Home Bangla Recent বিজিএমইএর সম্মতি ছাড়া কারখানা টার্মিনেট করতে পারবে না অ্যাকর্ড

বিজিএমইএর সম্মতি ছাড়া কারখানা টার্মিনেট করতে পারবে না অ্যাকর্ড

তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সম্মতি ছাড়া কোনো কারখানা টার্মিনেট (সম্পর্ক ছিন্ন) করতে পারবে না পোশাকের ইউরোপীয় ক্রেতা ও আন্তর্জাতিক শ্রম অধিকার সংস্থার জোট অ্যাকর্ড। এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে এ বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের তথ্য জানিয়েছে বিজিএমইএ। এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে জোটের কার্যক্রম পরিচালনায় আদালতের পক্ষ থেকে অ্যাকর্ডকে ২৮১ দিন সময় দেয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।

গতকাল বিজিএমইএর পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজিএমইএ ও অ্যাকর্ডের মধ্যে সম্প্রতি স্বাক্ষরিত এক সমঝোতা স্মারকের ভিত্তিতে আদালত বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের নিরাপত্তা তদারকিতে নিয়োজিত ইউরোপের ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ডকে ২৮১ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছে। ৮ মে ঢাকায় এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।

বাংলাদেশের পোশাক খাতে জাতীয় পর্যায়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীন নিরাপত্তাবিষয়ক মনিটরিং ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে বিজিএমইএ একটি ‘আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল (আরএসসি)’ গঠনের পরিকল্পনা করেছে। এ পরিকল্পনায় অ্যাকর্ড একমত রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজিএমইএ জানিয়েছে, আরএসসির কার্যক্রম পরিচালিত হবে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, ব্র্যান্ড এবং আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলোর মাধ্যমে। সেই সঙ্গে অ্যাকর্ডের অন্তর্বর্তীকালীন সময় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরএসসি অ্যাকর্ডের অবকাঠামো, পরিচালন পদ্ধতি ও রিসোর্সেস বুঝে নেবে।

অন্তর্বর্তীকালীন বিজিএমইএ অ্যাকর্ডের ঢাকা অফিসে ‘বিজিএমইএ ইউনিট’ নামে একটি অপারেটিং ইউনিট প্রতিষ্ঠা করবে, যাতে অ্যাকর্ডের অন্তর্বর্তীকালীন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায়। অন্তর্বর্তীকালীন প্রক্রিয়ার সহায়ক হিসেবে জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ, বিশেষ করে বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি টেকনিক্যাল সাব-কমিটি গঠন করা হবে। অন্যদিকে বিজিএমইএ ইউনিট রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেলকে (আরসিসি) নিয়মিতভাবে অগ্রগতির বিষয়ে জানাবে।

সমন্বিতভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সম্মত হওয়ার বিষয়ের মধ্যে আছে বিজিএমইএ ইউনিটের সম্মতি ছাড়া অ্যাকর্ডের পক্ষ থেকে কোনো কারখানাকে বহিষ্কার, টার্মিনেশন অথবা এসকেলেশন করা যাবে না। দ্বিতীয়ত, একটি কারখানার ব্যর্থতার কারণে গ্রুপভুক্ত অন্য কোনো কারখানা টার্মিনেট করা যাবে না বলে অ্যাকর্ড সম্মত হয়েছে। তৃতীয়ত, একই কারখানাকে বারবার পরিদর্শন, পুনরাবৃত্তি (আরসিসি, অ্যাকর্ড ও নিরাপন উদ্যোগের নামে) করা হবে না। সবশেষে বিজিএমইএ ইউনিট ও অ্যাকর্ডের মধ্যে কোনো বিরোধ দেখা দিলে আরসিসি তা চূড়ান্তভাবে সুরাহা করবে বলে উল্লেখ করেছে বিজিএমইএ।

বিজিএমইএ জানিয়েছে, প্রচলিত নিরাপত্তা উদ্যোগগুলোয় নতুন কারখানা তালিকাভুক্তির বিষয়ে উভয় পক্ষ মিলে একটি পদ্ধতি নির্ধারণ করবে বলে সম্মত হয়েছে। এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে একপক্ষীয় ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে বহুপক্ষীয় সম্পৃক্তার মাধ্যমে কারখানার সেলফ মনিটরিং ব্যবস্থার সূচনা হলো। বিজিএমইএ বোর্ড ও অ্যাকর্ডের আন্তরিক ও পারস্পরিক সহযোগিতার নিদর্শনস্বরূপ এ সমঝোতা স্মারকে অ্যাকর্ডের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে একসঙ্গে কাজ করার সদিচ্ছা প্রতীয়মান হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here