সালে বৈশ্বিক পোশাক রফতানিতে দেশটির অংশ কমে হয়েছে ৩৪ দশমিক ৯ শতাংশ। বৈশ্বিক পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ চলতি শতকের সূচনাকালে সামান্য কমলেও বর্তমানে তা প্রবৃদ্ধির ধারায় রয়েছে। ২০০০ সালে বাংলাদেশের অংশ ছিল বৈশ্বিক রফতানির ২ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০০৫ সালে তা কমে হয় ২ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে ২০১০ সালে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব ৪ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালে বৈশ্বিক রফতানির ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বাংলাদেশের দখলে।

এদিকে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি দ্রুতগতিতে বৈশ্বিক রফতানিতে নিজেদের অংশ বাড়াচ্ছে ভিয়েতনাম। ২০০০ সালে বৈশ্বিক রফতানির দশমিক ৯ শতাংশ ছিল ভিয়েতনামের দখলে। ২০০৫ সালে এ অংশ বেড়ে হয় ১ দশমিক ৭ শতাংশ, ২০১০ সালে দাঁড়ায় ২ দশমিক ৯ শতাংশ। সর্বশেষ ২০১৭ সালে বৈশ্বিক রফতানির ৫ দশমিক ৯ শতাংশ দখলে নিয়েছে ভিয়েতনাম। শীর্ষ ১০ রফতানিকারক দেশের মধ্যে ভারতের হিস্যাও ক্রমেই বাড়ছে। বৈশ্বিক রফতানিতে ২০০০, ২০০৫, ২০১০ ও ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভারতের অংশ ছিল যথাক্রমে ৩, ৩ দশমিক ১, ৩ দশমিক ২ এবং ৪ দশমিক ১ শতাংশ। একই সময়ে তুরস্কের অংশ ছিল যথাক্রমে ৩ দশমিক ৩, ৪ দশমিক ৩, ৩ দশমিক ৬ এবং ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, পোশাক রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশকে এরই মধ্যে ছাড়িয়েছে ভিয়েতনাম। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি আয় বেড়েছে মাত্র ২ শতাংশ। একই সময়ে ভিয়েতনামের বেড়েছে ৯ শতাংশ। অন্যদিকে ভারতেরও পোশাক রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ। শীর্ষ রফতানিকারক দেশ চীনের রফতানি আয়ে কোন প্রবৃদ্ধি হয়নি বলে উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা বেড়েছে, যার পরিমাণ ৮৩ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের আমদানি ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here