Home Bangla Recent ছয় মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৪ শতাংশ

ছয় মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৪ শতাংশ

পণ্য রপ্তানিতে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে শেষ হলো ২০১৮ সাল। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) রপ্তানি আয়ে ১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।তথ্য মতে, আলোচ্য সময়ে রপ্তানির মাধ্যমে ২ হাজার ৫০ কোটি ডলার আয় হয়েছে বাংলাদেশের। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছিল ১ কোটি ৭৯২ কোটি মার্কিন ডলার। রপ্তানি আয়ে সুখবর নিয়েই শুরু হয়েছিল নতুন অর্থবছর। ইতিবাচক সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে এখনও। এছাড়া দেশের প্রধান রপ্তানিপণ্য তৈরি পোশাক খাতের আয় ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। যার কারণে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির ধারবাহিকতা এখনও বিদ্যমান। তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৮৭৮ কোটি ডলার। তবে এ সময়ে আয় হয়েছে ২ হাজার ৫০ কোটি মার্কিন ডলার । যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেশি। একক মাস হিসেবে ডিসেম্বরে ৩৫৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এটি গত বছরের ডিসেম্বরের চেয়ে ২ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, বরাবরের মতোই চলতি অর্থবছরে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে মোট রপ্তানি আয়ে বড় অবদান রেখেছে তৈরি পোশাক খাত। আলোচিত সময়ে এ খাত থেকে আয় হয়েছে ১ হাজার ৭০৮ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৫৭৪ কোটি ৫২ লাখ ডলার। এ হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ। গত বছর একই সময়ের তুলনায় এ বছর আয় বেড়েছে ১৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ।আলোচ্য সময়ে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৫১ কোটি ৭৬ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬৭ শতাংশ বেশি। প্লাস্টিক পণ্যের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২১ শতাংশ। এ সময়ে আয় হয়েছে ৫ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। এদিকে পাট ও পাটপণ্য রপ্তানিতে আগের অর্থবছরের তুলনা প্রায় ২৭ শতাংশ আয় কমেছে। এ খাতে আয় দাঁড়িয়েছে ৪২ কোটি ১০ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ে এখাতের রপ্তানি আয় ছিল ৫৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। একইভাবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি আয়ও কমেছে। এ খাতে আয় হয়েছে ৫৩ কোটি ২৩ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ কম।–অর্থসূচক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here