জমির স্বত্ব না থাকা ও জলাধার আইন লঙ্ঘন করায় হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় বিজিএমইএর বর্তমান ভবনটি উচ্চ আদালতের নির্দেশে ছাড়ার শেষ তারিখ ছিলো শুক্রবার। ইতিমধ্যে এই ভবনের কার্যক্রম সরিয়ে নিয়ে রাজধানীর উত্তরায় তৃতীয় পর্বে ১১০ কাঠা জমির উপর নির্মিত বিজিএমএ এর নতুন ভবনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৫ এপ্রিল থেকে নতুন ভবনে অফিস করার কথা থাকলেও মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সংগঠনের নেতারা আবারও আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা যায়, ১৫ এপ্রিল থেকে নতুন ভবনে অফিস করার কথা থাকলেও ভবনটিতে অফিস করার মতো পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকার অজুহাতে আবারও সময় বাড়ানোর জন্য উচ্চ আদালতে সময় বাড়ানোর আবেদন করা হবে। কিন্তু বিষয়টি অস্বীকার করে বর্তমান সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমাদের নতুন ভবনটি অফিস করার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। ওখানে বিদ্যুৎ, পানিসহ অন্য সব ইউটিলিটি সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমাদের বর্তমান কার্যালয়ের জিনিসপত্র নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হচ্ছে। ১৫তারিখ থেকেই নতুন ভবনে অফিস করা হবে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে বিজিএমইএর বর্তমান ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে বিজিএমইএ লিভ টু আপিল করে, যা ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগে খারিজ হয়। রায়ে বলা হয়, ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙতে আবেদনকারীকে (বিজিএমইএ) নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজউককে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হলো। পরে ভবন ছাড়তে উচ্চ আদালতের কাছে সময় চায় বিজিএমইএ। প্রথমে ছয় মাস এবং পরে সাত মাস সময়ও পায় তারা। সর্বশেষ গত বছর নতুন করে এক বছর সময় পায় সংগঠনটি। সে সময় তারা মুচলেকা দেয়, ভবিষ্যতে আর সময় চাওয়া হবে না। ফলে আগামী পড়শু দিন (১৫এপ্রিল) বিজিএমইএ এর নতুন ভবনে দাপ্তরিক কাজ শুরু না করলে বিজিএমইএ এর কারওয়ান বাজারের ভবনটির কি হবে তা নিয়ে জনমনে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেহেতু বর্তমান সভাপতির সর্বোচ্চ আদালতে মুচলেকা দেওয়া সেই জন্য তার কোনো আইনগত অধিকার নেই পুনরায় সময় বাড়ানোর জন্য। তাহলে আইনের অবমাননা হবে।