Home বাংলা নিউজ বিধিনিষেধে চালু আছে ৩০৩ কারখানা

বিধিনিষেধে চালু আছে ৩০৩ কারখানা

ঈদের ছুটি শেষ। তবে করোনা সংক্রমণ রোধে দুই সপ্তাহের কঠোরতম বিধিনিষেধ চলছে। এ সময় অধিকাংশ শিল্পকারখানা বন্ধ থাকলেও অল্প কিছু উৎপাদন চালাচ্ছে। তার অধিকাংশই অবশ্য বিধিনিষেধের আওতামুক্ত শিল্পকারখানার তালিকাভুক্ত।

চলমান বিধিনিষেধে সারা দেশে কত শিল্পকারখানা চালু রয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, সাভার-আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও খুলনায় ৩০৩টি কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম গতকাল রোববার সচল ছিল। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গাজীপুরে, সেখানে ১০৩টি কারখানা খোলা। তা ছাড়া চট্টগ্রামে ৬৫, নারায়ণগঞ্জে ৪৩,খুলনায় ৩৯, ময়মনসিংহে ৩১ এবং সাভার-আশুলিয়ায় চালু কারখানার ২২টি।

শিল্প পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, সাভার-আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও খুলনায় মোট শিল্পকারখানার সংখ্যা ৭ হাজার ৮২৪। এর মধ্যে বেশির ভাগই তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান। তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ ও বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সদস্য কারখানার সংখ্যা ২ হাজার ৭৩৩। সব মিলিয়ে ৭ হাজার ৮২৪টি শিল্পকারখানার মধ্যে ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ গতকাল খোলা ছিল।

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে চলতি বছরের এপ্রিলে সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করলেও রপ্তানিমুখী পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা সচল ছিল। সর্বশেষ গত ২৮ জুন শুরু হওয়া সীমিত ও পরে ১ থেকে ১৪ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধেও পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা চালু ছিল। তবে গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ‘কঠোরতম বিধিনিষেধে’ কয়েকটি খাত ছাড়া প্রায় সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ রয়েছে।

শিল্প পুলিশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৩৪ ক্যাটাগরির পণ্য উৎপাদনের জন্য ৩০৩টি কারখানা গতকাল চালু ছিল।

এবারের কঠোরতম বিধিনিষেধের বিষয়ে ১৯ জুলাই জারি করা প্রজ্ঞাপনে চামড়া খাত, খাদ্য ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ওষুধ এবং করোনা প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনে নিয়োজিত শিল্পকারখানাকে বিধিনিষেধের আওতামুক্ত রাখা হয়।

শিল্প পুলিশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৩৪ ক্যাটাগরির পণ্য উৎপাদনের জন্য ৩০৩টি কারখানা গতকাল চালু ছিল। তার মধ্যে বিধিনিষেধের আওতামুক্ত ওষুধ, খাদ্য, অক্সিজেন, বিদ্যুৎ, চামড়া, চিকিৎসা যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারী কারখানার পাশাপাশি বিধিনিষেধের আওতাভুক্ত সরঞ্জাম, প্রসাধনী, সিমেন্ট, ইস্পাত, প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক কারখানাও চলছে। যদিও সংখ্যাটি খুবই কম। তবে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সেগুলো চলার কথা নয়।

চালু থাকা ৩০৩টি কারখানার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৭টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। তারপর খাদ্য ও পানীয় উৎপাদনকারী কারখানা রয়েছে ৩৮টি। আটা ও ময়দার মিল চালু আছে ৩৭টি।

চালু থাকা ৩০৩টি কারখানার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৭টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। তারপর খাদ্য ও পানীয় উৎপাদনকারী কারখানা রয়েছে ৩৮টি। আটা ও ময়দার মিল চালু আছে ৩৭টি। মাছের খাদ্য উৎপাদনে নিয়োজিত ৩৬টি কারখানা চলছে। মাছ প্রক্রিয়াজাতকারী ১৫টি কারখানাও খোলা। এ ছাড়া মুরগির ফার্ম ১২, বিস্কুটের ১০, অক্সিজেন উৎপাদনকারী ৯টি, বিদ্যুতের ৭টি, চামড়ার ২টিসহ বিধিনিষেধের আওতামুক্ত খাতের কারখানা চালু রয়েছে।

বিধিনিষেধের আওতামুক্ত না হলেও ইস্পাত খাতের তিনটি কারখানা চলছে। তার মধ্যে দুটি গাজীপুরে ও খুলনায় একটি। আবার খুলনার একটি সিমেন্ট কারখানাও চালু রয়েছে।

শিল্প পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, বিধিনিষেধের আওতামুক্ত না হলেও ইস্পাত খাতের তিনটি কারখানা চলছে। তার মধ্যে দুটি গাজীপুরে ও খুলনায় একটি। আবার খুলনার একটি সিমেন্ট কারখানাও চালু রয়েছে। এ ছাড়া সরঞ্জাম তৈরির ৯টি কারখানা, ৭টি রাসায়নিক, ১টি গ্লাস, প্রসাধনী তৈরির ১টি, ডিটারজেন্ট উৎপাদনকারী ১টি এবং ২টি প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী কারখানাও চালু রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here