Home Bangla Recent সমঝোতা নয়, নির্বাচনের মাধ্যমে বিজিএমই’র নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার দাবি

সমঝোতা নয়, নির্বাচনের মাধ্যমে বিজিএমই’র নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার দাবি

আগামী ৬ এপ্রিল তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। অতীতের মতো সংগঠনটির এবারের কমিটিও নির্বাচনের পরিবর্তে যাতে সমঝোতায় গঠিত না হয়, সে দাবি জানিয়েছে স্বাধীনতা পরিষদ নামে সদস্যদের নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম। গতকাল রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাধীনতা পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, অতীতে নির্বাচন না হওয়ায় সংগঠনটিতে সদস্যদের গুরুত্ব কমে গেছে। ফলে অনেক সদস্যই সংগঠনটিতে এসে কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতা পান না। নির্বাচনের পরিবর্তে সমঝোতার কমিটি গঠন হলে এর বিরুদ্ধে আইনি পদেক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সদস্যদের বিভিন্ন সমস্যা, বঞ্চনা ও সংগঠনের কিছু অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন স্বাধীনতা পরিষদের সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় তার সঙ্গে কয়েকটি কারখানার মালিক বিজিএমইএ’র সদস্য উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন ঘিরে শিগগিরই সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করার ঘোষণাও দেন জাহাঙ্গীর আলম।

বিজিএমইএ’র নির্বাচনে সদস্যরা ‘সমন্বয় পরিষদ’ ও ‘ফোরাম’ নামে দুটি প্যানেলে ভাগ হয়ে অতীতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছিলেন। তবে গত ২০১৫ সালে উভয় প্যানেল সমঝোতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব ঠিক করে। ফলে সাধারণ সদস্যরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি। দুই বছরের জন্য কমিটি ঠিক হলেও সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটি ইতোমধ্যে সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় পার করেছে। তবে সম্প্রতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের বদলে ফের সমঝোতার কমিটি গঠন হয় কিনা-তা নিয়ে সদস্যদের মধ্যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।

এ সময় জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, সংগঠনের প্রায় ২০ শতাংশ সদস্য রয়েছেন, যাদের কোনো কারখানা নেই। বিজিএমইএতে ইউডি (ইউটিলিটি ডিক্লারেশন বা কাঁচামাল আমদানির প্রাপ্যতার ঘোষণা) নেওয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ দিতে হয়। এ সময় তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী সংগঠন বিজিএমইএ। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, বিজিএমইএ’র মতো আয় অন্য কোনো সংগঠনের নেই। ১শ’ কোটি টাকা আয় হয়, অথচ খরচ ১০ কোটি টাকাও না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here