নবনিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিরুজিমাৎ সমীর আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেন। রাষ্ট্রপতি ঢাকায় নবনিযুক্ত হাইকমিশনার শিরুজিমাৎ সমীরকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, মালদ্বীপ বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুপ্রতীম দেশ। শুরু থেকেই মালদ্বীপের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিরাজ করছে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বছরের পর বছর সম্প্রসারিত হচ্ছে। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বৈঠক শেষে এ কথা জানান। চিকিৎসা, কারিগরি, প্রযুক্তিসহ উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এখন অনেক উন্নত মানের প্রতিষ্ঠানের উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এসব প্রতিষ্ঠান ব্যবহারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নতুন হাইকমিশনারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, ঔষধ, সিরামিকস, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ও প্লাস্টিক পণ্যসহ আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করছে।
বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ এসব পণ্য আমদানি করতে পারে। এতে দু-দেশের বাণিজ্যিক ভারসাম্য বজায় থাকার পাশাপাশি আগামী দিনগুলোতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পেতে সহায়ক হবে। রাষ্ট্রপতি দু’দেশের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পারস্পরিক প্রতিনিধি সফর বিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। তিনি এ সমস্যার সমাধানে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে যৌথ প্রচেষ্টার উপরও গুরুত্বারোপ করেন। মালদ্বীপের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার তার দেশে চিকিৎসক দল প্রেরণসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি ঢাকায় তার দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করলে রাষ্টপতি প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সামপদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এরআগে মালদ্বীপের হাইকমিশনার বঙ্গভবনে এসে পৌঁছুলে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের একটি সুসজ্জিত দল তাকে গার্ড অব অনার পদান করেন।