জরুরি প্রয়োজনে শিল্পকারখানা চালু রাখা যাবে বলে জানিয়েছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই)। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআরের জারি করা স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নির্দেশিকা কঠোরভাবে পরিপালন করেই কারখানা চালাতে হবে শিল্প মালিকদের। ডিআইএফইর মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় গতকাল শুক্রবার এই নির্দেশনা দিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, যেসব রপ্তানিমুখী কারখানায় ক্রয়াদেশ রয়েছে এবং করোনা প্রতিরোধে অপরিহার্য পণ্য-পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইমেন্ট (পিপিই), মাস্ক, হ্যান্ডওয়াশ বা স্যানিটাইজার, ওষুধ ইত্যাদি উৎপাদন কার্যক্রম চলছে সেসব কারখানার শিল্প মালিকেরা শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কারখানা চালু রাখতে পারবেন। তবে কারখানায় প্রবেশের পূর্বে থার্মাল স্ক্যানার ব্যবহার করে শ্রমিকদের দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। কোনা শ্রমিকের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে তাকে সংগনিরোধ বা কোয়ারেন্টাইন করার পাশাপাশি চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ডিআইএফই। অধিদপ্তর বলেছে, গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন ভাতা প্রদানের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদণা প্যাকেজ ঘোষনার পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। তবে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে শিল্প কারখানা বন্ধের কোন নির্দেশনা ছিল না। সরকার থেকে নির্দেশনা না দিলেও তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ গতকাল শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মালিকদের কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ করে। এদিকে আজ শুক্রবার নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখতে বিশেষ নির্দেশনা দেন।