Home Bangla Recent বাংলাদেশের পোশাক খাতে সঠিক অগ্রগতি হচ্ছে

বাংলাদেশের পোশাক খাতে সঠিক অগ্রগতি হচ্ছে

রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও শ্রমঅধিকারসহ অনেক ভালো কাজ হয়েছে। আমরা মনে করি বাংলাদেশ ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সঠিক পথেই আছে। তবে এই অগ্রযাত্রার পথ অনেক দীর্ঘ। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেলে সোনারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এ দেশীয় পরিচালক (কান্ট্রি ডিরেক্টর) টুয়োমো পোটিয়াইনেন তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রথম মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

টুয়োমো বলেন, আইএলও বিশেষ করে চারটি আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশে কাজ করছে। এগুলো হলো, সরকার ও শ্রমিকদের সম্পর্ক উন্নয়ন, ট্রেড ইউনিয়ন চর্চা এবং মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সংলাপের আয়োজন, শিল্প এবং পেশাগত নিরাপত্তার উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও দক্ষতার বৃদ্ধি এবং নিরাপদ অভিবাসন নিয়েও কাজ করে। এ ছাড়া আদিবাসীসহ অন্য বিষয় নিয়েও তাঁর প্রতিষ্ঠান কাজ করে বলে জানান।

পোশাক খাতে প্রকৃত অর্থে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ থেকে মালিক, শ্রমিক এবং উন্নয়ন অংশীদারদের মানসিকতায়ও অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। জলবায়ু পরিবর্তনে কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে উল্লেখ করে টুয়োমো বলেন, বাংলাদেশ সবুজ কারখানা অনেক হয়েছে। কর্মসংস্থানেও গুরুত্ব দিচ্ছেন কারখানার মালিকরা। এটাকে আরো গুরুত্ব দিতে হবে, যা হবে চলমান। তার পরও বলা যায়, সরকার মালিকের নেওয়া উদ্যোগগুলো সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।

পোশাক খাতের কর্মপরিবেশ উন্নয়ন নিয়ে তিনি আরো বলেন, এ খাতের উদ্যোক্তারা সবাই সমান নয়। কেউ ছোট, মাঝারি এবং কেউ বড় উদ্যোক্তা। তাই এ দেশের বাণিজ্য পরিবেশের উন্নয়নে নজর দিতে হবে। তাহলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। বাংলাদেশের প্রতি ক্রেতাদের আস্থাও বাড়বে।

বিদেশি ক্রেতাগোষ্ঠীদের সংগঠন অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্সের সংস্কারকাজ তদারকিতে সরকারের একটি শক্তিশালী সংগঠন দরকার বলে তিনি মনে করেন। কিন্তু এ ধরনের কোনো কার্যক্রমের জন্য গঠিত রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল (আরসিসি) দায়িত্ব নেওয়ার সক্ষমতা এখনো গড়ে ওঠেনি।

এ সক্ষমতা অর্জনে আমরা সরকারকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা করছি। তবে এটা এক রাতেই সম্ভব নয়। এ জন্য সময় প্রয়োজন। আর নিরাপদ কর্মপরিবেশ উন্নয়নে সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে। সরকার প্রকৃত অর্থেই কার্যকর মনিটরিং প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

গত আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে বাংলাদেশের বিশেষ অনুচ্ছেদ অবমুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে টুমো বলেন, শ্রম আইন ও ইপিজেড আইন সংশোধনের সরকারের প্রতিশ্রুতির ফলে গত আইএলসি সভায় বিষয়টি আলোচনায় আসেনি। তবে এগুলো আগামী সম্মেলনে উঠবে না, এমনটা নয়। এ ছাড়া আমরা জানি সরকার এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে। আমাদের আশা আগামী সংসদের অধিবেশনে এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে। ফিনল্যান্ডের নাগরিক টুয়োমো পোটিয়াইনেন গত বছর ধরে আইএলওতে কাজ করছেন। আইএলওর ফিলিপাইন কার্যালয় দিয়ে তাঁর যাত্রা শুরু হয়। বেশির ভাগ সময়ই কাটিয়েছেন এশিয়ার দেশগুলোতে। আইএলও সদর দপ্তর জেনেভায়ও তিন বছর কাজ করেছেন। বাংলাদেশে আসেন রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here