Home বাংলা নিউজ নেতৃত্ব বাছাইয়ে ভোট দিচ্ছেন তৈরি পোশাক শিল্পমালিকরা

নেতৃত্ব বাছাইয়ে ভোট দিচ্ছেন তৈরি পোশাক শিল্পমালিকরা

করোনাভাইরাস মহামারীর বিস্তারের মধ্যেই উৎসবমুখর পরিবেশে নেতৃত্ব বাছাইয়ের জন্য ভোট দিচ্ছেন দেশের তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সদস্যরা।

নির্ধারিত সময় রোববার সকাল ৯টায় ঢাকার হোটেল র‌্যাডিসনে ও বিজিএমইএ চট্টগ্রাম কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে; চলবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া না গেলেও সম্মিলিত পরিষদের বিরুদ্ধে বহিরাগতদের এনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেছেন ফোরামের প্রার্থীরা। সরেজমিনে দুপুরে র‌্যাডিসন হোটেল এলাকায় দেখা যায়, হোটেলের উত্তরপ্রান্তে তৈরি করা প্রবেশপথে বাইরে সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের অসংখ্য নেতাকর্মী ভিড় করছে। ভোটকেন্দ্রের বাইরে হোটেলের লবিতে শখানেক নেতাকর্মী ও সাংবাদিকের অবস্থান করছিল। স্বাস্থ্যবিধি মানতে সবাই মাস্ক পরিধান করলেও কোনো ভোটার আসামাত্রই সেখানে জটলা পাকিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল  ‘সম্মিলিত পরিষদ’ ও ‘ফোরাম’। ঢাকা ও চট্টগ্রামে সমিতির ৩৫টি পরিচালক পদের জন্য দুই প্যানেলের ৩৫ জন করে মোট ৭০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তফসিল অনুযায়ী, ঢাকা অঞ্চলে ১ হাজার ৮৫৩ এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৪৬১ পোশাক কারখানা মালিক ভোট দেবেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের কেন্দ্রে ২৩৭টি এবং ঢাকায় দুই শতাধিক ভোট পড়েছে বলে নির্বাচনী বুথ থেকে ঘোষণা করা হয়। সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার ফারুক হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ ভালোই বিরাজ করছে। ফোরামের নেতৃত্বের পৃষ্ঠপোষকতায় নির্বাচনে ভোট সাজানো হয়েছে। তারপরও আমরা বলব যেভাবে ভোট হচ্ছে তা সন্তোষজনক।” তবে ভোটের পরিবেশ নিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজিএমইর সভাপতি রুবানা হক। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “অপরিচিত লোক ভিড় করছে। এমনকি ভোটকেন্দ্রের ভেতরেও তাদের লোকজন ব্যাপকভাবে জটলা পাকিয়ে আছে। এক কথায় বলতে গেলে সার্বিক চিত্র মোটেও সন্তোষজনক নয়। দুপুরে ভোট দিতে আসেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম। ভোট দেওয়া শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যে কোনো সংকটে বিজিএমইএতে একটি পক্ষই কাজ করে। তারা হচ্ছেন বিজিএমইএর নেতৃত্ব। কেবল ভোটের দিনই ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদ দামের দুটি দল হয়। ভোট শেষে সবাই মিলেমিশে কাজ করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here