পোশাক খাতের সংস্কারবিষয়ক উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটির (অ্যালায়েন্স) তত্ত্বাবধানে থাকা কারখানাগুলোর ৯১ ভাগ সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। অনুমোদিত সংস্কার কর্মপরিকল্পনা (ক্যাপ) অনুযায়ী শতভাগ সংস্কার কাজ শেষ করেছে ৪০০ কারখানা। তবে সংস্কারকাজে অগ্রগতি দেখাতে ব্যর্থতার দায়ে ১৭৩ কারখানার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে।
অ্যালায়েন্সের ত্রৈমাসিক অগ্রগতি প্রতিবেদনে গতকাল সোমবার এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে মেয়াদ শেষেও জোটভুক্ত কারখানাগুলোর নিরাপত্তা পরিস্থিতি অব্যাহত রাখার কথা জানানো হয়েছে। তবে কোন প্রক্রিয়ায় মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পর্যবেক্ষণ চালানো হবে এতে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। প্রতিবেদনে অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক এবং এক সময়ে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন এফ মরিয়ার্টি বলেন, মেয়াদ শেষেও সদস্য কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের যেসব কারখানা থেকে পোশাক কিনবে সেগুলোর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখা হবে। এর মাধ্যমে ওইসব কারখানার নিরাপত্তা মান যাচাই করা হবে।
সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, অ্যালায়েন্সের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত জুনে। কার্যক্রম গুছিয়ে নিতে অতিরিক্ত ছয় মাস মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলে সরকার তা অনুমোদন করে। এ হিসাবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর এ জোটের বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার কথা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শতভাগ সংস্কার কাজ শেষ করা ৪০০ কারখানা নিরাপত্তা মানে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অর্জন করেছে। এটি সংস্কার কাজের সঙ্গে জড়িত প্রকৌশলী, পরিদর্শক, কারখানার মালিক, ম্যানেজার এবং শ্রমিক যারা তাদের কারখানায় নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের কঠোর পরিশ্রমের সাক্ষ্য। অ্যালায়েন্সভুক্ত কারখানাগুলোতে সংস্কার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এ বছরের শেষে অধিকাংশ কারখানাই একটি চমৎকার কাঠামো লাভ করবে বলে প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, এসব কারখানা অ্যালায়েন্সের কঠোর নিরাপত্তা মানদণ্ড অনুসারে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।